hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দয়া ও ভালোবাসার অনন্য বিশ্ব নবী

লেখকঃ আবু আব্দুর রাহমান

প্রথম পরিচ্ছেদ: মহানবীর বংশ সর্বশ্রেষ্ঠ বংশ
এখানে তার পিতৃপুরুষগণের নাম উল্লেখ করা হল। আরবী ভাষায় ‘বিন’ শব্দের অর্থ ছেলে। বিন শব্দের পূর্বে যার নাম তিনি হলেন ছেলে। বিন শব্দের পরে যার নাম তিনি হলেন পিতা। এ নিয়মেই মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাললামের বংশ-পরিক্রমা উল্লেখ করা হল।

তিনি হলেন, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিব বিন হাশেম বিন আবদে মানাফ বিন কুসাই বিন কিলাব বিন মুররাহ বিন কাআব বিন লুআই বিন গালেব বিন ফেহার বিন মালেক বিন নদর বিন কেনানাহ বিন খুযাইমা বিন মুদরেকা বিন ইলিয়াস বিন মুদার বিন নাযার বিন মুইদ বিন আদনান। [সহীহ আল - বুখারী, মাবআসি ন্নবী অধ্যায়]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ বংশ পরিচয় সম্পর্কে বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা ইসমাঈলের সন্তানদের মধ্য থেকে কেনানাহকে নির্বাচন করেছেন। কেনানাহ থেকে নির্বাচন করেছেন কুরাইশকে। কুরাইশ থেকে নির্বাচন করেছেন বনু হাশেমকে, আর বনু হাশেম থেকে নির্বাচন করেছেন আমাকে।’ [সহীহ মুসলিম -২২৭৯]

রাসূলুল্লাহ কুরাইশ বংশের, কুরাইশ হল আরবদের অন্তর্ভুক্ত। আর আরব হল নবী ইবরাহীম আ. ছেলে ইসমাঈল আ. এর বংশধর। [বিস্তারিত জানতে দেখুন, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া, সীরাতে ইবনে হিশাম, যাদুল মাআদ]

তিনি মক্কায় প্রচলিত হস্তী সনের রবিউল আউয়াল মাসের সোমবার দিন ৫৭১ খৃষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন। [দেখুন আর-রহীকুল মাখতূম] তেষট্টি বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। নবুওতের পূর্বে চল্লিশ বছর আর নবু্ওত লাভের পর তেইশ বছর, এই তেষট্টি বছর সময়কাল তিনি পৃথিবীতে কাটান। তিনি তেইশ বছর নবুওয়ত ও রেসালাতের দায়িত্ব পালন করেন। সূরা আল-আলাক নাযিল করে তাকে নবুওয়তের দায়িত্বে ভূষিত করা হয়, ও সূরা মুদ্দাসসির নাযিলের মাধ্যমে তাকে রেসালাতের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। মক্কা তার জন্মভূমি। মদীনা হিজরতের স্থল। শিরক থেকে সতর্ক করা ও তাওহীদের দাওয়াতের উদ্দেশে তাকে প্রেরণ করা হয়। প্রথম দশ বছর তিনি একত্ববাদের দাওয়াতে আত্মনিয়োগ করেন। দশ বছর এভাবে অতিবাহিত হওয়ার পর ইসরা ও মিরাজ সংঘটিত হয়। এ সময় থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়। মক্কাতে তিনি তিন বছরকাল নামাজ আদায় করেছেন। মোট তেরো বছর মক্কায় কাটান। এরপর মদীনায় হিজরত করার নির্দেশ আসে। হিজরত পরবর্তী সময়ে মদীনায় কর্তৃত্ববান হলে ইসলামী শরীয়তের অন্যান্য বিধান তার উপর অবতীর্ণ হতে শুরু করে। যেমন, যাকাত, সিয়াম, হজ, জিহাদ, আজান, সৎকাজের আদেশ, অন্যায় কাজ হতে বারণ। মদীনা-জীবনের দশ বছর কাটানোর পর তিনি ইন্তেকাল করেন। তার প্রচারিত দীন থেকে গেছে অজর-অক্ষয় রূপে, থাকবে অবিকৃত আকারে চিরকাল। মঙ্গল ও কল্যাণের সকল বিষয়ে তিনি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। যা কিছু অনিষ্টকর, অশিষ্ট, অন্যায়-কর্ম ও ক্ষতির কারণ সেসব থেকে তিনি সতর্ক করেছেন স্পষ্ট ভাষায়। তিনি সর্বশেষ নবী ও রাসূল। তার তিরোধানের মাধ্যমের নবুওত ও রেসালতের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। তার পরে আর কোন নবী বা রাসূল আগমন করবেন না, আগমনের প্রয়োজনও হবে না। আল্লাহ তাআলা তাকে সকল মানুষের কাছেই পাঠিয়েছেন। তিনি সকল মানব ও জিনের জন্য তার অনুসরণ বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। যে ব্যক্তি তার অনুসরণ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি তার অনুসরণ করবে না তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। [ফাতহুল বারী ২২৪/৭]

এ পরিচ্ছেদের সারকথা ও শিক্ষণীয় বিষয়:

১- নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশ্রেষ্ঠ বংশে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি বংশ পরিচয়, চারিত্রিক গুনমাধুরি, ও উত্তম আদর্শের বিচারে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। তিনি অতীত ও বর্তমানে বিশ্বের সর্বাধিক আলোচিত ব্যক্তিত্ব। সকল নবীর চেয়ে তার অনুসারীদের সংখ্যা বেশি হবে কেয়ামত দিবসে।

২- প্রতি বছর রবিউল আউয়াল মাসের বারো তারিখে মীলাদুন্নবী উদযাপন একটি নিন্দনীয় বেদআত। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জীবনে কখনো এ ধরনের উৎসব পালন করেননি, তার সাহাবায়ে কেরামগণও কখনো মীলাদুন্নবী পালন করেননি, তাদের পর অনুসরণীয় কোন যুগে এর আমল দেখা যায় না।

অপরদিকে রবিউল আউয়াল মাসের বারো তারিখে তার জন্ম হয়েছে বলে ধরে নেয়া ঠিক নয়। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের এ ধর্মে নতুন কিছুর প্রচলন করবে তা প্রত্যাখ্যাত হবে।’ [সহীহ আল - বুখারী ২৬৯৭]

সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে ‘যে ব্যক্তি এমন আমল করল, যার উপর আমাদের নির্দেশ নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।’

৩- নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দায়িত্ব কর্তব্য ছিল, মানুষকে তাওহীদের পথে আহবান করা ও শিরকের অন্ধকার থেকে মানুষকে বের করে তাওহীদের আলোতে নিয়ে আসা। পাপাচারের অন্ধকার পথ থেকে আল্লাহর আনুগত্যের আলোতে নিয়ে আসা, অজ্ঞতা ও মুর্খতা থেকে মুক্ত করে জ্ঞান ও শিক্ষার দিকে নিয়ে আসা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন