hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যা হবে মরণের পরে

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী

৫৩
কিয়ামতের দিন কতিপয় লোকের কঠিন পরিণতিঃ
কুরআন ও হাদীছে এমন কতগুলো পাপের বর্ণনা এসেছে তাতে লিপ্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে ধমকি এসেছে যে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে করুণার দৃষ্টিতে তাকাবেন না, তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন শাস্তি।

১) যারা আল্লাহর কিতাব গোপন করে। তারা হলো ঐ সমস্ত আলেম যারা দুনিয়ার স্বার্থ লাভ অথবা কোন শাসককে সন্তুষ্ট করার জন্য ইলম গোপন করে থাকে। আল্লাহ তাআলা তাদের ব্যাপারে বলেনঃ

إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنزَلَ اللَّهُ مِنْ الْكِتَابِ وَيَشْتَرُونَ بِهِ ثَمَنًا قَلِيلًا أُوْلَئِكَ مَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ إِلَّا النَّارَ وَلَا يُكَلِّمُهُمْ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ أُوْلَئِكَ الَّذِينَ اشْتَرَوْا الضَّلَالَةَ بِالْهُدَى وَالْعَذَابَ بِالْمَغْفِرَةِ فَمَا أَصْبَرَهُمْ عَلَى النَّارِ

নিশ্চয় যারা সে সব বিষয় গোপন করে যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল করেছেন এবং এর বিনিময়ে অল্প মূল্য গ্রহণ করে তারা আগুন ছাড়া নিজেদের পেটে আর কিছুই ঢুকায়না। আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে বেদনা দায়ক শাস্তি। তারাই সুপথের বিনিময়ে কুপথ এবং ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করেছে। অতঃপর কিরূপে তারা জাহান্নাম সহ্য করবে? (সূরা বাকারাঃ ১৭৪-১৭৫)

ইমাম বগবী (রঃ) বলেনঃ আল্লাহ তাদের সাথে এমন কথা বলবেন না যাতে তারা খুশী হবে; বরং তিনি তাদের সাথে ধমকের স্বরে কথা বলবেন। কেউ কেউ বলেছেনঃ তিনি তাদের উপর ক্রুদ্ধ থাকবেন। যেমন বলা হয়ে থাকে অমুক ব্যক্তি অমুকের সাথে কথা বলবেনা। এটা ঐ সময় বলা হয় যখন সে তার উপর ক্রুদ্ধ থাকে। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন আলেমকে শরীয়তের কোন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে সে যদি জানা সত্ত্বেও তা গোপন করে কিয়ামতের দিন তার মুখে আগুনের লাগাম পরিয়ে দেয়া হবে। [- তিরমিজী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইল্ম।]

২) যারা আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করে ও সামান্য মূল্যের বিনিময়ে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে এবং দুনিয়ার সামান্য স্বার্থের বিনিময়ে মিথ্যা শপথ করে। আল্লাহ তাআলা তাদের সম্পর্কে বলেনঃ

إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلًا أُوْلَئِكَ لَا خَلَاقَ لَهُمْ فِي الْآخِرَةِ وَلَا يُكَلِّمُهُمْ اللَّهُ وَلَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ

অর্থঃ যারা আল্লাহর নামে কৃত অঙ্গীকার এবং প্রতিজ্ঞা সামান্য মূল্যে বিক্রয় করে আখেরাতে তাদের কোন অংশ নেই। তাদের সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ কথা বলবেন না। তাদের প্রতি করুণার দৃষ্টিতে তাকাবেন না। আর তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্রও করবেন না। বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক আযাব। (সূরা আল ইমরানঃ ৭৭)

৩) যে ব্যক্তি টাখনুর নীচে যমিন পর্যন্ত লুঙ্গী ও অন্যান্য কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করে। যে ব্যক্তি মানুষকে কোন কিছু দান করার পর খোঁটা দেয়। আর যে ব্যক্তি পণ্যদ্রব্য বিক্রয় ও চালু করার জন্যে মিথ্যা শপথ করে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ قَالَ فَقَرَأَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ مِرَارًا قَالَ أَبُو ذَرٍّ خَابُوا وَخَسِرُوا مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ الْمُسْبِلُ وَالْمَنَّانُ وَالْمُنَفِّقُ سِلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْكَاذِبِ

তিন জন লোকের সাথে আল্লাহ কিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের দিকে করুণার দৃষ্টিতে তাকাবেন না, তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্রও করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কথাটি তিনবার বললেন। আবু যার (রাঃ) বলেনঃ তাহলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হবে। হে আল্লাহর রাসূল! তারা কোন শ্রেণীর লোক? জবাবে তিনি বললেনঃ টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরিধানকারী, কোন কিছু দান করার পর খোঁটাদানকারী ও মিথ্যা শপথের মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য বিক্রয়কারী। [- মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান।]

৪) যে ব্যক্তি এমন স্থানে বসবাস করে যাতে পানির খুব সংকট অথচ তার নিকট প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি রয়েছে। আর সে অন্যদেরকে পানি ব্যবহার করা থেকে বাধা দিয়ে থাকে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার কোন স্বার্থ হাসিলের জন্যে ইমামের হাতে বায়আত করে। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ وَلَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ رَجُلٌ عَلَى فَضْلِ مَاءٍ بِطَرِيقٍ يَمْنَعُ مِنْهُ ابْنَ السَّبِيلِ وَرَجُلٌ بَايَعَ رَجُلًا لَا يُبَايِعُهُ إِلَّا لِلدُّنْيَا فَإِنْ أَعْطَاهُ مَا يُرِيدُ وَفَى لَهُ وَإِلَّا لَمْ يَفِ لَهُ وَرَجُلٌ سَاوَمَ رَجُلًا بِسِلْعَةٍ بَعْدَ الْعَصْرِ فَحَلَفَ بِاللَّهِ لَقَدْ أَعْطَى بِهَا كَذَا وَكَذَا فَأَخَذَهَا

অর্থঃ তিন ব্যক্তির সাথে আল্লাহ কথা বলবেন না, তাদের দিকে করুণার দৃষ্টিতে তাকাবেন না এবং তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্রও করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। (১) এমন ব্যক্তি, যে কোন ময়দানে বসবাস করে, তার কাছে রয়েছে অতিরিক্ত পানি। অথচ সে মুসাফিরদেরকে তা ব্যবহার করতে নিষেধ করে থাকে। (২) এমন ব্যক্তি যে দুনিয়ার স্বার্থে কোন শাসকের হাতে বায়আত করে। শাসক যদি কিছু দেয় তবে তার সাথে কৃত অঙ্গিকার পূর্ণ করে আর না দিলে অঙ্গিকার্র ভঙ্গ করে। (৩) এমন ব্যক্তি যে কারও কাছে আসরের নামাযের পরে শপথ করে কোন জিনিষ বিক্রি করে। সে বলেঃ আল্লাহর কসম! আমি জিনিষটি এত টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। যাতে মানুষেরা তার কথা বিশ্বাস করে অথচ সে তাতে মিথ্যাবাদী। [- বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল মুসাকা’ত।]

৫) তাদের মধ্যে রয়েছে বৃদ্ধ ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী বাদশাহ, অহংকারী ফকীর। এসকল লোক সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীছে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ شَيْخٌ زَانٍ وَمَلِكٌ كَذَّابٌ وَعَائِلٌ مُسْتَكْبِرٌ

তিন জন লোকের সাথে আল্লাহ কিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের দিকে করুণার দৃষ্টিতে তাকাবেন না এবং তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্রও করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠিন আজাব। (১) বৃদ্ধ ব্যভিচারী (২) মিথ্যাবাদী বাদশাহ (৩) অহংকারী ফকীর। [-মুসলিমি, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান।]

৬) তাদের মধ্যে আরও রয়েছে পিতামাতার অবাধ্য সন্তান ঐ মহিলা যে পোষাক ও আকৃতিতে পুরুষের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে এবং দাইউছ। দাইউছ ঐ ব্যক্তিকে বলা হয় যে নিজের স্ত্রী-পরিবারের ভিতরে অশ্লীল কাজ কর্ম দেখা সত্বেও কোন প্রতিবাদ করেনা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

ثَلَاثَةٌ لَا يَنْظُرُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْعَاقُّ لِوَالِدَيْهِ وَالْمَرْأَةُ الْمُتَرَجِّلَةُ وَالدَّيُّوثُ وَثَلَاثَةٌ لَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ الْعَاقُّ لِوَالِدَيْهِ وَالْمُدْمِنُ عَلَى الْخَمْرِ وَالْمَنَّانُ بِمَا أَعْطَى

আল্লাহ তাআলা তিন ব্যক্তির দিকে করুণার দৃষ্টিতে তাকাবেন না (১) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান (২) পুরুষের সাথে সাদৃশ্যকারী মহিলা (৩) দাইউছ। তিনি আরও বলেনঃ তিন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না (১) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান (২) মদ পানকারী (৩) কোন কিছু দান করে খোঁটাদানকারী। [- নাসাঈ, অধ্যায়ঃ কিতাবুয্ যাকাত।]

৭) তাদের মধ্যে রয়েছে ঐ পুরুষ যে তার স্ত্রীর পিছনের রাস্তা দিয়ে সহবাস করে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

لَا يَنْظُرُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى رَجُلٍ جَامَعَ امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا

যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর পিছনের রাস্তা দিয়ে সহবাস করবে, রোজ কিয়ামতে আল্লাহ তার দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না। [- ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ কিতাবুন্ নিকাহ।] অন্য বর্ণনায় এসেছে স্ত্রীর গুহ্যদ্বার দিয়ে সঙ্গমকারী আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন