hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলা‌ইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ (ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহ. এর যাদুল মা‘আদ হতে সংক্ষেপিত)

লেখকঃ ড. আহমাদ ইবন উসমান আল-মাযইয়াদ

৩২
(৩০) ডাক্তারী-চিকিৎসা ও রোগীর দেখা-শোনা প্রসঙ্গে তাঁর আদর্শমালা [যাদুল মা‘আদ, ৪/৯।]
১. রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর আদর্শ ছিল নিজের চিকিৎসা করা এবং নিজ পরিবার ও সাহাবীদের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসা করার আদেশ করা।

২. তিনি বলেন: আল্লাহ্ এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, যার কোনো চিকিৎসা নেই।” [বুখারী।] তিনি আরো বলেন: হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা চিকিৎসা করো।” [আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ।]

৩. তিনি তিন প্রকারে রোগীর চিকিৎসা করতেন: ১. প্রাকৃতিক ঔষধসমূহ দ্বারা ২. ‘ইলাহী দাওয়া’-তথা শির্কমুক্ত ঝাঁড়-ফুঁক দ্বারা, ৩. উভয়ের সমষ্টির দ্বারা।

৪. তিনি মাদকদ্রব্য ও অপবিত্র বস্তু দ্বারা, চিকিৎসা করতে নিষেধ করেন।

৫. তাঁর সাহাবীদের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি তাকে দেখতে যেতেন, তিনি মরণমুখী ইয়াহূদী ছেলেটিকে দেখতে যান যে তাঁর খেদমত করতো এবং তাঁর মরণমুখী চাচা (আবু তালিব)-কে দেখতে যান অথচ সে মুশরিক ছিল এবং উভয়ের উপর ইসলাম পেশ করেন, ইয়াহূদী ছেলেটি ইসলাম গ্রহন করলো, কিন্তু তাঁর চাচা (আবু তালিব) ইসলাম গ্রহণ করেনি।

৬. তিনি রোগীর নিকটবর্তী হতেন এবং তার মাথার নিকট বসতেন এবং তার অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন।

৭. তাঁর আদর্শ ছিল না যে, রোগীকে দেখতে যাওয়ার জন্য কোনো দিন বা কোনো সময় নির্দিষ্ট করা, বরং তিনি স্বীয় উম্মতের জন্য দিবারাত্র ও সর্বক্ষণ রোগী দেখতে যাওয়ার বিধান প্রদান করেছেন।”

(ক) প্রাকৃতিক ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করা প্রসঙ্গে তাঁর আদর্শমালা: [যাদুল মা‘আদ, ৪/ ২৩।]

১. রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: জ্বরের উৎপত্তি, অথবা বলেছেন: কঠিন জ্বরের উৎপত্তি জাহান্নামের উত্তাপ হতে, সুতরাং তোমরা পানির দ্বারা তা ঠাণ্ডা করো।” [বুখারী, মুসলিম।]

২. তিনি আরো বলেন: “তোমাদের কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে তার উপর তিন রাত যাবৎ ভোরে ঠান্ডা পানি ঢেলে দেওয়া উচিৎ।

৩. তিনি জ্বরে আক্রান্ত হলে এক বালতি পানি আনতে বলতেন, তারপর তার উপর ঢেলে দিতেন এবং গোসল করাতেন। একদা জ্বর সম্পর্কে তাঁর নিকট আলোচনা করা হয়, তখন এক ব্যক্তি জ্বরকে গালি দিলে তিনি বলেন: তোমরা জ্বরকে গালি দিও না, কেননা জ্বর মানুষের পাপরাশিকে দূর করে যেমন কামারের হাপর লোহার ময়লা দূর করে থাকে।” [ইবন মাজাহ।]

৪. জনৈক ব্যক্তি এসে বললো: ইয়া রাসুলুল্লাহ্! আমার ভাই পেটের অভিযোগ করছে, অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তার পেট ছুটেছে, অর্থাৎ দস্ত শুরু হয়েছে, তখন তিনি বললেন: তাকে মধু পান করাও।” [বুখারী, মুসলিম।] তিনি সে মধুর সাথে পানি মিশিয়ে খালি পেটে খেতেন।

৫. এক দল লোক মদীনায় এসে ‘ইস্তিস্ক্বা’- রোগের অভিযোগ করলে তিনি তাদেরকে বলেন: যদি তোমরা যাকাতের উট চারণক্ষেত্রে গিয়ে সেগুলোর পেশাব ও দুধ পান-করতে, অতঃপর তারা অনুরূপ করলে সুস্থ্ হয়ে যায়।” [বুখারী, মুসলিম।] আর ‘ইস্তিস্ক্বা’-এক প্রকার রোগবিশেষ যাতে পেট ফুলে যায় এবং পিপাসার নিবৃত্তি হয় না।

৬. তিনি ওহুদ যুদ্ধে আহত হলে তাঁর কন্যা ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা চাটাই-এর একটি টুকরা নিয়ে আগুনে পুড়ে সে ছাই তাঁর ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিলে সাথে সাথে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি উবাই ইবনে কা‘আব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর নিকট একজন ডাক্তার প্রেরণ করেন, সে তার একটি রগ-ধমনী কেটে গরম লৌহা দিয়ে দাগ লাগায়।

তিনি বলেন: (অনেক) রেগের নিরাময় তিনটি জিনিসে, মধু পান করা, সিংগা লাগানো এবং গরম লোহা দিয়ে দাগানো, তবে আমি আমার উম্মতকে গরম লোহা দ্বারা দাগাতে নিষেধ করছি।” [বুখারী।]

তিনি আরো বলেন: লোহা গরম করে দাগ লাগানো আমি পছন্দ করি না।” [বুখারী, মুসলিম।] অর্থাৎ একান্ত বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া লোহা গরম করে দাগ লাগাবে না, যেহেতু তাতে অত্যধিক কষ্ট রয়েছে।

৭. তিনি অসুখের সময় শিঙ্গা লাগান এবং শিঙ্গাদানকারীকে তার মজুরী প্রদান করেন, আর বলেন: “তোমরা যে পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাও, শিঙ্গা লাগানো তার মধ্যে অন্যতম।” [বুখারী, মুসলিম।] তিনি ইহরাম অবস্থায় ব্যথার কারণে মাথায় শিঙ্গা লাগান।” [বুখারী।]

তিনি স্বীয় উরুর উপরিভাগে ‘ওসা’-তথা হাড় ভাঙ্গা ছাড়া ব্যথা’-এর কারণে শিঙ্গা লাগান।

তিনি তিনটি শিঙ্গা লাগাতেন, একটি স্কন্ধের মধ্যবর্তী পিছনের অংশে এবং অপর দু’টি দু’কাঁধের পার্শ্বের রগের উপর, তিনি (খাইবর হতে ফেরার পথে ইয়াহূদী মহিলা কর্তৃক) বিষ মিশ্রিত বকরী হতে আহার করার পর স্কন্ধের মধ্যবর্তী পিছনের অংশে তিন বার শিঙ্গা লাগান এবং তিনি সাহাবীদের শিঙ্গা লাগানোর নির্দেশ দেন।

৮. কেউ মাথা ব্যথার অভিযোগ করলে তিনি তাকে বলতেন: তুমি শিঙ্গা লাগাও। আর কেউ তার দু’পায়ের ব্যথার অভিযোগ করলে তাকে মেহেদী দ্বারা পাঁদ্বয় খেজাব-রং করার নির্দেশ দিতেন।” [আবু দাউদ।]

৯. সুনানে তিরমিযীতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লামের খাদেমা উম্মু রাফে‘অ সালমা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হতে বর্ণিত, কোনো সময় তাঁর শরীরে আঘাত লাগলে, অথবা কাটা বিদ্ধ হলে, তিনি তার উপর মেহেদী লাগাতেন [তিরমিযী।]।

১০. তিনি আরো বলেন: ‘এরকুন নাসা’ রোগের নিরাময় হলো দুম্বার পাছার নির্জাস, যা প্রতি দিন প্রত্যুষে থুতুর উপর তথা মুখ ধৌত করার পূর্বে পান করবে।” [ইবন মাজাহ।]

আর ‘এরকুন নাসা’ সেই ব্যাথাকে বলা হয়, যা উরুর উপরিভাগের জোড়া থেকে শুরু হয়ে পিছন দিয়ে নিচের দিকে নেমে আসে।

১১. তিনি শরীর কশা ও পেট মলীন ও নরম করার ঔষধ সম্পর্কে বলেন, “তোমরা নীম-পাতা ও জিরা ব্যবহার করো, কেননা তাতে প্রত্যেক রোগের নিরাময় রয়েছে একমাত্র মৃত্যু ছাড়া।” [ইবন মাজাহ।]

১২. তিনি আরো বলেন: তোমাদের সর্বোত্তম সুরমা হলো ‘ইস্মদ’-তথা কালো সুরমা, যা চক্ষু পরিস্কার করে এবং চুল উৎপন্ন করে।” [আবু দাউদ, ইবন মাজাহ।]

১৩. তিনি আরো বলেন: যে ব্যক্তি প্রত্যুষে সাতটি আলীয়া তথা ‘আজওয়া খেজুর খেয়ে নেবে, সে দিন কোনো বিষ বা জাদুটোনা তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।” [বুখারী, মুসলিম।]

১৪. তিনি আরো বলেন: তোমরা রোগীদেরকে পানাহারের উপর জবরদস্তি করো না, কেননা আল্লাহই তাদেরকে পানাহার করান।” [তিরমিযী, ইবন মাজাহ।]

১৫. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুহাইব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-কে চক্ষুপীড়া অবস্থায় খেজুর খাওয়াতে অসম্মতি প্রকাশ করেন, তবে কয়েকটি খেজুর খাওয়ায় সম্মতি দেন, আর তিনি আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-কে ‘রুতাব’-তথা তাজা খেজুর হতে আত্মরক্ষার নির্দেশ দেন যখন সে চক্ষুপীড়ায় ভুগছিল।

১৬. তিনি বলেন: যখন তোমাদের কারো খাবারের পাত্রে মাছি পড়ে, তাহলে অবশ্যই গোটা মাছিটা তাতে ডুবিয়ে দেবে, অতঃপর মাছিটি দূরে ছুড়ে ফেলে দেবে, কারণ তার এক ডানাতে রোগ নিরাময়ের ব্যবস্থা, আর অপর ডানাতে রোগজীবাণু রয়েছে, আর মাছি প্রথমে রোগজীবানুযুক্ত পাখাটি খাবারের মধ্যে ঢুকিয়ে থাকে, তাই দ্বিতীয় ডানাটা পাত্রে ঢুকিয়ে দিতে হবে।” [বুখারী।]

১৭. তিনি আরো বলেন: ‘তালবীনা’ রোগীর প্রাণে শক্তি সঞ্চার করে এবং দুশ্চিন্তা দূরীভূত করে।” [বুখারী, মুসলিম।]

আর ‘তালবীনা’ হলো এক প্রকার লঘু পাক খাদ্য, যা গম-যবের আটা ভুষি সহ পানিযোগে তৈরী করা হয়।

১৮. তিনি বলেন: তোমরা কালাজিরা ব্যবহার করো, কেননা তাতে মৃত্যু ব্যতীত আর সকল রোগের চিকিৎসা রয়েছে।” [বুখারী, মুসলিম।]

১৯. তিনি বলেন: তোমরা কুষ্ঠ রোগগ্রস্ত ব্যক্তি থেকে পলায়ন করো, যেভাবে পলায়ন করে থাকো ব্যাঘ্র থেকে।” [বুখারী।]

তিনি আরো বলেন: অসুস্থ্ রোগীকে সুস্থ্ ব্যক্তির নিকট রাখবে না।” [বুখারী, মুসলিম।]

২০. সাক্বীফ গোত্রের প্রতিনিধি দলের মধ্যে এক লোক কুষ্ঠ রোগগ্রস্থ রোগী ছিল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রতি দূত প্রেরণ করে বলেন: তুমি ফিরে যাও, আমরা তোমরা বাই‘আত গ্রহণ করে নিয়েছি।” [মুসলিম।]

(খ) ‘ইলাহী দাওয়া’-তথা ঝাড়ফুঁক দ্বারা চিকিৎসা প্রসঙ্গে তাঁর আদর্শমালা [যাদুল মা‘আদ, ৪/১৪৯।]:

১. রাসুলু্ল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জ্বিন-শয়তান ও বদ-নযর হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করতেন এবং বদ-নযর দূরীকরণার্থে ঝাড়ফুঁক করার নির্দেশ দেন, আর বলেন: “বদ-নযর লাগা এক বাস্তব সত্য, যদি কোনো বস্তু ভাগ্য অতিক্রম করে থাকতো, তাহলে বদ-নযরই ভাগ্য অতিক্রম করতো, আর যদি তোমাদের কারো নিকট গোসল করে পানি দানের জন্য অনুরোধ করা হয়, তখন সে যেন গোসল করে পানি দেয়।” [মুসলিম, অতঃপর গোসলে ব্যবহৃত সেই পানি দ্বারা বদ-নযরগ্রস্ত রোগী গোসল করবে।]

২. তিনি একটি মেয়েকে দেখতে পেলেন যে, তার চেহারায় বদ-নযর লাগার লাগার আলামত রয়েছে, তখন তিনি বললেন: একে ঝাঁড়ফুঁক কর, কেননা তার উপর বদ-নযর লেগেছে।” [বুখারী, মুসলিম।] উক্ত হাদীসে উল্লেখিত ‘সাফ‘আহ’-শব্দের মর্মার্থ: জ্বিন-শয়তানের বদ-নযর।

৩. তিনি সেই সাহাবীকে লক্ষ্য করে বলেন, যিনি বিচ্ছুতে দংশিত ব্যক্তিকে সূরা ফাতিহা পড়ে ঝাড়ফুঁক করার ফলে সে সুস্থ হয়েছিল, কে তোমাকে জানালো যে, সূরা ফাতিহা ঝাড়ফুঁকের কাজ করে? [বুখারী, মুসলিম।]

৪. এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বললো: গতরাত আমাকে বিচ্ছু দংশন করেছে, তখন তিনি বলেন: যদি তুমি সন্ধ্যাবেলায় বলতে:

«أَعُوذُ بِكَلِماتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ»

‘আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত্ তা-ম্মাতি মিন শাররি মা-খালাক;

“আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় প্রার্থনা করছি তাঁর সৃষ্টির অনিষ্ট হতে,- তাহলে কোনো বস্তু তোমরা ক্ষতি করতে পারতো না।” [মুসলিম।]

(গ) উভয়ের সমষ্টি সহজ ও উপকারী চিকিৎসা প্রসঙ্গে তাঁর আদর্শমালা:

১. যখন কোনো লোক অসুস্থ হয়ে পড়তো, অথবা আহত কিংবা জখমী হতো, তখন তিনি তর্জনী আঙ্গুলটি যমীনে রাখতেন, অতঃপর তা উঠিয়ে বলতেন:

«بِسْمِ اللهِ تُرْبَةُ أَرْضِنَا , بِريقةِ بَعْضِنَا يُشْفَى سَقِيمُنَا , بإِذْنِ رَبِّنَا»

‘বিসমিল্লাহি তুর্বাতু আরদিনা, বি-রীক্বাতি বা’যিনা, ইউশফা সাক্বীমুনা, বিইযনি রাবিবনা;-

“আল্লাহর নামে, আমাদের দেশের মাটি এবং আমাদের একজনের থুতু, আমাদের প্রতিপালকের হুকুমে যেন আমাদের রোগী আরোগ্য লাভ করে।” [বুখারী, মুসলিম।]

২. কোনো সাহাবী তাঁর নিকট ব্যথার অভিযোগ করলে তিনি বলেন: তুমি শরীরে ব্যথার স্থানে নিজের হাত রেখে এ দু‘আটি সাতবার বলো:

«أَعُوذُ بِعِزَّةِ اللهِ وقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وأُحَاذِرُ»

‘আউযু বিইয্যাতিল্লাহি ওয়া ক্বুদরাতিহী মিন শাররি মা-আজিদু ওয়া উহাযিরু; যে অনিষ্ট আমি অনুভব করছি, আর যার আমি আশংকা করছি তা হতে আমি আল্লাহুর নিকট তাঁর মর্যাদা ও কুদরতের মাধ্যমে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” [মুসলিম।]

আর তিনি সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পড়ে নিজের কোনো বিবির ব্যথার স্থানে ডান-হাত বুলাতেন এবং এ দু‘আটি পাঠ করতেন:

«اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ البَاسَ , واشْفِ أَنْتَ الشَّافِي , لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ , شِفَاءً لا يُغَادِرُ سَقَمًا»

‘আল্লা-হুম্মা রাববান নাসে! আযহিবিল বা’স, ওয়াশফি আন্তাশ শাফি, লা-শিফাআন্ ইল্লা শিফা-উকা, শিফা-আন্ লা-ইউগাদিরু সুকুমান;- অর্থাৎ হে আল্লাহ্ মানুষের প্রভু! এ ব্যথা দূর করে দাও এবং আরোগ্য করে দাও, তুমিই তো একমাত্র শেফাদানকারী, তোমার শেফা ছাড়া আর কোনো শেফা নেই, সুতরাং এমন শেফা দান কর যা কোনো রোগকে না ছাড়ে।” [বুখারী, মুসলিম।]

তিনি রোগী দেখতে গেলে বলতেন:

«لَا بأسَ طهورٌ إنْ شَاءَ اللهُ»

‘লা-বা’ছা, ত্বাহুরুন ইন্শা-আল্লাহ্;-

অর্থাৎ ভয়ের কিছুই নেই, ইন-শা আল্লাহ্ পাপরাশী হতে পবিত্রতা (অর্জিত হবে)।” [বুখারী।]

আল-হামদুলিল্লাহ্ সমাপ্ত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন