মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আহমদ দীদাত রচনাবলি - ফজলে রাব্বী ও মুহাম্মদ গোলাম মোস্তাফা
লেখকঃ আহমদ দীদাত
৪
অধ্যায় দুইঃ বিজ্ঞান এবং কুরআনের প্রত্যাদেশ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/599/4
অকুণ্ঠচিত্ত প্রশংসা
বর্তমান বিশ্বে প্রায় একশ কোটির অধিক মুসলমান, তারা সবাই যে একবাক্যে গভীর প্রত্যয়ের সাথে কুরআনকে আল্লাহর বাণী বলে গ্রহণ করেছেন এটাই তো অলৌকিকতা।
এই মহাগ্রন্থের অলৌকিক প্রকৃতি সম্পর্কে যখন গোড়া শত্রুও না চাইতেই স্বীকার করছে, তখন মুসলমানরা করবে না কেন? রেভারেণ্ড আর বসওয়ার্থ স্মিথ তাঁর মুহম্মদ এন্ড মোহামেডানিজম গ্রন্থে কুরআন সম্পর্কে বলেনঃ
(ক) সত্য জ্ঞান ও প্রজ্ঞার এবং বিশুদ্ধ স্টাইলের এক অলৌকিক বিস্ময়।
এ.জে.আরবেরি নামে অপর একজন ইংরেজ তাঁর কুরআনের ইংরেজি অনুবাদের ভূমিকায় বলেছেনঃ
(খ) “যখনই আমি কুরআন তিলাওয়াত শ্রবণ করি তখনই মনে হয় আমি এমন এক অতলান্ত অনাবিল সঙ্গীত শুনতে পাই যার গভীরে আছে অব্যাহত সুর মূৰ্ছনা, মনে হয় যেন একটি ড্রামের তালে আমার নিজেরই হৃদপিণ্ডের ধুকধুক শব্দ শুনতে পাচ্ছি।” তার মুখবন্ধের এই বক্তব্য এবং অন্যান্য বক্তব্য পাঠ করলে মনে হয়, তিনি একজন মুসলমান। কিন্তু হায়! তিনি ইসলাম গ্রহণ না করেই ইহধাম ত্যাগ করেছেন।
আর এক ইংরেজ মারমাডিউক পিকথল। কুরআন শরীফের তিনিও ইংরেজি অনুবাদ করেছেন। সেই অনূদিত গ্রন্থের ভূমিকায় তিনি লিখেছেনঃ
(গ) সেই অনুকরণীয় সুরঝংকার ও শব্দলহরী মানুষকে এতখানি আবেগে আপ্লুত করে ফেলে তখন সে আনন্দে অশ্রু ধরে রাখতে পারে না।
এই লেখক কুরআন শরীফ অনুবাদ করার পূর্বেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। আমরা জানি না তিনি এই মন্তব্য ইসলাম গ্রহণ করার পূর্বে না পরে করেছিলেন।
(ঘ) বিশ্বে বাইবেলের পরেই এই গ্রন্থ সর্বাপেক্ষা শ্রদ্ধেয় এবং সর্বাধিক শক্তিশালী ধর্মীয় গ্রন্থ (যেহেতু এই বক্তব্য একজন ইসলাম সমালোচক খ্রিস্টানের সেহেতু তার এই বক্তব্যে কুরআন শরীফকে দ্বিতীয় স্থান দেওয়ায় আমরা কিছু মনে করি না।) —উইলিয়াম জে, কৃষ্টি উইলসনঃ ইসলাম, নিউ ইয়র্ক ১৯৫০
(ঙ) “কুরআন মুসলমানদের বাইবেল এবং ইহুদীদের পুরাতন নিয়ম অথবা খৃস্টানদের নতুন নিয়ম গ্রন্থ অপেক্ষা অধিক সম্মানিত।” —জে শিলাইডি. ডি. ডিঃ দি লর্ড জিসাস ইন দ্য কুরআন
আমরা এরূপ ডজনেরও বেশি প্রশংসাসূচক মন্তব্য এ তালিকায় সংযুক্ত করতে পারি। শত্রু ও মিত্র সমানভাবে আল্লাহর সর্বশেষ প্রত্যাদেশ পবিত্র কুরআন সম্পর্কে দ্বিধাহীন প্রশংসা করেছেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর সমসাময়িক যারা তারা এই পবিত্র গ্রন্থের সৌন্দর্য ও রাজকীয় ঐশ্বর্যের বাণীর মহিমময়তা ও এর আহবানের মহত্ত্ব এবং আল্লাহর নিদর্শনের অলৌকিকতা প্রদর্শন করে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
অবিশ্বাসী ও সন্দেহপরায়ণ ব্যক্তিরা এসব প্রশংসাসূচক মন্তব্য ও সাক্ষ্যকে বলবে আত্মগত অনুভূতি মাত্র। সে হয়তো আরবি জানে না বলে আত্মরক্ষার সুযোগ খুঁজবে। সে হয়তো বলবে, “তোমরা যা দেখ আমি তা দেখি না, তোমরা যা অনুভব কর আমি তা অনুভব করি না। আমি কেমন করে জানব আল্লাহ্ আছেন এবং তিনি তাঁর প্রেরিত মুহাম্মদ (সা)-কে অনুপ্রাণিত করেছিলেন কুরআনের মত সুন্দর বাণী তিলাওয়াত করে মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করতে। আমি কেমন করে জানব কুরআনের দর্শন ও তার সৌন্দর্য, তার বাস্তব নৈতিকতা এবং উচ্চ আদর্শ এই সবের প্রতি আমার সমর্থন আছে।”
কেউ হয়তো এও বলবে আমি স্বীকার করতে রাজি যে মুহাম্মদ (সা) একজন সত্যনিষ্ঠ আন্তরিক মানুষ ছিলেন এবং মানুষের কল্যাণের জন্যই অনেক সুন্দর ধারণাও দিয়েছেন। কিন্তু তোমাদের সাথে একমত হতে পারি না যে, এসবের পিছনে এক অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা রয়েছে, যার নির্দেশে এইসব কিছু হচ্ছে।
ন্যায়সঙ্গত যুক্তি
সহানুভূতি মনোভাবাপন্ন অথচ সংশয়বাদী মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গকে মহাগ্রন্থের স্রষ্টা তাদের সন্দেহ দূর করার জন্য নানাবিধ যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। অবিশ্বাসী সংশয়বাদী হতাশাগ্রস্ত অথচ যারা বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের অফুরন্ত ভাণ্ডার নিয়ে বসে আছেন আর নিজেদেরকে বুদ্ধির পাহাড় মনে করেন। কিন্তু তারা বাস্তবে খাটো বামন ব্যতীত আর কিছুই নয়। তারা অনেকটা বিকৃত দেহী বামনদের মত যার এক অংশের পরিবর্তে অপর অংশ অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে; যেন তারা অনেকটা ছোট্ট এক দেহে বিশাল আকৃতির মস্তক বিশিষ্ট প্রাণী। তাদেরকে পরম স্রষ্টা আল্লাহ্ প্রশ্ন করেছেন।
আল্লাহর সেই প্রশ্ন উপস্থাপন করার পূর্বে প্রথমে আমাদের ঔৎসুক্য প্রশমিত করা যাক।
আপনারা যারা বিজ্ঞানী, যারা জ্যোতির্বিদ্যা অধ্যয়ন করেছেন, বিশাল আকৃতির দূরবীনের সাহায্যে সমস্ত বিশ্ব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে অবলোকন করছেন, এসব বস্তুকে যেন হাতের তালুতে রেখে পরীক্ষা করে দেখার মতো জ্ঞান আপনাদের নেই। আপনি বলুন তো “এই বিশ্বজগত কেমন করে সৃষ্টি হল?” আত্মিক জ্ঞানের অভাব থাকা সত্ত্বেও সেই বৈজ্ঞানিক অত্যন্ত উদারভাবে বলবেন, “কোটি কোটি বছর আগে বিশ্বজগৎ একটি মাত্র জড়বস্তু রূপে বিদ্যমান ছিল। তখন সেই পদার্থের কেন্দ্রে এক প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটল, যাকে বলা হল বিগ-ব্যঙ বা মহাবিস্ফোরণ। সেই বিস্ফোরণে সমস্ত পদার্থ বা বস্তুজগত চতুর্দিকে ছুটতে আরম্ভ করল, উড়তে আরম্ভ করল। সেই বিগ ব্যঙ-এর মধ্য দিয়ে আমাদের সৌর জগত, ছায়াপথ, তারকামণ্ডল, গ্রহ, উপগ্রহ সৃষ্টি হল। মহাশূন্যের সেই প্রাথমিক বিস্ফোরণের ফলে গ্রহ-নক্ষত্র প্রভৃতি বিনা বাধায় সন্তরণ করে চলল।”
সেই মুহূর্তে আমার মনে পড়ল কুরআন শরীফের সূরা ইয়াসীনের কথা। মনে হল আমার বস্তুবাদী বন্ধু সম্ভবত সেখান থেকেই গোপনে জ্ঞান লাভ করেছেন।
এবং সূর্য ভ্রমণ করে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে, এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ। এবং চন্দ্রের জন্য আমি নির্দিষ্ট করেছি নির্দিষ্ট মনযিল; অবশেষে তা শুষ্ক বক্র, পুরাতন খজুর শাখার আকার ধারণ করে। সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া এবং রজনীর পক্ষে সম্ভব নয় দিবসকে অতিক্রম করা; এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে সত্তরণ করে।
— কুরআন ৩৬: ৩৮-৪০
আল্লাহ অবিশ্বাসী বৈজ্ঞানিক বলতে লাগলেন “আমাদের এই বিশ্বজগত চির সম্প্রসারণশীল। ছায়াপথগুলো পরস্পর থেকে ক্রমেই দ্রুততর গতিতে দূরে সরে যাচ্ছে। যখন তারা আলোর গতি লাভ করবে তখন তারা আর আমাদের দৃষ্টিগোচর হবে না, আমাদেকে যদি সেগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হয় অবিলম্বে অতি শীঘ্রই অধিকতর শক্তিশালী ও বৃহত্তর দূরবীন নির্মাণ করতে হবে। তা না হলে আর কখনই সম্ভব হবে না। আমাদের প্রশ্নঃ “কখন তোমরা এইরূপ কথা আবিষ্কার করলে?” আমাদের বন্ধু বৈজ্ঞানিকপ্রবর সাথে সাথেই আশ্বস্ত করে বললেন, “না, না, এগুলো রূপকথা নয়, একদম বৈজ্ঞানিক সত্য।” আমরা বললাম, “ঠিক আছে, তুমি যা বললে তা সত্য মেনে নেয়া গেল। কিন্তু তোমরা কবে এই সত্য আবিষ্কার করলে?” সে উত্তর দিল, “এই সেদিন বলা চলে গতকাল মাত্র।” “মানুষের ইতিহাসে পঞ্চাশ বছর মাত্র গত কাল? আচ্ছা, একজন অশিক্ষিত মরুবাসী আরবের পক্ষে ১৪০০ বছর আগে আপনার এই বিগ-ব্যঙ সম্পর্কিত জ্ঞান লাভ করা সম্ভবপর ছিল, অথবা সম্প্রসারণশীল বিশ্বজগত সম্পর্কিত জ্ঞান?” আমার প্রশ্ন শুনে তিনি গর্বভরে বললেন, “না, কখনই সম্ভব নয়।” “বেশ তো, তাহলে শুনুন সেই উম্মি পয়গম্বর আল্লাহ্ প্রত্যাদেশের মাধ্যমে কি উচ্চারণ করেছিলেনঃ
আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র; প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে।
—কুরআন ২১: ৩৩
মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব
আপনি কি দেখছেন না উপরের আয়াতে আপনাকে উদ্দেশ্য করেই বলা হচ্ছে “অবিশ্বাসীগণ” অর্থাৎ বর্তমানে যেসব বৈজ্ঞানিক, ভূগোলবিশারদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী যারা এই সকল অভূতপূর্ব আবিষ্কার করে সেই আবিষ্কারকে মানব জাতির নিকট প্রচার করেছেন, কিন্তু তারা আজও এর স্রষ্টাকে দেখেনি। তারা অন্ধ, “আমরা আমাদের বিজ্ঞান ও বিশ্বজ্ঞান নিয়ে আমাদের গবেষণাগারে সহজে-এর ঐশ্বরিকতা ভুলে গিয়েছি।” থমাস কার্লাইল বলেন, “পৃথিবীতে কোথায় মরুভূমির এক উষ্ট্র চালক [মুহাম্মদ (সা)] ১৪০০ বছর পূর্বে তোমাদের জ্ঞানকে শানিত করতে পারত” যদি না তিনি বিগ-ব্যঙ বা মহাবিস্ফোরণের স্রষ্টার কাছ থেকেই সেই জ্ঞান লাভ করে থাকতেন।
প্রাণের উৎস
“আপনারা, প্রাণবিজ্ঞানীগণ মনে হয় সকল জৈব প্রাণ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল; তথাপি প্রাণের উৎস যে আল্লাহ তাআলা তাকে স্বীকার করেন না। আপনাদের মহাশক্তিশালী গবেষণার ফলে প্রাণের সূত্রপাত কোথায়, কিভাবে হয়েছিল তা বলুন তো? এই প্রশ্নের উত্তরে অবিশ্বাসী জ্যোতির্বিজ্ঞানীর ন্যায় তিনিও বললেন,
“কোটি কোটি বছর পূর্বে আদিম সমুদ্রের পানিতে প্রোটোপ্লাজমের উদ্ভব হতে থাকে। তা থেকে এ্যমিবা সৃষ্টি হয়। সমুদ্রের এই এমিবা থেকে প্রাণীজগতের বিকাশ ঘটে। এক কথায় বলতে গেলে সমুদ্র অর্থাৎ পানি থেকেই জীবনের সূত্রপাত।” আপনারা কবে আবিষ্কার করলেন যে পানি থেকেই প্রাণীজগতের উদ্ভব ও বিকাশ ঘটেছে। এর উত্তরেও আগের জ্যোতির্বিজ্ঞানীর মতো তিনি উত্তর দিলেন, “এই সেই দিন - বলা চলে মাত্র গতকাল।”
আমাদের প্রশ্নঃ “১৪০০ বছর পূর্বে আপনাদের প্রাণীবিজ্ঞানের এই আবিষ্কার সম্পর্কে সে যুগের কোন জ্ঞানী অথবা দার্শনিক অথবা কোন কবির কোন ধারণা থাকা সম্ভবপর ছিল কি?” পূর্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীর ন্যায় তিনিও অত্যন্ত বিস্ময়ের সাথে বললেনঃ “না, কখনই না।” তাহলে শুনুন সেই অশিক্ষিত মরুসন্তানের মুখ থেকে কি উচ্চারিত হয়েছিলঃ
আল্লাহ সমস্ত জীব সৃষ্টি করেছেন পানি থেকে। এদের কতক পেটে ভর দিয়ে চলে, কতক দু’পায়ে চলে এবং কতক চলে চার পায়ে, আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন, আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
— কুরআন ২৪: ৪৫
উপরোক্ত পঙক্তিমালা থেকে আপনাদের হয়তো অনুধাবন করা কঠিন হবে না যে, মহাপরাক্রমশালী বিশ্বস্রষ্টা বর্তমানের সংশয়বাদী আপনার মত জ্ঞানী ব্যক্তিদের লক্ষ্য করেই এসব বাণী প্রেরণ করেছিলেন। আজ হতে ১৪০০ শত বছর পূর্বে কোন মরুবাসীর পক্ষেই এসব কথার প্রকৃত অর্থ বোধগম্য ছিল না। আল্লাহ, যিনি এই গ্রন্থের রচয়িতা, “আপনাদেরকেই বোঝাতে চেষ্টা করেছেন, আপনারা বৈজ্ঞানিক, আপনারা কেন আল্লাহকে বিশ্বাস করেন না? আপনি কেন আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকারকারী হবেন, কেন আপনি হবেন আল্লাহর সর্বশেষ অস্বীকারকারী। কিন্তু আপনি হয়েছেন প্রথম। আপনাদেরকে এ কোন রোগ আক্রান্ত করেছে যে আপনাদের বিবেচনাবোধ ইগো দ্বারা আবৃত হয়ে আছে!
উদ্ভিদবিজ্ঞানী, প্রাণীবিজ্ঞানী, পদার্থবিদ তাদের অসাধারণ অন্তর্দৃষ্টি থাকা সত্ত্বেও মহান স্রষ্টাকে স্বীকার করা যুক্তিসঙ্গত মনে করেন না।
আল্লাহর মুখপাত্র হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এসব বিষয়ে আরও কি উচ্চারণ করেছেন সেগুলোও খতিয়ে দেখা যাক,
পবিত্র ও মহান তিনি, যিনি উদ্ভিদ, মানুষ এবং ওরা যাদেরকে জানে না তাদের প্রত্যেককে সৃষ্টি করেছেন জোড়া জোড়া করে।
–কুরআন ৩৬: ৩৬
“জোড়া জোড়া করে”— এক রহস্যজনক যৌনবোধ মানব জগৎ, প্রাণী জগৎ, উদ্ভিদ জগৎ ও অন্যান্য অনেক কিছু যার সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান নেই এই সকল সৃষ্টির মাঝে অব্যাহতভাবে বহমান রয়েছে। তারপরও প্রকৃতির মধ্যে বিপরীতধর্মী শক্তির জোড়া যেমন বিদ্যুতে পজেটিভ (+ve) ও নেগেটিভ (-ve) ইত্যাদি। ক্ষুদ্র পরমাণুর মধ্যে রয়েছে পজিটিভ চার্জ বিশিষ্ট নিউক্লিয়াস অথবা প্রোটন তার চারপাশে নিগেটিভ চার্জবিশিষ্ট ইলেক্ট্রন অর্থাৎ প্রাণহীন বস্তুর মধ্যেও রয়েছে এই জোড়ার সম্পর্ক। —আল্লামা ইউসুফ আলী
আল্লাহর চিহ্ন
পবিত্র কুরআন স্পষ্টতই স্বব্যাখ্যাত এক মহাগ্রন্থ।
পবিত্র কুরআনের ছাত্ররা নির্ভুলভাবে মানুষের তৈরি প্রতিটি আবিষ্কারে আল্লাহর অঙ্গুলির ছাপ লক্ষ্য করেন। এগুলো মহামহিম প্রভু মহাদাতা আল্লাহর নিদর্শক “চিহ্ন”, এগুলো তাঁর অলৌকিকতা। এগুলো তাঁর প্রতি বিশ্বাসকে শক্তিশালী ও সন্দেহকে দূর করার জন্য দিয়েছেন।
এবং তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদিগের ভাষা এবং বর্ণের বৈচিত্র্য। এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।
– কুরআন ৩০: ২২
দুর্ভাগ্যের বিষয়। এসব তথাকথিত জ্ঞানী ব্যক্তিই প্রকৃতপক্ষে বিদ্রোহ মনোভাবাপন্ন। বিপুল পরিমাণে বস্তুনিষ্ঠ জ্ঞান আহরণ করে তাদের গর্ব সম্প্রসারিত হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত জ্ঞানের সঙ্গে যে বিশুদ্ধ বিনয় থাকার প্রয়োজন তা তাদের নেই।
একজন আধুনিক ফরাসি পণ্ডিত ব্যক্তি বলেন “উপরোক্ত মতামতের প্রেক্ষিতে সেই পূর্ব ধারণাকে অধিকতর শক্তিশালী করে যে, যারা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে কুরআনের রচয়িতা বলে মনে করে তাদের ধারণা সঠিক নয়। একজন মানুষ সম্পূর্ণ অশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও সমগ্র আরবি সাহিত্যর মধ্যে গুণগত দিক হতে সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থের রচয়িতা তিনি কি করে হতে পারেন? তিনি কি প্রকারে বৈজ্ঞানিক প্রকৃতির সত্য উচ্চারণ করতে পারলেন, যখন মানব সভ্যতা সেই পর্যায়ে পৌঁছায়নি, কিন্তু সে বিষয়ে তিনি যে উচ্চারণ করেছিলেন তার মধ্যে বিন্দু পরিমাণও ভ্রান্তি ছিল না।”
প্রথম অনুপ্রেরণা
এই পুস্তিকা ‘আল-কুরআন’-এক বিস্ময়কর অলৌকিকতা’ রচনার বীজ রোপিত হয়েছিল সম্ভবত ইসলামের ভ্রাম্যমাণ দূত সুললিত কণ্ঠস্বরের অধিকারী মওলানা আবদুল আলীম সিদ্দীক কর্তৃক। ১৯৩৪ সালে আমি তখন স্কুলের ছাত্র। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়াজ করতে এসেছিলেন। তার অনেক পাণ্ডিত্যপূর্ণ ভাষণের মধ্যে মুসলমানদের বিজ্ঞান চর্চা বিষয়ক বক্তব্য শুনেছিলাম। পরবর্তীকালে ঐ নামে একটি পুস্তিকা পাকিস্তানের করাচি শহরের ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ইসলামিক মিশন কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছিল। সেই তরুণ বয়সে ঐ বক্তৃতা শুনে ও পুস্তিকা পাঠ করে যে আনন্দ লাভ করেছিলাম তা মনে হলে আজও খুশিতে বুক ভরে যায়। ভবিষ্যত বংশধরদের জন্য সেই মহান ইসলামের খাদেম সেদিন যেসব কথা বলেছিলেন তাকে স্মরণ করার জন্য তারই কিছু অংশ এই পুস্তিকাতে তুলে ধরছি। সেদিন মওলানা পবিত্র কুরআন এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে তার বর্ণনা দিয়েছিলেন এভাবেঃ
বিজ্ঞানের প্রতি পরামর্শ
“বিশ্বের ধর্মগ্রন্থগুলোর মধ্যে পবিত্র কুরআন বিশ্বজগতের জ্ঞান অন্বেষণের বিষয়ে অধ্যয়নের প্রতি যে গুরুত্ব আরোপ করেছে তা এক বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্য। আমাদের চারদিকে যে অসংখ্য প্রাকৃতিক ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে তার প্রতি বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বারবার পবিত্র কুরআনে মুসলমানদেরকে উপদেশ প্রদান করা হয়েছে তারা যেন বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আহরণ করে এবং এসব বিষয়ে অধ্যয়ন তাদের ধর্মীয় কর্তব্য। বারবার পবিত্র কুরআন গুরুত্ব সহকারে নির্দেশ করেছে, বিশ্বপ্রকৃতির যা কিছু সবই মানুষের সেবার জন্য। তাই তারা যেন এই প্রকৃতিকে তাদের নিজের কাজে লাগায়। এখানে আমাদের প্রতি উপদেশ রয়েছে আমরা যেন মানবদেহের কাঠামো ও কার্যক্ষমতা অধ্যয়ন করি। আমরা যেন প্রাণীজগতের বৈচিত্র্য, কাজ ও শ্রেণীবিন্যাস অধ্যয়ন করি, আমরা যেন অধ্যয়ন করি উদ্ভিদের শ্রেণীবিন্যাস এগুলোর কার্যপ্রণালী এবং গঠনপ্রকৃতি। এগুলোর অনেক কিছুই জীববিজ্ঞানের সমস্যা। পবিত্র কুরআন আমাদেরকে প্রাকৃতিক নিয়ম এবং বস্তুর সাধারণ গুণ সম্পর্কে অধ্যয়ন করতে উপদেশ দেয়-এগুলো আধুনিক পদার্থবিদ্যার সমস্যা। বিশ্বাসকে দৃঢ় করার জন্য সৃষ্টির অন্তর্নিহিত রহস্যের গভীরে প্রবেশ করে তার থেকে জ্ঞান অন্বেষণ করা আমাদের কর্তব্য।
পবিত্র কুরআন আমাদেরকে উপদেশ দেয় যেন আমরা মৌলিক ও যৌগিক পদার্থের গুণাগুণ এবং তাদের সংযোগের নিয়ম এবং সংযোগের ফলে একের উপর অপরের কি প্রভাব যা আধুনিক রসায়নবিদ্যার বিষয় তা অধ্যয়ন করি। পবিত্র কুরআন আমাদেরকে ভূগর্ভের খনিজ পদার্থের কাঠামো, গঠনপ্রকৃতি, বিন্যাস, তার জৈব ও অজৈবিক পরিবর্তন ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে গভীর অধ্যয়নের নির্দেশ দেয়। এ সম্পর্কে অজ্ঞতা আধুনিক ভূবিদ্যার সমস্যা। পবিত্র কুরআন আমাদেরকে উপদেশ দেয় আমরা যেন পৃথিবীর সাধারণ পরিচয়, এর প্রাকৃতিক বিভাজন যেমন সমুদ্র, নদী, পর্বত, সমভূমি ইত্যাদি সম্পর্কে অধ্যয়ন করি। আমরা যেন অধ্যয়ন করি পৃথিবীর রাষ্ট্রীয় বিভাজন সম্পর্কে। এসব বিষয় আধুনিক ভূগোলের অন্তর্গত। পবিত্র কুরআন আমাদেরকে উপদেশ দেয়, যেগুলো আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিষয়। যেমনঃ আমরা যেন দিন ও রাতের পরিবর্তন, মৌসুমের পরিবর্তন, গ্রহ-নক্ষত্রের গতি-প্রকৃতি অধ্যয়ন করি।
পবিত্র কুরআন উপদেশ দেয় আমরা যেন বাতাসের চলাচল, মেঘের সংঘটন ও বিবর্তন বৃষ্টির বর্ষণ ইত্যাদি বিষয় অধ্যয়ন করি। এগুলো আবহাওয়া বিজ্ঞানের বিষয়। বহু শতাব্দী যাবত বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে মুসলমানরা ছিল অগ্রগামী। তারপর ধীরে ধীরে এই নেতৃত্ব তাদের হাত থেকে সরে গেছে। মুসলমানরা তাদের নেতৃত্বের ভূমিকায় অকৃতকার্য হতে লাগল। ফলে বস্তুবাদী ইউরোপ মুসলমানদের তৈরি নেতৃত্বের শূন্য স্থান পূরণ করল। মওলানা মুসলমানদের অবদান সম্বন্ধে বলেছেন যে, “ইসলাম যে বুদ্ধিবৃত্তিক অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল সেটি ছিল এক বিশাল কর্মকাণ্ড। জ্ঞানের এমন কোন শাখা ছিল না, যেখানে মুসলমান পণ্ডিতদের হাত পড়েনি। সেখানে তাদের নিজেদের জন্য উচ্চ আসন সৃষ্টি করে নিয়েছিল।”
প্রকৃতপক্ষে ইসলাম চায় মুসলমান সমাজ হবে বুদ্ধিভিত্তিক সমাজ গঠন। ইসলামের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে বিজ্ঞান ও অন্য সকল বিষয়ে জ্ঞানচর্চা। মুসলমানরা না হলে ইউরোপ কোনদিন রেনেসা দেখতে পেত না এবং আধুনিক বৈজ্ঞানিক যুগের সূচনাও হত না। যে সকল জাতি ইউরোপের নিকট হতে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান লাভ করেছে তারা প্রকৃতপক্ষেই অতীতের ইসলামী সমাজের পরোক্ষ শিষ্য। মানবতা ইসলামের নিকট এমন ঋণে আবদ্ধ, যা পরিশোধ করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। বিশ্ব নানাভাবে ইসলামের নিকট কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ।
সুবক্তা ও সুভাষী মওলানা সাহেব মুসলমান কর্তৃক বিজ্ঞান চর্চা বিষয়ে সেই অসাধারণ বর্ণনা শেষ করতে গিয়ে বললেনঃ “সর্বশেষ একটি কথা অত্যন্ত জোরের সঙ্গে বলছি, মুসলিম সমাজ ইসলাম থেকেই জন্ম নিয়েছে। অন্যদিকে ইসলাম মহান আল্লাহর প্রত্যাদেশে গভীরভাবে প্রোথিত। বিশ্বাস ও অনুশীলনের মাধ্যমেই যা কোন মানুষকে প্রকৃত মুসলমান হতে হয়, অন্যভাবে নয়। ইসলাম বলে, একজন মুসলমান তার চারপাশে যে বাস্তব জগত সে সম্পর্কে প্রশ্ন করবে এটাই তার ধর্মীয় কর্তব্য। এই প্রশ্নের মাধ্যমে তার বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসা, তাকে তার স্রষ্টা সম্পর্কে জ্ঞান লাভের দিকে পরিচালিত করবে। ইসলামে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসা লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নয় বরং উচ্চতর লক্ষ্যে পৌঁছার পথ এবং এটাই প্রকৃতপক্ষে মানবতার প্রকৃত গন্তব্যস্থল।”
আমরা তো আল্লাহর এবং নিশ্চিতভাবে তার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।
—কুরআন ২: ১৫৬
আমার স্থগিত বক্তৃতা
১৯৩৪ সালে সেই মহান ব্যক্তিত্ব মওলানা আবদুল আলীম সিদ্দিকীর উপরে বর্ণিত ভাষণ তার নিজের মুখে শুনবার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। ৩০ দশকের শেষ দিকে সেই বক্তৃতাটির একটি পুস্তিকা যখন হাতে পেলাম তখনই সেটি সামান্য কিছু পরিবর্তন করে মুখস্থ করে ফেললাম। তখন আমি এডামস মিশন স্টেশনে এক মুসলমান দোকানে কর্মরত। আমার এমনই উৎসাহ হলো যে এডামস কলেজের ছাত্র শিক্ষকদের সম্মুখে আমি নিজেই ঐ বিষয়ে বক্তৃতা দেওয়ার ব্যবস্থা করে ফেললাম।
সেই সময় আমার ধারণা ছিল না যে এমন গভীর তাত্ত্বিক বিষয়ে বক্তব্য রাখা কতখানি কঠিন। আমি জানতাম না আমার মুসলমান মালিক এই সমস্যা থেকে আমাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসবেন। তিনি হুমকি দিলেন আমি যদি সে বক্তৃতা বাতিল না করি তাহলে আমাকে চাকুরি হতে বরখাস্ত করবেন। আমি পিছিয়ে গেলাম। আমার মালিক নিশ্চয় আল্লাহর সাবধান বাণী সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলেন। আমি তারই মত, অধিক কিছু জানি না। আমি বলতে পারি না সেদিন যদি আমার কর্মসূচি স্থির থাকত তাহলে কি করতাম। আল্লাহ্ তিরস্কার করে বলেনঃ
বল, তোমাদের নিকট যদি আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করা অপেক্ষা প্রিয় হয় তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভ্রাতা, তোমাদের পত্নী, তোমাদের স্বগোষ্ঠী, তোমাদের অর্জিত সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যার মন্দা পড়ার আশংকা কর এবং তোমাদের বাসস্থান যা তোমরা ভালবাস, তবে অপেক্ষা কর আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত। আল্লাহ সত্যত্যাগী সম্প্রদায়কে সৎপথ প্রদর্শন করেন না।
—কুরআন-৯: ২৪
আমার দুর্বল ভাইদেরকে ধন্যবাদ (?) অনেক যত্ন করে পরিশ্রম করে মহড়া দিয়ে খ্রিস্টান মিশনারি ও শিক্ষার্থী পাদ্রীদের সামনে বক্তৃতা দেওয়ার যে পরিকল্পনা করেছিলাম সেটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো। সম্ভবত আমার জন্য সম্মুখে বক্তৃতা দেওয়ার ধারা প্রায় দশ বছরের মতো থমকে দিয়েছিল। পৃথিবীতে সম্ভবত আমার দোকানের মালিকের মত অসংখ্য মুসলমান আছে যারা পার্থিব সম্পদ হারানোর ভয়ে নিজেরা ইসলামের বাণী প্রচারে বিরত থাকে, শুধু তাই নয়, অন্যকেও বাধা দেয়।
চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা উচিত
মওলানার পূর্বে উল্লিখিত বক্তৃতায় কুরআনের যে উপদেশসমূহের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করার অবকাশ রয়েছে। জীববিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, ভূবিদ্যা, আবহাওয়া তত্ত্ব ইত্যাদি বিষয়ে চিন্তা করার জন্য পবিত্র কুরআনে উপদেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয় সম্পর্কিত অনেক রচনা প্রকাশিত হয়েছে। এই সকল রচনাকারীর মধ্যে রয়েছে মরিস বুকাইলি, কিথ মুর, শেখ জিন্দানি প্রমুখ পণ্ডিত। এই বিষয়টির সম্ভাবনা অসীম। পবিত্র কুরআন জ্ঞানের এক মহাসমুদ্র। বর্তমান বিশেষজ্ঞের যুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের উচিত ত্রিশ দশকের মধ্যভাগে মওলানা যে ইশারা দিয়েছিলেন সেই বিষয়ে কাজ করার দায়িত্ব গ্রহণ করা। সকলকে সর্ব বিষয়ে কাজ করতে হবে না। যে বিষয় যার সে সেই বিষয়ে কাজ করতে পারে। মুসলিম তরুণ সমাজ তথ্যের জন্য ক্ষুধার্ত। তারা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয়ের উপর প্রবন্ধ ও রচনা পাঠ করতে আগ্রহী। মুসলমান বিজ্ঞানীদের নিকট পবিত্র কুরআনের বিজ্ঞান বিষয়ক নিদর্শন অন্বেষণ করার জন্য যে অনুরোধ জানিয়েছি সেই জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করি। কারণ এই বিষয়ে অমুসলমানদেরকেও উৎসাহিত করা উচিত। একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে আমার দিক থেকে পবিত্র কুরআন যেগুলো সাধারণ ঘটনা বলে মনে হয় সেগুলো প্রকৃতপক্ষে অলৌকিক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/599/4
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।