hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলা‌ইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ (ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহ. এর যাদুল মা‘আদ হতে সংক্ষেপিত)

লেখকঃ ড. আহমাদ ইবন উসমান আল-মাযইয়াদ

৩০
(২৮) আশংকা, বিপদাপদ ও দুশ্চিন্তার চিকিৎসা প্রসঙ্গে তাঁর আদর্শমালা [যাদুল মা‘আদ, ৪/১৮০।]
১. রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিপদাপদের সময় বলতেন:

«لَا إلهَ إلَّا اللهُ العَظِيمُ الحَلِيمُ , لَا إلهَ إلَّا اللهُ رَبُّ العَرْشِ العَظِيمُ , لَا إلهَ إلَّا اللهُ رَبُّ السَّمَاواتِ السَّبْعِ , ورَبُّ الأرضِ رَبُّ العَرْشِ الكَرِيمُ»

“লা ইলাহ ইল্লাল্লাহুল আযীমুল হালীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আযীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতিস সাব‘য়ী ওয়ারাব্বিল আরদ্বি, রাব্বিল ‘আরশিল কারীম।”

“আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোনো মা‘বুদ নেই, তিনি মহান সহনশীল, আল্লাহ্ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোনো মা‘বুদ নেই, তিনি মহান আরশের রব, আল্লাহ্ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোনো মা‘বুদ নেই, তিনি সপ্ত-আকাশ ও পৃথিবীর রব এবং সম্মানিত আরশের মালিক” [বুখারী, মুসলিম।]।

২. তাঁর নিকট কোনো কঠিন ও চিন্তাযুক্ত কাজ আপতিত হলে বলতেন:

«يا حَيُّ يا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أستَغيثُ»

ইয়া-হাইয়্যু ইয়া-ক্বাইয়ুম, বিরাহমাতিকা আস্তাগীস;-

“হে চিরঞ্জীব, হে সদা রক্ষণাবেক্ষণকারী ! তোমারই অনুগ্রহে সাহায্য প্রার্থনা করছি।” [তিরমিযী।]

তিনি বলেন: দুশ্চিন্তা, দু:খ-কষ্টে পতিত ব্যক্তির দু‘আ হলো:

«اللَّهُمَّ رَحمَتَكَ أَرجُو؛ فَلَا تَكِلْنِي إلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ , وأصْلِحْ لِي شَأنِي كُلَّهُ , لَا إلهَ إلَّا أَنْتَ»

‘আল্লা-হুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা-তাকিলনী ইলা-নাফসী ত্বারফাতা-আইনিন, ওয়া-আসলিহলী শানী-কুল্লাহু, লা-ইলাহা ইল্লা-আন্তা;

“হে আল্লাহ্! তোমারই রহমতের আকাঙ্খী আমি, সুতরাং তুমি চোখের পলক পরিমাণ এক মুহুর্তের জন্যও আমাকে আমার নিজের উপর ছেড়ে দিও না, তুমি আমার সমস্ত কাজ সুন্দর করে দাও, তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোনো মা‘বুদ নেই।” [সুনানে আবু দাউদ।]

আর কোনো কঠিন কাজ উপনীত হলে তিনি সালাত পড়তেন।” [আবু দাউদ।]

৩. তিনি আরো বলেন: যদি কোনো চিন্তা-ভাবনা ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ব্যক্তি নিম্নোক্ত দু‘আটি পাঠ করে, তাহলে আল্লাহ্ তার দুশ্চিন্তা দূরীভূত করবেন এবং চিন্তা-ভাবনার স্থলে শান্তি-খুশী সঞ্চারিত করবেন:

«اللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ , ابنُ عَبْدِكَ , ابْنُ أمتك , نَاصِيَتِي بِيَدِكَ , مَاضٍ فِيَّ حكْمُكَ , عَدْلٌ فيَّ قَضَاؤُكَ , أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ , سَمِّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ , أَوْ أَنْزَلْتَه في كِتَابِكَ , أو عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِك , أو اسْتأثَرتَ بِهِ في عِلْمِ الغَيْبِ عِنْدَكَ : أَنْ تَجْعَلَ القُرآنَ العَظِيمَ رَبيعَ قَلبي , وَنُورَ صَدْرِي , وجلاءَ حُزْنِي , وذهابَ هَمِّي»

‘আল্ল-হুম্মা ইন্নী ‘আব্দুকা ওয়া-ইবনু ‘আব্দিকা, ওয়া-ইবনু আমতিকা, না-সিয়াতী বিয়াদিকা, মাযিন ফীয়্যা হুকমুকা, আদলুন ফীয়্যা -ক্বাযা-উকা, আস্আলুকা বিকুল্লি- ইস্মিন হুয়া-লাকা, সাম্মাইতা বিহী নাফসাকা, আউ আল্লামতাহু আহাদান মিন খালক্বিকা, আউ আনযালতাহু ফী কিতাবিকা, আউ ইস্তা’সারতা বিহী ফী ইলমিল গাইবে ইন্দাকা, আন-তাজ‘আলাল কুরআনা রাবী‘য়া-ক্বালবী, ওয়া-নুরা সাদ্রী, ওয়া-জালায়া- হুযনী, ওয়া-যাহাবা হাম্মী,

“হে আল্লাহ্! আমি তোমার বান্দা এবং তোমার এক বান্দার পুত্র, আর তোমার এক বান্দীর পুত্র, আমার কপাল তোমারই হাতে, আমার উপর তোমার নির্দেশ কার্যকর, আমার প্রতি তোমার ফায়সালা ইনসাফের উপর প্রতিষ্ঠিত, আমি সেই সমস্ত নামের প্রত্যেকটির বদৌলতে চাচ্ছি যেসব দিয়ে তুমি নিজের নমকরণ করেছো অথবা তোমার যে নাম তুমি তোমার কিতাবে নাযিল করেছো অথবা তোমার সৃষ্টজীবের মধ্যে কাউকে শিখিয়ে দিয়েছো অথবা স্বীয় ইলমের ভাণ্ডারে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছো, এ সবের বিনিময়ে তোমার নিকট এই কাতর প্রার্থনা জানাই যে, তুমি কুরআনকে বানিয়ে দাও আমার হৃদয়ের জন্য প্রশান্তি, আমার বক্ষের জ্যোতি, আমার চিন্তা-ভাবনার অপসারণকারী এবং উদ্বেগ-উৎকন্ঠার বিদুরণকারী।” [মুসনাদে আহমদ।]

৪. তিনি আশংকার সময় সাহাবীদের এ দু‘আটি শিক্ষা দিতেন:

«أعوذُ بكلماتِ اللهِ التامةِ من غضبِه وعقابِه وَشَرِّ عبادِه , ومِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ , وأعوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُون»

‘আ‘উযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মা-তি, মিন গযবিহী ওযা ‘ইক্বাবিহী, ওয়া শাররি-‘ইবাদিহী, ওয়া মিন হামাযা-তিশ শায়াত্বীনি, ওয়া আ‘উযু বিকা-রাব্বি- আঁই য়াহদ্বুরূন।”

“আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমাসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় প্রার্থনা করছি তাঁর গযব ও আযাব হতে এবং তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট হতে, আর শয়তানদের কুমন্ত্রণা হতে, হে রব! আমি তোমার আশ্রয় কামনা করছি তাদের উপস্থিতি থেকে।” [তিরমীযী, আবু দাউদ।]

৫. তিনি আরো বলেন: যে কেউ বিপদে পতিত হয়ে এ দু‘আটি পাঠ করে, তাহলে আল্লাহ সেই বিপদের বিনিময়ে তাকে সাওয়াব প্রদান করবেন এবং সেটা অপেক্ষা উত্তম কিছু তাকে দান করবেন:

« إِنَّا للهِ وإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُون , اللَّهُمَّ أجُرْنِي في مُصِيبَتِي واخْلُفْ لِي خَيْرًا منها»

‘ইন্না-লিল্লাহি ওয়া-ইন্না ইলাইহি রাজি‘উন, আল্লা-হুম্মা আজুরনী ফী মুসীবাতী ওয়াআখলিফলী খাইরাম-মিনহা।”

“নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্যে এবং আমাদেরকে তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ ! আমাকে আমার বিপদের প্রতিদান দান করো এবং সেটা অপেক্ষা উত্তম স্থলাভিষিক্ত কিছু প্রদান করো।” [মুসলিম।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন