hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

জান্নাতের পথ

লেখকঃ মুহাম্মাদ মুনিরুজ্জামান বিন আশরাফ আলী

ভূমিকা
জান্নাতের পথ কিতাবটি প্রকাশ করতে পেরে আমি মহান আল্লাহর কাছে অসংখ্য অগণিত শুকরিয়া আদায় করছি। আমি তাঁর একজন নগণ্য বান্দা। তিনি তৌফিক না দিলে আমার মত নগণ্য একজন বান্দার পক্ষে বিষয়টি সাজানো সম্ভব হতো না। মহান আল্লাহর অসীম অনুগ্রহে কয়েক বছর থেকে কুরআন-হাদীস বুঝে বুঝে অধ্যয়ন করার চেষ্টা করছি মাত্র। এর পূর্বে জীবনের বেশ কয়েক বছর আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস পড়া ও লেখার কাজে ব্যয় করেছি। অতঃপর মহান আল্লাহ তা‘আলা অত্যন্ত মেহেরবানী করে সেই পথ থেকে আমাকে কুরআন-সুন্নাহর দিকে ধাবিত করেছেন।

কয়েক বছর থেকে কুরআন-হাদীস, বিষয়ভিত্তিক ইসলামী গ্রন্থ ও নির্ভরযোগ্য ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন, বিভিন্ন ইসলামী ব্যক্তিত্বদের বক্তৃতা শোনার পাশাপাশি নিজের অযোগ্যতা সত্ত্বেও স্বল্প পরিসরে হলেও সুযোগ পেলে মসজিদে, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু মহলে কুরআন-হাদীসের বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছি। ইতিপূর্বে আনুমানিক ২০০৪ সাল থেকে স্বল্প পরিসরে বিভিন্ন আলেম-ওলামা ও ইসলামিক গবেষকদের বিভিন্ন দরস, ক্লাস, তাফসির, ইসলামিক আলোচনা ও ইসলামিক সেমিনারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কুরআন-হাদীসের দিকে ধাবিত হই। প্রথমে সেনাসদর প্রশাসনিক শাখার ঐতিহ্যবাহী লাল মসজিদের ও পরে ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুহতারাম মোঃ মাহমুদুল হক এবং দেশের মানুষদেরকে কুরআনের শিক্ষা প্রদান করার অভিপ্রায়ে মদীনা বিশ^বিদ্যালয়ের চাকুরী ছেড়ে চলে আসা এক মহান ব্যক্তির (যিনি বিভিন্ন মসজিদে কুরআনের শাব্দিক অনুবাদ শেখানোসহ কুরআনের আয়াত ব্যাখ্যা করে শোনাতেন) নিকট আমার কুরআন শেখার হাতেখড়ি। প্রায় ৩/৪ বছর তাদের সংস্পর্শে থেকে আমার জীবন সাধারণ সাহিত্য থেকে কুরআন-হাদীস ও ইসলামিক সাহিত্যের দিকে মোড় নিতে থাকে। ২০১০ সালের দিকে কুরআনের আরেক মহান শিক্ষক মুহতারাম কাজী মোঃ রেজাউর রহমান যিনি সপ্তাহে আটটি ক্লাসে (প্রতিদিন মাগরিব থেকে এশা পর্যন্ত বিভিন্ন মসজিদে এবং শুক্রবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের মসজিদে কুরআনের শাব্দিক অনুবাদ, সরল অনুবাদ শিখাতেন, উনার সাথে পরিচয় ঘটে। তারপর থেকে আনুমানিক এক-দেড় বৎসর প্রায় প্রতিদিনই আমি উনার ক্লাসে অংশগ্রহণ করতাম। পরবর্তীতে ২০১১ সালে ঢাকা টিএন্ডটি ভবনে কুরআনের ব্যাকরণ বিশেষজ্ঞ মুহতারাম মুহাম্মদ ইয়াহইয়া স্যারের মাল্টিমিডিয়ার সাহায্যে পরিচালিত ‘‘কুরআনীয় আরবী শিক্ষা’’ কোর্সে (যিনি বিনামূল্যে দীর্ঘদিন থেকে কুরআনের ব্যাকরণের উপর কোর্স করাতেন) অংশগ্রহণ করতাম। সেই সুবাদে ২০১২ সালে জাতিসংঘ মিশনে কঙ্গোতে আমাকে মসজিদের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেখানে আমি ১৩ মাস ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে কুরআন ও কুতুবুস সিত্তার গ্রন্থগুলি সাধ্যমত অধ্যয়ন, লগ্নজ্ঞান খুতবা ও ক্লাসের মাধ্যমে অন্যদের মাঝে প্রচারের সুযোগ পেয়ে যাই।

কুরআনুল কারীম অধ্যয়নের এক পর্যায়ে মুত্তাকীদের জন্য মহান আল্লাহর ঘোষিত পুরস্কারের বিষয়টি আমার অন্তরে গভীরভাবে দাগ কাটে। কেননা মহান আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনুল কারীমে মুত্তাকীদের জন্য অনেক পুরস্কারের কথা বলেছেন। বিষয়টা মাঝে মাঝেই আমি অন্যদের কাছে আলোচনা করি। কেননা পুরস্কার বা লাভের কথা জানলেই মানুষ আগ্রহী হয় এবং সেটা পাওয়ার জন্য চেষ্টা সাধনা করে। ২০১৬ সালে পবিত্র হজ্জ্বব্রত পালনের সময় মিনার শেষ দিনে আমার ছোট ভাই আবদুল মতিন আমাদের তাবুতে উপস্থিত হাজীদের উদ্দেশ্যে কিছু আলোচনা করার অনুরোধ করলে হামদ ও ছানার পর আমি এ বিষয়ে আলোচনা করতে শুরু করি। প্রায় তিনশত সম্মানিত হাজীদের সামনে আমি প্রায় দুই ঘণ্টা এ বিষয়ের উপর আলোচনা করি। বক্তৃতা শেষে অনেকেই প্রশংসা করলেন।

এরপর অনেকেই এ বিষয়ে বই লেখার অনুরোধ করলে তা আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে। তাই একদিন মনে হলো বিষয়টি সাজিয়ে কিতাব আকারে প্রকাশ করলে আগ্রহী ব্যক্তিরা পড়েও যেমন উপকৃত হতে পারবেন তেমনি খতিব ও দায়ীরা খুতবায়, দাওয়াতী আলোচনায় ও বক্তৃতায় বিষয়টি জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে পারবেন। এতে করে আমিও মহান আল্লাহর কাছে কিছু সওয়াব পাব ইন-শা-আল্লাহ। তাই কেবলমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তাঁরই কালাম মহাগ্রন্থ আল কুরআনের কিছু কথা মুত্তাকী হয়ে জান্নাত পেতে ইচ্ছুক মুসলিম ভাই/বোনদের উদ্দেশ্যে সাজিয়ে দিলাম মাত্র। এর যা কিছু ভাল তা আল্লাহর দান আর এর ভুল-ত্রুটি ও ঘাটতি তা আমার অপারগতা। তারপরও মহান আল্লাহর কাছে দু‘আ করি আল্লাহ যেন তাঁর এই নগণ্য বান্দার লেখাটাকে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে কবুল করেন। পড়ার সময় ভুল পেলে যে কেউ আমাকে ফোনে জানালে পরবর্তীতে সংশোধন করে দেয়ার চেষ্টা করব ইন-শা-আল্লাহ। মহান আল্লাহ যেন আমাদের পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোনসহ পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া সকল আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও মুমিন নর-নারীদের জীবনের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেন এবং যারা এখনও বেঁচে আছে তাদেরকে জান্নাতের উপযুক্ত হওয়ার জন্য তৌফিক দান করেন। আমিন

* কুরআন, হাদীস ও নির্ভরযোগ্য ইসলামী বই পড়ুন- জ্ঞান ও নেকী দুটোই অর্জন করুন।

* প্রিয়জনকে ইসলামী বই পড়তে/উপহার দিয়ে দাওয়াতী কাজে অংশগ্রহণ করে মৃত্যুর পরও নেকী অর্জনের ব্যবস্থা করুন।

সকল মুসলিম ভাই-বোনের দু‘আপ্রার্থী

মুহাম্মাদ মুনিরুজ্জামান বিন আশরাফ আলী

গৌরীপুর, শেরপুর সদর, শেরপুর-২১০০।

মোবাইলঃ ০১৯১২-০৩১৮৪৭।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন