১
কিতাবের নাম/ লেখক/ অনুবাদক/ সম্পাদক
২
গ্রন্থকারের কথা
৩
১। ওলী ও সৎলোকদেরকে আহ্বান করা।
৪
২। অনৈক্য করা ছিল জাহেলী যুগের লোকদের রীতি-নীতি
৫
৩। শাসকের বিরোধিতা
৬
৪। তাকলীদ বা অন্ধ অনুকরণ
৭
৫। অনুসারীদের আধিক্য দিয়ে সত্য নির্ধারণ:
৮
৬। বাপ-দাদার দোহাই
৯
৭। শক্তি ও বুদ্ধিমত্তার ধোকা
১০
৮। দুর্বল অনুসারীদের উপর বিচার করে সত্য নির্ধারণ
১১
৯। ফাসেক আলেম ও ইবাদতকারীদের অনুসরণ:
১২
১০। সত্যপন্থীদের মত-প্রদানে দুর্বলতা ও স্মরণ শক্তিতে দুর্বল হওয়া দিয়ে সেটাকে বাতিল করার ব্যাপারে প্রমাণ উপস্থাপন:
১৩
১১। দলীল-প্রমাণ পেশের সময় ত্রুটিপূর্ণ কিয়াসের আশ্রয় গ্রহণ
১৪
১২। দলীল-প্রমাণ প্রদর্শিত হলে বিশুদ্ধ কিয়াস (যুক্তি)কে অস্বীকারকরণ:
১৫
১৩। সৎ লোকদের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি
১৬
১৪। পূর্বে যা বর্ণিত হয়েছে, তা একটি নিয়মনীতিতে বাঁধা। আর সেটি হচ্ছে, হাঁ বাচক বা না বাচক যা কিছু এসেছে, সেগুলোতে তারা নিজেদের প্রবৃত্তি ও আন্দাজ-অনুমানের অনুসরণ করত, আল্লাহ তাদের জন্য যা দিয়েছে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকত।
১৫। আল্লাহ যা তাদের দিয়েছেন তা ন মানার ব্যাপারে ‘না বুঝা’কে ওজর হিসেবে পেশ করত। যেমন আল্লাহর বাণী,
১৭
১৬। আল্লাহ তাদেরকে যা দিয়েছেন সেগুলোর বিনিময়ে তারা জাদুর কিতাবকে গ্রহণ করে নিয়েছে। [উল্লেখ্য যে এ অভ্যাসটি জাহেলী যুগের আহলে কিতাবের সাথে সম্পৃক্ত।]
১৮
১৭। তারা তাদের বাতিল ও অসার কাজকে নবীদের দিকে সম্পর্কযুক্ত করত। [উল্লেখ্য যে এ অভ্যাসটি জাহেলী যুগের আহলে কিতাবের সাথে সম্পৃক্ত।]
১৯
১৯। সৎলোকদের সাথে সম্পর্ক রাখে এমন লোকদের কোনো কোনো ভুলের দায়ভার তারা সৎলোকদের উপর চাপিয়ে তারা দুর্নাম করে বেড়াতো।
২০
২৩। দুনিয়ার জীবন তাদেরকে প্রতারিত করেছে। ফলে তারা মনে করছে যে, আল্লাহ যেহেতু তাদেরকে দুনিয়ার জীবনে অনেক দান করেছেন সেহেতু এটা প্রমাণ করছে যে তিনি তাদের উপর সন্তুষ্ট। যেমন তারা বলেছিল,
২১
২৪। যদি হক তথা সত্য গ্রহণে দুর্বল ও অসহায় শ্রেণির লোকেরা অগ্রগামী হতো, তখন তারা অহঙ্কার ও ঘৃণাবশত হকের গণ্ডিতে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকত।
২২
২৫। হকের অসারতা প্রমাণ করার জন্য তারা দুর্বল ও অসহায়গণ কর্তৃক সেটা গ্রহণ করাকে দলীল-প্রমাণ হিসেবে পেশ করত। যেমন আল্লাহ তা‘আলা তাদের বক্তব্য বর্ণনা করে বলেন,
২৩
২৭। বাতিল গ্রন্থ রচনা করে সেগুলোকে আল্লাহর দিকে সম্পর্কযুক্ত করত [উল্লেখ্য যে এ অভ্যাসটি জাহেলী যুগের আহলে কিতাবের সাথে সম্পৃক্ত।]।
২৪
২৮। প্রত্যেক দলের এই দাবী করা যে, সত্য কেবল তার মাঝেই নিহিত। [উল্লেখ্য যে এ অভ্যাসটি জাহেলী যুগের আহলে কিতাবের সাথে সম্পৃক্ত।]
২৫
২৯। এতদসত্ত্বেও তারা তাদের দলের কথা কি সেটাও জানে না [উল্লেখ্য যে এ অভ্যাসটি জাহেলী যুগের আহলে কিতাবের সাথে সম্পৃক্ত।]।
২৬
৩১। আর এটাও এক আশ্চর্য নিদর্শন যে, তারা যে দ্বীনের দিকে নিজেদেরকে সম্পর্কযুক্ত করার দাবী করত সে দ্বীনের সাথেই কঠোর শত্রুতা আরম্ভ করে দিল। অপরদিকে তারা কাফেরদের দ্বীনকে ভালবাসতে আরম্ভ করল, যে কাফেররা তাদের ও তাদের নবীর সাথে কঠোর শত্রুতা পোষণ করত। আর তারা কাফের দলের লোকদেরকেও ভালোবাসত শুরু করলো [উল্লেখ্য যে এ অভ্যাসটি জাহেলী যুগের আহলে কিতাবের সাথে সম্পৃক্ত।]।
২৭
৩২। যখন তাদের অপছন্দনীয় ব্যক্তির কাছে কোনো হক বা সত্য থাকে তখন তারা তা অস্বীকার করত [উল্লেখ্য যে এ অভ্যাসটি জাহেলী যুগের আহলে কিতাবের সাথে সম্পৃক্ত।]।
২৮
৩৩। যেটাকে তারা তাদের দ্বীনের অংশ বলে স্বীকার করে নিয়েছে সেটাকেও তারা অস্বীকার করত।
২৯
৩৪। তাদের প্রত্যেকেই নিজেদেরকে ফিরকায়ে নাজিয়া বা ‘মুক্তিপ্রাপ্ত দল’ বলে দাবী করত।
৩০
৩৫। উলঙ্গপনার মাধ্যমে ইবাদত করার। যেমন আল্লাহ বলেন,
৩১
৩৯। আল্লাহর নাম অস্বীকার করা। যেমন আল্লাহর বাণী,
৩২
৪৬। কালকে গালি দেওয়া।
৩৩
৪৭। আল্লাহর নেয়ামতকে অন্যের দিকে সম্পর্কযুক্ত করা।
৩৪
৫০। তাদের একথা বলা যে,
৩৫
৫১। কুরআনের ব্যাপারে তাদের মন্তব্য,
৩৬
৫৩। রাসূলগণ সাল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন সেটার প্রতিরোধকল্পে প্রকাশ্য কিংবা অপ্রকাশ্য বাহানা তালাশে ব্যাপৃত থাকা।
৩৭
৫৪। তাদের অন্যতম নীতি ছিল যে, তারা কখনও কখনও হক মেনে নিত তবে সেটা ছিল হককে প্রতিরোধ করার পন্থা হিসেবে।
৩৮
৫৫। নিজের মতের জন্য গোঁড়ামী করা।
৩৯
৫৬। জাহেলী যুগের আহলে কিতাবদের একটি খারাপ নীতি এই ছিল যে, তারা ইসলামের অনুসরণ করাকে শির্ক নামে অভিহিত করত। (যাতে করে মানুষদেরকে তা থেকে ঘৃণার মাধ্যমে দূরে রাখতে পারে) যেমন আল্লাহর বাণী,
৪০
৬২। যখন তারা দলীল-প্রমাণাদির মাধ্যমে তাদের মত প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম না হত তখন তারা ক্ষমতাসীনদের কাছে নালিশ করে শাস্তির ব্যবস্থা করত।
৪১
৬৪। হকপন্থীদেরকে তারা বাদশা তথা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অবমাননা, রাষ্ট্রের রীতি-নীতির অবমাননাকারী হিসেবে অভিহিত করা।
৪২
৬৫। তারা হকপন্থীদের এ বলে অপবাদ দিত যে, এরা ক্ষমতাশীনদের মা‘বুদদের অসম্মান করে।
৪৩
৬৬। তারা হকপন্থীদের এ বলে অপবাদ দিত যে, এরা দ্বীন পরিবর্তন করতে চায়।
৪৪
৬৭। তারা হকপন্থীদের এ বলে দোষারোপ করত যে, এরা বাদশা বা ক্ষমতাসীনদের অসম্মান করছে, তাদের মানহানি করছে।
৪৫
৬৮। তাদের দাবী ছিল যে, তারা তাদের কাছে যে হক আছে সেটার উপর আমল করছে, অথচ তারা সেটাকে ত্যাগ করে চলেছে।
৪৬
৬৯। ইবাদতের ক্ষেত্রে বর্ধিতকরণ, যেমন তারা করেছিল আশুরার দিনে
৪৭
৭১। পরহেযগারী বা সাবধানতার নামে ওয়াজিব পরিত্যাগ করা।
৪৮
৭২। পবিত্র রিযক পরিত্যাগ করাকে ইবাদত হিসেবে গণ্য করা।
৪৯
৭৭। তাদের নেতারা হয় জ্ঞান-পাপী নতুবা অজ্ঞ-তাপস।
৫০
৭৯। আল্লাহর শরী‘আত পরিত্যাগ করার পরও আল্লাহর মহব্বতের দাবী করা।
৫১
৮০। মিথ্যা দুরাশার মধ্যে লিপ্ত থাকা।
৫২
৮২। তাদের নবীদের বিবিধ চিহ্ন ও স্মৃতিবিজড়িত স্থানকে মাসজিদে রূপান্তর করা,
৫৩
৮৬। মহান ব্যক্তিদের স্মৃতিবিজড়িত স্থানকে বরকতময় মনে করা,
৫৪
৯১। সীমালঙ্গন ছিল তাদের সবচেয়ে বড় খারাপ অভ্যাস।
৫৫
৯২। গর্ব-অহঙ্কার করা তাদের সবচেয়ে বড় ফযিলতের বিষয় বলে বিবেচিত হতো, যদিও সেটা যথার্থতার কারণেই ছিল।
৫৬
৯৩। একজন মানুষ তার দল, হক কিংবা বাতিল যে পথেই থাকুক না কেন, সে দলের পক্ষে গোড়ামী করবে এটাই ছিল তাদের অলঙ্ঘনীয় নীতি।
৫৭
৯৪। তাদের নিয়ম ছিল যে একের অপরাধে অন্যকে আক্রমন করা,
৫৮
৯৫। কোনো লোককে অন্যের দোষে অপমান করা।
৫৯
৯৭। নবী বংশের লোক বলে গর্ব করা।
৬০
৯৯। দুনিয়া (দুনিয়াতে যারা ধনী ও ঐশ্বর্যপূর্ণ তারাই) তাদের নিকট সবচেয়ে বড় হিসেবে বিবেচিত হতো।
৬১
১০১। ফকীর-দরিদ্রদের নিয়ে উপহাস করা।
৬২
১০২। নবীর অনুসারীদেরকে ইখলাসশূণ্যতা, নিষ্ঠাহীনতা এবং দুনিয়াদার বলে অপবাদ দেওয়া।
৬৩
১০৯। রাসূলগণ শেষ দিবস কিয়ামতে যা যা সংঘটিত হবে বলে সংবাদ দিয়েছেন তার কিছু অংশে মিথ্যারোপ করা।
৬৪
১১৬। হককে অস্বীকার তথা মিথ্যারোপ করার কারণে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রকাশ্য স্ববিরোধিতায় লিপ্ত থাকা।