hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দয়া ও ভালোবাসার অনন্য বিশ্ব নবী

লেখকঃ আবু আব্দুর রাহমান

১৭
পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বীরতব
যুদ্ধ এবং লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বীরত্ব দেখানো অবশ্যই ধৈর্যের পরিচায়ক। এবং এর দ্বারা ভীতির উদ্রেক থেকে নিজের আত্মার উপর নিয়ন্ত্রন রাখা যায়। মানুষ যে সকল স্থানে বীরত্বকে ভাল চোখে দেখে, সে সকল স্থানে কাপুরুষতা প্রদর্শন সাহসিকতার বিরোধী বলে গণ্য।

বীরত্ব ও সাহসিকতার ক্ষেত্রে রাসুলের সীরাতের কিছু উদাহরণ দেয়া হল, আর এই উদাহরণগুলো দ্বারা মানুষ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মধ্যে উত্তম আদর্শ পাবে। এই জন্যই তো তিনি অন্তর, জিহবা, তরবারী, দাঁত, দাওয়াত ও বক্তৃতা দ্বারা জিহাদ করেছেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৫৬টি অভিযান প্রেরণ করেছেন। আর তিনি নিজে সরাসরি ২৭টি অভিযান পরিচালনা করেছেন। এর মধ্যে ৯টি তে নিজে প্রত্যক্ষ লড়াই করেছেন। [সীরতে ইবনে হিশাম ২খন্ড ২৫৩ পৃঃ ফতহুল বারী ৭ম খন্ড ২৮৫ পৃঃ যাদুল মা’আদ ৩য় খন্ড ১৭৩ পৃঃ আর রহীকুল মাখতুম ২০০পৃঃ সহীহ আল - বুখারী ৩৯৫২ সহীহ মুসলিম ১৭৭৯ তারিখে ইসলামী মাহমুদ শাকের ২য় খন্ড ১৯৪ পৃঃ]

উদাহরণগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলঃ

প্রথম উদাহরণঃ বদরের যুদ্ধে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বীরত্ব-

