মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ (ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহ. এর যাদুল মা‘আদ হতে সংক্ষেপিত)
লেখকঃ ড. আহমাদ ইবন উসমান আল-মাযইয়াদ
২৪
(২২) ঘুমানো, জাগ্রত হওয়া ও স্বপ্ন প্রসঙ্গে তাঁর আদর্শমালা [যাদুল মা‘আদ, ১/১৪৯।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/418/24
১. রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো বিছানার উপর ঘুমাতেন, আর কখনো চর্মনির্মিত বিছানার উপর, কখনো চাটাইয়ের উপর। আবার কখনো যমীনের উপর, আর কখনো চৌকির উপর, তাঁর বিছানা ছিল চামড়ার, যার ভিতরকার উপকরণ ছিল খেজুর বৃক্ষের ছাল, আর অনুরূপ ছিল তাঁর বালিশ।
২. তিনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমাতেন না এবং প্রয়োজনীয় ঘুম থেকে নিজেকে বঞ্চিতও করতেন না।
৩. তিনি রাতের প্রথমাংশে ঘুমাতেন এবং শেষাংশে জাগ্রত হয়ে আল্লাহর ইবাদত করতেন, আবার কখনো মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষার্থে রাতের প্রথমাংশেও জাগ্রত থাকতেন।
৪. তিনি সফরকালে যখন শেষরাতে বিশ্রাম করতেন তখন তিনি তাঁর ডান কাতে শুতেন, আর যখন তিনি ফজরের কিচুক্ষণ আগে বিশ্রাম করতেন তখন বাহু খাড়া করে হাতের পাঞ্জার উপর মাথা রাখতেন।
৫. তিনি ঘুমালে সাহাবীদের কেউ তাঁকে জাগ্রত করতো না যতক্ষণ না তিনি নিজেই জাগ্রত হতেন, বস্তুত: তাঁর চক্ষুদ্বয় ঘুমালেও তার অন্তর ঘুমাতো না।
৬. তিনি যখন ঘুমানোর উদ্দেশ্যে তাঁর শয্যায় গমন করতেন, তখন বলতেন:
«باسمكَ اللَّهُمَّ أَحْيَا وأموتُ»
‘বিইসমিকা আল্লা-হুম্মা আহইয়া ওয়া আমূতু; -
হে আল্লাহ! তোমারই নামে আমার মৃত্যুবরণ ও আমার জীবনধারণ।” [বুখারী।] এবং তিনি স্বীয় দু’হাতের তালু মিলাতেন, অতঃপর সূরা ইখলাস ‘কুল হুআল্লাহু আহাদ’ এবং ‘মু‘আউয়াযাতাইন’ তথা ‘কুল আউযু বি রাব্বিল ফালাক্ব’ ও ‘ক্বুল আউযু বি রাব্বিন নাস’ পাঠ করে তাতে ফুঁক দিতেন, তারপর দু’হাতের তালু দ্বারা দেহের যতটা অংশ সম্ভব মাসেহ করতেন। মাসেহ আরম্ভ করতেন তাঁর মস্তক ও মুখমণ্ডল এবং দেহের সামনের দিক থেকে, আর তিনি এরূপ তিনবার করতেন।” [বুখারী।]
৭. তিনি ডান কাতে ঘুমাতেন এবং গালের নিচে হাত রেখে বলতেন:
“হে আল্লাহ্! আমি আমার নফসকে তোমার কাছে সমর্পন করলাম, আমার চেহারাকে তোমার প্রতি নিবিষ্ট করলাম। আমার সমগ্র কার্যক্রম তোমার প্রতি ন্যস্ত করলাম, আমার পৃষ্ঠদেশকে তোমার আশ্রয় ঠেকালাম, তোমার নিকট আমার রহমতের আশা-ভরসা এবং তোমার শাস্তির ভয়-ভীতি সহকারে, তুমি ছাড়া কোথাও আশ্রয়স্থল ও মুক্তির উপায় নেই, আমি ঈমান আনলাম তোমার কিতাবের উপর, যা তুমি নাযিল করেছো এবং তোমার নবীর উপর, যাকে তুমি প্রেরণ করেছো”। এ কথা বলার পর যদি তুমি সেই রাতে মারা যাও, তাহলে তুমি ইসলামের উপরই মারা যাবে” [বুখারী।]
৮. তিনি রাত্রে জাগ্রত হয়ে বলতেন:
«اللَّهُمَّ رَبَّ جبريلَ , وميكائيلَ , وإسرافيلَ فَاطِرَ السَّماواتِ والأَرْضِ، عالمَ الغيبِ والشهادةِ , أنتَ تحكمُ بَيْنَ عبادِك فِيْمَا كانوا فيهِ يختلفونَ , اهْدِني لما اخْتُلِفَ فيه من الحقِّ بإذنِكَ , إنك تهدي مَنْ تشاءُ إلى صراطٍ مستقيم»
‘‘হে আল্লাহ্! জিবরাঈল, মীকাঈল ও ইসরাফীল -এর রব, আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, গায়েব ও উপস্থিতের মহাজ্ঞানী, তুমিই তোমার বান্দাদের মাঝে ফায়সালা দিয়ে থাক যে সব বিষয়ে তারা মতবিরোধ করে, অতএব বিরোধপূর্ণ বিষয়াবলীতে তুমি আমাকে স্বীয় অনুগ্রহে সত্যের প্রতি পথ প্রদর্শণ করো, কেননা তুমি যাকে চাও সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করে থাকো।” [মুসলিম।]
“সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের মৃত্যু দান করার পর পুনরায় জীবন দান করেছেন এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন।
আর তখন তিনি মিসওয়াক করতেন এবং অনেক সময় সূরা আলে ইমরানের শেষ দশটি আয়াত পাঠ করতেন।” [বুখারী, মুসলিম।]
১০. তিনি ভোরে মোরগের ডাক শুনে জাগ্রত হতেন, তখন তিনি আল হামদুলিল্লাহ্, আল্লাহু আকবার, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ, বলতেন এবং আল্লাহর দরবারে দু‘আ করতেন।
১১. তিনি বলেন: “সৎ-ভালো স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে। অতএব কোনো ব্যক্তি অপছন্দনীয় স্বপ্ন দেখলে সে যেন তার বাঁ দিকে তিনবার থু-তু নিক্ষেপ করে এবং শয়তানের অনিষ্ট হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে, তাহলে এ স্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আর সে এ স্বপ্ন কারো নিকট বর্ণনা করবে না। পক্ষান্তরে যদি সে ভালো স্বপ্ন দেখে থাকে, তাহলে তার উচিত সুসংবাদ গ্রহণ করা এবং তা ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছাড়া কারো নিকট তা বিবৃত না করা।” [বুখারী, মুসলিম।]
তিনি আরো বলেন: তোমাদের কেউ অপছন্দনীয় স্বপ্ন দেখলে সে যে কাতে শুয়েছিল তা যেন পরিবর্তন করে নেয় এবং উঠে সালাত পড়ে।” [মুসলিম।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/418/24
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।