hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যা হবে মরণের পরে

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী

২১
এক নজরে জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের ভয়াবহ অবস্থাঃ
জাহান্নামের রয়েছে সাতটি দরজা। দুনিয়ার আগুনের তাপমাত্রা জাহান্নামের আগুনের তাপমাত্রার সত্তর ভাগের একভাগ মাত্র। কিয়ামতের দিন সত্তর হাজার লোহার শিকল দিয়ে বেধে টেনে টেনে জাহান্নামকে হাশরের মাঠের নিকটবর্তী করা হবে। প্রতিটি শিকলে সত্তর হাজার ফেরেশতা থাকবে। জাহন্নামের আগুনে সবচেয়ে হালকা আযাব হবে এমন এক ব্যক্তির যাকে আগুনের ফিতা বিশিষ্ট দুহটি জুতা পরিয়ে দেয়া হবে। যার গরমে পাতিলের মধ্যে পানিতে কোন জিনিষ ফুটার মত তার মাথার মগজ গলতে থাকবে। তাকে দেখে মনে হবে তার চেয়ে বেশী শাস্তি আর কাউকে দেয়া হচ্ছে না। অথচ তাকে সবচেয়ে হালকা আযাব দেয়া হচ্ছে।

কিয়ামতের দিন এমন একজন জাহান্নামীকে নিয়ে আসা হবে যে দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশী নিয়ামতের অধিকারী ছিল। অতঃপর তাকে জাহান্নামে একবার চুবানি দিয়ে জিজ্ঞেস করা হবেঃ দুনিয়াতে কখনও সুখ ভোগ করেছো কি? কোন নিয়ামত তোমার কাছে এসেছিল কি? উত্তরে সে বলবেঃ আল্লাহর শপথ করে বলছি! দুনিয়াতে কোন দিন শান্তি ভোগ করিনি।

জাহান্নামীদের দেহ এত বিশাল হবে যে তাদের দাঁতগুলো হবে উহুদ পাহাড়ের মত বিশাল। এক কাঁধ হতে অন্য কাঁধের দূরত্ব হবে দ্রুতগামী বাহনে আরোহীর তিন দিনের রাস্তা। শরীরের চামড়াও হবে অনুরূপ মোটা এবং জাহান্নামে তাদের বসার স্থানটি (নিতম্ব) হবে মক্কা-মদীনার মধ্যবর্তী দূরত্বের সমপরিমাণ।

তাদের পানীয় হবে এমন গরম পানি যা মাথার উপর ঢালা হবে। মাথা দিয়ে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে পায়খানার রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যাবে। তাদেরকে পুঁজ মেশানো পানিও পান করানো হবে। যাক্কুম ফল হবে তাদের খাদ্য। তা জাহান্নামের ভিতরেই উৎপন্ন হবে। তারা তা খেতে চাইবেনা। জোর করে খাওয়ানো হবে। যাক্কুম ফলের এক বিন্দু রস যদি দুনিয়াতে ফেলে দেয়া হতো তাহলে দুনিয়াবাসীর সমস্ত জীবিকা নষ্ট করে দিতো এবং তার গন্ধ ও বিষের কারণে মানুষের জন্যে পৃথিবীতে বসবাস করা অসম্ভব হয়ে যেত। তাহলে চিন্তা করুন এই ফলটি যাদের খাদ্য হবে তাদের অবস্থা কেমন কঠিন হবে?!! জাহান্নামের গভীরতা এতো বেশী হবে যে তার উপর থেকে একটি পাথর নিক্ষেপ করলে সত্তর বছরেও তার তলদেশে পৌঁছতে পারবেনা। পাথর এবং কাফেরের শরীর দিয়ে জাহান্নামের আগুন জ্বালানো হবে। জাহান্নামের আগুন কাউকে তার পায়ের গিরা, কাউকে তার হাঁটু, কাউকে কোমর এবং কাউকে তার বুক পর্যন্ত গ্রাস করবে। বাতাস এবং পানি হবে অত্যন্ত গরম। জাহান্নামের গরম বাতাস এবং গরম পানি শরীরের চামড়া জ্বালিয়ে দিয়ে হাড্ডী এবং কলিজা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। জান্নাতীদের অধিবাসীর চেয়ে জাহান্নামের অধিবাসীর সংখ্যা অনেক বেশী হবে। তাদের পোষাক হবে আগুনের। শাস্তি হবে বিভিন্ন ধরণের। শরীরের চামড়া জ্বালিয়ে দেয়া হবে, মাথায় গরম পানি ঢালা হবে, চেহারা জ্বালিয়ে দেয়া হবে, মুখের উপর উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে, তাদের মুখমন্ডল কালো হবে, আগুন তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলবে, হৃদয় পর্যন্ত আগুন পৌঁছে যাবে, নাড়ী-ভুঁড়ি বের হয়ে যাবে, তাদেরকে শিকল ও বেড়ি লাগিয়ে বেধে রাখা হবে। তারা যে শয়তান ও যেসমস্ত বাতিল মাহবূদের অনুসরণ করত তারাও জাহান্নামীদের সাথে শাস্তি ভোগ করবে।

সম্মানিত পাঠক মন্ডলী! আমরা আখেরাতে ঐ সমস্ত গুনাহগার মানুষের আযাবের বিভিন্ন অবস্থা ও তাদের পরিণতির কথা বর্ণনা করলাম যারা তাওবা না করে মৃত্যু বরণ করেছে কিংবা আল্লাহ তাদের গুনাহ ক্ষমা করেন নি।

তাওহীদপন্থী কোন মানুষ যদি আল্লাহর অপছন্দনীয় এমন কাজ করে মৃত্যু বরণ করে যা কোন সৎ আমলের মাধ্যমে মোচন করা হয়নি সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর ইচ্ছাধীন থাকবে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা করে দিবেন না হয় শাস্তি দিবেন। শাস্তি দিলে মৃত্যুর পরই তা শুরু হবে। কবরে কারও শাস্তি কিয়ামত দিবস পর্যন্ত স্থায়ী হবে। কারও শাস্তি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বহাল থাকার পর মূলতবী করা হবে। আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রঃ) তার রূহ্‌ নামক গ্রন্থে এই মাস্‌আলাটি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন।

হাশরের মাঠে কোন কোন গুনাহগার মুমিনের শাস্তি হবে। কোন কোন অপরাধী গুনাহ থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য জাহান্নামে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট সময় অবস্থান করার পর সেখান থেকে বের হয়ে আসবে। সহীহ হাদীছে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত হয়েছে,

يُعَذَّبُ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ التَّوْحِيدِ فِي النَّارِ حَتَّى يَكُونُوا فِيهَا حُمَمًا ثُمَّ تُدْرِكُهُمُ الرَّحْمَةُ فَيُخْرَجُونَ وَيُطْرَحُونَ عَلَى أَبْوَابِ الْجَنَّةِ قَالَ فَيَرُشُّ عَلَيْهِمْ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْمَاءَ فَيَنْبُتُونَ كَمَا يَنْبُتُ الْغُثَاءُ فِي حِمَالَةِ السَّيْلِ ثُمَّ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ

অর্থঃ তাওহীদে বিশ্বাসী কিছু লোককে জাহান্নামের আগুনের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হবে। তারা আগুনে পুড়ে কয়লার মত হয়ে যাবে। পরিশেষে তাদেরকে আল্লাহর রহমতে আগুন থেকে বের করে জান্নাতের দরজার সামনে আনা হবে। জান্নাতবাসীগণ তাদের উপর পানির ছিটা দেয়ার সাথে সাথে তারা বন্যায় ভাসমান আবর্জনার উপর গজে উঠা তৃণলতার ন্যায় উত্থিত হবে। অতঃপর তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। [- তিরমিজী, অধ্যায়ঃ ছিফাতুল জাহান্নাম।]

এবিষয়ে আরো অনেক হাদীছ রয়েছে যা প্রমাণ করে, কৃত অপরাধের শাস্তি স্বরূপ কোন কোন মুমিনও জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে। অতঃপর নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত শাস্তি ভোগ করার পর তারা সেখান থেকে বের হবে।

প্রতিটি মুসলিমের উচিৎ কিয়ামতের দিন নাজাতের উপায় অবলম্বন করা এবং আল্লাহর অপছন্দনীয় প্রতিটি কাজ থেকে এমন দিন আসার পূর্বেই তাওবা করা যেদিন সে তার কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে এবং পুনরায় দুনিয়াতে আগমণ কামনা করবে, যাতে তারা সৎ কাজ করতে পারে অথবা মৃত্যুর ফেরেশতা দেখার পর কামনা করবে যে, তার বয়স বাড়িয়ে দেয়া হোক। অথচ ফেরেশতাগণ তার রূহ্‌ কবজ করার জন্য আগমণ করেছেন। আল্লাহ বলেনঃ

وَلَنْ يُؤَخِّرَ اللَّهُ نَفْسًا إِذَا جَاءَ أَجَلُهَا وَاللَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ

অর্থঃ কারও মৃত্যুর সময় এসে গেলে আল্লাহ তাকে মুহূর্তের জন্যেও অবকাশ দিবেন না। আর আল্লাহ তোমাদের কর্ম সম্পর্কে অবগত আছেন। (সূরা মুনাহফিকূনঃ ১১)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন