hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আহমদ দীদাত রচনাবলি - ফজলে রাব্বী ও মুহাম্মদ গোলাম মোস্তাফা

লেখকঃ আহমদ দীদাত

১২
অধ্যায় চারঃ সাহিত্য বিশারদ বৃন্দের সত্যতা প্রতিপাদন
এক নজরে ত্রিশ নম্বর আয়াটির প্রসঙ্গ প্রমাণ করবে যে, এই ত্রিশ নম্বর আয়াত শরীফও একটি জবাব। আরও একটি অভিযোগের জবাব এটি। অবিশ্বাসীরা প্রথমে হাতে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অভিযুক্ত করেছিল উন্মাদ বলে। জনগণকে এখন ধীরে ধীরে কিন্তু নিশ্চিতভাবে তাঁর আহবানে সাড়া দিতে দেখে তাদের কিছু কিছু আত্মীয়-পরিজনকে তাঁর দ্বীনের দাওয়াত কবুল করতে দেখে এবং তার দীনে দীক্ষিত কিছু সংখ্যক ব্যক্তিকে সম্মানিত সম্প্রদায়ভুক্ত দেখে, তাদের অভিযোগের ধরনটা পাল্টে, উন্মাদের পরিবর্তে আখ্যা প্রদান করলো ’যাদুকর’ বলে। তারা অভিযোগ উত্থাপন করলো যে কুরআনের আয়াতসমূহ সুন্দর সুললিতভাবে আবৃত্তি করে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্মোহিত করে চলেছেন জনসাধারণকে।

এই অভিযোগের সম্মুখীন হবার আগে আমি উদ্ধৃত করতে চাই টমাস কার্লাইলের একটা প্রামাণিক বিবৃতি, পূর্বোল্লিখিত বক্তৃতায় যিনি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সমর্থনে বিধর্মী পৌত্তলিকদের অভিযোগসমূহ খণ্ডন করেছেন খুবই সুন্দরভাবে প্রতারক এবং যাদুকর? না, না, চিন্তার এক বিরাট অগ্নিকুণ্ডে ধীরে ধীরে প্রস্ফুটিত এই বিরাট জ্বলন্ত হৃদয় যাদুকর হতে পারে না। চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় জীবন যাপনে অভ্যস্ত ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন মক্কার পৌত্তলিকেরা সেই উর্ধ্বলোকের পথ নির্দেশ হৃদয়ঙ্গম অক্ষম ছিল বলেই,তাদের নর-নারীর উপর এর আশ্চর্য কার্যকরী প্রভাবের ব্যাখ্যা প্রদান করেছিল ‘ইন্দ্রজাল’ বা ‘জাদু' বলে। কারণ তারা ছিল তাদের যুগ, পারিপার্শ্বিকতা এবং কালের উৎপন্ন ফসল।

তাদের প্রসঙ্গে ৪ নম্বর নক্সায় উল্লেখিত আয়াতসমূহ পুংখানুপুংখরূপে বিশ্লেষণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে, আল কুরআনের সূরা আল মুদ্দাচ্ছিরে এটা তো যাদু ছাড়া আর কিছুই নয়...উদ্ধৃত করে তাদের এই অবিশ্বাস্য অভিযোগের মীমাংসা করে দিয়েছেন আল্লাহ রাব্বল আলামীন নিজেই। কিন্তু ৭৪ নম্বর সূরায় (আল মুদ্দাচ্ছির) ২৫ নম্বর আয়াতে উল্লিখিত অভিযোগটির বড় মারাত্মক, এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগের সেই অবিশ্বাসীদের অসুস্থতা আজকের অকটও পরহিতপরায়ণ অমুসলিম বন্ধুদের মনে এখনো প্রবহমান। এমনকি টমাস কার্লাইল নিজেও মুক্ত ছিলেন না এই পক্ষপাতিত্ব থেকে। সেই অপরিবর্তিত অসুস্থতা বা নৈতিক অবক্ষয়ই তাদেরকে প্ররোচিত করেছে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর আল কুরআনের গ্রন্থস্বত্ব আরোপ করতে। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাবী করেন, আল কুরআনের বাণীসমূহ তাঁর কাছে দেয়া হয়েছে প্রত্যাদেশের মাধ্যমে। কিন্তু প্রতিপক্ষের ভাষ্যঃ

( إِنۡ هَـٰذَاۤ إِلَّا قَوۡلُ ٱلۡبَشَرِ )

এটা তো মানুষেরই কথা।

– কুরআন ৭৪: ২৫

অন্য কথায়, অবিশ্বাসীদের বক্তব্য যে, মুহাম্মদ (সা) নিজেই রচনা করেছেন এই কুরআন। নিজেরই বাণী তিনি প্রচার করছেন আল্লাহর বাণী বলেঃ তিনিই রচনা করেছেন এই মহাগ্রন্থ, তিনিই উদ্ভাবন করেছেন; জাল করেছেন এটি। হয়তো বা তাদের ধারণা তিনি এই মহাগ্রন্থ আল কুরআন কপি করেছেন ইহুদী ও খ্রিস্টানদের গ্রন্থ থেকে।

ইসলামের অমুসলিম সমালোচকদের সপ্রশংস সমর্থনসূচক কিছু বাণীর আমি উদ্ধৃতি দিতে চাই, যারা জ্ঞাতসারেই হোক বা অজ্ঞাতসারে, এই ভ্রমে পতিত হয়েছেন যে, মুহাম্মদ (সা) রচনা করেছেন এই কুরআনঃ

১. সুবিখ্যাত ঐতিহাসিক গীবন তাঁর “ডিক্লাইন এ্যান্ড ফল অব দি রোমান এমপ্যায়ার” গ্রন্থে ইসলাম ও কুরআন সম্বন্ধে অভিমত ব্যক্ত করেছেনঃ “মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ধর্মমত সম্পূর্ণভাবে সন্দেহমুক্ত এবং কুরআন হচ্ছে, আল্লাহর একত্ববাদের একটা গৌরবময় প্রমাণ। এবং তথাপি এই মহৎ মানুষটি মৃত্যুবরণ করেছেন একজন অজ্ঞেয়বাদী হিসেবে।

২. গত শতাব্দির এক বিশিষ্টি চিন্তাবিদ টমাস কার্লাইল তাঁর ‘হিরো এ্যান্ড হিরো ওয়ারশীপ' গ্রন্থের “দি হিরো এ্যাজ প্রফেট” এই বিশিষ্ট শিরোনামে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর বাণী সম্বন্ধে আবেগ বিজড়িত কণ্ঠে উচ্চারণ করেছেন। এই মানুষটির সারগর্ভ বাণী সরাসরি উৎসারিত হয়েছে প্রকৃতির আপন অন্তর্লোক থেকে। মানুষ তা শুনে এবং তাকে শুনতেই হয়, -এর যেন কোন অন্যথা নেই, তুলনামূলকভাবে সমস্ত অন্যথাই এখানে হাওয়া। অন্য কথায় মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মত মানুষ যে বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন, সেখানে সমমত অন্যথাই উষ্ণ বাতাস, নিরর্থক! এই মহৎ ব্যক্তিটিও মৃত্যুবরণ করেছেন একজন এ্যাঙ্গলিক্যান খ্রিস্টান হিসেবে।

৩. একজন খ্রিস্টান ধর্মযাজক রেভারেন্ড আর বস্ওয়ার্থ স্মীথ তাঁর “মুহাম্মেড এ্যন্ড মুহামেডানিজম” গ্রন্থে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও আল কুরআন সম্বন্ধে তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। স্বয়ং নিরক্ষর কদাচিৎ পড়তে বা লিখতে সক্ষমঃ সেই তিনিই একটি গ্রন্থের গ্রন্থকার —যে গ্রন্থ কবিতা, আইন সংহিতা, উপাসনা পুস্তক এবং একটি বাইবেল-একের মধ্যে সব! সমস্ত মানব জাতির এক-ষষ্ঠাংশ দ্বারা আজ অবধি সম্মানিত, এটাই একটা অলৌকিকত্ব-অলৌকিকত্ব পদ্ধতির পবিত্রতায়, অলৌকিকত্ব বিজ্ঞতার মাপকাঠিতে, অলৌকিকত্ব সত্যের প্রতিষ্ঠিত নীতিতে। আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটাকেই দাবী করেছেন তাঁর একটি মিরাকল বা মেযেজা হিসাবে, অভিহিত করেছেন তার স্থায়ী একটি মেযেজা রূপে; এবং সত্যি সত্যিই এটা একটা মোযেজাই বটে! এবং তবুও বস্ওয়ার্থ মৃত্যুবরণ করেছেন একজন ত্রিত্ববাদী রূপে।

৪. ফ্রেন্স ঐতিহাসিক লা’ মার্টিন তার “হিসট্রি অব দি টার্কস” এ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন এভাবেঃ দার্শনিক বাগ্মী, ধর্ম প্রচারক, আইন প্রবর্তক, যোদ্ধা, মতাদর্শে বিজয়ী, প্রতিমাবিহীন ধর্মীয় পদ্ধতির যুক্তিবাদী ধর্মবিশ্বাসের পুনঃস্থাপক, বিশটি পার্থিব সাম্রাজ্যের ও একটি আধ্যাত্মিক সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতার নামই হচ্ছে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। মানুষের মহত্তকে মাপা যায় এমন কোন নিক্তির ভিত্তিতে আমরা প্রশ্ন করতে পারি, “তার মত আরও কোন মহৎ ব্যক্তি আছেন কি?” লা মার্টিন তাঁর নিজের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন প্রশ্নটার অনুসিদ্ধান্ত দিয়েই কোন মানুষই তাঁর মত মহৎ নয়। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম প্রকৃতপক্ষেই ছিলেন সর্বোত্তম ব্যক্তি। এবং সম্ভ্রান্ত এই ফরীশা মৃত্যুবরণ করেন ইসলাম কবুল না করেই।

৫. যুক্তরাষ্ট্রের মনো সমীক্ষক জুস্ মেজারম্যান ১৫ জুলাই, ১৯৭৪ এর “টাইম ম্যাগাজিনের” একটি বিশেষ পাতায় “নেতারা কে কোথায়?” এই শিরোনামে ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিশ্লেষণ শেষে তাঁর গবেষণার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এই বলে যে “মুহাম্মদ (সা) বোধ করি সর্বকালের নেতা!” অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় একজন ইহুদী হয়েও তিনি তাঁর নিজের নবী মূসা আলাইহিস-সালামকে কে দিয়েছেন দ্বিতীয় স্থান। তার বস্তুগত নীতিতে যিশু ও বুদ্ধ ও উচ্চতর শ্রেণীভুক্ত।

৬. মাইকেল এইচ হার্ট নামে একজন আমেরিকান জ্যোতির্বিদ, ঐতিহাসিক ও গণীতজ্ঞ “দী হানড্রেড” বা দী হানড্রেড বা দী প্রেক্টে হানডেড্র ইন হিস্ট্রি ” নামে। ৫৭২ পৃষ্ঠার একটি বই প্রকাশ করেছেন। আদম থেকে আজ পর্যন্ত ইতিহাসের সমস্ত নর (এবং নারীর) একটি সমীক্ষা শেষে ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে ১০০ জনকে নির্বাচন করেছেন তিনি। তাঁর এই নির্বাচনে ১০০ জনের মধ্যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে রেখেছেন সবার উপরে। তার এই তালিকটির আশ্চর্য দিক হচ্ছে এই যে, তিনি তাঁর নিজের ত্রাণকর্তা প্রভু যিশুকে দিয়েছেন তৃতীয় স্থান।

এমনিভাবে আমরা আরও অনেক অমুসলিম প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব যেমন জর্জ বার্নার্ড শ’জন ড্যাভেনপোর্ট, মহাত্মা গান্ধী প্রভৃতির উল্লেখ করতে পারি, যারা আল্লাহর মহান বার্তাবাহক হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এই বলে “হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন “অসংখ্যের মধ্যে একজন”, “ইতিহাসের তিনি ছিলেন একজন সর্বোত্তম ব্যক্তিত্ব”, “ধর্মপরায়ণ সমস্ত ব্যক্তিত্বের মধ্যে সবচেয়ে কৃতকার্য ছিলেন তিনিই” মনে হয়, তাঁর মত আর একজনও হবে না অনন্তকালেও! এসব এবং এর থেকে আরও অনেক বেশি সত্য হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বেলায়! কিন্তু মুসলমানদের নিকট এসব সপ্রশংস সমর্থনসূচক উপহারবাণী একটা সমস্যাই বটে। কারণ এতদ্সত্ত্বেও এসব ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-কে অনুসরণ করছেন না কেন? আর কেনই তারা গ্রহণ করছেন না ইসলাম?

আমার ধারণা, এসব অমুসলিমরা ছিলেন কপটাচারী; কিন্তু তাদের ব্যাপারে বোধ করি ভুল বললাম আমি! অতি সম্প্রতিক কুরআনিক আবিষ্কারের নিরিখে এইসব মহৎ ব্যক্তিদের প্রতি আমার ধারণা পাল্টেছি। উপরোক্ত মহৎ ব্যক্তিরা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে তাঁদের পয়গম্বর ও পথ প্রদর্শকদের উপরে স্থান দেওয়া সত্ত্বেও ইসলাম গ্রহণে তাঁরা প্রস্তুত ছিলেন না এই বলে তাঁদের মনের গভীরে এই বিশ্বাস ছিল যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামই ছিলেন ইসলামের স্রষ্টা এবং তিনিই রচনা করেছেন আল কুরআন। উপরোক্ত লেখকবৃন্দের অনেকেই স্পষ্ট এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে এটাই বলেছেন আবার, কেউ বা চতুরতার সাথে এই ইঙ্গিত প্রদান করেছেন। কিন্তু মোটামুটিভাবে প্রত্যেকেরই বিশ্বাস ছিল যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাফল্যের মূল কারণটাই ছিলো তার নিজের অসাধারণ মানবিক প্রতিজ্ঞা!

প্রশংসাসূচক এই তালিকায় মাইকেল হার্টের অবস্থা সর্বশেষে। ধর্মনিরপেক্ষ এবং ধর্মপরায়ণ এই উভয় ক্ষেত্রে ইতিহাসে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ছিলেন সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব এই বলে তিনি চেষ্টা করেছেন তার প্রবন্ধের উপসংহারে সত্যতা প্রতিপাদন করতে। এইটা করবার সময় তাঁর পুস্তকের ৩৯ পৃষ্ঠায় তিনি স্পষ্ট করে তার উল্লেখ করেছেন, তাতে অবশ্যই প্রষন্ন রয়েছে, তার ইসলাম গ্রহণ না করার কারণটিঃ অধিকন্তু তিনিই হচ্ছেন মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআনের রচয়িতা; মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম-এর পরিজ্ঞানের নির্দিষ্ট একটা সংকলন যা আল্লাহর কাছ থেকে সরাসরি তার কাছে নাযিল হয়েছিল বলে তিনি বিশ্বাস করতেন। তাঁর বক্তব্য ‘তিনিই.......রচয়িতা’ কার্লাইলের ভাষ্য ঐ মানুষটির “সারগর্ভ বাণী” এবং বসওয়ার্থের বক্তব্য- “তবু তিনি একটি গ্রন্থের রচয়িতা (ক্রমিক নম্বর ২ ও ৩) সবিশেষ উল্লেখযোগ্য! আল্ কুরআনের পবিত্র বাণীর অংশ বিশেষের প্রতি দৃষ্টি রেখে এবং পূর্বাপর সম্বন্ধ উপেক্ষা করেই তারা উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সর্বজ্ঞ আল্লাহ অবিশ্বাসীদের এই অভিযোগ সম্পর্কে কুরআনুল করিমে তাদের মহাশক্তির ইঙ্গিত দিয়ে পূর্বাকেই উল্লেখ করেছেনঃ “তারপর সে বলে, এটা তো লোক পরম্পরায় প্রাপ্ত জাদু ভিন্ন আর কিছুই নয়, এটা তো মানুষেরই কথা” (৭৪: ২৪-২৫)! ইসলাম গ্রহণ না করার এটা তাদের একটা কৌশলই বটে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন