মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
অষ্টম পরিচ্ছেদ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বদান্যতা ও তার মহানুভবতা
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/408/10
বদান্যতা ও মহানুভবতার দশটি স্তর রয়েছে যা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
আত্মার বদান্যতাঃ আর এটাই সর্বস্তরের উঁচু মানের বদান্যতা।
নেতৃত্বের বদান্যতাঃ দাতা তার সাধনা দিয়ে মানুষের উপকার করে। নিজের প্রয়োজনের চেয়ে অপরের প্রয়োজন পূরণকে অগ্রাধিকার দেয়।
নিজের আরাম আয়েশের বদান্যতাঃ যিনি অন্যের উপকারের জন্য নিজের আরাম-আয়েশ ত্যাগ করেন।
ইলম ও তার শিক্ষার বদান্যতা. এটাও উঁচু স্তরের বদান্যতা, যা মাল- সম্পদের বদান্যতা থেকে উত্তম।
নিজের মান মর্যাদা দিয়ে বদান্যতা. যেমন শাফাআত ও অন্যান্য বিষয়।
শারীরিক বদান্যতাঃ বিভিন্নভাবে শরীরের সামর্থ্য ব্যয় করে অন্যের প্রতি বদান্যতা, যেমন দু ব্যক্তির মাঝে মীমাংসা করা ছদকাতুল্য। কোন ব্যক্তিকে যানবাহনে আরোহণে সাহায্য করা, তার পণ্য সামগ্রী তার কাছে তুলে দেয়া বা তার উপর বহন করতে তাকে সাহায্য করা ছদকাতুল্য। সুন্দর কথা বলাও ছদকাতুল্য।
ক্ষমার বদান্যতাঃ যেমন কেহ তাকে গালি দিল তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন বা গীবত করল বা তার জন্য অমর্যাদাকর কিছু করল।
ধৈর্যের বদান্যতা. যেমন ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করা, এটা সম্পদ দিয়ে উপকার করার চেয়ে উপকারী।
সুন্দর চরিত্রের বদান্যতাঃ যেমন হাস্য-ভাব, সদালাপ, এটা ধৈর্যের বদান্যতার চেয়ে শ্রেষ্ঠ।
মানুষের কাছে পাওনা ছেড়ে দেয়ার বদান্যতা। ফলে তিনি তা আর চাইতেন না।
প্রত্যেক স্তরের বদান্যতার জন্য অন্তরে বিশেষ বিশেষ প্রকারের প্রতিক্রিয়া রয়েছে। আল্লাহ তাআলা দাতাকে আরো বাড়িয়ে দেয়ার ও কৃপণকে কমিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন।
আর আল্লাহ তাআলাই আমাদের শেষ আশ্রয়।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক প্রকারের বদান্যতা ও মহানুভবতার গুণে গুণান্বিত এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ধন-সম্পদ ব্যয় করে যে বদান্যতা ও মহানুভবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তার কতিপয় দিক নিম্নে আলোচনা করা হলঃ
* আনাস রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যে, ইসলামের নামে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট কোন কিছু চাওয়া হলে দান করতেন। তিনি বলেন, তার নিকট এক ব্যক্তি আসল অতঃপর তিনি তাকে দু’ পাহাড়ের মাঝখানের সব বকরী দিয়ে দিলেন। এরপর সে তার সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে আসল এবং বলল হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ কর কেননা মুহাম্মাদ এমন দান করে যে, সে দারিদ্রতার ভয় করে না।’ [সহীহ মুসলিম ১৮০৬/৪]
এই মহান ঘটনাগুলো নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দান ও তার সীমাহীন বদান্যতার প্রমাণ করে।
* তিনি দান করতেন আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে মানুষকে ইসলামের প্রেরণা দেয়ার জন্য ও তাদের আত্ম প্রশান্তির জন্য। প্রথমে কোন ব্যক্তি ইসলাম প্রকাশ করত ইহকালীন সুবিধা ভোগ করার জন্য, অতঃপর আল্লাহ তার রাসূলের আকর্ষণে ও ইসলামের নূরের কারণে তার অন্তর ইসলামের প্রকৃত ঈমানের জন্য খুলে যেত এবং ইসলাম তার অন্তরে গেঁথে যেত। তখন ইসলাম তার নিকট পৃথিবী ও তার মধ্যে যা আছে তা অপেক্ষা উত্তম হয়ে যেত।
সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা অভিযানে বের হলেন, এবং তার সাথে মুসলমানরা বের হল। অতঃপর তারা হুনাইনে যুদ্ধ করলেন, আল্লাহ তাআলা তার দীন ও মুসলমানদের সাহায্য করলেন, সে দিন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাফওয়ান বিন উমাইয়াকে একশত বকরী দিলেন অতঃপর আরো একশত। তারপর আবার একশত, এভাবে মোট তিনশত বকরী দিলেন। সাফওয়ান বলল, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে দেয়ার মত দিয়েছেন। অথচ তিনি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ঘৃণিত। তিনি আমাকে দিতে থাকলেন, এক সময় তিনি আমার নিকট সবচেয়ে বেশি প্রিয় হয়ে গেলেন।’
আনাস রা. বলেন কোন কোন ব্যক্তি দুনিয়ার সুবিধার্থে ইসলাম গ্রহণ করত ইসলাম গ্রহণ মাত্রই তার নিকট তা দুনিয়া ও তার ধন-সম্পদ অপেক্ষায় উত্তম হয়ে যেত।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাউকে দুর্বল ঈমান ওয়ালা দেখলে তাকে প্রচুর পরিমাণে দান করতেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন কোন ব্যক্তিকে দান করি। তার থেকে আমার অন্য কিছু উদ্দেশ্য থাকে। তাহল তাকে যেন উপুর করে আগুনে নিক্ষেপ করা না হয়।’ [সহীহ আল - বুখারী ৩৪০/৩] অর্থ্যাত তাকে শিরক ও কুফর থেকে মুক্ত করা আমার দানের একটি উদ্দেশ্য।এজন্যই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরাইশদের এক এক জনকে একশো করে উট দিতেন।
৩য় দৃষ্টান্তঃ
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুশরিক মহিলার সাথে যে আচরণ করেছেন
মুশরিক মহিলা যে পানির মশক নিয়ে যাচ্ছিল তার সাথে রাসূলের মহৎ চরিত্রের বর্ণনাঃ
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার মশক থেকে সাহাবীদের পানি পান করার পর সে আগের তুলনায় দু মশক আরো বেশি পানি ভরা অবস্থায় ফিরে গেল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সাহাবীদের বললেন তার জন্য যে খেজুর আটা, সাতু আছে তা নিয়ে এসো। তারা তার জন্য অনেক খাদ্য একত্র করলেন এবং তা একটি কাপড়ে রাখলেন, তার উটে তা বহন করিয়ে দিলেন কাপড়টি তার সামনে রাখলেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন যে, ‘তুমি এগুলো নিয়ে যাও ও তোমার পরিবারকে খেতে দাও। আর জেনে রাখ! আমরা তোমার কিছু কমিয়ে দেয়নি। তোমার থেকে কিছুই গ্রহণ করিনি। আললাহই আমাদের পানি পান করিয়েছেন।’
এ ঘটনায় আরো বর্ণিত আছে, যে মহিলাটি তার সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে গিয়ে বলল, ‘আমি সবচেয়ে বড় যাদুকরের কাছ থেকে এসেছি অবশ্য তার লোকেরা তাকে নবী বলে জানে।’ আল্লাহ তাআলা ঐ মহিলার কারণে একটি সমাজকে হেদায়াত দান করলেন। ফলে সে ও তারা সকলে ইসলাম গ্রহণ করল। [সহীহ আল - বুখারী ৫৮০/৬]
আরেক বর্ণনায় আছে যে, মুসলমানরা তার আশে পাশের মুশরিকদের আক্রমণ করত কিন্তু সে এলাকায় তারা আক্রমণ করত না, যেখানে সে মহিলা রয়েছে।
সে মহিলা একদিন তার সম্প্রদায়কে বলল, ‘এই সম্প্রদায় (মুসলিমগন) নিজেদের স্বার্থে তোমাদের দাওয়াত দেয় আমি তা মনে করি না। অতএব তোমরা কি ইসলামের অংশ নিবে?’ অতঃপর তারা তার কথা মেনে ইসলাম গ্রহণ করল। [সহীহ আল - বুখারী ৪৪৮/১]
এই মহিলার ইসলাম গ্রহণের দুটি কারণ:
১ম কারণ :
যা সে অবলোকন করেছে: নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার সাহাবারা তার মশক দুটো থেকে থেকে পানি নিয়েছে তবে তার পানি কোন অংশে কমেনি। এটা নবীর অলৌকিকতা যা তার রিসালতের সত্যতার পরিচায়ক।
২য় কারণ :
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বদান্যতা: যখন তিনি সাহাবীদের তার জন্য খাদ্য পানীয় একত্র করতে আদেশ করলেন তখন তারা তার জন্য অনেক খাদ্য- পানীয় একত্র করলেন।
আর তার সম্প্রদায় তার কথায় ইসলাম গ্রহণ করল। কারণ, মুসলমানরা নবীর আদেশে তার সম্প্রদায়কে দেখাশোনা করত, তাদের ইসলামে আকৃষ্ট করার জন্য। এটাই পরে তাদের ইসলাম গ্রহণের কারণ হয়।
এই উপরোক্ত দৃষ্টান্তসমূহ রাসূলের বদান্যতার কিছু নমুনামাত্র। এ থেকে আমাদের রাসূলের অনুসরণ তার শিক্ষা, দাওয়াতে তার আদর্শ ও সর্বক্ষেত্রে তাকে আলোকবর্তিকা হিসাবে গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/408/10
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।