মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্ণ বছরই ইমামতি করতেন, সকলে তার পিছনে সালাত আদায় করত। তবে, বিশেষভাবে রমজান মাসে তার ইমামতির কিছু প্রমাণ আমরা নিম্নে উল্লেখ করছি—
আব্দুল্লাহ বিন আনিস রা. হতে বর্ণিত :—
أن رسول الله صلي الله عليه و سلم قال : أُريت ليلة القدر ثم أنسيتها، وأراني صبحها أسجد في ماء وطين . قال : فمطرنا ليلة ثلاث وعشرين فصلى بنا رسول الله صلي الله عليه و سلم فانصرف وإن أثر الماء والطين على جبهته وأنفه .
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমাকে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়েছিল, অত:পর আমি তা বিস্মৃত হয়েছি। সে ভোরে আমাকে দেখানো হয় যে, আমি পানি আর কাদায় সেজদা দিচ্ছি। রাবি বলেন, তেইশতম রাত্রিতে বৃষ্টি হল, রাসূল আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন এবং প্রস্থান করলেন ; পানি ও কাদার চিহ্ন ছিল তার কপাল ও নাকে। [মুসলিম : ১১৬৮।]
আয়েশা রা. বর্ণিত হাদিসে এসেছে—
حتى خرج لصلاة الصبح، فلما قضى الفجر أقبل على الناس فتشهد ثم قال : أما بعد : فإنه لم يخْفَ عليَّ مكانكم، لكني خشيت أن تفرض عليكم فتعجزوا عنها .
...ফজরের সালাতের জন্য তিনি বেরুলেন ; ফজর সালাত সমাপ্ত করে মানুষের দিকে অভিমুখ হলেন, তাশাহ্হুদ পাঠ করে বললেন, আমি তোমাদের অবস্থানের ব্যাপারে অবিদিত নই, কিন্তু আমার ভয় হয় তোমাদের উপর তা ফরজ করে দেয়া হবে এবং তোমরা তা পালনে অক্ষম হয়ে পড়বে। [বোখারি : ৯২৪।]
রাসূল কেবল ফরজ সালাতেই ইমামতি করতেন না, কারণ, রমজানের কোন কোন রাত্রিতে তিনি সাহাবিদের নিয়ে সালাত জামাতের সাথে আদায় করেছেন, ইমামতি করেছেন স্বয়ং। এ আশঙ্কায় তিনি রাত জেগে জামাতের সাথে সালাত আদায়ের বিষয়টি অব্যাহত রাখেননি যে এর ফলে তা ফরজ করে দেয়া হবে, এবং উম্মত যথা নিয়মে তা পালনে অক্ষম হয়ে পড়বে।
এ ব্যাপারে আরো হাদিস প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা যায়—
আবু যর হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমরা রাসূলের সাথে রমজান মাসে রোজা পালন করেছি, কিন্তু তিনি রমজানের সাত দিবস বাকি থাকা অবধি আমাদের নিয়ে রাত জেগে সালাত আদায় করেননি। সপ্তম রাত্রিতে আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন, এমনকি রাতের এক তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হয়ে গেল। ষষ্ঠ রাতে তিনি আমাদের নিয়ে রাত্রি জাগরণ করলেন না।
পঞ্চম রাত্রিতে আমাদের নিয়ে অর্ধ রাত্রি পর্যন্ত সালাত আদায় করলেন। আমি বললাম, আপনি যদি পূর্ণ রাত্রি আমাদের সাথে নফল সালাত আদায় করতেন ?! তিনি বললেন, ব্যক্তি যদি ইমামের সালাত শেষ করা অবধি তার সাথে সালাত আদায় করে, তবে তার জন্য পূর্ণ এক রাত্রি জাগরণের সওয়াব লিখে দেয়া হয়। আবু যর বলেন, চতুর্থ রাত্রিতে তিনি আমাদের নিয়ে রাত জাগলেন না।
তৃতীয় রাত্রিতে তার পরিবার-পরিজন, স্ত্রী-গণ, অন্যান্য সকলকে একত্রিত করলেন, তিনি আমাদের নিয়ে এতটা সময় সালাত আদায় করলেন যে, সেহরির সময় অতিক্রান্তের আশঙ্কা হল। এর পর বাকি মাস আর রাত্রি জাগলেন না। [আবু দাউদ : ১৩৭৫, হাদিসটি সহি।]
উম্মুল মোমিনীন আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন—
أن رسول الله صلي الله عليه و سلم صلى في المسجد ذات ليلة فصلى بصلاته ناس، ثم صلى من القابلة فكثر الناس، ثم اجتمعوا من الليلة الثالثة أو الرابعة فلم يخرج إليهم رسول الله صلي الله عليه و سلم، فلما أصبـح قـال : قد رأيت الذي صنعتم فلم يمنعني من الخروج إليكم إلا أني خشيت أن تفرض عليكم، قال : وذلك في رمضان .
এক রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে সালাত আদায় করলেন, লোকেরাও তার সাথে সালাতে যোগ দিল। পরবর্তী রাতেও সালাত আদায় করলেন, অংশগ্রহণকারী লোকদেরও সংখ্যা বেড়ে গেল।
তৃতীয় কিংবা চতুর্থ রাত্রিতে সকলে সমবেত হলেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেরিয়ে এলেন না। ভোর হলে তিনি বললেন, তোমরা যা করেছ, আমি তা দেখেছি। কেবল এ আশঙ্কাই আমাকে বেরুতে বাধা দিয়েছে যে, হয়তো তা তোমাদের জন্য ফরজ করে দেয়া হবে। তিনি বলেন, আর তা রমজানে। [বোখারি : ৭২৯, মুসলিম : ৭৬১।]
ফজিলতময় এ মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে মুসলমানদের ইমাম হবেন—এটাই স্বাভাবিক, কারণ, তিনি ছিলেন হেদায়েতকারী, সুসংবাদদাতা, আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে শরিয়ত পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব ছিল তার উপর অর্পিত দায়িত্ব ; পরকাল দিবসে আল্লাহর সম্মুখে দন্ডায়মান হওয়ার কালে কি করে মানুষ জাহান্নাম হতে মুক্তি পাবে—অহরাত্র সেই চিন্তায় বিভোর থাকতেন তিনি।
ইমামত হচ্ছে হেদায়েত, নসিহত, ও মানুষকে শরিয়তের অনুবর্তী করে তোলার এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম—যে ব্যক্তি ইমামতের সুযোগ লাভ করেছে, এ মহান দায়িত্ব পালনের মত নিজেকে যদি সে পুরোপুরি যোগ্য ও উপযুক্ত-প্রস্ত্তত মনে করে, তবে তা গ্রহণ করাই উত্তম। সন্তুষ্ট চিত্তে, শুভ পরিণতির মনে করে সে এ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিবে, পরকালে আল্লাহ কর্তৃক সওয়াব লাভের আশায় পূর্ণভাবে দায়িত্ব পালনের যথাসাধ্য শ্রম ব্যয় করবে।
যে ব্যক্তি মানুষকে হেদায়েতের পথে আহবান করবে, অনুসরণকারী সকলের সমপরিমাণ সওয়াব তাকেও দান করা হবে—বিন্দুমাত্র তারতম্য করা হবে না। ইসলামকে মানুষের হৃদয়ের খুব কাছাকাছি প্রতিস্থাপন করবার এ এক অনিন্দ কৌশল। এভাবেই, ইসলাম বাধাহীনভাবে পৌঁছে গেছে মানুষ ও মানুষের বিবেকের দুয়ারে দুয়ারে, যা আর কখনো প্রতিরোধ্য হবার নয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/130/45
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।