hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

জান্নাতের পথ

লেখকঃ মুহাম্মাদ মুনিরুজ্জামান বিন আশরাফ আলী

কিয়ামত দিবসের ভয়াবহতা
কিয়ামতের ভয়াবহতা সম্পর্কে কুরআন মাজীদ ও সহীহ হাদীসে অনেক বর্ণনা এসেছে তার মধ্যে এখানে কয়েকটি আয়াত উল্লেখ করা হলো। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَاتَّقُوْا يَوْمًا لَّا تَجْزِيْ نَفْسٌ عَنْ نَّفْسٍ شَيْئًا وَّلَا يُقْبَلُ مِنْهَا شَفَاعَةٌ وَّلَا يُؤْخَذُ مِنْهَا عَدْلٌ وَّلَا هُمْ يُنْصَرُوْنَ

তোমরা সেই দিনকে ভয় কর যেদিন কেউ কারোর কোন উপকারে আসবে না, কারোর পক্ষ থেকে কোন সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না, কারোর পক্ষ থেকে কোন বিনিময় গ্রহণ করা হবে না, কাউকে কোন দিক থেকে সাহায্যও করা হবে না। (সূরা ২/বাকারাঃ ৪৮)

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّكُمْ وَاخْشَوْا يَوْمًا لَّا يَجْزِيْ وَالِدٌ عَنْ وَّلَدِه وَلَا مَوْلُوْدٌ هُوَ جَازٍ عَنْ وَّالِدِه شَيْئًا اِنَّ وَعْدَ اللهِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَلَا يَغُرَّنَّكُمْ بِاللهِ الْغَرُوْرُ

হে লোকসকল! তোমরা তোমাদের রবকে ভয় করো এবং সেই দিনকে ভয় করো, যেদিন পিতা তার পুত্রের কোন কাজে আসবে না, পুত্রও পিতার কোন কাজে আসবে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহর ওয়াদা সত্য। অতএব দুনিয়ার জীবন যেন তোমাকে ধোঁকায় ফেলে না দেয় আর মহাপ্রতারক (শয়তান)ও যেন তোমাকে প্রতারিত করতে না পারে। (সূরা ৩১/লোকমানঃ ৩৩)

সূরা নং ৮০, সূরা আবাসা এর ৩৩ থেকে ৩৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,

فَاِذَا جَآءَتِ الصَّآخَّةُ

অতঃপর যেদিন কান ফাটানো নাদ বাজবে,

يَوْمَ يَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ اَخِيْهِ

সেদিন মানুষ পলায়ন করবে তার ভাই থেকে

وَاُمِّه وَاَبِيْهِ وَصَاحِبَتِه وَبَنِيْهِ

তার মা, তার পিতা, তার সাথী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে।

لِكُلِّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ يَوْمَئِذٍ شَأْنٌ يُّغْنِيْهِ

সেদিন প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে এমনভাবে চিন্তায় আচ্ছন্ন থাকবে যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে।

সূরা নং ৭০, সূরা মাআরিজ এর ৮ থেকে ১৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,

يَوْمَ تَكُوْنُ السَّمَآءُ كَالْمُهْلِ وَتَكُوْنُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ

যেদিন আকাশ হবে গলিত তামার মতো এবং পর্বতসমূহ হবে রঙ্গীন পশমের মতো।

وَلَا يَسْاَلُ حَمِيْمٌ حَمِيْمًا -- ‐ يُبَصَّرُوْنَهُمْ

অন্তরঙ্গ বন্ধুও তার প্রাণের বন্ধুকে কিছু জিজ্ঞাসা করবে না যদিও একে অপরকে দেখতে পাবে।

يَوَدُّ الْمُجْرِمُ لَوْ يَفْتَدِيْ مِنْ عَذَابِ يَوْمِئِذٍ ۢبِبَنِيْهِ وَصَاحِبَتِه وَاَخِيْهِ وَفَصِيْلَتِهِ الَّتِيْ تُؤْوِيْهِ

গোনাহগার ব্যক্তি সেদিন বিনিময়স্বরূপ দিতে চাইবে তার সন্তান-সন্ততিকে, তার স্ত্রীকে, তার ভাইকে, তার জাতি-গোষ্ঠীকে- যারা তাকে আশ্রয় দিত।

وَمَنْ فِي الْاَرْضِ جَمِيْعًا ثُمَّ يُنْجِيْهِ

এমনকি পৃথিবীর সবকিছু দিয়েও নিজেকে রক্ষা করতে চাইবে।

كَلَّاۤ اِنَّهَا لَظٰى نَزَّاعَةً لِّلشَّوٰى

কখনই নয়। নিশ্চয় এটা লেলিহান আগুন যা চামড়া তুলে দিবে।

সূরা নং ২২, সূরা আল হজ্জ এর ১ ও ২ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّكُمْۚ اِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيْمٌ

হে লোকসকল! তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, নিশ্চয় কিয়ামতের প্রকম্পন একটি ভয়ংকর ব্যাপার।

يَوْمَ تَرَوْنَهَا تَذْهَلُ كُلُّ مُرْضِعَةٍ عَمَّاۤ اَرْضَعَتْ وَتَضَعُ كُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا وَتَرَى النَّاسَ سُكَارٰى وَمَا هُمْ بِسُكَارٰى وَلٰكِنَّ عَذَابَ اللهِ شَدِيْدٌ

যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন প্রত্যেক স্তনধাত্রী মা তার দুধের শিশুকে ভুলে যাবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী নারী তার গর্ভপাত করে ফেলবে এবং মানুষকে তুমি দেখবে মাতালের মত অথচ তারা মাতাল নয়, বস্তুতঃ আল্লাহর আযাবই অত্যন্ত কঠিন।

فَاِذَا نُفِخَ فِي الصُّوْرِ نَفْخَةٌ وَّاحِدَةٌ (১৩) وَحُمِلَتِ الْاَرْضُ وَالْجِبَالُ فَدُكَّتَا دَكَّةً وَّاحِدَةً (১৪) فَيَوْمَئِذٍ وَّقَعَتِ الْوَاقِعَةُ (১৫) وَانْشَقَّتِ السَّمَآءُ فَهِيَ يَوْمَئِذٍ وَّاهِيَةٌ (১৬) وَالْمَلَكُ عَلٰۤى اَرْجَآئِهَا وَيَحْمِلُ عَرْشَ رَبِّكَ فَوْقَهُمْ يَوْمَئِذٍ ثَمَانِيَةٌ (১৭)

যখন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে, একটি মাত্র ফুৎকার, পৃথিবী ও পর্বতমালা উত্তোলিত হবে এবং এক ধাক্কায় সেগুলো চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে, সেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে। সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হয়ে শক্তিহীন হয়ে পড়বে এবং ফেরেশতাগণ আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে ও আটজন ফেরেশতা আপনার রবের আরশকে তাদের ঊর্ধ্বে বহন করবে। (সূরা ৬৯/আল হাক্কাহঃ ১৩-১৭)

فَاِذَا نُفِخَ فِي الصُّوْرِ فَلَاۤ اَنْسَابَ بَيْنَهُمْ يَوْمَئِذٍ وَّلَا يَتَسَآءَلُوْنَ

যখন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে, সেদিন তাদের পারস্পরিক আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অপরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না।

(সূরা ২৩/মুমিনুনঃ১০১)।

সূরা নং ৭৫, সূরা আল কিয়ামাহ এর ৭ থেকে ১৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,

فَاِذَا بَرِقَ الْبَصَرُ - وَخَسَفَ الْقَمَرُ وَجُمِعَ الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ

যখন দৃষ্টি চমকে যাবে, চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে এবং সূর্য ও চন্দ্রকে একত্রিত করা হবে।

يَقُوْلُ الْاِنْسَانُ يَوْمَئِذٍ اَيْنَ الْمَفَرُّ

সেদিন মানুষ বলবে, আজকে পলায়নের জায়গা কোথায়?

كَلَّا لَا وَزَرَ اِلٰى رَبِّكَ يَوْمَئِذِ الْمُسْتَقَرُّ

বলা হবে, না, কোথাও আশ্রয়স্থল নেই, আপনার পালনকর্তার কাছেই সেদিন ঠাই হবে।

يُنَبَّاُ الْاِنْسَانُ يَوْمَئِذٍ ۢبِمَا قَدَّمَ وَاَخَّرَ

সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে, সে যা সামনে প্রেরণ করেছে ও পিছনে কি ছেড়ে এসেছে।

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

وَنَضَعُ الْمَوَازِيْنَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًاؕ وَّاِنْ كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ اَتَيْنَا بِهَاؕ وَكَفٰى بِنَا حَاسِبِيْنَ

আমি কিয়ামতের দিন ন্যায় বিচারের মানদন্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারও প্রতি সামান্যতমও যুলুম করা হবে না। যদি কোন আমল (ভাল ও মন্দ) সরিষার দানা পরিমাণও হয়, আমি তা উপস্থিত করব এবং হিসাব গ্রহণের জন্য আমিই যথেষ্ট। (সূরা ২১/আম্বিয়াঃ ৪৭)

সূরা নং ৪৪, সূরা দুখান এর ৪০ থেকে ৫০ আয়াতে আল্লাহ বলেন,

اِنَّ يَوْمَ الْفَصْلِ مِيْقَاتُهُمْ اَجْمَعِيْنَ

নিশ্চয় ফয়সালার দিনটি তাদের সকলের জন্যই নির্ধারিত সময়।

يَوْمَ لَا يُغْنِيْ مَوْلًى عَنْ مَّوْلًى شَيْئًا وَّلَا هُمْ يُنْصَرُوْنَ

সেদিন এক বন্ধু অপর বন্ধুর কোন কাজে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না,

اِلَّا مَنْ رَّحِمَ اللهُ اِنَّهٗ هُوَ الْعَزِيْزُ الرَّحِيْمُ

সে ছাড়া যার প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেন। নিশ্চয় তিনিই মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।

اِنَّ شَجَرَتَ الزَّقُّوْمِ طَعَامُ الْاَثِيْمِ

নিশ্চয় যাক্কুম বৃক্ষ, পাপীদের খাদ্য,

كَالْمُهْلِ يَغْلِيْ فِي الْبُطُوْنِ

গলিত তামার মতো, তাদের পেটসমূহে ফুটতে থাকবে

كَغَلْيِ الْحَمِيْمِ

ফুটন্ত পানির মত।

خُذُوْهُ فَاعْتِلُوْهُ اِلٰى سَوَآءِ الْجَحِيْمِ

(বলা হবে) ওকে ধর, অতঃপর তাকে জাহান্নামের মধ্যস্থলে টেনে নিয়ে যাও।

ثُمَّ صُبُّوْا فَوْقَ رَأْسِه مِنْ عَذَابِ الْحَمِيْمِ

তারপর তার মাথার উপর ফুটন্ত পানির আযাব ঢেলে দাও।

ذُقْ اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِيْزُ الْكَرِيْمُ

(বলা হবে) স্বাদ গ্রহণ কর, নিশ্চয় তুমিই সম্মানিত, অভিজাত।

اِنَّ هٰذَا مَا كُنْتُمْ بِه تَمْتَرُوْنَ

নিশ্চয় এটা তা-ই যে বিষয়ে তোমরা সন্দেহ করতে।

এই সকল আয়াত ছাড়াও কুরআনুল কারীমের আরো অনেক আয়াত ও সহীহ হাদীসে কিয়ামতের ভয়াবহতা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা এসেছে যার সংক্ষিপ্ত সারমর্ম হলো - কিয়ামতের দিনটি এতটাই ভয়াবহ, ভয়ানক ও মারাত্মক দিন হবে যেদিন কেউ কাউকে চিনবে না। মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, নেতা-নেত্রী, পীর-মুরীদ, আলেম-ওলামা কেউ কারোর কোন কাজে আসবে না, সবাই পালিয়ে যাবে, কোন রকম সম্পর্ক রাখবে না। কোন সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না, কোন বিনিময়/ক্ষতিপূরণ নেয়া হবে না, কাউকে কোন দিক থেকেই সাহায্য করা হবে না। যার যার চিন্তায় সেই সেই ব্যস্ত থাকবে। জাহান্নামের আযাব আরো ভয়ংকর, আরো মারাত্মক যার অবস্থা বলে/লিখে বুঝানো সম্ভব নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন