hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাসূল যেভাবে রমজান যাপন করেছেন

লেখকঃ ফায়সাল বিন আলী আল বা’দানী

২৭
রমজান মাসে রাসূলের জেহাদ
রমজান হত রাসূলের জন্য পরীক্ষা, ব্যয় ও আত্মদানের মাস। এ মাসে তিনি বিভিন্ন জেহাদ ও সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতেন। রমজানে একই সাথে তিনি সশরীরে অংশ নিয়েছেন যুদ্ধে, এবং বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য প্রেরণ করেছেন সেনাদল বা সারিয়া। [রাসূল স্বশরীরে যে যুদ্ধে অংশ নিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন, তাকে বলা হয় ‘গাযওয়া’। আর যেখানে কেবল সেনাদল প্রেরণ করেই যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন, স্বশরীরে অংশ নেননি, তাকে বলা হয় ‘সারিয়া’।]

আবু সাইদ খুদরি হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : রমজানের ষোলো তারিখে আমরা রাসূলের সাথে যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। আমাদের কেউ কেউ রোজা রেখেছে, কেউ ভেঙ্গেছে। ভিন্ন শব্দে এসেছে—আমরা রাসূলের সাথে রমজানে যুদ্ধে অংশ নিতাম, আমাদের কেউ রোজা রাখত, কেউ রাখত না। রোজাদার আহারকারীর উপর ক্ষোভ পোষণ করত না, এবং আহারকারীও রোজাদারের উপর ক্ষোভ পোষণ করত না। [মুসিলম : ১১১৬।]

উমর বিন খাত্তাব রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমরা রাসূলের সাথে রমজান মাসে দুটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছি—বদর ও মক্কা বিজয়। এ উভয় যুদ্ধে আমরা পানাহার করেছি। [তিমমিজি : ৭১৪।]

এমনকি গাযওয়ায়ে তাবুকে—যে যুদ্ধে আরব উপদ্বীপের দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে ইসলামের সালতানাত সুদৃঢ় হয়েছে, নবম হিজরিতে যে যুদ্ধে রাসূল মদিনা হতে বের হয়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন রমজানে,— সেটিও সংগঠিত হয় রমজান মাসে। [ইবনে সাদ : তাবাকাত : খন্ড : ২, পৃষ্ঠা : ১৬৫-১৬৭।]

স্বশরীরে অংশ না নিয়ে রাসূল এ মাসে বিভিন্ন যুদ্ধ দল নানাস্থানে জেহাদের অংশগ্রহণের জন্য প্রেরণ করেছেন। শাম হতে প্রত্যাবর্তনকারী কোরাইশি কাফেলার মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রেরণ করেন হামজা বিন আব্দুল মোত্তালেব উপদলকে, এ ছিল প্রথম হিজরির রমজান মাসের ঘটনা। [ওয়াকিদি, মাগাযি : খন্ড ১, পৃষ্ঠা : ৯। তাবাকাত ইবনে সাদ : খন্ড : ২, পৃষ্ঠা : ৬।] হিজরি দ্বিতীয় বর্ষের রমজান মাসে, বদর যুদ্ধের পর তিনি প্রেরণ করেন আমর বিন আদির উপদল, এদের উদ্দেশ্য ছিল আসামা বিনতে মারওয়ানকে খুন করা, যে তা রচিত কবিতা দিয়ে নিন্দা করে বেড়াত ইসলামের, প্ররোচনা দিত মুসলমানদের নানাভাবে। [ওয়াকিদি, মাগাযি : খন্ড ১, পৃষ্ঠা : ১৭৪। তাবাকাত ইবনে সাদ : খন্ড : ২, পৃষ্ঠা : ২৭।] সপ্তম হিজরিতে রমজান মাসে প্রেরণ করেন আব্দুল্লাহ বিন আবি আতিক এর যুদ্ধ উপদল, যাদের প্রেরণ করা হয়েছিল খন্দকের যুদ্ধে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গোত্র-উপদলকে ঐক্যবদ্ধ-সংগঠিতকারী আবু রাফে বিন সালাম বিন আবিল হুকাইককে হত্যা করতে। [ওয়াকিদি, মাগাযি : খন্ড ১, পৃষ্ঠা : ৩৯৫। তাবাকাত ইবনে সাদ : খন্ড : ২, পৃষ্ঠা : ৯১।]

ফাতহে মক্কার যুদ্ধে রাসূলের অবস্থানের ব্যাপারে কোরাইশের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য হিজরি চতুর্থ বর্ষে রমজানে আবু কাতাদা বিন রবয়ির উপদল প্রেরণ করা হয়। একই বর্ষে রমজানে যথাক্রমে উজ্জা, সুয়া ও মানাত ধ্বংস করার জন্য প্রেরণ করা হয় খালিদ বিন ওয়ালিদ ও আমর বিন আস এবং সাদ বিন যায়েদ আশহালির উপদল তিনটিকে।

অন্যান্য এবাদত অব্যাহত রেখেও রাসূল ও তার সাহাবিগণের এ ধরনের সম্মুখ সমরে অংশ গ্রহণ প্রমাণ করে রোজা পালন ব্যক্তির মাঝে এক ইতিবাচক প্রেরণা ও শক্তি জোগায়, যা একই সাথে শারীরিক ও আন্তর স্বতঃস্ফূর্ততার জন্ম দিয়ে ব্যক্তিকে করে তোলে চূড়ান্ত কল্যাণকামী।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও পুণ্যবান সাহাবাদের এ আদর্শ প্রমাণ করে জেহাদ ও এবাদত এবং আল্লাহর তাআলার মহববত ও তার মহত্ত্ব, আদেশ-নিষেধের মাঝে সুদৃঢ় সম্পর্ক—এগুলোই হচ্ছে সত্যবাদী মুজাহিদদের অবশ্য অর্জনীয় গুণ। দ্বীনের পথে মুজাহিদদের গুণ বর্ণনা প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন:—

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ مَن يَرْتَدَّ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَلاَ يَخَافُونَ لَوْمَةَ لآئِمٍ ذَلِكَ فَضْلُ اللّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَاءُ وَاللّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ . [ المائدة : 54]

হে ইমানদারগণ ! তোমাদের মাঝে কেউ যদি তার দ্বীন হতে ফিরে যায়, তবে অচিরে আল্লাহ তাআলা এমন এক জাতি পাঠাবেন, যাদের তিনি পছন্দ করেন, তারাও তাকে পছন্দ করে। যারা মোমিনদের ব্যাপারে হবে বিনম্র, কিন্তু কাফেরদের উপর হবে কঠোর। তারা আল্লাহর পথে জিহাদে অংশ নিবে, নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবে না, এ আল্লাহর ফজিলত, যাকে ইচ্ছা তিনি তা দান করেন।

আর আল্লাহ প্রশস্ত, সর্বজ্ঞ। [সূরা আল মায়েদা : আয়াত ৫৪।]

একই সাথে, পার্থিব প্রবৃত্তির আস্বাদে যারা বিভোর, ভুলে আছে যারা তাআত ও আনুগত্যের যাবতীয় অনুসঙ্গ, তাদের প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন :—

قُلْ إِن كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَآؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ اللّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُواْ حَتَّى يَأْتِيَ اللّهُ بِأَمْرِهِ وَاللّهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ [ التوبة : 24].

আপনি বলুন, তোমাদের নিকট যদি আল্লাহ, তার রাসূল, এবং আল্লাহর পথে জেহাদ অপেক্ষা অধিক প্রিয় হয় তোমাদের পিতা, সন্তান-সন্ততি, তোমাদের ভ্রাতা, পত্নী, তোমাদের স্ব-গোষ্ঠী, অর্জিত সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, যার মন্দাকালের আশঙ্কা কর, এবং তোমাদের বাসস্থান, যা তোমরা পছন্দ কর, তাহলে অপেক্ষা কর আল্লাহর বিধান আসা অবধি। আল্লাহ ফাসেক কওমকে হেদায়েত করেন না। [সূরা তওবা : আয়াত ২৪।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন