hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাসূল যেভাবে রমজান যাপন করেছেন

লেখকঃ ফায়সাল বিন আলী আল বা’দানী

২৬
অধিক-হারে সদকা ও সৎকাজে আত্মনিয়োগ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানে অধিক সৎকাজ করতেন, সদকা করতেন বিপুল পরিমাণে। কোরআন পাঠ ও তার আলোকে জীবন যাপনের অলৌকিক ফলশ্রুতি হচ্ছে এ পুণ্য চরিত্রের স্ফুরণ। ইবনে আববাস এক হাদিসে বলেন : রাসূল ছিলেন মানুষের মাঝে সর্বাধিক দানশীল। রমজানে তিনি সর্বাধিক দানশীল হতেন, যখন জিবরাইলের সাথে তার সাক্ষাৎ হত। রমজানে জিবরাইল তার সাথে সাক্ষাৎ করতেন এবং তার সাথে কোরআন পাঠ করতেন। জিবরাইল আ:-এর সাথে সাক্ষাৎকালীন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতেন মুক্ত বায়ুর তুলনায় অধিক কল্যাণময় দানশীল। [বোখারি : ৩২২০।]

অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজানে তার দানের আধিক্যের কারণ, কোরআন পাঠ তার আত্মার প্রাচুর্য বৃদ্ধির প্রত্যয়ের নবায়ন করত। আত্মিক এ প্রাচুর্যই হত তার দানশীলতার কারণ। [ফাতহুল বারি : ইবনে হাজার : খন্ড : ১, পৃষ্ঠা : ৪১।]

রাসূলের দানশীলতা ছিল সর্বব্যাপী, দানের যাবতীয় প্রকারের সম্মিলন হত তাতে। দ্বীনের বিজয়, মানুষের হেদায়েতের জন্য তিনি আল্লাহর রাস্তায় সমভাবে ব্যয় করতেন ইলম, নফ্স ও সহায়-সম্পদ। অজ্ঞদের শিক্ষাদান, তাদের সর্বাত্মক প্রয়োজন পূরণ করতেন ও অন্নদান করতেন ক্ষুধার্তদের। [ইবনে উসাইমিন : মাজমুউ ফাতাওয়া : খন্ড : ২০, পৃষ্ঠা : ২৬২।]

‘কল্যাণের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন মুক্ত বায়ুর তুলনায় অধিক দানশীল’—ইবনে আববাসের এ উক্তি থেকে প্রমাণিত হয়, রমজানে রাসূল দান ও এহসানে ছিলেন সকলের তুলনায় অগ্রবর্তী ব্যক্তিত্ব ; মুক্ত বায়ুর দান যেমন পৌঁছে যায় সম্মিলিতভাবে সকলের কাছে, রাসূলের দানে বিধৌত হতেন তেমনি সকলে, নির্বিশেষে। ইবনে মুনায়্যির উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন : দরিদ্র, প্রয়োজনগ্রস্ত ও ধনী—সকলের কাছে পৌঁছে যেত রাসূলের দানের কল্যাণ, মুক্ত শীতল প্রবাহিত বায়ুর পর আসে বৃষ্টির যে ঝাপটা, রাসূলের দান হত তার চেয়েও কল্যাণকর ও সর্বব্যাপী। [ফাতহুল বারি : ইবনে হাজার : খন্ড ৪, পৃষ্ঠা : ১৩৯।]

রাসূলের পুণ্যময় অভ্যাস ও চরিত্রে, আচরণ-নিষ্ঠায় এ ছিল কোরআনের প্রভাব, যুহুদের ফলশ্রুতি, রহমানের সাথে সার্বক্ষণিক সুসম্পর্কের সুখকর অবশ্যম্ভবি পরিণতি।

এ মাসে, তাই, মুসলিম মাত্ররই আকাঙ্ক্ষা ও আগ্রহের বিষয় হওয়া উচিত অধিক-হারে ব্যয়-দান ; ইমাম শাফেয়ী বলেন : রাসূলকে অনুসরণ করে ব্যক্তি এ মাসে অধিক হারে দান করবে, এ খুবই পছন্দনীয় বিষয়। কারণ, অধিকাংশ মানুষ এ সময় সালাত ও রোজা পালনে ব্যস্ত থাকার ফলে উপার্জনে ঘাটতি দেখা দেয়, ফলে এ দান তাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। [বাইহাকি, মারেফাতুন সুনানি ওয়াল আসার : খন্ড : ৭, পৃষ্ঠা : ৩০৭।]

দানশীলতা ছিল রাসূলের জীবনের সর্বাধিক মহিমান্বিত প্রকাশ্য অভ্যাস, এ গুণ ছিল তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী, মুহূর্তের জন্য একে তিনি ত্যাগ করেননি। তিনি কখনো কিছু কুক্ষিগত করেননি কিছু, প্রার্থনা করার পর কাউকে না করেননি কখনো। তার এ আচরণের সর্বোচ্চ প্রকাশ দেখা যেত রমজানের পবিত্র মৌসুমে।

হাদিস থেকে প্রমাণ হয়, লজ্জার আবরণ খসে যাওয়ার পূর্বেই প্রয়োজনগ্রস্ত ব্যক্তির কাছে পৌঁছে যেত তার দানের কল্যাণ—যেমন মুক্ত বসন্ত বায়ু পৌঁছে যায় ঘরে ঘরে, খরতাপদগ্ধ জমিতে জমিতে। সম্পদের নেয়ামতে আল্লাহ যাকে ভূষিত করেছেন, কিংবা ধনীদের প্রতিনিধি যে ব্যক্তি—সংস্থা অথবা ব্যক্তি, এ ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ তাকওয়া অনুসারে আমল করা তাদের কর্তব্য।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন