hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলা‌ইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ (ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহ. এর যাদুল মা‘আদ হতে সংক্ষেপিত)

লেখকঃ ড. আহমাদ ইবন উসমান আল-মাযইয়াদ

(১) পবিত্রতা অর্জন ও প্রাকৃতিক প্রয়োজন পুরণ করা প্রসঙ্গে তাঁর আদর্শমালা [যাদুল মাআদ : ১/১৬৩।]
(ক) প্রাকৃতিক প্রযোজনপূর্ণ করার সময় তাঁর আদর্শমালা :

১. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খানায় প্রবেশকালে বলতেন :

«اللهم إني أعوذ بك من الخبث والخبائث»

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু-বিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাব-ইস।’

“হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট অপবিত্র নর জ্বিন ও অপবিত্র নারী জ্বিন হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” [বুখারী ও মুসলিম।]

আর পায়খানা হতে বর্হিগমন কালে বলতেন:

( غفرانك )

‘গোফরানাকা’

“হে আল্লাহ! আমি তোমার ক্ষমা প্রার্থনা করছি।” [আবু দাউদ, তিরমিযী।]

২. তিনি অধিকাংশ সময় বসে প্রস্রাব করতেন।

৩. তিনি কখনো পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতেন, আবার কখনো পাথর দিয়ে কুলুখ করতেন, আবার কখনো কুলুখ ও পানি উভয়টি ব্যবহার করতেন।

৪. তিনি ইস্তিঞ্জা ও কুলুখ বাম হাত দিয়ে সম্পাদন করতেন।

৫. তিনি পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা শেষে হাত মাটিতে ঘষে ধৌত করে নিতেন।

৬. তিনি সফরকালে প্রস্রাব-পায়খানায় যাওয়ার সময় সাথীদের থেকে অনেক দূরে চলে যেতেন, যাতে কেউ দেখতে না পায়।

৭. এই উদ্দেশ্যে তিনি কোনো বস্তুর আড়ালে গোপনীয়তা অবলম্বন করতেন, কখনো খেঁজুর শাখার বৃক্ষরাজী দ্বারা, আবার কখনো উপত্যকার কোনো বৃক্ষ দ্বারা।

৮. তিনি প্রস্রাবের সময় নরম জায়গা বা বালুকাময় ভূমি চয়ন করতেন।

৯. তিনি প্রস্রাব-পায়খানার জন্য বসার আগেই কাপড় উঠাতেন না।

১০. তিনি প্রস্রাব করার সময় কেউ সালাম করলে উত্তর দিতেন না।”

(খ) অযু করার সময় তাঁর আদর্শমালা : [যাদুল মা‘আদ : ১/১৮৪]

১. রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকাংশ সময় প্রত্যেক সালাতের জন্য অযু করতেন, আবার কখনো এক অযু দ্বারা কয়েক ওয়াক্ত সালাত আদায় করতেন।

২. তিনি কখনো এক মুদ [অর্থাৎ, এক সা’-এর এক-চতুর্থাংশ, কম-বেশী-৭৫০ মিঃলিঃ পরিমান।’’ অনুবাদক] পানি দ্বারা অযু করতেন, আবার কখনো মুদের দুই-তৃতীয়াংশ দ্বারা, আবার কখনো মুদের চেয়ে বেশী পানি দ্বারা।

৩. তিনি অযু করার সময় সর্বাধিক কম পানি ব্যবহার করতেন এবং স্বীয় উম্মতকে পানি অপব্যয় করা হতে সতর্ক করতেন।

৪. তিনি অযুর অঙ্গগুলো এক-একবার, দু’-দু’বার ও তিন-তিনবার ধৌত করতেন, আবার কোনো অঙ্গ দু’বার ও অন্য অঙ্গ তিনবার ধৌত করেন, তবে কখনই তিন বারের অধিক ধৌত করেননি।

৫. তিনি ‘মাযমাযা’- (তথা কুলি করা ও ‘ইস্তিনশাক্ব’-তথা নাকে পানি দিয়ে ঝেড়ে পরিষ্কার) করা কখনো এক চিলু পানি দ্বারা সম্পাদন করতেন, আবার কখনো দুই চিলু পানি দ্বারা, আবার কখনো তিন চিলু পানি দ্বারা করতেন, বস্তুত তিনি ‘মাযমাযা’ ও ‘ইস্তিনশাক্ব’ লাগাতার করতেন।

৬. তিনি ডান হাতে নাকে পানি দিয়ে বাম হাত দ্বারা নাক ঝেড়ে পরিষ্কার করতেন।

৭. তিনি যখনই অযু করতেন তখনই ‘মাযমাযা’ ও ‘ইস্তিনশাক্ব’ করতেন।

৮. তিনি সমগ্র মাথা (একবার) মাসেহ করতেন, আবার কখনো স্বীয় হস্তদ্বয় মাথার অগ্রভাগে রেখে পিছন পর্যন্ত নিয়ে যেতেন এবং পুনরায় পিছন থেকে উভয় হাত অগ্রভাগে টেনে আনতেন।

৯. তিনি মাথার শুধু অগ্রভাগ মাসেহ করলে তখন বাকী অংশ পাগড়ীর উপর মাসেহ করে সম্পূর্ণ করতেন।

১০. তিনি মাথার সাথে স্বীয় কানদ্বয়ের ভিতর ও বাহিরের অংশ মাসেহ্ করতেন।

১১. তিনি স্বীয় পাদ্বয় (গোড়ালি পর্যন্ত) ধৌত করতেন, যখন তাতে চামড়া কিংবা সুতার মোজা না হতো।

১২. তিনি অযুর কার্যাবলী লাগাতার ও ধারাবাহিকতার সাথে সম্পন্ন করতেন, এতে কখনই বিঘ্ন বা ভিন্নতা সৃষ্টি করেন নি।

১৩. তিনি ‘বিসমিল্লাহ্’ বলে অযু শুরু করতেন এবং অযু শেষে বলতেন:

«أشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له، وأشهد أن محمداً عبده ورسوله، اللهم اجعلني من التوابين واجعلني من المتطهرين»

আশ-হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু, ওয়া আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ও রাসুলুহু; আল্লা-হুম্মাজ‘আলনী মিনাত-তাওয়াবীনা, ওয়াজ‘আলনী মিনাল মুতাত্বাহহিরীন।” [তিরমিযী]

“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত সত্য কোনো মা‘বুদ নেই, তিনি এক ও একক, তাঁর কোনো শরীক বা অংশীদার নেই, আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলা‌ইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। হে আল্লাহ ! আমাকে তাওবাহকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।”

তিনি আরো বলতেন:

( سبحانك اللهم وبحمدك أشهد أن لا إله إلا أنت، أستغفرك وأتوب إليك )

সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশ্হাদু আল-লা-ইলাহা ইল্ল-আনতা, আস্তাগফিরুকা, ওয়াআতুবু- ইলাইক।”

“হে আল্লাহ ! তুমি পাক-পবিত্র, তোমারই প্রশংসা, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া সত্য কোনো মা‘বুদ বা উপাস্য নেই, আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তোমার নিকট তাওবাহ করি।

১৪. তিনি অযুর শুরুতে ‘নাওয়্যাইতু রাফআল হাদাস’ কিংবা ‘নাওয়্যাইতু ইসতেবাহতুস সালাত’ ইত্যাদি গদবাঁধা শব্দ পাঠ করে নিয়্যাত করেননি, তিনি ও তাঁর সাহাবীগণ কখনই এমনটি করেননি [বরং নিয়্যাত হলো অন্তরে পবিত্রতা অর্জনের সংকল্প করা।’’ অনুবাদক।]।

১৫. তিনি কখনই কনুইদ্বয় ও গোড়ালিদ্বয়ের উপর ধৌত করেননি।

১৬. অযু শেষে অঙ্গগুলি মুছে শুকানো তাঁর অভ্যাস ছিল না।

১৭. তিনি কখনো দাঁড়ির ভিতরে পানি দিয়ে দাঁড়ি খেলাল করতেন, কিন্তু তা নিয়মিত সব সময় করেননি।

১৮. তিনি হাত ধোয়ার সময় এক হাতের আঙ্গুল অন্য হাতের আঙ্গুলের মধ্যে ভরে দিয়ে খেলাল করতেন, কিন্তু তা নিয়মিত সব সময় করেননি।

১৯. অযু করার সময় সর্বদা অন্যে পানি ঢেলে দেওয়া তাঁর নীতি ছিল না, কিন্তু কখনো তিনি নিজেই পানি ঢেলে অযু করতেন, আবার কখনো প্রয়োজন বিশেষ তাঁর সাহাবীদের কেউ পানি ঢেলে দিতেন।”

(গ) মোজার উপর মাসেহ করা প্রসঙ্গে তাঁর আদর্শমালা [যাদুল মাআদ : ১/১৯২]:

১. সহীহ্ সনদে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত যে, তিনি সফরকালে এবং গৃহে অবস্থানকালে মোজার উপর মাসেহ করেছেন এবং মুক্বিম (মুসাফির নয় এমন) ব্যক্তির জন্যে একদিন একরাত, আর মুসাফিরের জন্য তিনদিন তিনরাত মাসেহ করার সময় সীমা নির্ধারণ করেন।

২. তিনি খুফ্ তথা চামড়ার তৈরী মোজার উপরের ভাগে মাসেহ করতেন এবং ‘জাওরাব’ তথা সুতা বা পশমী মোজার উপরও মাসেহ করেন, তিনি শুধু পাগড়ীর উপরও মাসেহ করেন, আবার কখনো মাথার অগ্রভাগ মাসেহ করে বাকী অংশ পাগড়ীর উপর সম্পূর্ণ করেন।

৩. তিনি বিনা প্রয়োজনে (মোজা পরিধান কিংবা খোলার মাধ্যমে) অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতেন না, বরং পাদ্বয়ে মোজা থাকলে মাসেহ করতেন, নচেৎ পাদ্বয় ধৌত করতেন।”

(ঘ) তায়াম্মুমে তাঁর আদর্শমালা [যাদুল মাআদ : ১/১৯২]:

১. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র মাটি দ্বারা যার উপর সালাত আদায় করা যায়, তায়াম্মুম করতেন, তা মাটি হোক কিংবা গন্ধকযুক্ত ভুমি হোক অথবা বালুকাময় ভুমি হোক, আর বলতেন :

“যেখানেই আমার উম্মতের কারো সালাতের সময় উপস্থিত হবে, সেখানেই তার সালাত আদায় করার স্থান ও পবিত্রতা অর্জন করার বস্তু বিদ্যমান রয়েছে।” [মসনাদে ইমাম আহমাদ।]

২. তিনি দূর-দূরান্ত সফরের সময় সাথে মাটি বহন করে নিতেন না এবং এর আদেশও করেননি।

৩. তিনি প্রত্যেক সালাতের জন্য তায়াম্মুম করেননি এবং এর নির্দেশও দেননি, বরং তায়াম্মুমের বিধানকে ব্যাপক করত অযুর বিধানের স্থালাভিষিক্ত করেছেন।

৪. তিনি মুখমণ্ডল, কব্জিদ্বয়ের জন্য যমীনে একবার হাত মেরে তায়াম্মুম করতেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন