hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাসূল যেভাবে রমজান যাপন করেছেন

লেখকঃ ফায়সাল বিন আলী আল বা’দানী

ভূমিকা
الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على سيد الأنبياء وإمام المرسلين، وعلى آله وصحبه أجمعين، وبعد :

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তার প্রেরিত নবি মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণের আদেশ প্রদান করেছেন, আবশ্যক করেছেন তার আনুগত্য। পবিত্র কোরানে আল্লাহ তাআলা বলেন—

وَمَا آَتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا .

রাসূল তোমাদের যা প্রদান করেছেন, তা গ্রহণ কর, যে বিষয়ে নিষেধ করেছেন, তা বর্জন কর। [সূরা হাশর : আয়াত—৭]

অপর স্থানে বলেছেন—

مَنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ وَمَنْ تَوَلَّى فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا .

যে ব্যক্তি রাসূলের অনুসরণ করবে, সে আল্লাহরই অনুসরণ করবে, আর যে পিছু হটবে—আমি আপনাকে তাদের রক্ষাকারী হিসেবে প্রেরণ করিনি। [সূরা নিসা : আয়াত—৮০]

রাসূলের অনুসরণ ও তার আনুগত্য-এতাআতকে আল্লাহ পাক তার প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন ও ঘোষণা স্বরূপ নিরূপণ করেছেন। কোরআনে এসেছে—

قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ .

আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস, তবে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন, তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। [সূরা আলে ইমরান : আয়াত—৩১]

রাসূল আমাদের জানিয়েছেন—আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা এবং ফলশ্রুতিতে তার প্রেরিত রাসূলের আদেশ-নিষেধের অনুবর্তন বান্দার যাবতীয় আমল কবুল হওয়া এবং জান্নাত লাভের জন্য শর্ত। হাদিসে এসেছে—

من عمل عملا ليس عليه أمرنا فهو رد .

কোন ব্যক্তি যদি এমন কাজ করে, যা আমাদের দ্বীন সমর্থিত নয়, তা পরিত্যাজ্য। [মুসলিম—১৭১৮]

অপর স্থানে এসেছে—

كل أمتي يدخلون الجنة إلا من أبى , قالوا : يا رسول الله و من يأبى ؟ قال : من أطاعني دخل الجنة , و من عصاني فقد أبى .

আমার উম্মতের সকলে জান্নাতে প্রবেশ করবে—অস্বীকারকারী ব্যতীত। সকলে প্রশ্ন করল : হে আল্লাহর রাসূল ! অস্বীকারকারী কে ? রাসূল বললেন: যে ব্যক্তি আমার অনুসরণ করল, সে জান্নাতে প্রবেশ করল, আর যে আমার অবাধ্য হল, সে-ই অস্বীকার করল। [বোখারি—৭২৮০]

রাসূলের প্রতি এ আত্মিক সমর্পণ, তার সর্বৈব অনুসরণ-অনুবর্তন, নিরঙ্কুশ সম্মতি, পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ ব্যতীত কোনভাবেই সম্ভব নয়—জীবনের সকল ক্ষেত্রে, সকল অনুষঙ্গে : প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে; বাধামুক্ত হয়ে, বিরোধিতা-প্রতিরোধহীনভাবে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন—

فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا .

আল্লাহর শপথ ! তাদের অভ্যন্তরীণ বিরোধপূর্ণ বিষয়ে আপনাকে বিধায়ক (ফায়সালাকারী) হিসেবে মান্য করা, এবং তৎপরবর্তী অবস্থায় তাদের মনে আপনার বিধানের প্রতি খেদ জন্মানো ও পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ ব্যতীত তাদের ইমান পূর্ণাঙ্গ হবে না। [সূরা নিসা : আয়াত—৬৫]

রাসূলের প্রতি এই আত্মিক সমর্পণ, তার আদেশ-নিষেধের অনুবর্তনের মৌলিক চালক হবে তার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জ্ঞাপন, ও স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসাকে আশ্রয় করে। কারণ, হাদিসে এসেছে, রাসূল বলেছেন—

لا يؤمن أحدكم حتى أكون أحب إليه من والده و ولده والناس أجمعين .

পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও তাবৎ মানুষের তুলনায় আমি তোমাদের নিকট অধিক প্রিয় হওয়া ব্যতীত তোমাদের কারো ইমান পূর্ণাঙ্গ হবে না— হাদিসটির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে হাফেজ ইবনে রজব মন্তব্য করেন—বিশুদ্ধ প্রেম ও ভালোবাসা প্রিয় বিষয়গুলো পছন্দ করা এবং অপ্রিয় বিষয়গুলোকে সর্বান্তঃকরণে ঘৃণা করার ক্ষেত্রে অনুসরণ-অনুবর্তন ও অবিকলতার দাবি করে। [ইবনে কাসির : তাফসিরুল কোরআনিল আযিম ; খন্ড : ১, পৃষ্ঠা : ৫২১] ইবনে হাজার বলেন—মহববত ও ভালোবাসা হিসেবে এ স্থানে উদ্দেশ্য নিরঙ্কুশ ও স্বেচ্ছাপ্রণোদিত ভালোবাসা। স্বভাবত ও প্রাকৃত যে ভালোবাসা—তা উদ্দেশ্য নয়, ইমাম খাত্তাবি এ মতই পোষণ করতেন। [ইবনে হাজার : ফতহুল বারি ; খন্ড : ১, পৃষ্ঠা : ৫৯]

সে মহান ও সৌভাগ্য-মন্ডিত স্তরে উন্নীত হওয়ার একমাত্র পথ ও পাথেয় হচ্ছে জীবনের সর্বক্ষেত্রে, যাবতীয় আনুষঙ্গিকতায় রাসূলের পূর্ণাঙ্গ জীবন-পদ্ধতি ও বিশুদ্ধ নীতিমালা সম্পর্কে জানা ও পালন করার অভ্যাস গড়ে তোলা। রাসূলের হেদায়েতের সাথে বান্দার ক্রমান্বয় নৈকট্য অর্জন ও তার সুন্নত অনুসারে দ্বীন-আমল সম্পাদন উঁচু ও সম্মানিত স্থান লাভের মজবুত সিঁড়ি, যা বেয়ে মানুষ তার মনুষ্য জীবনের পূর্ণতায় আরোহণ করে। তাই, এ মৌলনীতির ভিত্তিতে আল্লাহ তাআলা রাসূলকে মানুষের জন্য ইমাম ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছেন—আল্লাহ তাআলা বলেন :—

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآَخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا .

তোমাদের জন্য আল্লাহর প্রেরিত রাসূলের মাঝে রয়েছে উত্তম আদর্শ—যে আল্লাহ ও পরকাল দিবসের কামনা করে, এবং আল্লাহকে অধিক-হারে স্মরণ করে। [সূরা আহযাব : আয়াত—২১]

ইসলামে রমজান মাস যেহেতু এবাদত ও এবাদতের অভ্যাস গড়ে তোলার একটি উত্তম ও কার্যকরী সময়, বান্দার জন্য আল্লাহ তাআলার নৈকট্য প্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ—মানুষ যা রাসূলের অনুসরণ ও ইত্তেবার মাধ্যমে হাসিল করতে পারে, তাই এ বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞানার্জনের জন্য রাসূলের নীতি ও পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞানলাভ অতীব প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। রাসূল তার জীবনে যে নয়টি রমজান পালন করেছেন, রমজান পালন ও তাতে এবাদত সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় বান্দাদের সামনে তুলে ধরেছেন ; আমাদের তাই কর্তব্য, এ বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ জ্ঞান লাভ করা, এবং সে অনুসারে আমলে ব্রতী হওয়া।

রাসূলের রমজান পালন ও তাতে এবাদত পালন সম্পর্কে জ্ঞাতব্য বিষয়গুলোকে আমরা চারটি পরিচ্ছেদে ভাগ করতে পারি। যথা :

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রমজান-পূর্ব সময় যাপন

রমজানে রব তাআলার সাথে রাসূলের আচরণ

রমজানের স্ত্রী ও সহধর্মিণীদের সাথে আচরণ

রমজানে উম্মতের সাথে আচরণ

বইটি রচনার ক্ষেত্রে আমি যে বিষয়টির প্রতি অধিক মনোযোগ প্রদান করেছি—বলা যায়, নীতিমালা হিসেবে মান্য করেছি, তা এই যে, পুরো বইয়ে হাদিসের রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখের ক্ষেত্রে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য হাদিস ব্যতীত অন্য কোন হাদিস স্থান দেইনি। যুগের সেরা ও সর্ব-মান্য হাদিসবেত্তাদের—যেমন শায়েখ আলবানী, শায়েখ শুয়াইব—কর্তৃক স্বীকৃত ও উল্লেখিত হওয়ার পরই কেবল আমি তাকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করেছি। তবে, এক্ষেত্রে, সচেতনভাবেই বাহুল্য বর্জন করেছি, কলেবর বৃদ্ধি ও টীকা-টিপ্পনিতে জর্জরিত না করে পাঠকের জন্য সহজ-পাঠ্য করাই ছিল আমার লক্ষ্য।

যারা আমাকে এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন, তাদের সকলের প্রতি আমি সবিশেষ কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাআলার কাছে, সহযোগিতা, সৎপথ ও তওফিক কামনা করি, সার্বিকভাবে, আমার যাবতীয় কর্ম, এবং বিশেষভাবে এই কিতাব কবুলের জন্য তার কাছে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা জানাই। নিশ্চয় তিনি দানশীল, দয়ার্দ্র, মহানুভব।

و صلي الله على محمد و على آله و صحبه أجمعين .

লেখক—

২০/৬/১৪২৮ হিজরি, রিয়াদ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন