hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলা‌ইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ (ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহ. এর যাদুল মা‘আদ হতে সংক্ষেপিত)

লেখকঃ ড. আহমাদ ইবন উসমান আল-মাযইয়াদ

৩১
(২৯) সফর-ভ্রমন প্রসঙ্গে তাঁর আদর্শমালা [যাদুল মা‘আদ, ১/৪৪৪।]:
১. রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃহস্পতিবার ও দিনের প্রথম দিকে সফরে রওয়ানা হওয়া হওয়া পছন্দ করতেন।” [বুখারী, মুসলিম।]

২. সফরসঙ্গী ছাড়া মুসাফিরের পক্ষে রাতে একাকী সফর করা তিনি পছন্দ করতেন না। অনুরূপ কোনো ব্যক্তি একাকী সফর করা তিনি অপছন্দ করতেন।” [বুখারী।]

৩. তিনি মুসাফিরদের প্রতি নির্দেশ জারী করেন যে, তারা তিনজন হলে যেন নিজেদের মধ্য হতে একজনকে আমীর নিযুক্ত করে।” [আবু দাউদ।]

৪. তিনি সাওয়ারীতে আরোহণ করে তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন। অতঃপর নিম্নোক্ত দু‘আসমূহ পাঠ করতেন:-

﴿سُبۡحَٰنَ ٱلَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُۥ مُقۡرِنِينَ ١٣ ﴾ [ الزخرف : ١٣ ] «اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِي سفَرِي هذا البِرَّ والتقوى , ومن العملِ مَا تَرْضَى اللَّهُمَّ هَوِّن عَليْنَا سَفَرَنَا هَذَا واطْوِ عَنَّا بُعْدَه , اللَّهُمَّ أَنْتَ الصاحبُ في السفرِ , والخليفةُ في الأهلِ , اللَّهُمَّ اصْحَبْنَا في سَفَرِنَا واخْلُفْنَا في أهْلِنَا»

‘সুবহানাল্লাযী সাখ্খারা লানা হাযা, ওয়ামা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন, ওয়া-ইন্না ইলা-রবিবনা লামুনক্বালিবুন,

আল্লা-হুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফী সাফারিনা-হাযাল বিররা্ ওয়াত তাক্বওয়া, ওয়ামিনাল আমালে মা তারদ্বা, আল্লা-হুম্মা হাওয়েন ‘আলাইনা সাফারানা-হাযা, ওয়াত্বওয়ি ‘আন্না বু‘দাহ্, আল্লা-হুম্মা আসহিবনা ফী-সাফারিনা, ওয়াখলুফনা ফী আহলিনা।”

“পাক-পবিত্র সেই মহান সত্বা,যিনি এটিকে আমাদের জন্য বশীভূত করে দিয়েছেন, অন্যথায় একে বশীভুত করতে আমরা সক্ষম ছিলাম না, আর আমরা অবশ্য আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী,

হে আল্লাহ! আমাদের এই সফরে আমরা তোমার নিকট প্রার্থনা করছি নেকী ও তাক্বওয়ার এবং এমন আমলের সামর্থ যাতে তুমি রাযী-খুশী হও, হে আল্লাহ ! তুমি আমাদের জন্য এই সফরকে সহজ-সাধ্য করে দাও এবং এর দূরত্বকে আমাদের জন্য গুটিয়ে দাও, হে আল্লাহ! তুমি সফরে আমাদের সাথী এবং পরিবারে আমাদের প্রতিনিধি রক্ষণাবেক্ষণকারী হোন।” [মুসলিম।]

আর তিনি সফর থেকে প্রত্যাবর্তনকালে এ দু‘আটি অতিরিক্ত পড়তেন:

«آيبونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ»

আ-য়েবূনা তা-য়েবূনা ‘আ-বিদূন, লি-রব্বিনা হামিদূন,

“আমরা প্রত্যাবর্তনকারী নিরাপত্তার সাথে, আমরা তাওবাকারী, আমরা নিজেদের প্রভুর ইবাদতকারী ও প্রশংসাকারী।” [মুসলিম।]

৫. যখন তিনি উঁচু ভুমিতে উঠতেন তখন ‘আল্লাহু আকবার’ তাকবীর বলতেন এবং যখন সমভুমি-উপত্যকার দিকে নামতেন ‘সুবহানাল্লাহ্-বলতেন।” [আবু দাউদ।]

এক ব্যক্তি বললো: ইয়া রাসুলুল্লাহ্! আমি সফরে যেতে মনস্থ করেছি, তখন তিনি বলেন: তুমি অবশ্যই ‘তাক্বওয়া’- অবলম্বন করবে, আর প্রত্যেক উঁচু জায়গায় উঠার সময় তাকবীর বলবে।” [তিরমিযী, ইবন মাজাহ।]

৬. সফরকালে ভোরের আলো উদ্ভাসিত হলে তিনি বলতেন:

«سَمَّعَ سَامِعٌ بِحَمْدِ الله وحُسْنِ بِلَائِهِ عَلَيْنَا , ربَّنَا صَاحِبْنَا وأَفْضِلْ عَلَيْنَا عَائِذًا باللهِ مِنَ النَّارِ»

“সাম্মা‘আ সামি‘য়ূন বিহামদিল্লাহ ওয়াহুসনি বালায়িহী ‘আলাইনা, রাব্বানা সাহিবনা, ওয়া আফদেল আলাইনা, ‘আয়েযান বিল্লাহি মিনান না-রী।”

“এক সাক্ষ্যদানকারী সাক্ষ্য দিল আল্লাহর প্রশংসার, আর অগণিত নিয়ামত আমাদের উপর উত্তমরূপে বর্ষিত হলো, হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের সঙ্গে থাকুন, প্রদান করুন আমাদের উপর অফুরন্ত নিয়ামত, আমি আল্লাহর নিকট জাহান্নামের আগুন হতে আশ্রয় প্রার্থনাকারী।” [মুসলিম।]

৭. তিনি সফরকালে পরিবার-পরিজনকে বিদায় দানের সময় বলতেন:

«أَستَوْدِعُ اللهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وخَواتِيمَ أَعْمَالِكَ»

‘আস্তাওদিউল্লাহা দ্বীনাকা, ওয়া-আমা-নাতাকা, ওয়া-খাওয়াতীমা আ‘মা-লিকা’

“আমি তোমার দ্বীন-ধর্ম, তোমার আমানত এবং তোমার আমলসমূহের সমাপ্তি আল্লাহর হেফাযতে রেখে যাচ্ছি।” [আবু দাউদ, তিরমিযী।]

৮. তিনি বলেন: তোমাদের কেউ সফরে কোনো স্থানে অবতরণ করলে তখন বলবে:

«أعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ»

‘আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত্ তা-ম্মাতি মিন মার্রি মা-খালাক;-

“আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় প্রার্থনা করছি তাঁর সৃষ্টির অনিষ্ট হতে;- তাহলে সেই স্থান ত্যাগ করা পর্যন্ত কোনো বস্তু তার কোনো ক্ষতি সাধন করতে পারবে না।” [মুসলিম।]

৯. তিনি মুসাফিরের প্রয়োজন পূর্ণ হওয়ার পর অবিলম্বে নিজের পরিবার-পরিজনের নিকট আসার নির্দেশ দিতেন।

১০. তিনি মহিলাকে মাহরাম পুরুষ সাথী ছাড়া সফর করতে নিষেধ করতেন, যদিও তার দুরত্ব হয় ডাকযোগের তথা প্রায় ১২ মাইল।

তিনি কাফের শুত্রুদের হস্তগত হওয়ার আশংকায় কুরআন নিয়ে কাফেরদের দেশে সফর করতে নিষেধ করেছেন।

১১. তিনি মুসলিমকে কাফের-মুশরিকদের মাঝে বসবাস করতে নিষেধ করেন, যদি সে হিজরত করার শক্তি-সামর্থ রাখে এবং বলেন: “কাফের-মুশরিকদের মাঝে যে সকল মুসলিম বসবাস করে, তাদের সাথে আমার সম্পর্ক ছিন্ন।” [আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ।]

তিনি আরো কলেন: যে কেউ কাফের-মুশরিকের সঙ্গী হয় এবং তার সাথে বসবাস করে সেও তার মতো।” [আবু দাউদ।]

১২. তাঁর সফর চার প্রকার ছিল: ১. হিজরতের সফর, ২. জিহাদের সফর, আর এটাই ছিল সর্বাপেক্ষা অধিক ৩. ওমরার সফর, ৪. হজ্জের সফর।

১৩. তিনি সফরে চার রাকাতের ফরয সালাতকে কসর করে দু’রাকাত পড়তেন, সফরের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার সময় হতে ফিরে আসা পর্যন্ত। আর তিনি সফরে শুধুমাত্র ফরয সালাত আদায় করতেন, তবে তিনি ফজরের সুন্নাত ও বিতর নিয়মিত পড়তেন।

১৪. তিনি স্বীয় উম্মতের জন্য কোনো নির্দিষ্ট পরিমাপ বা দূরত্ব নির্ধারণ করেননি যা অতিক্রম করার পর সালাত কসর করা কিংবা রোযা ছেড়ে দেওয়া বিধেয় হবে। [বরং প্রচলিত অর্থে যাকে সফর বলা হয়, সেই সফরে সালাত কসর করা চলবে।’ অনুবাদক]

১৫. তাঁর আদর্শ ছিল না সফরে সাওয়ারীতে আরোহণ কালে ‘জম্‘অ’ করা-তথা দুই ওয়াক্তের সালাত একত্রিত করে আদায় করা, আর না অবতরণের কালে, বরং তিনি শুধু সফর দ্রুতগতিতে হলেই ‘জম‘অ’ করতেন, সুতরাং সূর্য ঢলার আগে তিনি সফর শুরু করলে, তখন যোহরকে আসরের সময় পর্যন্ত বিলম্বিত করতেন, অতঃপর সাওয়ারী হতে অবতরণ করে যোহর ও আসর একত্রিত করে আদায় করতেন, আর সফর শুরু করার আগেই সূর্য ঢলে গেলে, তখন তিনি যোহরের সালাত পড়ে সাওয়ারিতে আরোহণ করতেন, অনুরূপ সফর দ্রুতগতিতে হলে তিনি মাগরিবের সালাত বিলম্বিত করে এশার সালাতের সাথে একত্রিত করে এশার ওয়াক্তে আদায় করতেন।

১৬. তিনি সফরে দিবারাত্রে নফল সালাত সাওয়ারীর উপরই পড়তেন, সাওয়ারী যে দিকেই ফিরে আছে সেই দিকেই সালাত আদায় করতেন এবং রুকু-সিজদা ইশারার মাধ্যমে আদায় করতেন এবং সিজদার সময় মাথা রুকু হতে অধিক নত করতেন [কিন্তু ফরয সালাত আদায়ে ইচ্ছা করলে সাওয়ারী হতে অবতরণ করে ক্বিবলার দিকে মুখ করে আদায় করতেন।]।

১৭. তিনি মাহে রামযানে সফর করেন এবং রোযা ভঙ্গ করেন, সাহাবীদের রোযা রাখা ও না রাখা উভয়ের অনুমতি দেন।

১৮. তিনি সফরে সর্বদা কিংবা অধিকাংশ সময়ে চর্মের মোজা পরিধান করতেন।

১৯. তিনি কোনো ব্যক্তিকে সফরে দীর্ঘদিন অতিবাহিত করার পর হঠাৎ রাত্রিবেলায় পরিবারবর্গের নিকট ফিরে আসতে নিষেধ করেন।” [বুখারী।]

২০. তিনি বলেন: ফেরেশ্তাগণ সেসব কাফেলার সফরসঙ্গী হয় না, যাদের সাথে কুকুর অথবা ঘন্টা থাকে।” [মুসলিম।]

২১. তিনি সফর থেকে ফিরে এসে প্রথমে মসজিদে গিয়ে দু’রাকাত সালাত আদায় করতেন, অতঃপর পরিবারের শিশু-কিশোরদের সাথে সাক্ষাৎ করতেন।

২২. তিনি সফর থেকে প্রত্যাবর্তনকারীর সাথে প্রীতিভরে আলিঙ্গন করতেন এবং নিজ পরিবারের লোক হলে তাকে চুমু দিতেন।”

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন