hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দয়া ও ভালোবাসার অনন্য বিশ্ব নবী

লেখকঃ আবু আব্দুর রাহমান

২৮
ছাবিবশতম পরিচ্ছেদ: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসুস্থতার বৃদ্ধি, বিদায় গ্রহণ ও উপদেশ প্রদান
আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসুস্থতা বোধ করলে সুরায়ে নাস, ফালাক এবং ইখলাস পড়ে পড়ে নিজের উপর দম করতেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যু কালীন অসুস্থতা যখন বেড়ে গেল, তখন আমি উক্ত সুরাগুলো পড়ে দম করতাম। অন্য বর্ণনায় আছে, আমি তার উপর দম করতাম এবং বরকতের জন্য তারই হাত দিয়ে মালিশ করতাম। ইবনে শিহাব জুহরী রহ. বলেন, ‘আয়েশা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে দম করতেন, অতঃপর তারই হাত দিয়ে চেহারা মালিশ করতেন।’ [সহীহ আল - বুখারী ৪৪৩৯, ৫০১৬, ৫৭৩৫, ৫৭৫১, সহীহ সহীহ মুসলিম ২১৯২, এ আমলটি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমের সময়ও করতেন। তিনি ঘুমের সময় সুরায়ে নাস, ফালাক এবং ইখলাস পড়ে হাতের উপর দম করে চেহারা এবং হাত পৌঁছে এমন সকল স্থান মেসেজ করতেন। সহীহ আল - বুখারী ৫৭৪৮]

সহীহ মুসলিমে আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে সুরায়ে নাস, ফালাক এবং ইখলাস পড়ে দম করতেন। যখন তিনি নিজেই শেষবারে মত অসুস্থ হলেন, তখন আমি নিজে এ সুরাগুলো পড়ে তার উপর দম করি, আর তারই হাত দিয়ে তাকে মালিশ করি। কারণ, তার হাত আমার হাতের চেয়ে বেশি বরকতপূর্ণ। [সহীহ মুসলিম ২১৯২]

আয়েশা রা বলেন, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সকল স্ত্রীগণ তার নিকট জড়ো হয়ে বসে ছিল। এমন সময় ফাতেমা হাঁটে হাঁটে তার কাছে আসে। তার হাঁটার ধরণ ছিল, রাসূলের হাঁটার ন্যায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘স্বাগতম! আসো আমার মেয়ে।’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডানে অথবা বায়ে বসালেন। অতঃপর তার সাথে কানে কানে কিছু কথা বললেন, যা শুনে ফাতেমা কাঁদলেন। দ্বিতীয়বার তার সাথে কানে কানে কথা বললেন, এবার ফাতেমা হাসলেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কেঁদেছো কেন? সে বলল, আমি রাসূলের গোপনে বলা কথা কাউকে বলতে চাই না। আমি বললাম, ‘কাঁদার সাথে সাথে এতো দ্রুত হাসতে আজকের মত তোমাকে আর কখনো দেখেনি।’ আমি তাকে বললাম, ‘আরে আমাদের রেখে শুধু তোমার সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোপন কথা বললেন, তারপরও তুমি কাঁদো?’ আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেছেন?’ সে বলল, ‘আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা গোপনে বলেছেন তা ফাঁস করতে পারি না।’ যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকাল করেন, তখন আমি তাকে বলি, ‘তোমাকে আমার আত্মীয়তার কথা স্বরণ করিয়ে বলছি, তুমি বল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেছিলেন?’ ফাতেমা বলল, ‘এখন বলতে পারি। প্রথমবার তিনি আমাকে বললেন, ‘জিবরীল প্রতি বছর একবার করে আমার সাথে কুরআনের অনুশীলন করে, এ বছর দু’বার করেছে। আমার মনে হচ্ছে, আমার মৃত্যু সময় ঘনিয়ে এসেছে। তুমি তাকওয়ার অবলম্বন কর এবং ধৈর্যধারণ কর। আমি তোমার জন্য খুব ভাল এক পূর্বসূরী।’ আপনি যে আমাকে কাঁদতে দেখেছেন, তার কারণ ছিল এটা। তিনি আমার অস্থিরতা দেখে দ্বিতীয়বার বললেন, ‘ফাতেমা! তুমি মুমিনদের সকল নারীদের নেত্রী অথবা বলেছেন, তুমি এ উম্মতের সকল নারীদের শ্রেষ্ঠতম। এতে কি তুমি সন্তুষ্ট নয়?’ আপনি যে আমাকে হাসতে দেখেছেন, তার কারণ ছিল এটা।’ [সহীহ আল - বুখারী ৪৪৩৩, ৪৪৩৪ সহীহ মুসলিম ২৪৫০] আরেকটি বর্ণনায় আছে, ‘তিনি আমাকে বলেছেন, আমার পরিবারের মধ্যে তুমিই সর্বপ্রথম আমার সাথে মিলিত হবে।’ [সহীহ আল - বুখারী ৪৪৩৩, ৪৪৩৪ সহীহ মুসলিম ২৪৫০]

ফাতেমার হাসার কারণ ছিল, তিনি সকল মু‘মিন নারীদের নেত্রী এবং তিনিই সর্ব প্রথম রাসূলের পরিবারের মধ্য থেকে তার সাথে মিলিত হবেন। কান্নার কারণ ছিল, তিনি নিজের মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছেন এ জন্য। ইবনে হাজার রহ. বলেন, ‘ইমাম নাসায়ী রহ. ফাতেমার কান্নার দু’টি কারণ উল্লেখ করেছেন।’ [ফাতহুল বারি : ৮/১৩৮] একটি হল, সুসংবাদ; যে তিনি এ উম্মতের নারীদের নেত্রী। অপরটি হল, তিনি রাসূলের সাথে সবার আগে মিলিত হবেন। সকল ঐতিহাসিকগণ এক মত যে, ফাতেমা রা. রাসূলের ওফাতের পর রাসূলের পরিবারের মধ্যে সকলের আগে ইন্তেকাল করেন। এমনকি রাসূলের স্ত্রীদেরও আগে। [ফাতহুল বারি : ৮/১৩৬]

আয়েশা রা. বলেন, ‘কাউকে আমি রাসূলের চেয়ে বেশি মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করতে দেখিনি।’ [সহীহ আল - বুখারী ৫৬৪৬, সহীহ মুসলিম ২৫৭০]

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, ‘আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট প্রবেশ করে দেখি, তিনি খুব জ্বরাক্রান্ত হয়ে আছেন। আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উপর জ্বরের প্রকোপ খুব বেশি। তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, তোমাদের দু’জনের উপর যে পরিমাণ জ্বর আসে, একা আমার উপর সে পরিমাণ জ্বর এসেছে। আমি বললাম, ‘এর কারণ হল, আপনাকে দ্বিগুন সওয়াব দেয়া হয়।’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তুমি ঠিক-ই বলেছ। যে কোনো মুসলমানের গাঁয়ে কাঁটা কিংবা তার চেয়ে ছোট কোনো জিনিস বিদ্ধ হলেও আল্লাহ এর বিনিময়ে গুনাহ ঝরিয়ে দেন, যেমন গাছ তার পাতা ঝরিয়ে ফেলে।’ [ফাতহুল বারি : ১০/১১১, সহীহ আল - বুখারী ৫৬৪৭, ৫৬৪৮, ৫৬৬০, ৫৬৬১, ৫৬৬৭ সহীহ মুসলিম : ২৫৭১]

আয়েশা রা. এবং ইবনে আববাস রা. হতে বর্ণিত, তারা বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর যখন জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পেল, তখন তিনি একটি নকশি চাদর চেহারার উপর টেনে তুলছিলেন, আর রেখে দিচ্ছিলেন। যখন জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পেত, মুখ হতে কাপড় সরিয়ে নিতেন। এমন অবস্থায় তিনি বললেন, ‘ইহুদী ও খৃষ্টানদের উপর আল্লাহর অভিশম্পাত। তারা তাদের নবীদের কবরসমূহকে মসজিদে রূপান্তরিত করেছে।’ তিনি তাদের কর্ম হতে আমাদের সতর্ক করছিলেন। [সহীহ আল - বুখারী ৪৪৪৩, ৪৪৪৪ সহীহ মুসলিম : ৫৩১]

আয়েশা রা. বলেন, আমরা রাসূলের অসুস্থ অবস্থায় আলোচনা করতে ছিলাম। এমন সময় উম্মে সালামা এবং উম্মে হাবীবা হাবশার (ইথিওপিয়ার) গীর্জা এবং তাতে দেখা ছবির স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করতে ছিলো। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তাদের অভ্যাস হল, তাদের মধ্যে কোনো ভাল লোক মারা গেলে তারা তার কবরের উপর মসজিদ র্নিমাণ করত এবং তাতে তার ছবি অংকন করে রাখত। তারা আল্লাহর কাছে কেয়ামতের দিন সবচেয়ে নিকৃষ্ট জাতি হিসেবে পরিগনিত হবে।’ [সহীহ আল - বুখারী ৪২৭, ৪৩৪, ১৩৪১, ৩৮৭৮ সহীহ মুসলিম : ৫২৮]

আয়েশা রা. হতে আরো বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সর্বশেষ অসুস্থতায় বলেছেন, আল্লাহ তাআলা ইহুদী ও খৃষ্টানদের উপর অভিশম্পাত করুন, তারা নিজেদের নবীদের কবরসমূহকে মসজিদে রূপান্তরিত করেছে।’ আয়েশা রা. বলেন, যদি সে আশংকা না থাকত, তবে রাসূলের কবরও উচু করা হতো। আমার আশংকা হচেছ একে মসজিদে রূপান্তরিত করা হবে।’ [সহীহ আল - বুখারী ৪৩৫, ১৩৩০, ১৩৯০, ৩৪৫৩, ৪৪৪১, ৫৮১৫, সহীহ মুসলিম ৫২৯]

আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত করো না, আবার আমার কবরকে উৎসবের স্থান বানিয়ো না। তোমরা আমার উপর দরুদ পড়। তোমরা যেখানেই থাক, তোমাদের দরুদ আমার পর্যন্ত পৌঁছে যায়।’ [আবু দাউদ : ২/২১৮ হাদীস নং : ২০৪২ আহমদ : ২/৩৬৭ সহীহ আবু দাউদ : ১/৩৮৩]

আনাস রা. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসুস্থতার প্রকোপে বেহুশ হয়ে যাচ্ছিলেন। এ অবস্থা দেখে ফাতেমা রা. বলেন, ‘হায় বিপদ! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘তোমার পিতার উপর আজকের পর আর কোনো বিপদ নেই।’ ইন্তেকাল হয়ে গেলে, ফাতেমা রা. বলেন, ‘হে আমার প্রাণের পিতা! আপনি আল্লাহর ডাকে সারা দিয়েছেন। হে আমার প্রাণের পিতা! আপনার ঠিকানা জান্নাতুল ফেরদাউস। হে আমার প্রাণের পিতা! আপনার বিয়োগ ব্যথা জিবরীলের নিকট প্রকাশ করছি। যখন দাফনকর্ম শেষ হল, ফাতেম রা. বললেন, ‘হে আনাস! রাসূলের উপর কিভাবে তোমরা মাটি রাখলে! তোমাদের মন কিভাবে সায় দিল?’ [সহীহ আল - বুখারী ৪৪৬২]

এ পরিচ্ছেদের সারকথা ও শিক্ষনীয় বিষয়ঃ

কুরআন এবং হাদীসে বর্ণিত বিভিন্ন সুরা ও দুআ-জিকির দিয়ে ঝাড় ফুক করা মুস্তাহাব। বিশেষ করে সুরা নাস, সূরাফালাক এবং সুরা ইখলাসের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট সকল বস্ত্তর অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাওয়া। [নববীর ব্যখ্যা গ্রন্থ : ১৪/৪৩৩, উববীর ব্যাখ্যা গ্রন্থ : ৭/৩৭৫]

ফাতেমার প্রতি রাসুলের বিশেষ দৃষ্টি ও আন্তরিক মহববত। যেমন, তিনি স্বাগতম বলে ফাতেমাকে কাছে নিয়েছেন। আরো বর্ণিত আছে, ফাতেমা যখন রাসুলের কাছে যেতেন, তখন তাকে তিনি কাছে বসাতেন, চুমু খেতেন, দাড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাতেন। তদ্রুপ ফাতেমাও রাসুলের সাথে করতেন, যখন তিনি তার বাড়িতে যেতেন। [ফাহুল বারি : ৮/১৩৫, ১৩৬]

এ ঘটনা থেকে জানা যায়, মেয়েদের সাথে সদাচারণ করা, তাদের শিক্ষা-দীক্ষা এবং আচার ব্যবহারের তালিম দেয়া জরুরী বিষয়, রাসুলের সুন্নত। এবং তারা যখন বড় হয়ে যাবে, তখন তাদের জন্য সৎ পাত্রের ব্যবস্থা করা।

বাচ্চাদের উচিত পিতা, মাতার প্রতি যত্নশীল হওয়া। তাদের অবাধ্যতা কিংবা নাফরমানী না করা। করলে আল্লাহর শাস্তির উপযুক্ত হয়ে যাবে।

রাসুলের সত্যতার প্রমাণ যে, তিনি সংবাদ দিয়েছেন, ফাতেমা সবার আগে তার সাথে মিলিত হবে। বাস্তবে তা-ই হয়েছে।

পরপারে যাওয়ার কথা শুনে ঈমানদারদের খুশী হওয়া। এর অর্থ এ নয় যে, কোনো বিপদ-মুসিবতের কারণে মৃত্যু কামনা করা। বরং নেক আমেলের সুযোগ মনে করে দুনিয়ার জীবনকে সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করা। হাদীসে এসেছে মানুষ মারা গেলে তার সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়, তিনটি জিনিস ব্যতীত। তাই জীবনকে সুযোগ মনে করে কাজ করতে থাকা মু’মিনের কর্তব্য।

মৃত্যু ঘনিয়ে এলে মুমুর্ষ ব্যক্তির উচিত পরিবারের লোকজনকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দেয়া। যেমন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতেমাকে দিয়েছেন।

ফাতেমা রা. এর ফজিলত, তিনি সকল মুমিন নারীদের নেত্রী।

অসুস্থ ব্যক্তিরা যদি স্বীয় অসুস্থতাকে সওয়াব মনে করে, আল্লাহ এর বিনিময়ে সওয়াব দিবেন, গুনাহ মাফ করবেন এবং জান্নাতে সুউচ্চ স্থানের যোগ্য করে গড়ে তুলবেন। দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি মুসীবতের সম্মুখীন হন নবী ও রাসূলগণ। এরপর যারা তাদের সাথে নীতি, আদর্শ ও আকীদা-বিশ্বাসের প্রতিনিধিত্ব করে তারা। যেহেতু তারা ধৈর্য ও আল্লাহ নির্ভরতায় সবার উর্ধ্বে। তারা আরো জানেন এগুলো আল্লাহর নেআমত ও প্রতিদান বৃদ্ধির অন্যতম মাধ্যম। এর মধ্য দিয়ে তাদের ধৈর্য ও সন্তুষ্টির পরীক্ষা নেয়া হবে। কম মর্যাদার হওয়া সত্বেও নবী ও রাসূলদের অনুসরণ, আনুগত্য এবং ঘনিষ্টতার কারণে তাদের সাথে সম্পৃক্ত হবে। এতে সম্ভাব্য রহস্য হয়তো এটা যে, বিপদ-মুসিবত নেআমতের বিপরীতে প্রদান করা হয়। সুতরাং যার উপর আল্লাহর নেআমত বেশি হবে, তার উপর বিপদ-মুসিবতও বেশি হবে, সন্দেহ নেই। এ জন্যই পরাধীন ব্যক্তির উপর স্বাধীন ব্যক্তির অর্ধেক শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘‘হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমাদের ভেতর যে স্পষ্ট অশ্লীলতায় লিপ্ত হবে, তাকে দ্বিগুন শ্বাস্তি দেয়া হবে।’’ [সূরা আল-আহযাব : ৩০] শক্তিশালী ব্যক্তির উপর বড় বোঝাটাই রাখা হয়। দুর্বলের সাথে সহানুভুতি দেখানো হয়। তবে এটা ঠিক যে, যার ঈমান দৃঢ়, তার জন্য মুসিবত সহনীয়। কারণ, তার ধারণা মুসিবতের বিনিময়ে সওয়াব অর্জিত হবে, বিধায় তার জন্য মুসিবত সহনীয় হয়ে যায়। আবার কেউ মনে করে, এটা মহান আল্লাহর পক্ষ হতে। তাই তার তাকদীরের উপর বিশ্বাস রেখে সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নেয়। কোনও আপত্তি জানায় না।

কবরকে মসজিদে রূপান্তরিত করা কিংবা মসজিদের ভিতর কবর প্রবেশ করানো হতে বিরত থাকা। যে এ রকম কাজ করবে, সে অভিশপ্ত। কেয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সে সর্ব নিকৃষ্ট জীব হিসেবে পরিগণিত হবে। এটা রাসুলের গুরুত্বপূর্ণ উপদেশের একটি। মুত্যৃর পাঁচ দিন আগে তিনি এ কথা বলে গেছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন