hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাসূল যেভাবে রমজান যাপন করেছেন

লেখকঃ ফায়সাল বিন আলী আল বা’দানী

৩৩
কল্যাণ কর্মে উৎসাহ প্রদান
‘হিস’ বা উৎসাহ হচ্ছে প্রতিদান ও ফলাফল বিষয়ে উদ্দীপনা ও প্রেরণ প্রদান করা, শিক্ষার পাশাপাশি এ বিষয়টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আলী রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন—রাসূল তার পরিবারকে রমজানের শেষ দশ দিনে রাতে জাগিয়ে দিতেন। [তিরমিজি : ৭৯৫।] রাসূল তার পরিবারকে কতটা গুরুত্ব প্রদান করতেন, এ হাদিসটি থেকে তা প্রমাণিত হয়, কারণ, তিনি এ সময়ে গৃহে অবস্থান করতেন না, মসজিদে এতেকাফরত থাকতেন।

আয়েশা রা. বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশ দিন অনেককে সাথে নিয়ে যাপন করতেন। বলতেন : রমজানের শেষ দশ দিনে তোমরা কদরের রাত অনুসন্ধান কর। [বোখারি : ২০২০।]

আবু যর রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : ...অত:পর মাসের তিন দিন অবশিষ্ট অবধি তিনি আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন না। তৃতীয় দিনে তিনি আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন, তার পরিবার ও স্ত্রী-গণকে আহবান করলেন, এতটা দীর্ঘ সময় তিনি জাগরণ করলেন যে, আমরা সেহরি পরিত্যাগের আশঙ্কা করলাম। [তিরমিজি : ৮০৬, হাদিসটি সহি।] অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে : চার দিন অবশিষ্ট থাকা পর্যন্তও তিনি আমাদের নিয়ে রাত্রি যাপন করলেন না। অত:পর যখন অবশিষ্ট ছিল মাত্র তিন দিন, তখন তিনি তার কন্যা ও স্ত্রীদের নিকট সংবাদ পাঠালেন, এবং লোকেরা জমায়েত হল। তিনি আমাদের নিয়ে এতটা সময় জাগরণ করলেন যে, সেহরি ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা হল। [নাসায়ি ১৩৬৪, হাদিসটি সহি।]

জয়নব বিনতে উম্মে সালামা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : যখন মাসের মাত্র দশ দিন অবশিষ্ট থাকত, তখন পরিবারের সক্ষম সকলকে রাসূল রাত্রি জাগরণ করাতেন। [মারওয়াজি : কিয়ামু রমজান : ৩১।]

তারাবীহের জামাতে নারীদের অংশ গ্রহণের বৈধতা সম্পর্কে হাদিসগুলো স্পষ্ট প্রমাণ ; তবে ‘তাদের গৃহই তাদের জন্য উত্তম’। [আবু দাউদ : ৫৬৭, হাদিসটি সহি।]

গৃহে যে নারী সালাত আদায়ে পূর্ণ মনোযোগি নয়, তার জন্য মসজিদে উপস্থিত হওয়া আবশ্যক, অনৈতিকতা ও ফেতনা আশঙ্কা না হলে, নারী যদি শালীনভাবে, উগ্রতা পরিহার করে পর্দা আবৃত হয়ে গমন করে, তবে, এ ক্ষেত্রে নারীর অভিভাবক তাতে বাধা প্রদান করতে পারবে না। রাসূলের হাদিসে এসেছে :—

لا تمنعوا إماء الله مساجد الله .

নারীদের মসজিদ গমনে বাধা প্রদান কর না। [বোখারি : ৮৫৮।]

উমর রা. অতুলনীয় পদ্ধতিতে আল্লাহর বিধান পালনে প্রয়াস চালিয়েছেন। ইবনে উমর বর্ণনা করেন : উমর রা.-এর কালে এক নারী এশা ও ফজরের সালাত মসজিদে এসে জামাতের সাথে আদায় করত। তাকে বলা হল : উমরের অপছন্দ ও মর্যাদাহানীকর মনে করা সত্ত্বেও কেন তুমি বের হও ? নারী বলল : সে আমাকে বাধা দিচ্ছে না কেন ? লোকটি বলল : কেননা, রাসূলের স্পষ্ট হাদিস আছে যে : তোমরা নারীদের মসজিদে গমনে বাধা প্রদান কর না। [আবু দাউদ : ৫৬৭, হাদিসটি সহি।]

স্ত্রীদের সাথে রাসূলের আচরণ, তাদের শিক্ষা, নসিহত ও উপদেশ দান দ্বীনের ক্ষেত্রে ক্রমশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া—ইত্যাদি হাদিসের মাধ্যমে তার অধিক সংখ্যক স্ত্রী গ্রহণের হিকমত আমরা অনুধাবন করতে পারি। অন্যান্য ক্ষেত্রে উম্মতকে দিক নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি নারীদের সাথে ব্যবহার, আচার-পদ্ধতি, দিক নির্দেশনা প্রদানও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। রাসূল যদি তাদের ব্যাপারে এমন ব্যাপক গুরুত্ব প্রদান না করতেন, তবে সামগ্রিকভাবে ইসলামকে নারীগণ কখনোই অনুধাবন করতে সক্ষম হতেন না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন