hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

জান্নাতের পথ

লেখকঃ মুহাম্মাদ মুনিরুজ্জামান বিন আশরাফ আলী

মুত্তাকীদের পুরস্কার
কিয়ামতের সেই ভয়াবহ কঠিন দিনে আল্লাহ তার মুত্তাকী বানদাদের জন্য অনেক পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অর্থাৎ আল্লাহ সেদিন তার মুত্তাকী বান্দাদেরকে অনেক পুরস্কারে ভূষিত করবেন এবং তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা কুরআন মাজীদে বলেন,

يَوْمَ نَحْشُرُ الْمُتَّقِيْنَ اِلَى الرَّحْمٰنِ وَفْدًا

সেদিন মুত্তাকী বান্দাদেরকে দয়াময়ের কাছে সম্মানিত মেহমান হিসেবে একত্রিত করা হবে।

وَنَسُوْقُ الْمُجْرِمِيْنَ اِلٰى جَهَنَّمَ وِرْدًا

আর পাপীদেরকে পিপাসিত অবস্থায় জাহান্নামের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। (সূরা১৯/মারিয়ামঃ ৮৫-৮৬)

সূরা নং ২৬, সূরা শু’আরা এর ৮৮-৯১ আয়াতে আল্লাহ বলেন,

يَوْمَ لَا يَنْفَعُ مَالٌ وَّلَا بَنُوْنَ

যেদিন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোন উপকারে আসবে না।

اِلَّا مَنْ اَتَى اللهَ بِقَلْبٍ سَلِيْمٍ

তবে যে আল্লাহর কাছে আসবে সুস্থ্য অন্তর নিয়ে।

وَاُزْلِفَتِ الْجَنَّةُ لِلْمُتَّقِيْنَ

আর মুত্তাকীদের জন্য জান্নাতকে নিকটবর্তী করা হবে

وَبُرِّزَتِ الْجَحِيْمُ لِلْغَاوِيْنَ

এবং পথভ্রষ্টদের জন্য জাহান্নামকে উন্মোচিত করা হবে।

সূরা নং ৪৩, সূরা যুখরুফ এর ৬১-৭৩ আয়াতে আল্লাহ বলেন,

هَلْ يَنْظُرُوْنَ اِلَّا السَّاعَةَ اَنْ تَأْتِيَهُمْ بَغْتَةً وَّهُمْ لَا يَشْعُرُوْنَ

তারাতো তাদের অজ্ঞাতসারে অকস্মাৎ কিয়ামত আসার অপেক্ষা করছে।

اَلْاَخِلَّآءُ يَوْمَئِذٍ ۢبَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ اِلَّا الْمُتَّقِيْنَ

সেদিন বন্ধুরা একে অন্যের শত্রু হয়ে যাবে, মুত্তাকীরা ব্যতীত।

يَا عِبَادِ لَا خَوْفٌ عَلَيْكُمُ الْيَوْمَ وَلَاۤ اَنْتُمْ تَحْزَنُوْنَ (৬৮) اَلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا بِاٰيَاتِنَا وَكَانُوْا مُسْلِمِيْنَ

(বলা হবে) হে আমার বান্দাগণ! আজ তোমাদের (মুত্তাকীদের) কোন ভয় নেই এবং তোমরা চিন্তিতও হবে না যারা আমার আয়াতে ঈমান এনেছিলে এবং যারা ছিল মুসলিম।

اُدْخُلُوا الْجَنَّةَ اَنْتُمْ وَاَزْوَاجُكُمْ تُحْبَرُوْنَ

তোমরা সস্ত্রীক সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর।

يُطَافُ عَلَيْهِمْ بِصِحَافٍ مِّنْ ذَهَبٍ وَّاَكْوَابٍ وَّفِيْهَا مَا تَشْتَهِيْهِ الْاَنْفُسُ وَتَلَذُّ الْاَعْيُنُ وَاَنْتُمْ فِيْهَا خَالِدُوْنَ

স্বর্ণখচিত থালা ও পানপাত্র নিয়ে তাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হবে, সেখানে তাদের মন যা চায় আর যাতে চোখ তৃপ্ত হয় তা-ই থাকবে এবং সেখানে তোমরা হবে স্থায়ী।

وَتِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِيْۤ اُوْرِثْتُمُوْهَا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ

আর এটিই সেই জান্নাত, নিজেদের আমলের ফলস্বরূপ তোমাদেরকে এর উত্তরাধিকারী করে দেয়া হয়েছে।

لَكُمْ فِيْهَا فَاكِهَةٌ كَثِيْرَةٌ مِّنْهَا تَأْكُلُوْنَ

সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে অনেক ফলমূল, যা থেকে তোমরা খাবে।

সূরা নং ৪৪, সূরা দুখান এর ৫১ থেকে ৫৯ আয়াতে আল্লাহ বলেন,

اِنَّ الْمُتَّقِيْنَ فِيْ مَقَامٍ اَمِيْنٍ فِيْ جَنَّاتٍ وَّعُيُوْنٍ

নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে নিরাপদ স্থানে, বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাধারার মধ্যে।

يَلْبَسُوْنَ مِنْ سُنْدُسٍ وَّاِسْتَبْرَقٍ مُّتَقَابِلِيْنَ

তারা পরিধান করবে পাতলা ও পুরু রেশমী বস্ত্র এবং বসবে মুখোমুখী হয়ে।

كَذٰلِكَ وَزَوَّجْنَاهُمْ بِحُوْرٍ عِيْنٍ

এরূপই ঘটবে, আর আমি তাদেরকে বিয়ে দেব ডাগর নয়না হুরদের সাথে।

يَدْعُوْنَ فِيْهَا بِكُلِّ فَاكِهَةٍ اٰمِنِيْنَ

সেখানে তারা প্রশান্তচিত্তে সকল প্রকারের ফলমূল আনতে বলবে।

لَا يَذُوْقُوْنَ فِيْهَا الْمَوْتَ اِلَّا الْمَوْتَةَ الْاُوْلٰى

প্রথম মৃত্যুর পর সেখানে তারা আর মৃত্যুবরণ করবে না।

وَوَقَاهُمْ عَذَابَ الْجَحِيْمِ

আর তিনি তাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবেন।

فَضْلًا مِّنْ رَّبِّكَ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ

তোমার রবের অনুগ্রহস্বরূপ, এটাই তো মহা সাফল্য।

فَاِنَّمَا يَسَّرْنَاهُ بِلِسَانِكَ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُوْنَ

অতঃপর আমিতো তোমার ভাষায় কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি, যাতে করে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।

فَارْتَقِبْ اِنَّهُمْ مُّرْتَقِبُوْنَ

অতএব তুমি অপেক্ষা কর, তারাও অপেক্ষাকারী।

সূরা নং ৫০, সূরা ক্বাফ এর ৩০-৩৫ আয়াতে আল্লাহ বলেন,

يَوْمَ نَقُوْلُ لِجَهَنَّمَ هَلِ امْتَلَأْتِ

সেদিন আমি জাহান্নামকে বলব, তুমি কি পরিপূর্ণ হয়ে গেছ?

وَتَقُوْلُ هَلْ مِنْ مَّزِيْدٍ

আর সে বলবে, আরো আছে কি?

وَاُزْلِفَتِ الْجَنَّةُ لِلْمُتَّقِيْنَ غَيْرَ بَعِيْدٍ

আর জান্নাতকে মুত্তাকীদের অদূরে, কাছেই আনা হবে।

هٰذَا مَا تُوْعَدُوْنَ لِكُلِّ اَوَّابٍ حَفِيْظٍ مَنْ خَشِيَ الرَّحْمٰنَ بِالْغَيْبِ وَجَآءَ بِقَلْبٍ مُّنِيْبٍ

এটাই, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল, প্রত্যেক আল্লাহ অভিমুখী অধিক সংরক্ষণশীলদের জন্য, যে ব্যক্তি দয়াময়কে না দেখেই ভয় করত এবং বিনীত অন্তর নিয়ে উপস্থিত হবে।

اُدْخُلُوْهَا بِسَلَامٍ ذٰلِكَ يَوْمُ الْخُلُوْدِ لَهُمْ مَّا يَشَآءُوْنَ فِيْهَا وَلَدَيْنَا مَزِيْدٌ

(বলা হবে) তোমরা তাতে শান্তির সাথে প্রবেশ কর, এটাই স্থায়িত্বের দিন। তারা যা চাইবে, সেখানে তাদের জন্য তাই থাকবে এবং আমার কাছে রয়েছে আরো অধিক।

وَاِنْ مِّنْكُمْ اِلَّا وَارِدُهَاۚ كَانَ عَلٰى رَبِّكَ حَتْمًا مَّقْضِيًّا

আপনার রবের অনিবার্য সিদ্ধান্ত প্রত্যেককেই সেদিন সিরাতের কাছে যেতেই হবে।

ثُمَّ نُنَجِّي الَّذِيْنَ اتَّقَوْا وَّنَذَرُ الظَّالِمِيْنَ فِيْهَا جِثِيًّا

আমি আমার মুত্তাকী বান্দাদেরকে উদ্ধার করব এবং অপরাধীদেরকে নতজানু অবস্থায় (জাহান্নামে) ফেলে দিব। (সূরা ১৯/ মারইয়ামঃ ৭১-৭২)

تِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِيْ نُوْرِثُ مِنْ عِبَادِنَا مَنْ كَانَ تَقِيًّا

এই সেই জান্নাত, আমি যার উত্তরাধিকারী করে দিব আমার বান্দাদের মধ্যে যারা মুত্তাকী। (সূরা১৯/মারিয়ামঃ ৬৩)।

وَسَارِعُوْاۤ اِلٰى مَغْفِرَةٍ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَجَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمَاوَاتُ وَالْاَرْضُ اُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِيْنَ

তোমরা (প্রতিযোগিতা করে) দৌড়ে আস তোমাদের রবের ক্ষমা আর সেই বিশাল জান্নাতের দিকে যার প্রশস্ততা আকাশ ও পৃথিবীর সমান, যা মুত্তাকীদের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। (সূরা৩/আলে ইমরানঃ ১৩৩)

সূরা নং ১৫, সূরা আল হিজর এর ৪৫-৪৯ আয়াতে আল্লাহ বলেন,

اِنَّ الْمُتَّقِيْنَ فِيْ جَنَّاتٍ وَّعُيُوْنٍ

নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাতে ও ঝর্ণাধারায়।

اُدْخُلُوْهَا بِسَلَامٍ اٰمِنِيْنَ

(তাদেরকে বলা হবে) তোমরা তাতে প্রবেশ কর শান্তির সাথে নিরাপদে।

وَنَزَعْنَا مَا فِيْ صُدُوْرِهِمْ مِّنْ غِلٍّ اِخْوَانًا عَلٰى سُرُرٍ مُّتَقَابِلِيْنَ

আর আমি তাদের অন্তর থেকে হিংসা বিদ্বেষ বের করে দেব, তারা সেখানে সুন্দর আসনে ভাই ভাই হয়ে মুখোমুখি বসবে।

لَا يَمَسُّهُمْ فِيْهَا نَصَبٌ وَّمَا هُمْ مِّنْهَا بِمُخْرَجِيْنَ

সেখানে তাদেরকে কোন রকম ক্লান্তি স্পর্শ করবে না এবং তারা সেখান থেকে বহিষ্কৃতও হবে না।

نَبِّئْ عِبَادِيْۤ اَنِّيْۤ اَنَا الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ

আমার বান্দাদের জানিয়ে দাও যে, নিশ্চয় আমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।



সূরা নং ৫১, সূরা আয যারিয়াত এর ১৫-১৯ আয়াতে আল্লাহ বলেন,

اِنَّ الْمُتَّقِيْنَ فِيْ جَنَّاتٍ وَّعُيُوْنٍ

নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাতসমূহে ও ঝর্ণাধারায়,

اٰخِذِيْنَ مَاۤ اٰتَاهُمْ رَبُّهُمْ

তাদের রব তাদের যা দিবেন তা তারা খুশি মনে গ্রহণ করবে।

اِنَّهُمْ كَانُوْا قَبْلَ ذٰلِكَ مُحْسِنِيْنَ

ইতঃপূর্বে এরাই ছিল সৎকর্মশীল।

كَانُوْا قَلِيْلًا مِّنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُوْنَ وَبِالْاَسْحَارِ هُمْ يَسْتَغْفِرُوْنَ

রাতের সামান্য অংশই এরা ঘুমিয়ে কাটাতো আর রাতের শেষ প্রহরে এরা ক্ষমা প্রার্থনা করত।

وَفِيْۤ اَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِّلسَّآئِلِ وَالْمَحْرُوْمِ

আর (খুশি মনে বিশ্বাস করত যে) তাদের ধন-সম্পদে প্রার্থী ও বঞ্চিতদের হক রয়েছে।

এই আয়াতগুলিতে মহান আল্লাহ তা‘আলা মুত্তাকীদের পুরস্কারের পাশাপাশি তাদের কয়েকটি গুণাবলীও বর্ণনা করেছেন। আর তা হলো-

(১) তারা সৎকর্মশীল অর্থাৎ কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে শিরকমুক্ত বিশুদ্ধ ঈমান আনার পাশাপাশি আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত এবং তাঁর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রদর্শিত ও দিক নির্দেশনা অনুযায়ী নেক কাজ করা।

(২) রাতে বেশি না ঘুমিয়ে অর্ধ রাতের পর থেকে সালাত (তাহাজ্জুদ) আদায়, কুরআন পাঠ করা ইত্যাদি শেষে শেষ রাতে আন্তরিকভাবে দু‘আ প্রার্থনা ও তওবা এস্তেগফার করা।

(৩) উত্তরাধিকারীদের যথাযথভাবে ধন-সম্পদ দিয়ে দেয়া ও গরিব, এতিম, মিসকিনদেরকে দান করা।

সূরা নং ৫২, সূরা তূর এর ১৭-২৮ আয়াতে আল্লাহ বলেন,

اِنَّ الْمُتَّقِيْنَ فِيْ جَنَّاتٍ وَّنَعِيْمٍ

নিশ্চয় মুত্তাকীরা (থাকবে) জান্নাতে ও প্রচুর নিয়ামতের মধ্যে।

فَاكِهِيْنَ بِمَاۤ اٰتَاهُمْ رَبُّهُمْ وَوَقَاهُمْ رَبُّهُمْ عَذَابَ الْجَحِيْمِ

তাদের রব তাদেরকে যা দিয়েছেন তা উপভোগ করবে, আর তাদের রব তাদেরকে জ্বলন্ত আগুনের আযাব থেকে বাঁচাবেন।

كُلُوْا وَاشْرَبُوْا هَنِيْٓئًا ۢبِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ

(বলা হবে) তোমরা তৃপ্তি সহকারে খাও ও পান কর, তোমরা যে আমল করতে তার বিনিময়ে।

مُتَّكِئِيْنَ عَلٰى سُرُرٍ مَّصْفُوْفَةٍ وَّزَوَّجْنَاهُمْ بِحُوْرٍ عِيْنٍ

সারিবদ্ধ পালঙ্কে তারা হেলান দিয়ে বসবে, আর আমি তাদেরকে ডাগরচোখা হুরদের সাথে মিলিয়ে দেব।

وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُمْ بِاِيْمَانٍ اَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَاۤ اَلَتْنَاهُمْ مِّنْ عَمَلِهِمْ مِّنْ شَيْءٍ

আর যারা ঈমান আনে এবং তাদের সন্তান-সন্ততি ঈমানের সাথে তাদের অনুসরণ করে, আমি তাদের সাথে তাদের সন্তানদের মিলন ঘটাব এবং তাদের কর্মের কোন অংশই কমাব না।

كُلُّ امْرِئٍ ۢبِمَا كَسَبَ رَهِيْنٌ

প্রত্যেক ব্যক্তি তার কামাইয়ের ব্যাপারে দায়ী থাকবে।

وَاَمْدَدْنَاهُمْ بِفَاكِهَةٍ وَّلَحْمٍ مِّمَّا يَشْتَهُوْنَ

আর আমি তাদেরকে অতিরিক্ত ফলমূল ও গোশত দেব যা তারা কামনা করবে।

يَتَنَازَعُوْنَ فِيْهَا كَأْسًا لَّا لَغْوٌ فِيْهَا وَلَا تَأْثِيْمٌ

তারা পরস্পরের মধ্যে পানপাত্র বিনিময় করবে; সেখানে থাকবে না কোন বেহুদা কথাবার্তা এবং কোন পাপকাজ।

وَيَطُوْفُ عَلَيْهِمْ غِلْمَانٌ لَّهُمْ كَاَنَّهُمْ لُؤْلُؤٌ مَّكْنُوْنٌ

আর তাদের সেবায় চারপাশে ঘুরবে বালকদল, তারা যেন সুরক্ষিত মণিমুক্তা।

وَاَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلٰى بَعْضٍ يَّتَسَآءَلُوْنَ

আর তারা একে অপরের মুখোমুখি হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

قَالُوْاۤ اِنَّا كُنَّا قَبْلُ فِيْۤ اَهْلِنَا مُشْفِقِيْنَ

তারা বলবে, পূর্বে (দুনিয়াতে) আমরা পরিবারের মধ্যে শঙ্কিত ছিলাম।

فَمَنَّ اللهُ عَلَيْنَا وَوَقَانَا عَذَابَ السَّمُوْمِ

অতঃপর আল্লাহ আমাদের প্রতি দয়া করেছেন এবং আগুনের আযাব থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন।

اِنَّا كُنَّا مِنْ قَبْلُ نَدْعُوْهُ اِنَّهٗ هُوَ الْبَرُّ الرَّحِيْمُ

নিশ্চয় পূর্বে আমরা তাঁকে ডাকতাম, নিশ্চয় তিনি ইহসানকারী, পরম দয়ালু।

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

اِنَّ الْمُتَّقِيْنَ فِيْ جَنَّاتٍ وَّنَهَرٍ - فِيْ مَقْعَدِ صِدْقٍ عِنْدَ مَلِيْكٍ مُّقْتَدِرٍ

নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাধারার মধ্যে। যথাযোগ্য আসনে, সর্বশক্তিমান মহাঅধিপতির নিকটে। (সূরা ৫৪/ক্বামারঃ ৫৪-৫৫)

اِنَّ لِلْمُتَّقِيْنَ عِنْدَ رَبِّهِمْ جَنَّاتِ النَّعِيْم

নিশ্চয় মুত্তাকীদের জন্য তাদের রবের কাছে রয়েছে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাত।

(সূরা ৬৮/ক্বলামঃ ৩৪)



সূরা নং ৭৭, সূরা মুরসালাত এর ৪১-৪৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন,

اِنَّ الْمُتَّقِيْنَ فِيْ ظِلَالٍ وَّعُيُوْنٍ

নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে ছায়া ও ঝর্ণাবহুল স্থানে,

وَفَوَاكِهَ مِمَّا يَشْتَهُوْنَ

আর নিজেদের বাসনানুযায়ী ফলমূল-এর মধ্যে।

كُلُوْا وَاشْرَبُوْا هَنِيْٓئًا ۢبِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ

(বলা হবে) তোমরা যে আমল করতে তার প্রতিদানস্বরূপ তৃপ্তির সাথে পানাহার কর।

اِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ

সৎকর্মশীলদেরকে আমি এমনই প্রতিদান দিয়ে থাকি।

সূরা নং ৭৮, সূরা নাবা এর ৩১-৩৬ আয়াতে আল্লাহ বলেন,

اِنَّ لِلْمُتَّقِيْنَ مَفَازًا

নিশ্চয় মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে সফলতা।

حَدَآئِقَ وَاَعْنَابًا

উদ্যানসমূহ ও আঙ্গুরসমূহ।

وَكَوَاعِبَ اَتْرَابًا وَكَأْسًا دِهَاقًا

আর সমবয়স্কা যৌবনা তরুণী আর পরিপূর্ণ পানপাত্র।

لَا يَسْمَعُوْنَ فِيْهَا لَغْوًا وَّلَا كِذَّابًا

তারা সেখানে কোন অসার ও মিথ্যা কথা শুনবে না।

جَزَآءً مِّنْ رَّبِّكَ عَطَآءً حِسَابًا

তোমার রবের পক্ষ থেকে প্রতিফল, যথোচিত দানস্বরূপ।

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

مَثَلُ الْجَنَّةِ الَّتِيْ وُعِدَ الْمُتَّقُوْنَ فِيْهَاۤ اَنْهَارٌ مِّنْ مَّآءٍ غَيْرِ اٰسِنٍ وَّاَنْهَارٌ مِّنْ لَّبَنٍ لَّمْ يَتَغَيَّرْ طَعْمُهٗ وَاَنْهَارٌ مِّنْ خَمْرٍ لَّذَّةٍ لِّلشَّارِبِيْنَ وَاَنْهَارٌ مِّنْ عَسَلٍ مُّصَفًّى وَّلَهُمْ فِيْهَا مِنْ كُلِّ الثَّمَرَاتِ وَمَغْفِرَةٌ مِّنْ رَّبِّهِمْ كَمَنْ هُوَ خَالِدٌ فِي النَّارِ وَسُقُوْا مَآءً حَمِيْمًا فَقَطَّعَ اَمْعَآءَهُمْ

মুত্তাকীদের জন্য যে জান্নাত প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে তার উদাহরণ হলো, সেখানে আছে নির্মল (জীবাণুমুক্ত) বিশুদ্ধ পানির নহর, স্বাদ অপরিবর্তনীয় দুধের নহর, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু শরবতের নহর, পরিশোধিত মধুর নহর। আরও আছে সব ধরনের ফলমূল ও তাদের রবের পক্ষ থেকে ক্ষমা (এসব কি ঐ রকম) যাকে পান করতে দেয়া হবে উত্তপ্ত গরম পানি আর সে চিরকাল থাকবে জাহান্নামের আগুনে। (সূরা মুহাম্মদ/৪৭ঃ ১৫)

وَقِيْلَ لِلَّذِيْنَ اتَّقَوْا مَاذَاۤ اَنْزَلَ رَبُّكُمْؕ قَالُوْا خَيْرًاؕ لِّلَّذِيْنَ اَحْسَنُوْا فِيْ هٰذِهِ الدُّنْيَا حَسَنَةٌؕ وَّلَدَارُ الْاٰخِرَةِ خَيْرٌؕ وَّلَنِعْمَ دَارُ الْمُتَّقِيْنَ

আর যারা তাকওয়া (আল্লাহভীতি/সচেতনতা) অবলম্বন করেছে, তাদের বলা হল, তোমাদের রব কী নাযিল করেছেন? তারা বলল, মহাকল্যাণ। যারা এই দুনিয়ায় উত্তম কাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে পুণ্য। আর নিশ্চয় আখিরাতের আবাসই উত্তম এবং মুত্তাকীদের বাসস্থান অবশ্যই চমৎকার।

(সূরা ১৬/নাহলঃ ৩০)

جَنَّاتُ عَدْنٍ يَّدْخُلُوْنَهَا تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهَارُ لَهُمْ فِيْهَا مَا يَشَآءُوْنَؕ كَذٰلِكَ يَجْزِي اللهُ الْمُتَّقِيْنَ

স্থায়ী জান্নাতসমূহ যাতে তারা প্রবেশ করবে, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকবে নহরসমূহ। তারা যা চাইবে, তাদের জন্য তার মধ্যে তাই থাকবে। এভাবেই আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে পুরস্কার প্রদান করেন।

(সূরা ১৬/নাহলঃ ৩১)

এছাড়াও আরো অনেক আয়াতের শেষের অংশবিশেষসমূহে আল্লাহ বলেন,

اِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِيْنَ

নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাক্বীদেরকে ভালোবাসেন করেন। (সূরা ৯/তাওবাঃ ৭)

اِنَّ اللهَ مَعَ الَّذِيْنَ اتَّقَوْا وَالَّذِيْنَ هُمْ مُّحْسِنُوْنَ

আল্লাহ তাদেরই সঙ্গে আছেন, যারা তাক্বওয়া অবলম্বন করে এবং যারা সৎকর্মপরায়ণ। (সূরা ১৬/নাহলঃ ১২৮)

وَاَنْجَيْنَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَكَانُوْا يَتَّقُوْنَ

অতঃপর যারা মুমিন ও মুত্তাক্বী ছিল, তাদেরকে আমি উদ্ধার করেছি। সূরা নামল- ৫৩

وَمَنْ يَّتَّقِ اللهَ يَجْعَلْ لَّهٗ مَخْرَجًا

যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার (সংকট থেকে বের হওয়ার) পথ বের করে দেন। (সূরা ৬৫/তবালাকঃ ২)

وَمَنْ يَّتَّقِ اللهَ يَجْعَلْ لَّهٗ مِنْ اَمْرِهٖ يُسْرًا

যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার কাজকর্ম সহজ করে দেন।

(সূরা ৬৫/ত্বালাকঃ ৪)

وَمَنْ يَّتَّقِ اللهَ يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّئَاتِهٖ وَيُعْظِمْ لَهٗۤ اَجْرًا

যে আল্লাহকে ভয় করে তিনি তার পাপ মোচন করবেন এবং তাকে মহাপুরস্কারে ভূষিত করবেন। (সূরা ৬৫/ত্বালাকঃ ৫)

اِنَّ الْعَاقِبَةَ لِلْمُتَّقِيْنَ

নিশ্চয় শুভ পরিণাম মুত্তাক্বীদের জন্য। (সূরা ১১/হুদঃ ৪৯)

وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ وَيَخْشَ اللهَ وَيَتَّقْهِ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْفَآئِزُوْنَ

যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর অবাধ্যতা হতে সাবধান থাকে তারাই সফলকাম। (সূরা ২৪/নূরঃ ৫২)

اِنَّ الْمُتَّقِيْنَ فِىْ جَنَّاتٍ وَّعُيُوْنٍ

সেদিন মুত্তাক্বীরা জান্নাত ও ঝর্ণার মধ্যে থাকবে। (সূরা ৫১/যারিয়াতঃ ১৫)

লক্ষ্য করুন! অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আল্লাহ (ইন্না)- নিশ্চয়/অবশ্যই শব্দ ব্যবহার করেছেন অর্থাৎ এসব পুরস্কার পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন যাতে কোন রকম সন্দেহ নাই।

কুরআন ও সহীহ হাদীসে মুত্তাকীদের জন্য এরকম আরো অনেক পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। প্রশ্ন হলো যে, আমরা মুত্তাকী হব কিভাবে বা একজন ব্যক্তি মুত্তাকীদের এতসব পুরস্কার জানার পর মুত্তাকী হতে চাইলে সে কিভাবে মুত্তাকী হবে?

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন