মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ঊনিশতম পরিচ্ছেদ: মানব ও জিনের প্রতি তার রিসালাতের সার্বজনীনতা
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/408/21
প্রকৃত কথা হলো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সব বিষয় নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন তা বাস্তবায়ন করা সকলের দায়িত্ব। জিন- ইনসান, আরব-অনারব, ইহুদী-খিৃষ্টান, আগুন পুজারী, সূর্য পূজারী, রাজা- প্রজাসহ সকল সৃষ্টিজীবের জন্য আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রেরিত হয়েছেন। আল্লাহকে পেতে হলে প্রকাশ্যে এবং গোপনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আনুগত্য ছাড়া অন্য কোন পথ নেই। এমনকি তার নবুওয়ত কালে যদি মুসা বা ঈসা কিংবা অন্য কোন নবী জীবিত থাকতেন, তবে তাদের উপরও তার আনুগত্য করা অপরিহার্য হত।
‘এবং আল্লাহ যখন নবীগণের অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলেন যে, আমি তোমাদেরকে গ্রন্থ ও দৃঢ় প্রজ্ঞা যা দান করলাম তারপর যখন একজন রাসূল আগমন করবেন, যিনি তোমাদের মাঝে বিদ্যমান কিতাবের সত্যতা স্বীকার করবেন। তখন তোমরা অবশ্যই তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং তার সাহায্যকারী হবে; তিনি আরও বলেছিলেনঃ তোমরা কি অঙ্গীকার গ্রহণ করলে এবং এর দায়িত্বের বোঝা গ্রহণ করলে? তারা বলেছিল, ‘আমরা স্বীকার করলাম।’ তিনি বললেন, ‘তবে তোমরা সাক্ষী থাক এবং আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষীগণের অন্তর্ভুন্ত রইলাম। সূতরাং এরপরে যারা ফিরে যাবে, তারাই দুষ্কার্যকারী।’ [সূরা আলে ইমরান, ৮১-৮২।]
আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, আল্লাহ কোন নবী প্রেরণ করেননি তবে তার কাছ থেকে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, যদি তোমার জীবিত থাকাকালে মুহাম্মাদ প্রেরিত হয় তবে অবশ্যই তার প্রতি ঈমান আনবেন এবং তাকে সাহায্য করবেন। এবং তার প্রতি এ আদেশ ও ছিল যে, তার উম্মত থেকেও সে এ অঙ্গীকার নিবে যে তাদের জীবদ্বশায় মুহাম্মাদ প্রেরিত হলে তারা তার প্রতি ঈমান আনয়ন করবে এবং তাকে সাহায্য করবে। [আল ফুরকান বাইনা আওলিয়া ইর রাহমান ওয়া আওলিয়া ইস শয়তান, ৭৭,১৯১,২০০পৃষ্ঠা, তাফসিরে ইবনে কাসীর, ১/৩৭৮।]
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আজকে যদি মূসা তোমাদের মাঝে জীবিত থাকতো তাকেও আমার আনুগত্য করতে হতো।’ [মুসনাদে আহমাদ,৩/৩৩৮ মাযমাউয যাওয়াইদ, ১/১৭৩-১৭৪ মিশকাত তাহকীক অঠলবানী, ১/৬৩,৬৮।]
যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সার্বজনীন রিসালাতের বিরোধীতা করে, সে দু কারণের কোন এক কারণে তা করে থাকে।
বিরুদ্ধাচরণকারী ব্যক্তি বিশ্বাস করে যে তিনি আল্লাহর পক্ষ হতে প্রেরিত ; তবে তার রিসালত শুধু আরব জাতির জন্য।
বিরুদ্ধাচরণকারীরা তার রিসালত অস্বীকার করে আংশিকভাবে, আবার তাদের কেহ পূর্ণভাবে।
যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রিসালাতকে স্বীকার করে, তবে সে তার রিসালতকে শুধু আরব জাতির জন্য নির্দিষ্ট করে। এ ব্যক্তির জন্য অবশ্যই জরুরী আল্লাহর পক্ষ থেকে তার উপর অবর্তীণ সব কিছুকে সত্যায়ন করা। তম্মধ্যে আছে তার রিসালতের সামগ্রিকতা এবং রিসালতে মুহাম্মাদী ব্যতীত অন্যগুলো রহিত হওয়া। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন, তিনি প্রেরিত হয়েছেন সকল মানুষের জন্য । তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দূত প্রেরণ করেছেন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে কিসরা, কায়সার, নাজ্জাসীসহ অন্যান্য রাষ্ট্র প্রধানের নিকট ইসলামের দাওয়াত সম্বলিত চিঠি পাঠিয়েছেন। এবং মুশরিকদের মধ্যে যারা ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন। এবং ইহুদী, খ্রিষ্টানদের সাথে লড়াই করেছেন। তাদের বংশধরদের গ্রেফতার করেছেন। তাদের উপর জিযিয়া কর ধার্য্য করেছেন। যদি আপনি তাকে আল্লাহর প্রেরিত নবী হিসাবে স্বীকার করেন তখন তার কথাগুলোকে ও তিনি সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে যা নিয়ে এসেছেন তা সবই বিশ্বাস করতে হবে, মেনে নিতে হবে আপনাকে। নয়তো আপনি নিজেকে নিজ বিশ্বাসে পরস্পর বিরোধী রোগে আক্রান্ত বলে প্রমাণিত করবেন।
যে ব্যক্তি সম্পূর্ণভাবে আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রিসালতকে অস্বীকার করে, তার জন্য বক্তব্য হল- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রিসালতের সত্যতার উপর রয়েছে অকাট্য দলিল-প্রমাণ। এখনও কুরআনের মুজিযা জিন- ইনসানের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসাবে বিরাজ করছে। তাই তাকে হয়তবা সুপ্রতিষ্ঠিত মুজিযাকে খন্ডন ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে, নয়তবা তাকে স্বীকার করে নিতে হবে এর বক্তব্য। যদি রিসালাতকে স্বীকার করে অবশ্যই তাকে মেনে নিতে হবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক বর্ণিত সকল কিছু। যদি অহংকারী- বিদ্বেষী হয় তবে তাকে অবশ্যই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট প্রেরিত কুরআনের মত একটি কিতাব পেশ করতে হবে। এটা করতে গেলে নিঃসন্দেহে সে কলঙ্ক ও দোষে পতিত হতে হবে। কারণ ভাষা সাহিত্যিক ও অলংকারবিদরা যুগ যুগ ধরে এতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে সন্দেহের কোন কারণ নেই পরবর্তিতে যারা আসবে তাদেরও ব্যর্থ হতে হবে, কারণ কুরআন সুপ্রতিষ্ঠিত অলৌকিক গ্রন্থ অনন্তকালের জন্য। [আল জাওয়াবুস সাহীহ লিমান বাদ্দালা দীনাল মাসীহ। ১/১৪৪,১৬৬।]
এর মধ্য দিয়ে কুরআন অনুযায়ী আমল করার, এবং কুরআন মত বিচার ফায়সালা করার অবশ্যকতা প্রমাণিত হয়। কুরআন তো স্পষ্টভাবে বলেছে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাসূল হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন সকল মানুষের জন্য। এবং নবীদের মধ্যে তিনি শেষ নবী । আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
‘‘বলে দাও, হে মানবমন্ডলী! আমি তোমাদের সকলের জন্যে সেই আল্লাহর রাসূল রূপে প্রেরিত হয়েছি, যিনি আকাশমন্ডল ও ভূ মন্ডলের সার্বভৌম একচ্ছত্র মালিক, তিনি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই, তিনি জীবিত করেন ও মৃত্যু ঘটান, সুতরাং আল্লাহর প্রতি এবং তার সেই বার্তাবাহক নিরক্ষর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ঈমান আনয়ন কর। যে (নবী) আললাহতে ও তার কালামে বিশ্বাস স্থাপন করে থাকে। তোমরা তারই অনুসরণ কর, আশা করা যায় তোমরা সরল সঠিক পথের সন্ধান পাবে।’’ [সূরা আল-আরাফ১৫৮।]
‘‘আর এ কুরআন আমার নিকট অহীর মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে, যেন আমি তোমাদেরকে এবং যাদের নিকট এটা পৌঁছবে তাদের সকলকে এর দ্বারা সতর্ক ও সাবধান করি।’’ [সূরা আল-আনআম, ১৯।]
যার কাছে কুরআন পৌঁছেছে তাদের প্রত্যেকের জন্য এটা এক স্পষ্ট ঘোষণা।
আহলে কিতাব (ইহুদী ও খৃষ্টানদের) রিসালাতে মুহাম্মদীর অর্ন্তভূক্ত বলে আল্লাহ ঘোষণা করেনঃ
‘‘যাদেরকে গ্রন্থ প্রদান করা হয়েছে ও যারা নিরক্ষর তাদেরকে বল, তোমরা কি ইসলাম গ্রহণ করেছো? নিশ্চয়ই তারা সুপথ পেয়ে যাবে যদি তারা ইসলাম গ্রহণ করে। আর যদি তারা ফিরে যায়, তবে তোমার উপর দায়িত্ব তো শুধু পৌঁছে দেয়া মাত্র। আর আল্লাহ বান্দাদের প্রতি সম্যক দ্রষ্টা।’’ [সূরা আলে ইমরান.২০।]
‘‘আমি তোমাকে সমগ্র মানব জাতির প্রতি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানেনা।’’ [সূরা সাবা, ২৮।]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল মানুষকে এ বার্তা পৌছে দিয়েছেন যে, তিনি নবীদের মধ্যে সর্বশেষ নবী এবং তার রিসালত হচ্ছে সার্বজনীন এক রিসালাত। তিনি বলেন, ‘আমাকে পাঁচটি বস্ত্ত প্রদান করা হয়েছে যা ইতোপূর্বে আর কোন নবীকে দেয়া হয়নি। তম্মধ্যে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, অন্যান্য নবীদের প্রেরণ করা হতো নির্দিষ্ট কাওমের প্রতি, আর আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে সকল মানুষের প্রতি....।’ [সহীহ আল - বুখারী, ৪৩৮, সহীহ মুসলিম , ৫২১।]
তিনি আরো বলেনঃ ‘আমার এবং আমার পূর্ববর্তী নবীদের উদাহরণ হল ঐ ব্যক্তির মত যে খুব সুন্দর করে একটি প্রাসাদ তৈরী করল, তবে একটি কোণের একটি ইট বাদ থেকে গেল, (ঐ জায়গাটি খালি ও অপরিচ্ছন্ন) লোকেরা দেখে বিস্মিত হয়ে বলতে লাগল, ‘আহা! যদি এ ইট খানি দেওয়া হতো কতইনা ভাল হতো! তিনি বলেন, ‘আমি ঐ কাঙ্খিত বস্ত্তটি, এবং আমি নবীদের মাঝে শেষ নবী।’ [সহীহ আল - বুখারী, বাবু খাতামিন নাবিয়্যিন, ৩৫৩৫, সহীহ মুসলিম ২২৮৬।]
জ্বিন- ইনসান সকলের জন্য সর্বত্র ও সর্বকালে-তার প্রেরণ কাল হতে মহাপ্রলয় পর্যন্ত তার রিসালাত ব্যাপক হওয়া এবং রিসালতসমূহের মধ্যে সর্বশেষ রিসালত হওয়া, সন্দেহাতীত প্রমান করে তার পরে ঐশী বাণীর আগমন ও নবুওয়ত প্রাপ্তির অবসান করা হয়েছে সম্পূর্ণভাবে। এবং ইবাদত ও বিধান প্রণয়নের জন্য কুরআন ও সুন্নাহ ছাড়া আর কোন মূলনীতি নেই। আর এটার দাবী হল, তার রিসালতের ব্যাপকতাকে বিশ্বাস করার এবং তিনি যা নিয়ে এসেছেন তার অনুসরণ করার। তিনি বলেন, ‘যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন এ উম্মতের ইহুদী এবং খ্রিষ্টানদের যে কেউ আমার সর্ম্পকে জানবে এবং আমার উপর প্রেরিত রিসালাতকে বিশ্বাস না করে মৃত্যু বরণ করবে তাহলে সে জাহান্নামীদের অর্ন্তভূক্ত হবে।’ [সহীহ মুসলিম , ১৫৩।]
আল্লাহর অনুগ্রহে- রিসালাতে মুহাম্মদীর সার্বজনীন ও সামগ্রিতা সকল জিন-ইনসানের জন্যে প্রমাণিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে- কেয়ামত অবধি সর্বত্র ও সর্বকালে।
‘‘নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে সত্য দর্শনের উপায়সমূহ পৌঁছেছে। এবং যে ব্যক্তি নিজে গভীর দৃষ্টিতে অবলোকন করবে, সে নিজেরই কল্যাণ সাধন করবে, আর যে অন্ধ থাকবে সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর আমি তো তোমাদের প্রহরী নই।’’ [সূরা আল-আনআম,১০৪।]
‘‘বলঃ সত্য তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে প্রেরিত; সুতরাং যার ইচ্ছা বিশ্বাস করুক ও যার ইচ্ছা প্রত্যাখ্যান করুক।’’ [সূরা আল-কাহ্ফ,২৯।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/408/21
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।