hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলা‌ইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ (ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহ. এর যাদুল মা‘আদ হতে সংক্ষেপিত)

লেখকঃ ড. আহমাদ ইবন উসমান আল-মাযইয়াদ

২৭
(২৫) কথা-বার্তা ও নীরবতা, বক্তব্য-ভাষণ ও সুন্দর নামকরণ প্রসঙ্গে তাঁর আদর্শমালা [যাদুল মা‘আদ, ১/১৭৫, ২/৩২০।]
১. রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সৃষ্টির মধ্যে সর্বাধিক শুদ্ধভাষায় বাক্যালাপে পারদর্শী এবং তাদের মাঝে সর্বাপেক্ষা মাধুর্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদানকারী ছিলেন।

২. তিনি দীর্ঘক্ষণ নীরব থাকতেন, বিনা প্রয়োজনে কথা বলতেন না, আর যেই বিষয়টি তাঁর সাথে সম্পৃক্ত নয় সেই ব্যাপার তিনি কোনো কথা বলতেন না, তিনি যে বিষয়ে সাওয়াবের আশা করতেন শুধু সেই বিষয়েই কথা বলতেন।

৩. তিনি ‘জাওয়ামেউল কালিম’-তথা ব্যাপক অর্থবোধক সংক্ষিপ্ত বাক্য’ দ্বারা সুস্পষ্ট ভাষায় কথা বলতেন, যা গণনাকারী গণনা করতে সক্ষম হতো, তা অতিদ্রুত ও তাড়াহুড়া করে বলা হতো না, যা সংরক্ষণ করা যায় না, আর না তা কর্তিত ও বিচ্ছিন্ন ছিল; যার মাঝে দীর্ঘ নীরবতা হতো।

৪. তিনি স্বীয় ভাষণে সর্বাপেক্ষা সুন্দর শব্দ চয়ন করতেন এবং স্বীয় উম্মতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি মনোনীত করতেন, তিনি কখনো গালমন্দকারী ও অশালীন বাক্য উচ্চারণকারী ছিলেন না।

৫. তিনি উচ্চামর্যাদাসম্পন্ন শব্দ অনোপযুক্ত লোকদের শানে ব্যবহার করা, কিংবা অপছন্দনীয় শব্দ মর্যাদাসম্পন্ন লোকদের শানে ব্যবহার করা অপছন্দ করতেন, সুতরাং তিনি কোনো মুনাফিক ব্যক্তিকে ‘সাইয়্যেদ’- বা নেতা বলে সম্বোধন করতে নিষেধ করেন এবং আবু জাহালকে আবুল হাকাম বলতে বারণ করেন, অনুরূপ কোনো রাজা-বাদশাকে রাজাধিরাজ অথবা পৃথিবীতে আল্লাহর খলীফা ইত্যাদি বলতে নিষেধ করেন।

৬. তিনি সেই ব্যক্তিকে দিকনির্দেশনা দেন যাকে শয়তান কোনো হোঁচট খাইয়েছে (বা কুমন্ত্রণা দিয়েছে) সে যেন আল্লাহর নাম ধারণ করে বলে, ‘বিসমিল্লাহ’। তাকে (শয়তানকে) যেন লা‘নত বা গালি-গালাজ না করে। অনুরূপ ‘শয়তান ধ্বংস হোক’ ইত্যাদি না বলে [কারণ এর মাধ্যমে শয়তানের মনে অহঙ্কার এসে যায় এবং সে মনে করে যে বনী আদম তার প্ররোচনাকে বড় কর দেখছে। আর যদি আল্লাহর নাম নেওয়া হয়, তখন সে হীন হয়ে যায়। সম্পাদক]।

৭. তিনি সুন্দর নাম পছন্দ করতেন এবং তিনি নির্দেশ দেন যে, কেউ তাঁর নিকট দূত প্রেরণ কালে যেন সুন্দর নাম ও সুন্দর চেহারা বিশিষ্ট লোককে দূত হিসেবে প্রেরণ করে। আর তিনি নামের অর্থের প্রতি লক্ষ্য করতেন, তিনি ব্যক্তির সাথে তার নামের সংযুক্তি করতেন।

৮. তিনি বলেন: আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয় নাম হলো ‘আব্দুল্লাহ’ আল্লাহর বান্দা, ও আব্দুর রহমান’ -করুণাময় আল্লাহর বান্দা। আর সর্বাধিক সত্য নাম হলো ‘হারেস’- যমীন আবাদকারী ও ‘হাম্মাম’-অত্যাধিক চিন্তা-ভাবনাকারী। পক্ষান্তরে সর্বাপেক্ষা মন্দ নাম হলো ‘হারব’- লড়াই-যুদ্ধ এবং ‘মুররাহ’- তিক্ত স্বাদযুক্ত।” [মুসলিম।]

৯. তিনি ‘আস্বিয়াহ’-পাপী মহিলা’- নাম পরিবর্তন করে তাকে বলেন: তুমি ‘জামীলাহ্’ সুন্দরী ও সচ্চরিত্রবর্তী মহিলা। অনুরূপ তিনি ‘আস্রম’ অভাবী- নাম পরিবর্তন করে ‘যুরাআহ্’-ফসল ও বীয বপণকারী নামকরণ করেন। তিনি মদীনায় আগমন করে তার পুরাতন নাম ‘ইয়াসরিব’ পরিবর্তন করে তাইয়্যেবাহ্’ পবিত্র, উত্তম ভুমি নামকরণ করেন।

১০. তিনি নিজের সাথীদের ডাকনাম বা উপনাম রাখতেন, অনেক সময় শিশু-কিশোরদেরও ডাকনাম রাখেন এবং স্বীয় স্ত্রীদের কারো কারো ডাকনাম রাখেন।

১১. তাঁর আদর্শ ছিল যার ছেলেসন্তান আছে, আর যার ছেলে-সন্তান নেই উভয়ের ডাকনাম রাখা এবং তিনি বলেন: তোমরা আমার নামে নাম রেখো, কিন্তু আমার ডাকনামে ডাকনাম রেখো না।” [বুখারী, মুসলিম। অর্থাৎ, একই ব্যক্তির নাম মুহাম্মদ এবং ডাকনাম আবুল ক্বাসিম রাখা যাবে না।’’ অনুবাদক।]

১২. তিনি রাতের আহারের নাম ‘আশা-উন’ পরিত্যাগ করে ‘আতামাহ্’ তথা অন্ধকার শব্দটিকে প্রাধান্য দিয়ে বলতে নিষেধ করেন এবং আঙ্গুর ফলকে ‘কারম’ বলতে বারণ করে বলেন: কারম তো হলো ঈমানদারের ক্বলব।” [বুখারী, মুসলিম।]

১৩. তিনি নিম্নোক্ত বাক্যাবলী ব্যবহার করতে নিষেধ করেন: অমুক অমুক নক্ষত্রের কারণে আমাদের উপর বৃষ্টি হয়েছে, আল্লাহ যা চায় এবং তুমি যা চাও তাই হয় [বরং বলবে : আল্লাহর ইচ্ছে, অতঃপর তোমার ইচ্ছা হলে’’।], আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করা, বেশী বেশী কসম করা, অথবা কসমে এরূপ বলা: যদি অমুক কাজ করে, তাহলে সে ইয়াহূদী বা খ্রীষ্টান হয়ে যাবে, মালিক নিজের ক্রিত দাস-দাসীকে আমার বান্দা ও আমার বান্দী বলা, আমার আত্মা ‘খবীস’ কলুষিত হয়ে গেছে এরূপ বলা [বরং যদি একান্তই বলতে হয়, তাহলে বলবে: আমার মন খারাপ বা দুর্বল হয়ে পড়েছে।’’ বুখারী।], অথবা শয়তান ধ্বংস হোক বলা, আর ‘হে আল্লাহ ! তুমি ইচ্ছা করলে আমাকে ক্ষমা কর, এরূপ বলতে নিষেধ করেন, বরং দৃঢ়তা সহকারে দু‘আ করতে বলেন।

১৪. তিনি যুগ বা কালকে গালি দেওয়া, বাতাসকে গালি দেওয়া, জ্বরকে গালি দেওয়া [জ্বর মানুষের পাপরাশিকে দূর করে যেমন কামারের হাপর লোহার ময়লা দূর করে।’’ মুসলিম।], মোরগকে গালি দেওয়া [মোরগ সালাতের জন্য ঘুম থেকে জাগিয়ে দেয়।’’ আবু দাউদ।] এবং ইসলাম পূর্ব জাহেলী যুগের আহ্বান থেকে নিষেধ করেন, যেমন বংশের খোঁটা দেওয়া বা নির্বিচারে বংশের পক্ষপাতিত্ব করা ইত্যাদি হতে নিষেধ করেন।”

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন