hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দয়া ও ভালোবাসার অনন্য বিশ্ব নবী

লেখকঃ আবু আব্দুর রাহমান

চতুর্থ পরিচ্ছেদ: ইবাদত ও জিহাদে সংগ্রাম
১- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন আদর্শ, অনুসরণযোগ্য ইমাম যাকে যাকে সর্বদা অনুসরণ করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন:

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآَخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا

‘‘তোমাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর রাসূলের মধ্যে সর্বোত্তম আদর্শ। যে আল্লাহ ও আখেরাতকে চায় ও বেশি বেশি স্মরণ করে আল্লাহকে।’’ [সূরা আল-আহযাব : ২১]

২- তিনি রাতে এগারো রাকআত নামাজ আদায় করতেন। অনেক সময় তের রাকআত নামাজ আদায় করতেন। [সহীহ আল - বুখারী ১১৪৭, সহীহ মুসলিম ৭৩৭]

দিনের হিসাবে দিনে তিনি মোট বার রাকআত, কখনো দশ রাকআত আদায় করতেন। চাশতের নামাজ হিসাবে তিনি চার রাকআত, কখনো তার বেশি আদায় করতেন। [সহীহ মুসলিম ৭৯১] তিনি রাতের তাহাজ্জুদ এত দীর্ঘ সময় আদায় করতেন যে, এক রাকআতে পাঁচ পারার মত পাঠ করা যেত। [সহীহ মুসলিম ৭৭২]

তিনি দিনে রাতে প্রায় চল্লিশ রাকআত নামাজ আদায় করতেন, এর মধ্যে ফরজ হল সতের রাকআত। [কিতাবুস সালাত : ইবনুল কায়্যিম]

৩- রমজান মাস ব্যতীত তিনি প্রতি মাসে তিন দিন রোযা রাখতেন। [সহীহ মুসলিম ১১৬০] সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন। [তিরমিজী ৭৪৫, নাসায়ী ২০২/৪]

অল্প কয়েক দিন ব্যতীত তিনি শাবান মাস জুড়ে রোযা রাখতেন। [সহীহ আল - বুখারী ১৯৬৯, সহীহ মুসলিম ১১৫৬]

শওয়াল মাসে ছয়টি রোযা রাখতে উৎসাহ দিতেন। [সহীহ মুসলিম ১১৬৪] কখনো এমন ভাবে রোযা রাখতে থাকতেন মনে হতো তিনি আর রোযা ছাড়বেন না। আবার কখনো রোযা পরিহার করতেন মনে হতো তিনি আর নফল রোযা রাখবেন না। [সহীহ আল - বুখারী ১৯৭১, সহীহ মুসলিম ১১৫৬] তিনি আশুরাতে রোযা রাখতেন। [সহীহ আল - বুখারী ২০০০, সহীহ মুসলিম ১১২৫] জিলহজ মাসের নবম তারিখেও তিনি রোযা রাখতেন। [সহীহ নাসায়ী ২২৩৬] তিনি বিরতিহীন ভাবে রোযা রাখতে নিষেধ করতেন। তিনি বলতেন আমার উম্মত আমার মত নয়। আমাকে আমার প্রতিপালক পানাহার করিয়ে থাকেন। [সহীহ আল - বুখারী ১৯৬১-১৯৬৪, সহীহ মুসলিম ১১০২-১১০৩]

আল্লাহর কাছে সালাত ও মুনাজাত ছিল তার কাছে সর্বাধিক প্রিয়। তাই তো তিনি বেলালকে বলতেন, ‘হে বেলাল! সালাতের মাধ্যমে আমাদের প্রশান্তি দাও।’ [আবু দাউদ ৮৫৪৯]

তিনি আরো বলতেন, ‘সালাতের মধ্যে আমার চোখের প্রশান্তি রাখা হয়েছে।’ [নাসায়ী ৬১/৭]

৪- তিনি বেশি করে ছদকাহ করতেন। তিনি ছিলেন সকল সৃষ্টি জীবের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম দানশীল। তিনি মানুষকে এমনভাবে দান করতেন যে, দান গৃহী তা কখনো অভাব বোধ কর তো না। যেমন তিনি এক ব্যক্তিকে বকরীর বিশাল এক পাল দান করলে সে নিজ সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে বলল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ইসলাম গ্রহণ করো, কারণ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এত বড় দানশীল যে, সে কাউকে দান করলে জীবনে সে দারিদ্রতাকে ভয় করে না।’ [সহীহ মুসলিম ১৮০৬]

তিনি যেমন ছিলেন সুন্দরতম মানুষ, তেমনি ছিলেন সকলের চেয়ে দানশীল। সকল মানুষের চেয়ে বেশি সাহসী, সবচেয়ে বেশি দয়ার্দ্র, সকলের চেয়ে বেশি বিনয়ী, ন্যায়পরায়ণ, ধৈর্যশীল, নম্র, ক্ষমাশীল, সহনশীল, লজ্জাশীল ও সত্যের প্রতি অটল, অবিচল।

৫- তিনি সকল জিহাদের ময়দানে উপস্থিত থেকে যুদ্ধ করেছেন। কুপ্রবৃত্তির সাথে জিহাদ করেছেন। এর চারটি স্তর রয়েছে এগুলো হল : দীনের বিষয়াবলী শিক্ষা, সে মোতাবেক আমল করা, জেনে বুঝে তার দিকে মানুষকে আহবান করা, দাওয়াতের ক্ষেত্রে যুলুম-নির্যাতন, দুঃখ-কষ্টে ধৈর্য অবলম্বন।

শয়তানের সাথে জিহাদ করার স্তর হল দু টো : শয়তান যে সকল সংশয় - সন্দেহ সৃষ্টি করে সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করা, যে সকল কুমন্ত্রণা দেয় তা প্রতিরোধ করা।

কাফেরদের সাথে জিহাদ করার স্তর হল চারটি: অন্তর দিয়ে জিহাদ, মুখ বা বাকশক্তি দিয়ে জিহাদ, সম্পদ দিয়ে জিহাদ ও হাত দিয়ে জিহাদ।

যালেমদের বিরুদ্ধে জিহাদের স্তর হল তিনটি : হাত দিয়ে অতঃপর মুখ দিয়ে এরপর অন্তর দিয়ে।

এ হল জিহাদের মোট তেরোটি স্তর। এ সবকটি স্তরে জিহাদ করার সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এ জন্য তিনি বিশ্বের মানব সমাজে সর্বকালের সব চেয়ে বেশি আলোচিত ব্যক্তি। আল্লাহ রাববুল আলামীন তাকে এ সম্মান দান করেছেন।

তিনি তাওহীদ- আল্লাহর একত্ববাদ বিরোধীদের সাথে যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন সরাসরি। এ সকল যুদ্ধের সংখ্যা হল সাতাশ। এর মধ্যে মাত্র নয়টিতে লড়াই সংঘটিত হয়েছিল। আর যে সকল অভিযান তাঁর নির্দেশে হয়েছে, কিন্তু তিনি সরাসরি তাতে অংশ নেননি, এমন অভিযানের সংখ্যা হল ছাপ্পান্ন। [ফাতহুল বারী]

৬- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের সাথে মুআমালা-লেনদেনের ক্ষেত্রে ছিলেন সকল মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম। তিনি একদিন এক ব্যক্তি থেকে একটি উট ধার নিয়েছিলেন। কথা ছিল এর পরিবর্তে অন্য একটি সমমানের উট তাকে দেয়া হবে। সময় মত যখন উটের পাওনাদার উট নিতে আসল, তখন সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সে কথা-বার্তায় কঠোর আচরণ করল। সাহাবায়ে কেরাম রাগ হয়ে তাকে বুঝাতে লাগলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেন, ‘তাকে ছেড়ে দাও! তার কথার প্রতিবাদ করনা। পাওনাদারের কথা বলার অধিকার আছে। তার উটের মত উট তাকে দিয়ে দাও।’ সাহাবীগণ বলল, ‘ইয়া রাসূলাললাহ! তার উটের চেয়ে ভাল উট আছে, কিন্তু সমমানের উট নেই। তিনি বললেন, ‘সেটাই তাকে দিয়ে দাও!’ লোকটি তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ্য করে বলল, ‘আপনি আমার অধিকার পরিপূর্ণ ও সুন্দরভাবে আদায় করেছেন। আল্লাহ আপনাকে সুন্দরভাবে দান করুন।’ তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘যে সুন্দর বিচার করে সে আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে উত্তম।’ [সহীহ আল - বুখারী ২৩০৫, সহীহ মুসলিম ১৬০০]

একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. কে বললেন, ‘আমি তোমার উটটি কিনব, সে উট নিয়ে এল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উটের দাম দিলেন ও উট ফেরত দিয়ে বললেন, ‘নাও! তোমার উট ও তার মূল্য।’ [সহীহ আল - বুখারী ৩২০/৪, সহীহ মুসলিম ৭১৫]

৭- চরিত্রের দিকে দিয়ে তিনি সকল মানুষের মধ্যে ছিলেন শ্রেষ্ঠতম। যেমন আয়েশা রা. বলেন, ‘তার চরিত্র ছিল আল-কুরআন।’ [সহীহ মুসলিম ৫২৩/১]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে বলেছেন, ‘আমাকে উত্তম চরিত্রের উৎকর্ষতাকে পূর্ণতা দেয়ার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।’ [বায়হাকী ১৯২/১০]

৮- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম যাহেদ-দুনিয়া বিমুখ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি খেজুরের চাটাইতে শয়ন করতেন। শরীরে চাটাইয়ের দাগ পড়ে যেত। একদিন উমার রা. তার কাছে আসলেন। তিনি তার শরীরে চাটাইয়ের দাগ দেখে বললেন, ‘যদি আপনি বিছানা ব্যবহার করতেন তাহলে শরীরে দাগ পড়তোনা।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা শুনে বললেন, ‘দুনিয়ার সাথে আমার কি সম্পর্ক? আমার আর এ দুনিয়ার দৃষ্টান্ত হল, এক সওয়ারী, যে গরমের দিন পথ চলতে গিয়ে বিশ্রামের জন্য গাছের তলায় একটু শুয়ে নিল। তারপর আবার চলতে শুরু করল।’ [সুনানে তিরমিজী ২৮০/২]

তিনি আরো বলতেন, ‘যদি আমার কাছে উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকতো তাহলে আমি তা তিন দিন আমার কাছে থাকুক তা পছন্দ করতাম না। তবে দ্বীনের জন্য কিছু রাখলে তা হত অন্য কথা।’ [সহীহ আল - বুখারী ২৩৮৯, সহীহ মুসলিম ৯৯১]

আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনে তার পরিবার কখনো তিন দিন পেট ভরে খাবার গ্রহণ করতে পারেনি।’ [সহীহ আল - বুখারী ৫১৭/৯]

অর্থাৎ একাধারে তিনদিন তারা পেট ভরে খেতে পারেননি। কারণ খাদ্যের অভাব। তাদের কাছে কোন খাদ্য-খাবার আসলে অভাবী মানুষকে নিজেদের উপর প্রাধান্য দিয়ে তাদের দান করে দিতেন। তারা নিজেরা না খেয়ে তা অন্যকে দিয়ে দিতেন। [সহীহ আল - বুখারী, ৫৪১৬]

আয়েশা রা. বলেন, ‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়া থেকে চলে গেলেন কিন্তু জীবনে কখনো পেট ভরে আটার রুটি খেলেন না।’ [সহীহ আল - বুখারী ৫১৭/৯]

তিনি আরো বলেন, ‘তিনটি নতুন চাঁদ আমরা দেখতাম, দু মাস অতিবাহিত হত কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গৃহসমূহে চুলায় আগুন জ্বলতো না।’ উরওয়া (আয়েশা রা. এর বোনের ছেলে) জিজ্ঞেস করলেন, ‘তাহলে আপনারা কি খেয়ে জীবন কাটাতেন।’ তিনি বললেন, ‘দুটি কালো বস্ত্ত ; খেজুর ও পানি।’ [সহীহ আল - বুখারী ৬৪৫৯]

আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিছানা ছিল গাছের আশ দিয়ে তৈরি চট।’ [সহীহ আল - বুখারী ৬৪৫৬]

৯- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সবচেয়ে বেশি পরহেযগার-সতর্ক, তিনি বলেন, ‘আমি যখন ঘরে আসি তখন অনেক সময় বিছানায় বা ঘরের কোথাও দেখতে পাই যে, খেজুর পড়ে আছে। আমি তা খাওয়ার জন্য উঠিয়ে নেই। কিন্তু পর ক্ষণে চিন্তা করি, হতে পারে এটি ছদকার খেজুর (যা আমার জন্য বৈধ নয়) পরে তা ফেলে দেই।’ [সহীহ মুসলিম ১০৭০]

তার নাতি হাসান ইবনে আলী রা. একবার ছদকার খেজুর থেকে একটি খেজুর মুখে দিলেন। তৎক্ষণাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘ছি! ছি! ফেলে দাও! তুমি কি জান না, আমরা ছদকা খাই না?’ [সহীহ মুসলিম ১০৬৯]

১০- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এত বেশি ও বড় বড় কাজ করা সত্ত্বেও বলতেন, ‘তোমরা সামর্থ্য অনুযায়ী আমল করো। জেনে রাখ! আল্লাহ বিরক্ত হন না, যতক্ষণ না তোমরা কাজ করতে করতে বিরক্ত হও। আল্লাহর কাছে প্রিয় আমল হল যা সর্বদা করা হয়, যদিও তা পরিমাণে কম হয়।’ আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী ও পরিজনেরা যখন কোন আমল করতেন, তার উপর অবিচল থাকতেন। [সহীহ আল - বুখারী ১৯৭০, সহীহ মুসলিম ৭৮২]

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সালাত আদায় করতেন তা অব্যাহত রাখতেন। [সহীহ আল - বুখারী ১৯৭০]

একবার নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কয়েকজন সাহাবী তার ইবাদত সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। তারা বলছিলেন, ইবাদতের ক্ষেত্রে আমরা কোথায় আর আল্লাহর নবী কোথায়? আমাদের ইবাদতের সাথে তার ইবাদতের কোন তুলনা হয়? অথচ আল্লাহ তার পিছনের ও সামনের সকল পাপ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তাদের একজন বলল, আমি রাতব্যাপী নফল সালাত আদায় করব। আরেক জন বলল, আমি সর্বদা রোযা রাখব কখনো রোযা ত্যাগ করব না। অন্য একজন বলল, আমি কখনো নারী স্পর্শ করব না ও বিবাহ করব না। আরেক জন বলল, আমি কখনো গোশ্ত খাব না। তাদের এ আলোচনা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুনছিলেন। তিনি তাদের কাছে এসে বললেন, ‘তোমরাই তো এ রকম কথা-বার্তা বলছিলে, তাই না? সাবধান! আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদের চেয়ে আললাহকে বেশি ভয় করি ও তোমাদের চেয়ে বেশি মুত্তাকী-পরহেযগার। কিন্তু দেখ, আমি রোযা রাখি আবার তা পরিত্যাগ করি। আমি নামাজও পরি আবার নিদ্রা যাই। আমি নারীদের বিবাহ করি। অতএব যে আমার সুন্নাতে অনীহা দেখায় সে আমার থেকে নয়।’ [সহীহ আল - বুখারী ৫০৬৩, সহীহ মুসলিম ১৪০১]

এখানে সুন্নাত দ্বারা তার আদর্শ ও জীবন যাপন পদ্ধতি উদ্দেশ্য। তিনি এত কঠিন, কঠোর ও অত্যধিক আমল করার পরও বলতেন, ‘সহজ করো, ধীরে সুস্থে কাজ করো, তোমরা জেনে রাখো, কেহ আমলের বিনিময়ে মুক্তি পাবে না।’ সাহাবীগন বলল, হে রাসুল! ‘আপনিও কি আমলের বিনিময়ে মুক্তি পাবেন না?’ তিনি বললেন, ‘আমিও নই, তবে আল্লাহ যদি নিজ অনুগ্রহে আমার প্রতি রহম করেন, আমার প্রতি দয়া করেন।’

তিনি এ বলে আল্লাহর কাছে দুআ করতেন, ‘হে অন্তরের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনার দীনের উপর অটল রাখেন।’ [তিরমিজী ৩৫২২]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন