মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আহমদ দীদাত রচনাবলি - ফজলে রাব্বী ও মুহাম্মদ গোলাম মোস্তাফা
লেখকঃ আহমদ দীদাত
১৩
অধ্যায় পাঁচঃ “এর উপরে রয়েছে উনিশ”
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/599/13
অবিশ্বাসীদের এই মিথ্যা অভিযোগের জবাবে মহান গ্রন্থকার আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন ভয়ংকর শাস্তির উল্লেখ করেছেন, “শীঘ্রই আমি তাকে নিক্ষেপ করবো ‘সাকারে-জাহান্নামের মহা অগ্নিকুণ্ডে ....।” শাস্তির এই বাণী প্রদান করার পরই আল্লাহ্ পাক বাক্যটি সম্পূর্ণ করেছেন এই ভাবেঃ
( عَلَیۡهَا تِسۡعَةَ عَشَرَ )
এরও উপরে রয়েছে উনিশ।
কুরআন ৭৪: ৩০
অন্য কথায় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে কেউ যদি মিথ্যা অপবাদ দেয় এই বলে যে, তিনিই রচয়িতা আল্লাহর এই মহাগ্রন্থের, তবে সেই ব্যক্তি বাঁধা পড়বে ১৯ এর চক্রে; গুণতেই হবে তাকে উনিশের গুরুত্ব!
কিন্তু কী এই উনিশের গুরুত্ব
অতীতে বহু ব্যাখ্যাকার এই ১৯ সংখ্যাটির কী অর্থ হতে পারে তার সুন্দর সুন্দর অনেক অনুমিত ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। কেউ বলেছেন, ১৯জন ফিরিশতার কথা বলা হয়েছে, যাদের তত্ত্বাবধানে থাকবে দোজখবাসী; কেউ বলেছেন মানুষের ১৯টি ইন্দ্রিয়বৃত্তির উল্লেখ এই ১৯ সংখ্যাটি; আবার কেউবা উল্লেখ করেছেন, ইসলামের মূল স্তম্ভসমূহ এবং নির্দেশশাবলি নিহিত রয়েছে এই ১৯-এর মাঝেই। (আবদুল্লাহ্ ইউসুফ আলী ও মাওলানা দারিয়াবাদীর তাফসীর দ্রষ্টব্য)। কিন্তু প্রত্যেক ব্যাখ্যাকারই তাদের অনুমানের ইতি টেনেছেন এই বলে যে, সর্বজ্ঞ আল্লাহ্ই সবিশেষ অবগত আছেন বিষয়টি সম্পর্কে। আমাদের কোন ব্যাখ্যাকারই তথ্য নির্ভর নয় তার উক্তির নিশ্চয়তা সম্পর্কে। কিন্তু আল্লাহই সবিশেষ অবগত-এই উক্তি কেন? কারণ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও দিয়ে যাননি ১৯-এর প্রকৃত সংখ্যা বা ব্যাখ্যা। তিনি যদি এর ব্যাখ্যা দিয়ে যেতেন তাহলে কোন অবকাশই থাকতো না এই সব অনুমানের।
প্রকৃতপক্ষে ১৯ একটি সাধারণ সংখ্যা। প্রত্যাদেশের পূর্বে আমাদের আলোচিত এই আয়াতের এই সংখ্যাটির কী অর্থ ছিল আবরদের নিকট? এর আর কোন অর্থই ছিল না দশ যোগ নয় (১০+৯) ছাড়া। ওহী নাযিলের পর থেকে আজ পর্যন্ত এই ১৪০০ বছরেও ১৯ সংখ্যাটির আর কোন অর্থ কি আমরা পেয়েছি? না, কিছুই না। ১৯ (১০+৯) উনিশই রয়ে গেছে।
পৃথিবীর বহু সংখ্যক ভাষায় তাদের নিজেদের সংখ্যাতাত্ত্বিক মূল্যায়ন ছাড়াও বিভিন্ন সংখ্যার রয়েছে বিভিন্ন অর্থ বা তাৎপর্য। দৃষ্টান্ত স্বরূপ ধরা যেতে পারে ‘৭৮৬’ সংখ্যাটি! দক্ষিণ আফ্রিকার (বা পৃথিবীর যে কোন মুসলিম বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করুন। ‘৭৮৬'-এর অর্থ কী? নির্দ্বিধায় সে জবাব দেবেঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
بشم الله الرحمن الرحيمه
যার অর্থ হলো “দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে!” কিভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেল, তার একটা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দরকার। সংক্ষেপে বলা যায় হিব্রু এবং আরবি বর্ণমালায় ঐতিহ্যগত একটা বিশেষ সংখ্যাতাত্ত্বিক মূল্য রয়েছে। উল্লিখিত আয়াতের প্রত্যেকটি অক্ষরের সংখ্যাতাত্ত্বিক মূল্য যদি যোগ করা যায়, তাহলে তার যোগফল দাঁড়াবে “৭৮৬”। সুতরাং উপরোক্ত আয়াত শরীফের “৭৮৬” হচ্ছে একটি সংক্ষিপ্ত রূপ বা সাধারণ সংকেত।
এটা কি আশ্চর্যের বিষয় নয়, যে মুসলমানরা ১৪০০ বছর ধরে “এর উপরে রয়েছে উনিশ” আয়াতটি বার বার আবৃত্তি করা সত্ত্বেও-এর এমন কোন আনুষঙ্গিক অর্থ তাদের বোধগম্য হয়নি? আল কুরআনের এই ঊনিশ সংখ্যাটি রয়ে গেছে উনিশ-ই রয়ে গেছে অপরিবর্তিত-বিশুদ্ধ!
“হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এই গ্রন্থের রচয়িতা” এই অভিযোগের জবাবে যেহেতু প্রদত্ত হয়েছে সংখ্যাটি, তাই গ্রন্থটির প্রকৃত গ্রন্থকার সর্বশক্তিমান আল্লাহ্-ই জানেন সংখ্যটির প্রকৃত অর্থ কি! কিন্তু যদি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামই হতেন আল কুরঅনের রচয়িতা, তাহলে কি বিষয়ের উপর তিনি কথা বলেছেন , তা অবশ্যই তার জানা থাকতো।
আমরা জানি, আল কুরআন আল্লাহর বাণী, যা নিঃসৃত হয়েছে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর জবানে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এই দাবীই করেছেন, এবং আল কুরআনও দিচ্ছে সেই সাক্ষ্যই
তিনি (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম) তার নিজের ইচ্ছামত মনগড়া কথা বলেন না; এটা তো ওহি যা নাযিল হয় তাঁর প্রতি; তিনি শিক্ষাপ্রাপ্ত একজন ক্ষমতাশালী কর্তৃক।
-কুরআন ৫৩: ৩-৫
এবং তাঁকে পুনঃ পুনঃ বলা হয়েছে মানুষকে বলার জন্যে,
বল, আমি তো তোমাদেরই মত একজন মানুষ; আমার নিকট প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহ একমাত্র আল্লাহই।
– কুরআন- ১৮: ১১০
মুসলমান হিসেবে আমরা সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করি এবং সত্য বলে মানি যে, আল কুরআনের একটি অক্ষরও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম নিজে লেখেননি বা বানাননি; তবুও সমালোচকদের খাতিরে আমরা মুহূর্তের জন্য হলেও যদি একমত হই (এবং তর্কের খাতিরে মনে করি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম রচনা করেছেন এই গ্রন্থ) তা হলেও অতিদ্রুত আমরা দেখাতে সমর্থ হবো যে, আল কুরআন সত্যিই সৃষ্টির এক চরম ও পরম বিস্ময় মু'যিজা এবং সম্পূর্ণরূপে তা মানুষের কল্পনার অতীত।
কালক্রমানুসারে যদি আমরা কুরআনিক প্রত্যাদেশ পুংখানুপুংখরূপে পরীক্ষা করি তাহলে আমরা প্রত্যক্ষ করবো, জিবরাঈল (আ) তার চতুর্থ পরিদর্শনকালে সূরা আল মুদ্দাসসিরের যে আয়াতসমূহ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম - এর নিকট পেশকর ছিলেন তার শেষ আয়াতটি ছিল এই ৩০ নম্বর আয়াতটি
عَلَیۡهَا تِسۡعَةَ عَشَرَ
‘এর উপরে রয়েছে উনিশ!’ এইখানেই বিরতি টানেন জিবরাঈল (আ) সূরাটির অবশিষ্ট ২৬টি আয়াত না দিয়েই, যাতে করে সম্পূর্ণ হতে পারতো সূরাটি; বরং প্রথম প্রত্যাদেশে প্রদত্ত ৯৬ নম্বর সূরাটির অবশিষ্টাংশ দেন পড়তে। ১৪টি আয়াত তাঁকে দেওয়া হলো সেখানে। প্রথম পরিদর্শনে প্রদত্ত হয়েছিল ৫টি আয়াত; ১৪টি আয়াত যুক্ত হলে এবারে। আয়াতের সংখ্যা তাহলে হলো কয়টি? উনিশটি। কি করে এটা সংঘটিত হলো যে, উপরোক্ত প্রত্যাদেশের উনিশ শব্দটি বলার পরই সম্পূর্ণ হলো উনিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা। “স্রেফ একটা ঘটনাচক্র” সম্ভবত এই জবাবই প্রদান করবে সন্দেহবাদীরা! ‘ঘটনাচক্র’ হতে পারে এটা আমরা অবশ্যই স্বীকার করি। কিন্তু প্রথম প্রত্যাদেশের ঐ নির্দিষ্ট ৫টি আয়াতের শব্দসংখ্যা যে সঠিক ১৯, তা আপনাদের জানা ছিল কি? অর্থাৎ ১৯x১ কি করে সংঘটিত হলো এটা? আবারও কি “ঘটনাচক্র”? ঐ ১৯টি শব্দের অক্ষরও কিন্তু ৭৬ যা সম্পূর্ণভাবে ১৯-এর গুণীতক অর্থাৎ ১৯× ৪ = ৭৬। এটাই বা সংঘটিত হলো কিভাবে? এই ৯৬টিও সূরা কী “ঘটনাচক্র”? কুরআনুল করীমের সর্বশেষ অধ্যায় বা সূরার পেছন থেকে যদি আমরা গণনা শুরু করি অর্থাৎ ১১৪ থেকে শুরু করে ১১৩, ১১২, ১১১ এমনি ভাবে এগুতে থাকি, তবে ৯৬ নম্বর সূরাতে আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করবো, পশ্চাৎ দিক থেকে এই ৯৬ নম্বর সূরাটি ১৯তম সূরা! কি করে এটা সংঘটিত হলো যে, ১৯ আয়াত বিশিষ্ট সূরাটি পশ্চাৎ দিক থেকেও ১৯-এর বন্ধনে আবদ্ধ? “ঘটনাচক্র” এই জবাবই হয়তো আসবে ফের।
একখানা গ্রন্থ প্রণয়নের জন্য গ্রন্থকারকে অবশ্যই তা প্রথমেই সূত্রবদ্ধ করে নিতে হয় তার মস্তিষ্কে। দুই দশক ধরে তার পূর্ব উপাদানকে সাজিয়ে পুস্তাকা করে রূপ দেওয়ার জন্য কেউ-ই তার অসতর্ক রচনার উপর নির্ভর করে থাকতে পারে না। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি রচয়িতাই হতেন আল কুরআনের তাহলে অন্যের মতো তাকেও তাড়িত হতে হতো তার পরিকল্পনাকে সূত্রবদ্ধ করে রাখতে। সুতরাং তাকেও হয়তো ভাবতে হতোঃ “আমি তো রচনা করতে চলেছি একখানা বৃহদাকার গ্রন্থ। এই আরাধ্য কাজটি সম্পন্ন করতে আমার প্রয়োজন হবে জীবনের ২৩টা বছর। আর আমার অনুসারীদের সহজ নির্দেশনা ও পাঠের জন্যে গ্রন্থখানিতে প্রয়োজন হবে কয়েকটি অধ্যায়ের! এর পর আমরা মনে করতে পারি, তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন ১১৪ অধ্যায়ে গ্রন্থখানি সমাপ্ত করতে। ১১৩ নয়, ১১৫ নয়, কিন্তু ১১৪! “১১৪ কেন?” কারণ এটা ১৯-এর গুণীতক বলেই কি? ...... আল কুরআনের সঠিক ১১৪টি অধ্যায় বা সূরার সন্নিবেশ সম্ভব হলো কি করে? আমাদের ছিদ্রান্বেষী সমালোচকদের সেই একই জবাব “ঘটনাচক্র”। বিস্ময়কর এই বিষয়টি ব্যাখ্যায় তার অভিধানে কি আর কোন শব্দ নেই? সুস্পষ্টই বলতে হয়, “নেই”। মানুষের এটাই একটা ব্যাধি যে, যখনি কোন ঘটনার সন্তোষজনক কৈফিয়ত সে দিতে চায়, তখনি এমনি একটা শব্দ সে আবিষ্কার করে বসে, যা দিয়ে সমস্যাটাকে সমাধান দেবার নামে নিজেকেই সে দিয়ে যায় ধোঁকা। শব্দটি আড়ালে সে নিতে চায় আশ্রয়। একজন অবিশ্বাসী মিথ্যে অভিযোগ আনতে প্রস্তুত যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রচনা করেছেন এই গ্রন্থ, কিন্তু এই স্বীকৃতি দিতে সে রাজী নয় যে, ১৪০০ বছর আগে মরুভূমির এই নিরক্ষর মানুষটি কোন কাগজ-কলম ব্যতিরেকেই কী সুন্দর গাণিতিক বিন্যাস অবলম্বন করেছেন এই গ্রন্থখানি প্রণয়নে।
ইতিমধ্যেই আমরা ৫টি “ঘটনাচক্রের” সম্মুখীন হয়েছি। যেহেতু কোন অবিশ্বাসীই স্বীকার করতে রাজী নয় যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এই অসাধ্য সাধনে সাফল্য লাভ করতে পেরেছিলেন, সেহেতু তাদের সবাইকে হিসেব থেকে বাদ দেবার যথেষ্ট উদারতা দেখানো আমাদের প্রয়োজন এবং এই উদারতা আমরা প্রদর্শন করতে পারি। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে এই বিষয়টি সম্বন্ধে তবু আমরা একমত হতে পারি যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর পক্ষে কুরআন রচনা অসম্ভব। এই বিষয়টির উপরেই আমরা জোর দিতে চাই এইজন্যে যে, শত্রুপক্ষ অভিযোগ আনয়নে তৎপর কিন্তু সমর্থন করতে প্রস্তুত নয় এতটুকু।
সুহৃদ ও শত্রু সমভাবে একমত যে, প্রতিশ্রুতি পালনে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ছিলেন অত্যন্ত দৃঢ়। নবুয়ত প্রাপ্তির বহু পূর্বেই তাঁর পৌত্তলিক স্বদেশবাসী তাঁকে ভূষিত করেছিল অত্যন্ত বাঞ্ছনীয় ও উৎকৃষ্ট উপাধি “আসসাদিক আল ওয়াদ আল আমিন” সৎ, প্রতিজ্ঞাপরায়ণ ও সত্যবাদী হিসেবে। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম নামের এই মানুষটি যদি বলতেন-এর উপরে রয়েছে উনিশ-উনিশের গণনায় আবদ্ধ করা হবে তোমাকে, তোমার উপরে আরোপ করা হবে উনিশ তাহলে অবশ্যই তিনি জানিয়ে যেতেন তার এই ভয় প্রদর্শনের ব্যাপারটি সম্বন্ধে। প্রতিজ্ঞা পূরণে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর হৃদয় কতখানি বৃহৎ এবং উদার ছিল তা আমাদের খতিয়ে দেখা দরকার।
আমরা ধরে নিতে পারি, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হয়তো বা মনে মনে ভেবেছিলেন (?), আমার গ্রন্থখানি হবে একখানি অনুপম গ্রন্থ! এমন কোন গ্রন্থ কখনো লিখিত হয়নি পূর্বে, এবং হবে না ভবিষ্যতেও, গাণিতিক কাঠামোই হবে এর ভিত্তি! যাবতীয় বিরূপ হস্তক্ষেপ হতে রক্ষা করবার জন্য এই গ্রন্থখানিকে আমি প্রতিষ্ঠিত করবো জটিল গাণিতিক বুননে। একটি শব্দও কেউ সংযোজন করতে পারবে না এতে, বিনষ্ট করতে পারবে না এ গ্রন্থ অথবা নতুন কিছু সন্নিবেশ করতে পারবে না এর মধ্যে; আর ১৯ই হবে এই পদ্ধতির বুনিয়াদ।”
কিন্তু ১৯ কেন? এটা কি এই জন্য যে, কার্যকারিতায় এই সংখ্যাটি অতি সহজ? না, মোটেই না; বরং বড় বেশি কঠিন এই সংখ্যাটি! এর কোন বিভাজক নেই। অসম এই সংখ্যাটির সহসংখ্যা ১৮-কে আপনি ২,৩,৬ ও ৯ দিয়ে ভাগ করতে পারেন; এবং এর আর একটি সহসংখ্যা ২০-কে আপনি ২,৪,৫ ও ১০দিয়ে ভাগ করে করতে পারেন; কিন্তু ১৯ অবিভাজ্য। অংকশাস্ত্রে এটা একটা মৌলিক সংখ্যা এবং এটা একটা অদ্বিতীয় অনুপম সংখ্যাও বটে; কারণ অংকশাস্ত্রের সবচেয়ে ছোট সংখ্যা ১ দিয়ে -এর শুরু। আর বড় সংখ্যা ৯-এ এর শেষ! গাণিতিক পদ্ধতির হয়তো বা এটা “আদি” এবং “অন্ত” সম্ভবতঃ ১৯-এর নামতায় পারদর্শী ছিলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম, অথচ বিশিষ্ট গণিতশাস্ত্রবিদ আইনস্টাইন নিজেও জানতেন না ১৯-এর নামতা। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম কি পরিমাণ জানতেন এই ১৯-এর নামতা? ধরা যাক, নিশ্চয়ই অনন্ত পরিমাণ। আমরা গোঁ ধরে যদি বলতেই থাকি, যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামই আল কুরআনের রচয়িতা তা হলে চলার পথে অবশ্যই তা উদঘাটনে সক্ষম হবো আমরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/599/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।