তার যে সকল অবস্থান হিকমত দ্বারা পরিপূর্ণ তার একটি হল, তিনি যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার পূর্বে লেকেদের সাথে পরামর্শ করেছিলেন। কেননা তিনি যুদ্ধে আনছারদের আগ্রহ বুঝার চেষ্টা করছিলেন। বাইয়াতের মধ্যে তাদের সাথে শর্ত করা হয়েছিল যে, মদীনায় থেকে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষে ঐ সমস্ত জিনিসকে প্রতিরোধ করবেন যা তারা সাধারনত নিজেদের জন্য, মাল সম্পদের রক্ষায়, সন্তান ও স্ত্রীদের নিরাপত্তার জন্য করে থাকেন। মদীনার বাহিরে প্রতিরোধ করার ব্যাপারে তাদের সাথে কোন শর্ত ছিল না। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সাথে পরামর্শ করতে চাইলেন। তাদেরকে একত্রিত করলেন ও পরামর্শ করলেন। আবু বকর রা. দাড়ালেন এবং সুন্দরভাবে বললেন। এরপর উমার রা. দাড়ালেন ও সুন্দরভাবে বললেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূনরায় পরামর্শ চাইলেন। এইবার মিকদাদ রা. দাড়ালেন, তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহ আপনাকে যে পথে চলতে নির্দেশ করেছেন আপনি সে পথে চলুন। আমরা সবাই আপনার সাথে। আল্লাহর শপথ আপনাকে আমরা তেমন বলব না যেমন বলেছিল বনী ইসরাঈল মুসা আ. কে যে ‘আপনি ও আপনার প্রভু যান, যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকি।’ কিন্তু আমরা বলছি ‘আপনি এবং আপনার প্রভূ যান যুদ্ধ করুন, আমরাও আপনাদের সাথে থেকে যুদ্ধ করব। আমরা আপনার ডানে, বামে, সামনে, পিছনে, সর্বত্র যুদ্ধ করব।’ রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৃতীয় বার মানুষের সাথে পরামর্শ করলেন। আনছাররা বুঝতে পারল, তাদের মতামত চাওয়া হচ্ছে। সাআদ বিন মুআজ রা. সামনে অগ্রসর হয়ে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! মনে হয় আপনি আমাদের মতামত চাইছেন। আসলে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মতামতই চাচিছলেন। কেননা তারা বাইয়াত করেছিল, দেশের মধ্যে অবস্থান করে তারা রাসূলের পক্ষে প্রতিরোধ করবে। কিন্তু যখন মদীনার বাহিরে লড়াই করার প্রশ্ন আসল তখন তাদের মতামত নেয়া খুবই জরুরী মনে করলেন। অতঃপর যখন বের হওয়ার সংকল্প করলেন, তাদের সাথে পরামর্শ করলেন, যাতে তাদের মনের অবস্থা জানতে পারেন। সাআদ রা. তাকে বললেন, ‘মনে হয় আপনি ভয় পাচ্ছেন যে, আনছারদের এ অধিকার আছে তাদের নিজেদের দেশে ছাড়া আপনাকে সাহায্য করবে না। আমি আনছারদের পক্ষ থেকে বলছি ও উত্তর দিচ্ছি, আপনি যেখানে ইচ্ছা গমন করুন। যাকে ইচ্ছা নিয়ে যান। যাকে ইচ্ছা বাদ দিন। আমাদের সম্পদ থেকে যা ইচ্ছা গ্রহণ করুন এবং যা ইচ্ছা আমাদের জন্য রেখে যান। আমাদের নিকট থেকে যা গ্রহণ করবেন তা আমাদের নিকট বেশি প্রিয় তার চেয়ে যা আমাদের জন্য রেখে যাবেন। আমাদেরকে যে বিষয়ের নির্দেশ করতে চান, করুন। আমরা আপনার আদেশের অনুগত। আল্লাহর শপথ! আমাদেরকে নিয়ে চলতে চলতে যদি গামদান এর হ্রদে পৌঁছে যান, অবশ্যই আমরা আপনার সাথে চলব। ঐ সত্বার শপথ! যিনি আপনাকে সত্য নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন, আপনি যদি আমাদেরকে এই সমুদ্রে নিয়ে পরীক্ষা করেন, আর আপনি তাতে প্রবেশ করেন, আমরাও আপনার সাথে প্রবেশ করব। আমাদের মধ্য থেকে একজনও পিছনে থাকবে না। আর আমরা এটাও অপছন্দ করব না যে, আমাদেরকে নিয়ে আগামী কালই শত্রুদের মুখোমুখী হবেন। আমরা যুদ্ধে ধৈর্যশীল, শত্রু সাক্ষাতে সত্যবাদী। আশা করি আল্লাহ তাআলা আমাদের থেকে এমন কিছু দেখাবেন যা আপনার চক্ষু শীতল করবে। আল্লাহর বরকতের উপর নির্ভর করে আমাদেরকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।’ এই বক্তব্যে রাসুলুল্লার চেহারা মুবারক আলোকিত হল। আনন্দ ফুটে উঠল এবং তাকে পুলকিত করল। অতঃপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘চলো এবং সুভ সংবাদ গ্রহণ কর। কেননা আল্লাহ আমার সাথে দুইটি দলের একটির অঙ্গীকার করেছেন। মনে হয় আমি এখন সে জাতির ধংস দেখতে পাচ্ছি।’ []

বদরের যুদ্ধে রাসুলের বিশেষ অবস্থানের মধ্যে একটি ছিল আল্লাহ তাবারকা ও তাআলার উপর তার অগাধ ভরসা। কেননা তিনি জেনেছিলেন যে, বিজয় অধিক সংখ্যক যোদ্ধ বা শক্তির কারণে আসবে না। বরং বিজয় হবে আল্লাহর সাহায্যে উপকরণ গ্রহণ ও আল্লাহর উপর ভরসা করার মাধ্যমে।

উমার বিন খাত্তাব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বদর দিবসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুশরিকদের দিকে দৃষ্টি দিলেন। তাদের সংখ্যা ছিল এক হাজার। এবং তার সাথীদের সংখ্যা ছিল তিনশত তের জন। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেবলার দিকে ফিরলেন, অতঃপর দু হাত উত্তোলন করে তার প্রভূর নিকট উচু কন্ঠে সাহায্য প্রার্থনা করতে লাগলেন। ‘হে আল্লাহ আমাকে যা অঙ্গীকার করেছেন তা পরিপূর্ণ করে দিন, হে আল্লাহ ইসলাম অনুসারী এ দলকে যদি আপনি ধংস করে দেন তা হলে পৃথিবীতে আপনার ইবাদত করার কেহ থাকবে না।’ হাত উঠিয়ে কেবলামুখী হয়ে উচ্চ কন্ঠে তার প্রতিপালকের কাছে প্রার্থনায় এমনভাবে রত ছিলেন যে, তার কাধের উপর থেকে চাদর পড়ে গেল, আবু বকর রা. তার নিকট আসলেন, চাদর উঠালেন কাধের উপর ফেলে দিলেন, অতঃপর পিছনে তার গায়ে লেগে বসলেন, ও বললেন, হে আল্লাহর নবী! আপনার প্রভুর নিকট প্রার্থনা যথেষ্ট হয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ যা আপনার জন্য অঙ্গীকার করেছেন তা আপনাকে দিবেন। তখন আল্লাহ এ আয়াত অবতীর্ন করলেনঃ

إِذْ تَسْتَغِيثُونَ رَبَّكُمْ فَاسْتَجَابَ لَكُمْ أَنِّي مُمِدُّكُمْ بِأَلْفٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ مُرْدِفِينَ ﴿الأنفال :9﴾

‘স্মরণ কর, যখন তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট কাতর কন্ঠে সাহায্যের আবেদন করেছিলে। আর তিনি সেই আবেদন কবুল করেছিলেন যে, আমি তোমাদেরকে এক হাজার ফেরেশ্তা দ্বারা সাহায্য করবো, যারা ধারাবাহিকভাবে আসবে।’’ [সূরা আল-আনফাল ৯]

আল্লাহ ফেরেশ্তাদের মাধ্যমে রাসুলকে সাহায্য করেছেন। [সহীহ মুসলিম ১৭৬৩ সহীহ আল - বুখারী ৩৯৫২ আর রাহীকুল মাখতুম ২০৮ পৃঃ]

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবুর নিচ থেকে বের হতে হতে বলছিলেনঃ

سَيُهْزَمُ الْجَمْعُ وَيُوَلُّونَ الدُّبُرَ ﴿القمر 45﴾

‘‘এইদল শীঘ্রই পরাজিত হবে এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে।’’ [সুরা কামার ৪৫]

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিযানে লড়াই করলেন এমনভাবে যে, তিনি সকলের চেয়ে শক্তিশালী ও বীরত্বের অধিকারী ছিলেন। রাসুলের সাথে আবু বকর রা. ছিলেন, যেমন তারা দুজন তাবুতে দুআ ও কান্নাকাটির মাধ্যমে যথাসাধ্য চেষ্টা করছিলেন। অতঃপর তারা দু’জন নীচে নেমে আসলেন সকলকে উদ্বুদ্ব করলেন। এবং দুজনই স্ব শরীরে যুদ্ধ করলেন। জিহাদের পবিত্র দু্’ স্তরের সমন্বয় তারা করেছেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকলের চেয়ে বড় বীর ছিলেন। আলী বিন আবু তালেব রা. থেকে বর্ণিত, ‘তিনি বলেন, বদর দিবসে দেখেছি, আমরা যখন তার কাছাকাছি অবস্থান করছিলাম, তিনি আমাদের চেয়ে শত্রুদের বেশি নিকটবর্তী ছিলেন, সে দিন তিনি সকলের চেয়ে কঠিন আক্রমণকারী ছিলেন।’ [আহমদ ১ম খন্ড ৮৬ পৃঃ হাকেম ২য় খন্ড ১৪৩ পৃঃ]বব

আলী রা.বলেন, ‘যুদ্ধের দাবানল যখন জলে উঠত এবং এক জাতি আর এক জাতির মুখোমুখী হত, তখন আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আশ্রয় গ্রহণ করতাম। আমাদের কেহ রাসুলের চেয়ে শত্রু বাহিনীর বেশি নিকটবর্তী হতো না।’ [হাকেম ২য় খন্ড ১৪৩ পৃঃ আল বিদায়া ও আন নিহায়া ৩য় খন্ড ২৭৯পৃঃ]

দ্বিতীয় উদাহরণঃ উহুদের যুদ্ধে রাসুলের বীরত্ব

বীরত্বের ব্যাপারে এবং নিজ জাতির নির্যাতনে ধৈর্য ধারণ করার ব্যাপারে উহুদের যুদ্ধে তার অবস্থান ছিল অনেক উর্ধে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে বড় ধরণের লড়াইয়ে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। মুশরিকদের তুলনায় মুসলমানদের রাষ্ট্র তখন দিপ্রহারের অগ্রভাগে ছিল। আল্লাহর দুশমনেরা পিঁছু হটতে হটতে পালিয়ে গেল। তারা তাদের নারীদের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। যখন গিরিপথ পাহাড়ারত মুসলিম তীরন্দাজ বাহিনী তাদের পরাজয় দেখল। তারা তাদের স্থান ত্যাগ করেছিল যেখানে রাসুল তাদেরকে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছিলেন সর্বাবস্থায়। আর এটা এ কারণে হয়েছিল যে, তারা মনে করেছিল, মুশরিকরা আর ফিরে আসবে না। অতঃপর তারা পাহাড়ের পথ খালি করে দিয়ে যুদ্ধ লব্দ সম্প্দের খোঁজে চলে গেল। মুশরিকদের অশ্বারোহী দল আবার ফিরে আসল। তীরন্দাজ বাহিনী মুক্ত সীমান্ত পেল। তারা মুখোমুখী হল ও সেখানে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করল। তাদের সর্বশেষ জনও সেখানে আসল। মুসলমানদেরকে ঘিরে ফেলল। তাদের মধ্য থেকে যাদেরকে আল্লাহ তাআলা শহীদি মর্যাদা দিতে চাইলেন দিলেন। এরা সংখ্যায় ছিলেন সত্তর জন। সাহাবায়ে কেরাম পিছনে সরে গেলেন এবং মুশরিকরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চারি পাশে সমবেত হল। রাসুলের চেহারা মুবারক আহত করল এবং তার নিচের ডান দিকের দাঁত ভেঙ্গে গেল। বর্মের সুঁচালো মাথা তার মাথায় বিদ্ধ হয়ে গেল। সাহাবায়ে কেরাম রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বাচানোর জন্য লড়াই করে যেতে থাকলেন। [যাদুল মাআদ ৩য় খন্ড ১৯৬-১৯৯ আর রহীকুল মাখতুম ২৫৫-২৫৬]

রাসুলের পাশে কুরাইশ গোত্রের দু’জন ছিল। আনছরদের মধ্য থেকে ছিল সাতজন। যখন তারা রাসুলের নিকটে এসে পড়ল এবং কাছকাছি পৌঁছল, তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘যে তাদেরকে আমার কাছ থেকে সরিয়ে দেবে, তার জন্য জান্নাত রয়েছে, অথবা জান্নাতে সে আমার সঙ্গী হবে।’ আনছারদের মধ্য থেকে একজন সামনে অগ্রসর হল শাহাদত বরণ করা পর্যন্ত লড়াই করল। অতঃপর তারা রাসুলের আরো নিকটে চলে আসল। রাসুল আবার বললেন, ‘তাদেরকে যে সরিয়ে দেবে তার জন্য জান্নাত।’ আনছারদের একজন অগ্রসর হল সে লড়াই করে শহীদ হয়ে গেল। এভাবে সাতজন শহীদ হয়ে গেল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দুই সঙ্গীকে বললেন, রণাঙ্গনের সীমান্ত ছেড়ে দিয়ে আমাদের সাথীরা ঠিক কাজ করেনি। [সহীহ মুসলিম ১৭৮৯]

মুসলমারা যখন একত্রিত হল, এবং যে গিরিপথে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবস্থান নিয়েছিলেন, সেখানে তারা পৌঁছলো এবং তাদের মাঝে আবু বকর, উমার, আলী, হারেস বিন ছম্মাহ আল আনছারী প্রমুখ ছিলেন। তারা যখন পাহাড়ে হেলান দিয়ে বসলেন । রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উবাই বিন খালাফকে তার ঘোড়ায় পেলেন। সে বলছে, মুহাম্মাদ কোথায়? সে যদি বেচে যায় আজ আমার রক্ষা নেই। লোকেরা বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্য থেকে কে তার দিকে অগ্রসর হবে?’ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে তার দিকে যেতে নিষেধ করলেন। অতপর যখন তার নিকটবর্তী হল, হারেস বিন ছাম্মাহ থেকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্শা নিয়ে নিলেন। যখন তার থেকে বর্শাটি নিলেন, সে কেঁপে উঠল এমনভাবে যেমন উটের পিটের উপর থেকে লোম উঠালে সে কেঁপে উঠে। অতঃপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সামনা-সামনি হলেন এবং তার লৌহ বর্ম ও মাথার টুপির মধ্য থেকে তার গলার লক্ষ্য-বস্ত্ত ঠিক করে নিলেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে জাগায় তাকে আঘাত করলেন। আঘাতে সে তার ঘোড়ার উপর কয়েকবার চক্কর মারল। বার বার কেঁপে উঠল। আল্লাহরদুশমন যখন সামান্য আঘাতের চিহ্ন নিয়ে কুরায়েশদের নিকট ফিরে গেল। সে বলল, ‘আল্লাহর শপথ! মুহাম্মাদ আমাকে হত্যা করেছে।’ তারা তাকে বলল, মনে হচ্ছে তোমার জান বের হয়ে গিয়েছে। তোমার মারাত্বক কোন ক্ষত আমরা তো দেখতে পাচি্ছ না। সে বলল, ‘মুহাম্মাদ তো মক্কায় আমাকে বলেছিল, আমি তোমাকে হত্যা করব। আল্লাহর শপথ সে যদি আমার উপর থুথুও নিক্ষেপ করে তবুও আমি মনে করব সে আমাকে হত্যা করেছে।’ তারা মক্কায় ফেরার পথে আল্লাহর এই শত্রু ছারফ নামক স্থানে মারা গিয়েছিল। []‎

তৃতীয় উদাহরণঃ হুনাইন যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বীরত্ব

হুনাইন যুদ্ধে মুসলমান এবং কাফেররা মুখোমুখী হওয়ার পর, মুসলমানরা পিছনে ফিরে পালাতে লাগল। [যাদুল মা’আদ ৩য় খন্ড ১৯৯ পৃঃ আর রহীকুল মাখতুম ২৬৩ পৃঃ বিদায়া নিহায়া ৪খন্ড ৩২ পৃঃ তবারী ২য় খন্ড ৬৭ পৃঃ ফিকহুস সীরাহ ২২৬ পৃঃ]

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাফেরদের দিকে তার খচ্চর হাঁকাতে আরম্ভ করলেন। অতঃপর বললেন, ‘হে আববাস! রাত্রে গল্প-গুজব যারা করছিল তাদেরকে আহবান কর।’ আববাস রা. উচ্চ কন্ঠের অধিকারী ছিলেন। তিনি বলেন, আমি উচ্চ স্বরে বললাম, ‘রাত্রে গল্প-গুজবকারীরা কোথায়?’ আল্লাহর শপথ! তারা যখন আমার কন্ঠ শুনলো তখন তাদের সহানুভূতির অবস্থা এমন ছিল, যেমন গাভীর সহানুভূতি তার বাছুরের প্রতি হয়ে থাকে। তারা বলল, ‘হাজির! হাজির! কাফেরদের বিরুদ্ধে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ল, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খচ্চরের উপর বসে প্রসারিত দৃষ্টি দিয়ে তাদের যুদ্ধ দেখছিলেন। তিনি বললেন, ‘এখন যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে।’ [সহীহ মুসলিম ১৭৭৫]

এই অবস্থানেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এমন বীরত্ব প্রকাশ পেয়েছে যার থেকে অনেক মহান ব্যক্তিরা অপারগ হয়ে গিয়েছে। [আর রহীকুল মাখতুম ৪০১ পৃঃ ওয়াহাজাল হাবিব ইয়া মুহিব ৪০৮ পৃঃ]

বারা ইবনে আযেব রা.কে লক্ষ্য করে কোন এক ব্যক্তি তাকে বলল, ‘হে আবু আমারা! তোমরা কি হুনাইনের দিনে পালিয়ে গিয়েছিলে?’ তিনি উত্তর দিলেন, আল্লাহর শপথ! আল্লাহর রাসুল পালায়ন করেননি। কিন্তু তার যুবক সাথীরা যারা তাড়াতাড়ি করেছিল, যাদের নিকট অস্ত্র ছিল না বা কম ছিল। তারা এমন লোকদের সাথে সামনে পড়ে গেল যারা তীর নিক্ষেপে পারদর্শী ছিল। হাওয়াযেন ও নছর গোত্রের বিরাট একটি দল সম্মিলিতভাবে তাদের উপর তীর বর্ষণ করল। তাদের নিশানা ব্যর্থ হচ্ছিল না। তারা উন্মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসল। সকলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে চলে আসল। আবু সুফিয়ান বিন হারেস রাসুলের খচ্চর টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। রাসুল নেমে পড়লেন, ও দুআ করলেন, আল্লাহর সাহায্য কামনা করে বলতেছিলেনঃ

أنا النبي لا كذب أنا ابن عبدالمطلب، اللهم نزِّل نصرك

‘আমি সত্য নবী, আমি আব্দুল মুত্তালিব এর সন্তান, হে আল্লাহ আপনার সাহায্য অবতীর্ন করুন!’ [সহীহ মুসলিম ১৭৭৬]

বারা রা. বলেন যখন প্রচন্ড লড়াই শুরু হল, আমরা রাসুলের কাছাকাছি আশ্রয় গ্রহণ করেছিলাম, আমাদের মধ্যে বীর তিনিই ছিলেন যার কাছাকাছি সবাই যাচ্ছিলেন। অর্থাৎ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। [সহীহ মুসলিম ১৭৭৬]

মুসলিমের আর একটি বর্ণনায় সালামাতা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ভীতু অবস্থায় আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি তার শাহবা নামক খচ্চরের উপর ছিলেন। ইবনুল আকওয়াকে কম্পমান অবস্থায় দেখলাম। সবাই যখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঘিরে ধরল, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খচ্চরের উপর থেকে নেমে পড়লেন। অতঃপর যমীন থেকে এক মুষ্টি মাটি হাতে নিলেন এবং শত্রু বাহিনীর মুখের দিকে ছুঁড়ে মারলেন। তাদের চেহারা কালো হয়ে গেল। তাদের সকলের চোখ একমুষ্টি মাটিতে ভরে গেল। তারা পিছন ফিরে পালাল। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে পরাজিত করলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধলব্দ সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে ভাগ করে দিলেন। [সহীহ মুসলিম ১৭৭৭]

আলেমগণ বলেছেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খচ্চরে আরোহণ করা হল যুদ্ধের ময়দানে কঠিন যুদ্ধের সময় বীরত্ব এবং দৃঢ়তার চুড়ান্ত পর্যায়। তাছাড়া লোকরা তো তার নিকটেই ফিরে আসছিল। তার মাধ্যমে তারা প্রশান্তি লাভ করছিল। আর এটা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম করেছিলেন ইচ্ছাকৃত ভাবে। কেননা, তার নিকটে অনেক প্রশিক্ষিত ঘোড়া ছিল। তা রেখে তিনি খচ্চরের পিঠে আরোহণ করেছিলেন।’

আর তার বীরত্বের প্রমাণ এটাও বহন করে যে, তিনি তার খচ্চরকে লাফাতে লাফাতে মুশরিকদের ভীড়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আর শত্রু পক্ষের লোকেরা পালাচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ সা. মাটিতে নেমে আসেন এমন সময় যখন সকলে তাকে ঘিরে ধরেছিল। বীরত্ব ও ধৈর্যের শেষ পর্যায় তিনি প্রদর্শন করেছেন। কেহ কেহ বলেন, ‘রাসুল এমন করেছিলেন যারা মাটিতে ছিলেন তাদের সাথে একত্বতা প্রকাশের জন্য।’ সাহাবীগণ হুনাইন যুদ্ধ ক্ষেত্রের সর্বত্র তার বীরত্বের আলোচনা করেছেন। [নববী ১২ খন্ড ১১৪ পৃঃ]

চতুর্থ উদাহরণঃ নিজ সাথীদেরকে সাহায্য করার ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বীরত্ব

সহীহ আল বুখারী ও সহীহ মুসলিম আনাস রা. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বোত্তম ও সবচেয়ে বেশি দানশীল, ও সবার চেয়ে সাহসী মানুষ ছিলেন। এক রাতে মদীনাবাসী একটি ভয়ানক আওয়ায শুনে ভয় পেয়ে গেল। কিছু মানুষ শব্দের দিকে চলে গেল, তারা দেখল নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে আসছেন। তিনি সকলের আগে আওয়াযের দিকে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তিনি ফিরে আসছিলে আর বলছিলেন, ‘তোমরা ভয় পেয়ো না, তোমরা ভয় পেয়ো না।’ তিনি আবু তালহার ঘোড়ার উপর ছিলেন। তার শরীরে চাদর ছিল না। তার কাঁধের উপর ছিল একটি তরবারী। বর্ণনাকারী বলেন, তাকে আমরা বীরত্বের সমুদ্রের ন্যায় পেয়েছি। তিনি বীরত্বের সমুদ্র ছিলেন। [সহীহ আল - বুখারী ৬০৩৩]

এই সমস্ত উদাহরণ ও পূর্বের উদাহরণগুলি একথারই স্পষ্ট প্রমাণ যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকলের চেয়ে বীরত্বে শ্রেষ্ঠ ছিলেন। সার্বিক বিবেচনায় এই ধরায় তার মত আর কোন সাহসী ব্যক্তি আসেনি। আর এ কথার সাক্ষ্য দিয়েছেন বড় বড় বীর বীর ও সাহসীগণও। [আহমাদ ১ম খন্ড ৮৬ পৃঃ হাকেম ২য় খন্ড ১৪৩ পৃঃ]

বারা ইবনে আযেব রা. বলেন, ‘যখন প্রচন্ড লড়াই শুরু হল, আমরা রাসুলের কাছাকাছি আশ্রয় গ্রহণ করছিলাম। আমাদের মধ্যে বীর তিনিই ছিলেন যার কাছাকাছি সবাই যাচ্ছিলেন। অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আনাস রা. পূর্বের হাদীসে বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বোত্তম ও সবচেয়ে বেশি দানশীল, ও সবার চেয়ে বড় বীর মানুষ ছিলেন।’

পঞ্চম উদাহরণঃ চিন্তা ও পরিকল্পনায় তার বীরত্ব

পূর্বের এই উদাহরণগুলি তার অন্তরের বীরত্বের উদাহরণ ছিল। তার চিন্তাগত বীরত্বের একটি উদাহরণ দিয়ে শেষ করব। কেননা তার নামে হাজার হাজার বীরত্বগাথা রয়েছে। সে বীরত্ব হল, সুহায়েল বিন আমরের গোয়ার্তুমির সময়। যখন তিনি হুদাইবিয়া সন্ধির চুক্তিনামা লিখছিলেন, সে সময়ে রাসূলের অবস্থান অত্যন্ত সাহসিকতাপূর্ণ ছিল। কেননা চুক্তিপত্রে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ লেখা তিনি স্থগিত করেছিলেন। শুধু ‘বিসমিকা আললাহুম্মা’ লিখেছিলেন। এবং ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ লেখার পরিবর্তে ‘মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ’ লিখতে রাজি হয়েছিলেন। ও সুহায়েলের এই শর্ত গ্রহণ করেছিলেন যে, কুরাইশদের কেহ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলে তাকে মক্কায় ফিরিয়ে দিবেন সে মুসলমান হলেও। সাহাবারা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন এ সকল অসম শর্তাবলীতে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অবস্থায় ধৈর্য ধরে বসেছিলেন। চুক্তিনামা লেখা শেষ হল। কিছুদিন পর স্পষ্ট বিজয় অর্জিত হল।

উল্লেখিত উদাহরণের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আত্মিক ও বুদ্ধিমত্যা জনিত বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন। দূরদৃষ্টি, সঠিক সিদ্ধান্ত এবং উপযুক্ত ব্যবস্থ নেয়ার কৃতৃত্ব তো তার আছেই। অধিকন্তু দায়ীদের প্রজ্ঞার পরিচয় হচ্ছে অধিকতর লাভবান বস্ত্ত অর্জন করার নিমিত্তে কম গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পরিহার করা। যদি তাতে কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকে। [সহীহ আল - বুখারী ২৭৩১-২৭৩২ আহমাদ ৪র্থ খন্ড ৩২৮-৩৩১ পৃঃ হাজাল হাবিব ইয়া মুহিব ৫৩২প]

যা এতক্ষণ আলোচিত হয়েছে সবই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বীরত্ব ও দৃঢ়তার দৃষ্টান্ত। এটা তার বীরত্বের তুলনায় সমুদ্রের এক ফোটার পরিমাণমাত্র। অন্যথায় তার বীরত্ব যদি খুজে খুজে লেখা হয়, তাহলে তো বিশাল গ্রন্থ লেখা হয়ে যাবে। প্রত্যেক মুসলমানের বিশেষ করে আল্লাহর দিকে আহবানকারীদের জন্য অবশ্য কর্তব্য হল, তাদের প্রত্যেক বিষয়ে ও প্রতিটি কাজে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করবে। আর এরই মাধ্যমে সফলতা এবং বিজয় আসবে। এবং ইহ জগতে ও পরকালে সৌভাগ্য লাভ করবে।

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآَخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا ﴿الأحزاب 21﴾

‘‘তোমাদের মধ্যে যাহারা আললাহ্ ও আখিরাতকে ভয় করে এবং আললাহকে অধিক স্মরণ করে, তাহাদের জন্য রয়েছে রাসুলুল্লাহর মধ্যে উত্তম আদর্শ।’’ [সরা আল আহযাব ২১]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন