hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলা‌ইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ (ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহ. এর যাদুল মা‘আদ হতে সংক্ষেপিত)

লেখকঃ ড. আহমাদ ইবন উসমান আল-মাযইয়াদ

২৪
(২২) ঘুমানো, জাগ্রত হওয়া ও স্বপ্ন প্রসঙ্গে তাঁর আদর্শমালা [যাদুল মা‘আদ, ১/১৪৯।]
১. রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো বিছানার উপর ঘুমাতেন, আর কখনো চর্মনির্মিত বিছানার উপর, কখনো চাটাইয়ের উপর। আবার কখনো যমীনের উপর, আর কখনো চৌকির উপর, তাঁর বিছানা ছিল চামড়ার, যার ভিতরকার উপকরণ ছিল খেজুর বৃক্ষের ছাল, আর অনুরূপ ছিল তাঁর বালিশ।

২. তিনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমাতেন না এবং প্রয়োজনীয় ঘুম থেকে নিজেকে বঞ্চিতও করতেন না।

৩. তিনি রাতের প্রথমাংশে ঘুমাতেন এবং শেষাংশে জাগ্রত হয়ে আল্লাহর ইবাদত করতেন, আবার কখনো মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষার্থে রাতের প্রথমাংশেও জাগ্রত থাকতেন।

৪. তিনি সফরকালে যখন শেষরাতে বিশ্রাম করতেন তখন তিনি তাঁর ডান কাতে শুতেন, আর যখন তিনি ফজরের কিচুক্ষণ আগে বিশ্রাম করতেন তখন বাহু খাড়া করে হাতের পাঞ্জার উপর মাথা রাখতেন।

৫. তিনি ঘুমালে সাহাবীদের কেউ তাঁকে জাগ্রত করতো না যতক্ষণ না তিনি নিজেই জাগ্রত হতেন, বস্তুত: তাঁর চক্ষুদ্বয় ঘুমালেও তার অন্তর ঘুমাতো না।

৬. তিনি যখন ঘুমানোর উদ্দেশ্যে তাঁর শয্যায় গমন করতেন, তখন বলতেন:

«باسمكَ اللَّهُمَّ أَحْيَا وأموتُ»

‘বিইসমিকা আল্লা-হুম্মা আহইয়া ওয়া আমূতু; -

হে আল্লাহ! তোমারই নামে আমার মৃত্যুবরণ ও আমার জীবনধারণ।” [বুখারী।] এবং তিনি স্বীয় দু’হাতের তালু মিলাতেন, অতঃপর সূরা ইখলাস ‘কুল হুআল্লাহু আহাদ’ এবং ‘মু‘আউয়াযাতাইন’ তথা ‘কুল আউযু বি রাব্বিল ফালাক্ব’ ও ‘ক্বুল আউযু বি রাব্বিন নাস’ পাঠ করে তাতে ফুঁক দিতেন, তারপর দু’হাতের তালু দ্বারা দেহের যতটা অংশ সম্ভব মাসেহ করতেন। মাসেহ আরম্ভ করতেন তাঁর মস্তক ও মুখমণ্ডল এবং দেহের সামনের দিক থেকে, আর তিনি এরূপ তিনবার করতেন।” [বুখারী।]

৭. তিনি ডান কাতে ঘুমাতেন এবং গালের নিচে হাত রেখে বলতেন:

«اللَّهُمَّ قِني عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعُثُ عِبَادَكَ»

‘আল্লা-হুম্মা ক্বিনী আযা-বাকা ইয়াওমা তাব‘আসু ইবা-দাকা;

“হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার আযাব হতে রক্ষা করো যেদিন তুমি তোমার বান্দাদের পুনরুত্থান ঘটাবে।” [আবু দাউদ।]

তিনি তাঁর কোনো সাহাবীকে লক্ষ্য করে বলেন: যখন তুমি শয্যায় গমন করবে তখন সালাতের অযুর ন্যায় অযু করবে, অতঃপর তোমার ডান কাতে শুয়ে বলবে:

«اللَّهُمَّ إِنِّي أسلمتُ نَفْسِي إليكَ , ووجَّهتُ وَجْهِي إليكَ , وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إليكَ , وألجأتُ ظهري إليكَ , رغبةً ورهبةً إليكَ , لا ملجأ ولا مَنْجَى مِنْكَ إِلَّا إليكَ , آمنتُ بِكَتَابِكَ الذي أنزلتَ , وبنبيكَ الذي أرسلتَ»

“আল্লাহুম্মা ইন্নি আসলামতু নাফসী ইলাইকা, ওয়াওয়াজ্জাহতু ওয়াজহী ইলাইকা, ওয়াআলজা’তু যাহরী ইলাইকা, রাগবাতান ওয়া রাহবাতান ইলাইকা, লা মালজাআ ওয়ালা মানজাআ মিনকা ইল্লা ইলাইকা, আ-মানতু বিকিতাবিকাল্লাযী আনযালতা, ওয়াবিনাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা”।

“হে আল্লাহ্! আমি আমার নফসকে তোমার কাছে সমর্পন করলাম, আমার চেহারাকে তোমার প্রতি নিবিষ্ট করলাম। আমার সমগ্র কার্যক্রম তোমার প্রতি ন্যস্ত করলাম, আমার পৃষ্ঠদেশকে তোমার আশ্রয় ঠেকালাম, তোমার নিকট আমার রহমতের আশা-ভরসা এবং তোমার শাস্তির ভয়-ভীতি সহকারে, তুমি ছাড়া কোথাও আশ্রয়স্থল ও মুক্তির উপায় নেই, আমি ঈমান আনলাম তোমার কিতাবের উপর, যা তুমি নাযিল করেছো এবং তোমার নবীর উপর, যাকে তুমি প্রেরণ করেছো”। এ কথা বলার পর যদি তুমি সেই রাতে মারা যাও, তাহলে তুমি ইসলামের উপরই মারা যাবে” [বুখারী।]

৮. তিনি রাত্রে জাগ্রত হয়ে বলতেন:

«اللَّهُمَّ رَبَّ جبريلَ , وميكائيلَ , وإسرافيلَ فَاطِرَ السَّماواتِ والأَرْضِ، عالمَ الغيبِ والشهادةِ , أنتَ تحكمُ بَيْنَ عبادِك فِيْمَا كانوا فيهِ يختلفونَ , اهْدِني لما اخْتُلِفَ فيه من الحقِّ بإذنِكَ , إنك تهدي مَنْ تشاءُ إلى صراطٍ مستقيم»

“আল্লাহুম্মা রাব্বা জীবরীল ওয়া মীকাঈলা ওয়া ইসরাফীলা, ফাত্বীরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, ‘আলিমাল গাইবি ওয়াশ শাহাদাতি, আন্‌তা তাহ্‌কুমু বাইনা ইবাদিকা ফীমা কানূ ফীহি ইয়াখতালিফূন; ইহদিনী লিমাখতুলিফা ফীহি মিনাল হাক্কী বি ইযনিকা ইন্নাকা তাহদী মান তাশা’উ ইলা সীরাতিম্মুস্তাক্বীম”

‘‘হে আল্লাহ্! জিবরাঈল, মীকাঈল ও ইসরাফীল -এর রব, আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, গায়েব ও উপস্থিতের মহাজ্ঞানী, তুমিই তোমার বান্দাদের মাঝে ফায়সালা দিয়ে থাক যে সব বিষয়ে তারা মতবিরোধ করে, অতএব বিরোধপূর্ণ বিষয়াবলীতে তুমি আমাকে স্বীয় অনুগ্রহে সত্যের প্রতি পথ প্রদর্শণ করো, কেননা তুমি যাকে চাও সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করে থাকো।” [মুসলিম।]

৯. তিনি বিছানায় জাগ্রত হয়ে বলতেন:

«الحَمْدُ للهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُور»

‘আল্ হাম্‌দু লিল্লাহিল্লাযী আহ্ইয়ানা বা’দামামাতানা, ওয়া ইলাইহিন নুশুর।”

“সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের মৃত্যু দান করার পর পুনরায় জীবন দান করেছেন এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন।

আর তখন তিনি মিসওয়াক করতেন এবং অনেক সময় সূরা আলে ইমরানের শেষ দশটি আয়াত পাঠ করতেন।” [বুখারী, মুসলিম।]

১০. তিনি ভোরে মোরগের ডাক শুনে জাগ্রত হতেন, তখন তিনি আল হামদুলিল্লাহ্, আল্লাহু আকবার, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ, বলতেন এবং আল্লাহর দরবারে দু‘আ করতেন।

১১. তিনি বলেন: “সৎ-ভালো স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে। অতএব কোনো ব্যক্তি অপছন্দনীয় স্বপ্ন দেখলে সে যেন তার বাঁ দিকে তিনবার থু-তু নিক্ষেপ করে এবং শয়তানের অনিষ্ট হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে, তাহলে এ স্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আর সে এ স্বপ্ন কারো নিকট বর্ণনা করবে না। পক্ষান্তরে যদি সে ভালো স্বপ্ন দেখে থাকে, তাহলে তার উচিত সুসংবাদ গ্রহণ করা এবং তা ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছাড়া কারো নিকট তা বিবৃত না করা।” [বুখারী, মুসলিম।]

তিনি আরো বলেন: তোমাদের কেউ অপছন্দনীয় স্বপ্ন দেখলে সে যে কাতে শুয়েছিল তা যেন পরিবর্তন করে নেয় এবং উঠে সালাত পড়ে।” [মুসলিম।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন