মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আহমদ দীদাত রচনাবলি - ফজলে রাব্বী ও মুহাম্মদ গোলাম মোস্তাফা
লেখকঃ আহমদ দীদাত
১৪
অধ্যায় ছয়ঃ গাণিতিক হিসাব এবং অনন্য শতাব্দী
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/599/14
স্বীয় গ্রন্থখানিকে অদ্বিতীয় করবার জন্যে হয়তো বা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আবারও মনে মনে ভেবে থাকবেন (নাউযুবিল্লা), “আমার গ্রন্থখানির প্রথম বাক্যটি অবশ্যই হতে হবে ১৯ অক্ষরের”। এ জগৎ সংসারে ‘প্রচেষ্টা ও ভুল সংশোধন’ ব্যতিরেকে কিভাবে একজন শুরু করতে পারেন তার পুস্তকের সূচনার বাক্যটি? সুপ্রিয় পাঠক, একটি গ্রন্থ রচনার প্রারম্ভে আপনি এবং আমি যদি ঠিক এমনি একটা প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়ে পড়ি, তাহলে তো আমাদের মনে আবির্ভূত বাক্যসমূহকে নিশ্চয়ই আন্দায করে নিতে হবে আমাদেরকে। ...... আপনার চিন্তাধারা বা কল্পনাকে লিপিবদ্ধ করতে হবে আপনাকে এবং অক্ষরগুলোর করতে হবে গণনা। এ ছাড়া আর কোন পথই নেই। সহসা লব্ধ আমার চমৎকার ফন্দিগুলো একটা যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা আমি দিতে পারি, আর আপনিও তা পারেন, যদি প্রচেষ্টা চালান এই পরীক্ষার! কিন্তু কোন কাজেই আসবে না। সম্ভবত আপনার জীবদ্দশায় ১৯ অক্ষরের একটি বাক্যের সাক্ষাৎ আপনি নাও পেতে পারেন আপনার পুস্তক রচনার শুরুতে। কিন্তু হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আমাদের গ্রন্থকার (?) এ ব্যাপারে লাভ করেছেন বিরাট সাফল্য; লক্ষ্য ভেদ করেছেন তিনি আমাদের ধারণা অনুযায়ী তিনি যে সত্যিকারভাবেই একজন প্রতিভাবান ব্যক্তি তা ভুলে যাওয়া নিশ্চয়ই সমীচীন হবে না। তিনি শুরু করেছেন ও পরম করুণাময় দয়ালু দাতা আল্লাহর নামেঃ
অক্ষরগুলো গুণতে সহজতর করা হয়েছে আপনার জন্যে। সামনে এগুবার আগেই বিষয়টির যথার্থতা যাচাই করে নিন আপনি নিজেই,
কিভাবে সংঘটিত হলো এটা? জড়বাদী অবিশ্বাসী বন্ধু হঠাৎই বলে উঠেন “ঘটনাচক্র”। পূর্ববর্তী ৫টি ঘটনাচক্র যেহেতু হিসেব থেকে আমরা ইতিমধ্যেই বাদ দিয়েছি, তাই আমাদের বন্ধুর সাথে আমরা একমত হতে পারি যে, এখন এই ঘটনাচক্র সংঘটিত হতে পারে এই প্রথমবার। কিন্তু হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম কি বলেননি, “এরও উপরে রয়েছে উনিশ”? “উনিশ” চাপিয়ে দেয়া হবে আপনার উপর, গুণতেই হবে আপনাকে উনিশ সংখাটি! হ্যাঁ বলেছিলাম তিনি; কিন্তু হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম তাঁর (?) এই ভীতি প্রদর্শনের ব্যাপরটি সঠিক অর্থে ব্যবহার করেননি, নিশ্চয়ই যুক্তি প্রদর্শন করেন অবিশ্বাসীরা।
ধরা যাক, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম হয়তো আবারও মনে মনে বলেছিলেন, “উনিশ অক্ষরের এই প্রথম বাক্যটি অত্যন্ত সহজ ছিল আমার কাছে; এখন যা আমি করতে যাচ্ছি- তা হলো আমার এই প্রথম বাক্যটির প্রতিটি শব্দ আমার (নাউযুবিল্লাহ) গ্রন্থখানিতে যতবার পুনরাবৃত্ত হবে তা হবে উনিশের গুণীতক। আমাদের গ্রন্থকার (?) তার এই বিস্ময়কর পরিকল্পনায়, যতটুকু কৃতকার্য হয়েছিলেন তার যথার্থতা প্রতিপাদনের জন্য পবিত্র কুরআনকে সুসংবদ্ধভাবে কম্পিউটারের সাহায্যে তথ্যাদি নিরূপণপূর্বক নিশ্চিত হতে পারি আমরা প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি অক্ষর গণনার জন্য বারবার পবিত্র কুরআনের আদান্ত পাতা উল্টানোর সময় বা ধৈর্য আমাদের নেই। তাহলে আসুন, কম্পিউটারকৃত পূণাঙ্গ তথ্যের সূক্ষ্ম অনুসন্ধানে তৎপর হই আমরা। প্রথমে শব্দ اسم অর্থাৎ ‘নাম' কুরআনুল করীমে এসেছে মাত্র ১৯ বার (১৯×১= ১৯)। কেমন করে সংঘটিত হলো এটা? বিষন্ন স্বরে অবিশ্বাসীর উচ্চারণ “কোইনসিডেন্স” বা ঘটনার যুগপৎ সংঘটন। আমাদের “সমকালীন ঘটনার” নতুন তালিকায় এটা দ্বিতীয়! আপনাদের কো-ইনসিডেন্স “সমকালীন ঘটনার” তালিকায় প্রথমবার হওয়াটাই স্বাভাবিক, কিন্তু দ্বিতীয়বার নিশ্চয়ই অসম্ভব। যাই হোক কম্পিউটাকে আমরা প্রশ্ন করতে পারি, الله শব্দটি কুরআন মজীদে এসেছে কতবার? চোখের পলকে জবাব আসেঃ ২৬৯৮ বার। আপনার ক্যালকুলেটারটি বের করুন এবং সংখ্যাটিকে ভাগ করুন ১৯ দিয়ে, মুহূর্তেই জবাবঃ ১৯x১৪২ = ২৬৯৮। কি করে সম্ভব হলো এটা? “ঘটনার যুগপৎ সংঘটন কী আবারও? হ্যাঁ, আপনারা জানেন না “অসম্ভব” এর শুরুই তো এটা! এবারে দেখা যাক পরের শব্দ الرحمن অর্থাৎ “পরম করুণাময়” কতবার? জবাব হলো, ৫৭ (১৯x৩) বার। এটাই বা সম্ভব কিভাবে? হ্যাঁ আবারও! নিশ্চয়ই এটা একটা অলৌকিত্ব বা মোজেযা। পরের শব্দ الرحيم বা পরম দয়ালু কতবার? জবাব, ১১৪ (১৯x৬ = ১১৪) বার। এটাইবা সম্ভব কীভাবে। কো-ই-ন-সি-ডে-ন্স- ঘটনার যুগপৎ সংঘটন, সেই বিরক্তিকর, কিন্তু স্বল্প শ্রুতিযোগ্য জবাব এটি। ঘটনাসমূহের সম্ভাবনা অলৌকিক থেকেও অলৌকিক কোন ব্যক্তি এমন কি, হযরত মুহাম্মদ (সা) যা করতে পারেন তার থেকেও অনেক বেশি।
শেষ শব্দ الرحيم “পরম করুণাময়” উদ্ধৃত হয়েছে ১১৪ বার। কুরআনুল করীমে যতটি সূরা আছে, ঠিক তত বার, যেন الرحيم বা পরম করুণাময় শব্দটি সুষ্ঠভাবে বিভাজ্য হতে পারে, প্রতিটি সূরার সাথে। কোন পাণ্ডিত্য ছাড়া, কোন কাগজ ও কলম ছাড়া, কোন কম্পিউটার এবং ক্যালকুলেটর ছাড়া হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের পক্ষে এসব সম্পন্ন করা যে কখনোই সম্ভব ছিল না, তা অনুভব করার জন্য কোন প্রতিভাধরের প্রয়োজন আজও আমরা দেখি না।
কিন্তু আল্লাহর নিকট থেকে নাযিলকৃত একটি মহাগ্রন্থের যথার্থতা প্রতিপাদনের জন্য অবশ্যই কিছু প্রামাণিকতা থাকা বাঞ্ছনীয়। প্রত্যেকটি দলিলের-ই রয়েছে তার নিজস্ব গুরুত্বপূর্ণ সীল। সুপ্রীম কোর্টের সমন বা ‘রীট’ এর আছে সুস্পষ্ট সীল। পাসপোর্টের সীলটি খোদিত -যাতে করে অন্য ছবি বসিয়ে কেউ তা জাল করতে না পারে। আল্লাহর বাণী বলে স্বয়ং স্বীকৃত “আল কুরআনে”ও ঠিক তেমনি একটা গুরুত্বপূর্ণ সীল থাকা স্বাভাবিক, আর তা আছেও। সেই অনুমোদিত “ফরমূলা” বা সাংকেতিক চিহ্ন হলোঃ
بسم الله الرحمن الرحيم
“পরম করুণাময় অনন্ত দয়ালু দাতা আল্লাহর নামে”
চমৎকার এই প্রার্থনাসূচক আয়াতটি, আপনি ঠিক উপরে যেমনটি আছে, তেমনি করে সোজাসুজি লিখতে পারেন অথবা নকসা আকারে যেমনটি দেখা যাচ্ছে অপর পৃষ্ঠায় যেভাবেই আপনি লিখুন না কেন, এই সংকেত সূত্রটিই একটি সীল। এটা নির্মিত হতে পারে কাঠ দিয়ে, রাবার দিয়ে কিংবা ধাতু দিয়ে। ১১৪ টি সূরার জন্য ১১৪ টি সীল থাকাই বাঞ্ছনীয়- আল কুরআনের প্রত্যেকটি সূরার জন্যে ১টি করে। আবরীতে অজ্ঞ একজন লোকও চিনতে সক্ষম আল কুরআনের প্রত্যেকটি সূরার প্রথমে লিখিত এই সীল বা সংকেত সূত্রটি। আশ্চর্যের বিষয়, এই সংকেত সূত্র বা সীলটি কিন্তু কুরআন মজীদের ৯ নম্বর সূরায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। সমস্যার উদ্ভব এখানেই। আল কুরআনে সূরার সংখ্যা ১১৪, কিন্তু সীল মাত্র ১১৩টি এবং ১১৩ বিভাজ্য নয় ১৯ দিয়ে; তথাপি মহান গ্রন্থকার তাঁর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক স্পষ্ট ঘোষণা করেছেনঃ “১৯-এর বন্ধনে আবদ্ধ করা হবে তোমাকে।”
[এখানে হার্ড কপি বইয়ে ছবি ছিল]
লক্ষ্য করুন, ব্যতিক্রম মাত্র একটিই; কোন “বিসমিল্লাহ” শরীফ নেই সূরা “আত্ তাওবা”র প্রারম্ভে। সমস্যার উদ্ভব এখানেই। ১১৪টি সূরা, কিন্তু বিসমিল্লাহ্ ১১৩টা; এবং ১১৩ বিভাজ্য নয় ১৯ দিয়ে। এখন প্রশ্ন হলোঃ
“এরও উপরে রয়েছে উনিশ” এর তাৎপর্য কী?
একটা অধিনিয়মের সৌন্দর্য বা চারুকলা নিহিত রয়েছে, অবাধে কাটিয়ে উঠা সমস্যাদির মাঝেই- সেটা দাড়াবাজী, নভোশ্চারণ, জলক্রীড়া বা গণিত বিদ্যা-যাই হোক না কেন? একটা সমস্যা সৃষ্টি করুন, এবং সমাধান করুন সেই সমস্যার। কিন্তু ৯ নম্বর সূরার শুরুতে কী করে উদ্ভব হলো এই সমস্যা? আপনাদের নিশ্চয়ই জানা আছে যে, ৯ নম্বর সূরাটি ‘আত্ তাওবা’ নামেই পরিচিত যার শাব্দিক হলোঃ অনুশোচনা বা পরিতাপ। মুসলমানদের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে আবদ্ধ চুক্তিটি যারা ভঙ্গ করেছিল, সেই মুশরিকদের জন্য এটা একটা চরম পত্র। সূরাটির তৃতীয় স্তবকের শেষাংশের প্রতি লক্ষ্য করুনঃ আল্লাহ্ পাক বলছেন,
وَبَشِّرِ ٱلَّذِینَ كَفَرُوا۟ بِعَذَابٍ أَلِیمٍ
“এবং কাফিরদের সংবাদ দিন মর্মতুদ শাস্তির।”
বিজ্ঞজন যুক্তি প্রদর্শন করেন, মহান প্রভু যখন এমনিভাবে ভয়াবহ অমঙ্গলের ইঙ্গিত দেন, তখন অনুকম্পা ও কৃপাপূর্ণ প্রার্থনাসূচক বাণী দিয়ে স্তবকটির শুরু হওয়া বাঞ্ছনীয় হতে পারে না। মানব জীবনের এটাই একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যে এক তরফাভাবে কেউ যখন তার চুক্তি বা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে, তখন অত্যাচারিত পক্ষ নিশ্চয়ই কোন রুচিকর শব্দ প্রয়োগ করে প্রদান করেন না তাঁর সতর্কীকরণ ‘চরমপত্রটি’। কেউ এমনিভাবে শুরু করেন না, আমি খুবই সহৃদয়, উদার ও সজ্জন ব্যক্তি কিন্তু আমার টাকার থলিটি ফিরিয়ে না দিলে তোমার ঘাড়টি দেব মটকিয়ে। নিশ্চয়ই এটা ন্যায়সঙ্গত ও অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত একটা ব্যাখ্যা। কিন্তু আমাদের সমস্যার সমাধান এটা করে না। ১১৪টি সূরা, আর বিসমিল্লাহ ১১৩ টা। সংক্ষেপে বলতে গেলে একটা সীল আমাদের কম। কিন্তু এই তথ্য সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না আমাদের মহান গ্রন্থকার আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু (এবং নন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম)! মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করুন, তাঁর স্বসৃষ্ট সমস্যার কী চমৎকারভাবে সমাধান করেছেন তিনি। সূক্ষ্ম একজন গাণিতিকের মত সমস্যার সৃষ্টি করে তা সমাধানের নৈপুণ্যের মাঝে তিনি তাঁর প্রতি জাগিয়ে তুলেছেন আমাদের সশ্রদ্ধ সম্ভ্রম।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/599/14
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।