hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য

লেখকঃ মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান

২৬
দ্বিতীয় অধ্যায় মাতা-পিতার নাফরমানী
আল্লাহ বলেনঃ

وَقَضَى رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا ﴿২৩﴾ وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُلْ رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا ﴿২৪﴾

‘‘তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন, তোমরা তাঁদের ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়ে যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলবে না এবং তাদেরকে ভৎর্সনা করবে না। বরং তাদের সাথে সম্মান ও শিষ্টাচারপূর্ণ কথা বলবে এবং বিনয় ও নম্রতাসহকারে তাদের সামনে নত হয়ে থাকবে। আর এ দুআ করতে থাকবেঃ হে আমার প্রতিপালক! তাঁদের উভায়ের প্রতি রহম করো, যেমন তাঁরা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।’’ [১ সুরা বনি ইসরাঈলঃ ২৩-২৪]

ব্যাখ্যাঃ মাতা-পিতার সেবা-যত্ন আনুগত্য করা এবং সব সময়ই তাঁদের সাথে সদ্ব্যবহার করা ওয়াজিব। তবে মাতা-পিতা বার্ধক্যে উপনিত হলে তাঁরা সন্তানের সেবা-যত্নের প্রতি অধিক মুখাপেক্ষী হয়ে পড়েন এবং সন্তানের দয়ার উপর নির্ভশীল হয়ে পড়েন। অপরদিকে বার্ধক্যের চাপে মানুষের মেজাজ রুক্ষ ও খিটখিটে হয়ে যায় এবং বিবেক-বুদ্ধিও কম বেশী লোপ পায়। ফলে তাঁরা অবুঝ শিশুর মতো দাবী দাওয়া পেশ করতে থাকে, যা পূরণ করা সন্তানের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। তখন সন্তানের পক্ষ থেকে সামান্য বিমুখতাও তাঁদের অন্তরকে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়। পবিত্র কোরান এসব অবস্থায় মাতা-পিতার সন্তুষ্টি ও তাঁদের সুখ-শান্তি বিধানের আদেশ দেয়ার সাথে সাথে সন্তানকে তার শৈশবকাল স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, আজ মাতা-পিতা যতটুকু তোমার মুখাপেক্ষী, এক সময় তুমি তাঁদের এর চাইতেও বেশী মুখাপেক্ষী ছিলে। তখন তাঁরা যেমন তাঁদের আরাম আয়েশ হারাম করে তোমার চাওয়া পাওয়া ও বাহানা পূরন করেছিলেন, তোমার অবুঝ কথাবার্তাকে স্নেহ মমতার আবরণ দ্বারা ডেকে দিয়েছিলেন, তেমনি তাঁদের মুখাপেক্ষিতা ও অসহায়ত্বের দুঃসময়ে তাঁদের অবদানের কথা স্মরণ করে ঋণ পরিশোধ করা ও তাঁদের সেবা-যত্ন করা এবং তাঁদের সাথে সদ্ব্যবহার করা তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য।

আলোচ্য আয়াতসমূহে মাতা-পিতার বার্ধক্যে উপনীত হওয়া সম্পর্কিত কতিপয় আদেশ দান করা হয়েছে।

একঃ তাঁদেরকে উহ-শব্দটিও বলবে না। অর্থাৎঃ তাঁদের কথা শুনে সামান্যতম বিরক্তি প্রকাশ পায়, এমন ধরণের কোন শব্দ উচ্চারণ করবে না । তাঁদের কথা যতই অযৌক্তিক ও কর্কশ হোক না কেন।

দুইঃ মাতা-পিতার মর্যাদার প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। কথা-বার্তা বলার সময় তাদের মান-সম্মানের প্রতি খেয়াল রেখে কথা বলতে হবে। তাঁদের অযৌক্তিক দাবী ও রুক্ষ মেযায হাসিমুখে সইতে হবে। কোন সময় বিরক্ত হয়ে এমন কোন কথা উচ্চারণ করা যাবে না, যাতে তাঁরা সামান্যতমও মনে কষ্ট পায় এবং যা তাঁদের মান-সম্মানের পরিপন্থী হয়।

তিনঃ এ আদেশে মাতা-পিতার সাথে কথা বলার আদব শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তাঁদের উভায়ের সাথে পরম ভক্তি, শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতির সাথে নত ও বিনম্র স্বরে কথা বলতে হবে।

চারঃ মাতা-পিতার সামনে নিজেকে অক্ষম এবং নত ও বিনম্রভাবে পেশ করতে হবে। মাতা-পিতার প্রতি পূর্ণ আন্তরিকতা, মায়া-মমতা এবং ভক্তি ও শ্রদ্ধা সহকারে নিজেকে ছোট করে তাঁদের সামনে হাজির হতে হবে।

পাঁচঃ পঞ্চম আদেশ, মাতা-পিতার সন্তুষ্টি ও সুখ-শান্তি ষোল আনা নিশ্চিত করা মানুষের সাধ্যাতীত। কাজেই সাধ্যানুযায়ী চেষ্টার সাথে সাথে তাঁদের জন্য দোয়া করতে হবে, তিনি যেন মেহেরবানী করে তাঁদের সকল মুশকিল আসান করে দেন এবং তাঁদের সব ধরনের কষ্ট দূর করে দেন। সর্বশেষ আদেশ হচ্ছে, মাতা-পিতার মৃত্যুর পরও তাঁদের জন্য অব্যাহতভাবে দুআ করে যেতে হবে। [১ . মুফতী মুহাম্মদ শফী মায়ারিফুল কোরান। অনুঃ মাওঃ মহিউদ্দীন খান পৃ. ৭৭২-৭৭৩]

পবিত্র কোরানে এসেছে, আল্লাহ বলেনঃ

وَأَمَّا الْغُلَامُ فَكَانَ أَبَوَاهُ مُؤْمِنَيْنِ فَخَشِينَا أَنْ يُرْهِقَهُمَا طُغْيَانًا وَكُفْرًا ﴿৮০﴾ فَأَرَدْنَا أَنْ يُبْدِلَهُمَا رَبُّهُمَا خَيْرًا مِنْهُ زَكَاةً وَأَقْرَبَ رُحْمًا ﴿৮১﴾

অতঃপর বালকটির ব্যাপারে- তার মাতা-পিতা ছিল ঈমানদার। আমি আশংকা করলাম, সে অবাধ্যতা ও কুফর দ্বারা তাদেরকে প্রভাবিত করবে। অতঃপর আমি ইচ্ছা করলাম, তাদের পালনকর্তা তাদেরকে তার চাইতে পবিত্র ও ভালোবাসায় শ্রেষ্ঠতম একটি সন্তান দান করুন। [১. সুরা আল কাহাফঃ ৮০-৮১]

ব্যাখ্যাঃ খিযির আলাইহিস সালাম যে বালকটিকে হত্যা করেন, তিনি তার স্বরূপ এই বর্ণনা করেন যে, তার প্রকৃতিতে কুফর ও মাতা-পিতার অবাধ্যতা নিহিত ছিল। তার মাতা- পিতা ছিল সৎকর্ম পরায়ণ। আমার আশংকা ছিল যে, ছেলেটি বড় হয়ে তার মাতা-পিতাকে বিব্রত করবে এবং কষ্ট দেবে। সে কুফরে লিপ্ত হয়ে মাতা-পিতার জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়াবে। [২ . মায়ারিফুল কোরান। অনুঃ মাওঃ মহিউদ্দীন খান]

আল্লাহ বলেনঃ

وَالَّذِي قَالَ لِوَالِدَيْهِ أُفٍّ لَكُمَا أَتَعِدَانِنِي أَنْ أُخْرَجَ وَقَدْ خَلَتِ الْقُرُونُ مِنْ قَبْلِي وَهُمَا يَسْتَغِيثَانِ اللَّهَ وَيْلَكَ آَمِنْ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ

যে ব্যক্তি স্বীয় মাতা-পিতাকে বলে, ধিক তোমাদের প্রতি, তোমরা আমাকে খবর দিচ্ছো, আমি আবার পুনরুত্থিত হবো, অথচ আমার পূর্বে বহু লোক গত হয়ে গেছে? আর (তার) মাতা-পিতা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলে, তোমার ধ্বংস (অনিবার্য)। তুমি ঈমান আনো। নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। [৩ . সুরা আল আহকাফ :১৭]

ব্যাখ্যাঃ এ আয়াতে আল্লাহ মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তানদের বর্ণনা দিয়েছেন, যারা মাতা-পিতার অবাধ্য হয় এবং আল্লাহ ও পরকালকে অস্বীকার করে। তারা যদি ঈমানদার মাতা-পিতার আনুগত্য না করে এবং আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান না আনে, তবে তাদের ধ্বংস অর্থাৎ ইহকালে নানা ধরনের বিপদাপদ ও কষ্ট কঠোরতা এবং পরকালে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়া অনিবার্য। [১. দেখুন মুহাম্মদ আলী সাবুনী, সাফওয়াতুত-তাফাসীর, ৩ খ, পৃ. ১৯৬]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন