hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলা‌ইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ (ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহ. এর যাদুল মা‘আদ হতে সংক্ষেপিত)

লেখকঃ ড. আহমাদ ইবন উসমান আল-মাযইয়াদ

২৩
(২১) খোৎবা প্রসঙ্গে তাঁর আদর্শমালা [যাদুল মা‘আদ, ১/১৭৯।]
১. রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোৎবা দেওয়ার সময় তাঁর চোখ দু’টি লাল হয়ে যেতো, স্বর উচ্চ হতো এবং তাঁর রাগভাব খুব বেড়ে যেতো, মনে হয় যেন তিনি কোনো সৈন্য বাহিনীকে সকাল-সন্ধ্যায় হামলার ভয় প্রদর্শনকারী, তিনি বলতেন: আমি ও কিয়ামত দিবস প্রেরিত হয়েছি এরূপ, তখন তিনি নিজের তর্জনী ও মধ্যম আঙ্গুলী একত্রিত করতেন, তিনি আরো বলতেন:

«أما بعدُ ... فإن خير الحديث كتاب الله , وخير الهدْي هَدْيُ محمد صلى الله عليه وسلم , وشَرَّ الأُمُورِ محدثاتها , وكلّ بدعة ضلالة»

“অতঃপর, নিশ্চয়ই সর্বশ্রেষ্ঠ বাণী আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম জীবনাদর্শ ‘মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবনাদর্শ, আর নিকৃষ্টতম বিষয় হলো দ্বীনে নবাবিষ্কৃত বিদ‘আত এবং প্রত্যেক বিদ‘আতই পথভ্রষ্টতা।” [মুসলিম।]

২. তিনি যখনই খোৎবা প্রদান করতেন তখনই আল্লাহর প্রশংসার মাধ্যমে আরম্ভ করতেন, তিনি সাহাবীদেরকে ‘খোৎবাতুল হাজাহ্- (প্রয়োজনের খোৎবা) তথা এই খোৎবাটি শিক্ষা দিতেন:

«الحمدُ لله نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ , وَنَعُوذُ باللهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا وَسَيِّئاتِ أعمالِنَا , مَنْ يَهْدِ اللهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ , وَمَنْ يُضْلِلْ فلا هَادِيَ لَهُ , وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إلهَ إلَّا اللهُ , وأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ»

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আমরা তাঁরই প্রশংসা করি এবং তাঁরই নিকট সাহায্য কামনা করি, তাঁরই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং সকল বিপর্যয় ও কুকীর্তি হতে আত্মরক্ষার জন্য আমরা তাঁরই সাহায্য প্রার্থনা করি, আল্লাহ যাকে হেদায়াত দান করেন তার কোনো পথভ্রষ্টকারী নেই, আর যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন তার কোনো পথ প্রদর্শণকারী নেই। আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত সত্যিকার কোনো মা‘বুদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।’

অতঃপর তিনি এ তিনটি আয়াত পাঠ করতেন:

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِۦ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسۡلِمُونَ ١٠٢ ﴾ [ ال عمران : ١٠٢ ]

‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে যথাযথ ভাবে ভয় করো এবং তোমরা মুসলিম না হয়ে মরো না।” সূরা আলে ইমরান, আ: ১০২,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱتَّقُواْ رَبَّكُمُ ٱلَّذِي خَلَقَكُم مِّن نَّفۡسٖ وَٰحِدَةٖ ﴾ [ النساء : ١ ]

‘‘হে মানবমণ্ডলী ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন।” সূরা নিসা, আ: ১,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَقُولُواْ قَوۡلٗا سَدِيدٗا ٧٠ ﴾ [ الاحزاب : ٧٠ ]

‘‘হে মু’মিনগণ ! তোমরা আল্লাকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।” সূরা আহযাব, আ: ৭০-৭১,

৩. তিনি সাহাবীদেরকে সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজে ইস্তিখারা করার নিয়ম শিক্ষা দিতেন যেমনভাবে তিনি তাদেরকে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন এবং বলতেন: যখন তোমাদের কেউ কোনো কাজের ইচ্ছা করবে, তখন সে যেন ফরয সালাত ছাড়া দু’রাকাত নফল পড়ে, তারপর এ দু‘আটি পড়ে:

«اللَّهُمَّ إِنِّي أستخيرُكَ بعلمكَ وأستقدرُكَ بقدرتِك وأسألُكَ مِنْ فضلِكَ العظيمِ , فإنَّكَ تقدرُ ولا أقدرُ , وتعلمُ ولا أعلمُ , وأنْتَ عَلَّامُ الغيوبِ , اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تعلمُ أَنَّ هذا الأمرَ وَيُسَمِّي حَاجَتَهَ خَيْرٌ لي في ديني ومعاشِي وعاقبةِ أَمْرِي أو قال : عاجِلِه وآجِلِه فاقْدُرْهُ لي وَيَسِّرْهُ لي , ثم بَارِكْ لي فيه , وإِنْ كُنْتَ تعلمُ أَنَّ هذا الأمرَ شَرٌّ لي في ديني ومعاشي وعاقبةِ أمري أو قال : عاجِله وآجله فاصرفْهُ عني واصرفْنِي عَنْهُ واقْدُرْ لي الخيرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ رَضِّنِي بِهِ»

‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসতাখীরুকা বি’ইলমিকা, ওয়া আস্তাক্বদিরুকা বিকুদরাতিকা, ওয়া আসআলুকা মিন ফাদলিকাল আযীম, ফাইন্নাকা তাক্বাদিরু ওয়ালা-আক্বদিরু, ওয়া-তা‘লামু ওয়ালা-আ‘লামু, ওয়া-আন্তা আল্লামুল গুয়ূব, আল্লা-হুম্মা ইন-কুন্তা তা‘লামু আন্না হা-যাল আমরা, {‘হা-যাল আম্রা’ বলার সময় নিজের প্রয়োজনের কথা মনে করবে} খায়রুন-লী ফী-দ্বীনী ওয়া-আ-ক্বিবাতি আমরী /ফী-আ-জিলি আমরী ওয়া-আজিলিহী, ফাক্বদিরহু-লী, ওয়া-ইয়াসসিরহু-লী, সুম্মা বা-রিকলী-ফীহি, ওয়া ইন-কুন্তা তা‘লাম আন্না-হা-যাল আম্রা, {এখানেও পুনরায় নিজের প্রয়োজনের কথা মনে করবে} শাররুল -লী ফী-দ্বীনী ওয়া-মা‘আশী ওয়া-আ-ক্বিবাতি আমরী /ফী-আ-জিলি আমরী ওয়া-আজিলিহী, ফাসরিফহু ‘আন্নী, ওয়াসরিফনী ‘আনহু’ ওয়াকদুর লিয়াল খাইরা হাইসু কানা, ছুম্মা রাদ্দ্বিনী বিহী” [বুখারী।]

“হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট তোমারই জ্ঞানের সাহায্যে এ বিষয়ে ইস্তিখারা (কল্যাণ প্রার্থনা) করছি এবং তোমার শক্তির বদৌলতে তোমার নিকট এ বিষয়ে কল্যাণ লাভের সামর্থ প্রার্থনা করছি এবং তোমার নিকট এ বিষয়ে কল্যাণ লাভের সামর্থ প্রার্থনা করছি এবং তোমার নিকট তোমারই মহান অনুগ্রহ ও কল্যাণের ভাণ্ডার থেকে প্রার্থনা করছি, কারণ তুমি তো সব কিছু করার ক্ষমতা রাখো আর আমার তো ক্ষমতা নেই এবং তুমি তো সবই জান, আর আমি জানি না, আর তুমিই তো গায়েবের একমাত্র মহাজ্ঞানী, -হে আল্লাহ! তুমি যদি জান যে, আমার মনস্থ করা এই বিষয়টি আমার জন্য কল্যাণকর হবে আমার দ্বীনি ও দুনয়াবী জীবনে এবং শেষ পরিণামে, কিংবা আমার জলদি কাজে অথবা বিলম্বিত কাজে, তাহলে সে কাজাটি আমার জন্য নির্ধারণ করে দাও এবং তা আমার জন্য সহজ করে দাও, আর তাতে আমার জন্য বরকত দান করো, পক্ষান্তরে তুমি যদি জান যে, আমার মনস্থ করা এই বিষয়টি আমার জন্য ক্ষতিকর হবে আমার জলদি কাজে অথবা বিলম্বিত কাজে, তাহলে তাকে আমার থেকে দূরে সরিয়ে দাও এবং আমাকেও তা থেকে ফিরিয়ে রাখো, আর আমার জন্য কল্যাণ নির্ধারণ করো তা যেখানেই রয়েছে এবং তার উপর আমাকে সন্তুষ্ট রাখো।”

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন