hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতন অতীত বর্তমান (সালাহউদ্দীন আইউবীর আবির্ভাব পূর্ব ইসলামি বিশ্ব ও বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা)

লেখকঃ মুহাম্মদ আল আবদাহ

১৪
২. বুয়াইহী সম্প্রদায়
পারস্যের দাইলামী বংশের বুয়াইহ ইবনে ফান্না খসরুর নামানুসারে এ সম্প্রদায়ের নামকরণ করা হয়। এক শতাব্দীরও বেশি কাল এরা ইরাক আর পারস্যে শাসনকার্য চায়। এদের মোকাবিলায় বাগদাদের আববাসীয় খলিফারা যে দুর্বলতার প্রদর্শন করে, এদের সামনে তারা তার চেয়েও বেশি দুর্বল প্রমাণিত হয়। সে যুগের অন্য কোন পরিবার থেকে এ পরিবার ভিন্ন ছিল না। স্বৈরশাসন আর সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বিকৃতি- বিপর্যয়ের বিচারে তাদের মধ্যে এ ঐক্য ছিল। যদিও বুয়াইহী রাষ্ট্রের দু’জন প্রতিষ্ঠাতা আলী ইবনে বুয়াইহী এবং হাসান ইবনে বুয়াইহীর মধ্যে নেতৃত্ব, ধৈর্য আর সহনশীলতা ও পরমত সহিষ্ণুতার গুণাবলি ছিল। কিন্তু তাদের দ্বিতীয় আর তৃতীয় পুরুষের মধ্যে ছিল কঠোরতা এবং শিয়া ধর্মের প্রতি পক্ষপাতিত্ব। সামনের পৃষ্ঠাগুলোতে আমরা দেখতে পাব যে, তারা কি ইসলামি সংস্কৃতিতে কোন অবদান রেখেছে? নাকি তারা শিয়াদেরই প্রতিধ্বনি করেছে, যাদের পতন আরো বিকৃত করে তুলেছিল নীতি আর কাঠামোকে।

এক নজরে তাদের ইতিহাস

ইতিহাসের রঙ্গমঞ্চে বুয়াইহী এর সন্তান আলী হাসান এবং আহমদের উদ্ভব হয় তাদের কীর্তিমান পুরুষ আলীর উদ্ভবের মধ্য দিয়ে। যার উপাধি ছিল ইমাদুদ্দৌলা। এটা হিজরী ৩২১ সনের কথা। মারদাবীজ নামক জনৈক দাইলামী শাসকের পক্ষ থেকে সে ছিল ‘কারাজ’ নামক একটা ক্ষুদ্র অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত শাসনকর্তা। লোকজনের সঙ্গে সে সদাচার করতো, সদয় ব্যবহার করতো। ফলে আশপাশের দেশগুলোতে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। সকলে তাকে ভালোবাসতো শুরু করে তার বশ্যতা স্বীকার করে। এ ব্যাপারে তার ভাইয়েরা সহায়তা করে। ফলে সে পারস্য অঞ্চলের শাসন কর্তৃত্ব লাভ করে। হিজরী ৩৩৪ সনে আহমদ ইবনে বুয়াইহী বাগদাদে অভিযান পরিচালনা করে কোন প্রতিরোধ ছাড়াই বাগদাদে প্রবেশ করে, ফলে বাগদাদে বনী বুয়াইহীর কর্তৃত্বে আসে। খলিফার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে এবং খলিফার উপাধি ধারণ করে আহমদের উপাধি হয় মুইজ্জুদ্দৌলা। তার ভাইয়ের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসাবে ২০ বৎসরেরও বেশি সময় সে ইরাকের শাসনকর্তা ছিল। হিজরী ৩৫৬ সনে তার মৃত্যু হয়। হাসান ইবনে বুয়াইহ রুকমুদ্দৌলা উপাধি ধারণ করে ইসফাহান, তাবারিস্তান এবং জুরজান শাসন করে এবং তাদের বড় ভাই ইমাদুদ্দৌলা শাসন করে শিরাজ এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল।। তবে বড় ভাইই ছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে অগ্রসর, যার কথা তারা সকলে শ্রবণ আর মান্য করতো। হিজরী ৩৩৮ সনে তার মৃত্যু হয়।

বুয়াইহীদের শিয়া ধর্মমত গ্রহণ

বুয়াইহীরা তাদের শিয়া ধর্মমত গোপন রাখেনি। বরং আহলে সুন্নার অনুসারীদের উপর নির্যাতনমূলক কর্ম তৎপরতা পরিচালনার জন্য তারা বাগদাদে তাদের ধর্মানুসারিদেরকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করে। তখন এমন কোন বৎসর যেতোনা যে শিয়া-সুন্নীণদের মধ্যে সংঘাত ঘটতো না। এতে অনেক প্রাণহানি ঘটতো, অনেক সম্পদ ধ্বংস হতো। বাড়ি-ঘর আর হাট-বাজারে অগ্নি সংযোগ করা হতো। ৩৫১ হিজরী সনের ঘটনাবলী সম্পর্কে জানা যায় যে, বাগদাদের শিয়ারা মুইজ্জুদ্দৌলার নির্দেশক্রমে মুয়াবিয়া এবং তিন খলিফাকে লা’নত বর্ষণের নির্দেশ দেয় মসজিদগুলোর প্রতি। কিন্তু আববাসী খলিফার এটা রোধ করার ক্ষমতা ছিল না।1 হিজরী ৩৫২ সনের ঘটনাবলীতে দেখা যায়, মুইজ্জুদ্দৌলা হাট- বাজার, দোকান-পাট আর কেনা-বেচা বন্ধ করে আশুরা উপলক্ষ্যে শোক পালন করার জন্য জনগণকে নির্দেশ দেয়। মাথার চুল উন্মুক্ত করে চেহারা কালো করে নারীদেরকে রাস্তায় রাস্তায় মাতম করার নির্দেশ দেয়। হুসাইন ইবনে আলীর জন্য তাদেরকে বুক চাপড়াতে হবে, চেহারায় চপেটাঘাত করতে হবে। ফলে লোকেরা তাই করে। সুন্নীণরা এটা রোধ করতে পারেনি। কারণ শিয়াদের সংখ্যা ছিল বেশি এবং শাসক শ্রেণি ছিল তাদের সঙ্গে।2

হিজরী ৩৯৮ সনের ঘটনাবলীতে দেখা যায় . বাগদাদে শিয়া-সুন্নীণ দাঙ্গা দেখা দেয়। একে অপরকে ঘৃণা করতে শুরু করে। শিয়ারা আবু হামেদ ইসফারাইনী এবং ইবনুল আকাফানীকে গালমন্দ করে হত্যা করতে উদ্যত হলে তারা পলায়ন করে।3 হিজরী ৪০৭ সনে শিয়া আর সুন্নীণর মধ্যে ওয়াসেত শহরে এক বড় ধরনের লড়াই বাধে। এতে সুন্নীণরা জয়ী হয়। আর নাম করা শিয়ারা আলী ইবনে মাযীদের নিকট পলায়ন করলে তিনি তাদেরকে সাহায্য করেন।4

আযদুদ্দৌলা (ফানা খসরু) যিনি ছিলেন রুকনুদ্দৌলার পুত্র, তিনি অঢেল সম্পদ ব্যয় করেন। মাশহাদে মাজার নির্মাণ কাজে তিনি সৈন্যদেরকে ব্যবহার করেন।5

খলিফাদের নিন্দা

বুয়াইহীরা খেলাফতের ভীতি দূর করার ব্যাপারে তুর্কিদের নীতি অনুসরণ করে। তারা এমন নীতি অনুসরণ করে, যার ফলে মনে হয় যেন খেলাফতের অস্তিত্ব নেই। এ থেকে তারা প্রমাণ করতে চায় যে, তারা নাগরিক অনুভূতি থেকে দূরে। তবে তাদের অন্তরে সুন্নাহর প্রতি বিদ্বেষ ঠিকই আছে। তারা মনে করতো যে, আববাসীয়রা জোর পূর্বক খেলাফত অধিকার করে নিয়েছে। এ কারণে মুইজ্জুদ্দৌলা যোগ্য অধিকারী অর্থাৎ অর বংশধরদের জন্য খেলাফত ছিনিয়ে নেয়া এবং মিসরে ওবায়দী শাসক মুইয এর জন্য বাইয়াত গ্রহণ করার ব্যাপারে তার সভাসদদের পরামর্শ চায়। তার জনৈক সভাসদ বলে . আমি এ মত সমর্থন করি না। কারণ আজ তুমি এমন খলিফার সঙ্গে আছ, যার সম্পর্কে তোমার এবং তোমার সভাসদদের বিশ্বাস এই যে, সে খেলাফতের যোগ্য নয়। তুমি যদি তাদেরকে হুকুম দাও খলিফাকে হত্যা করার জন্য, তাহলে অবশ্যই তারা তা করবে। আর তুমি যদি কোন আলাবীকে খলিফার আসনে বসাও তবে তুমি এবং তোমার সভাসদরা যার খেলাফতকে বৈধ বলে মনে কর, সে তোমার সঙ্গে থাকবে। সে যদি তোমাকে হত্যা করার জন্য তাদেরকে হুকুম দেয়, তবে অবশ্যই তারা তা করবে।6 মুইজ্জুদ্দৌলা এ মতকে ভালো মনে করে এবং তার চিন্তাধারা ত্যাগ করে।

বাহাউদ্দৌলার সম্পদ হ্রাস পেলে তার উজির তাকে খলিফার পদ গ্রহণের পরামর্শ দেয় এবং তাকে সম্পদের লোভ দেখায়। ফলে বাহাউদ্দৌলা খেলাফত প্রাসাদে প্রবেশ করে খলিফাকে খেলাফতের আসন থেকে হটিয়ে দেয়। খলিফা অনেক ফরিয়াদ করে। কিন্তু কেউই সেদিকে কর্ণপাত করেনি। তারা খলিফার প্রাসাদে যা কিছু পায় লুঠপাট করে নিজেরা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়।7 তার পূর্বসূরি মুইজ্জুদ্দৌলা বুয়াইহী মুস্তাকফীকে অপমান করত: পাগড়ি দিয়ে তাকে বেঁধে ফেলার জন্য সৈন্যদেরকে নির্দেশ দেয়। অতঃপর হুকুম দেয় তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করার জন্য। মৃত্যু পর্যন্ত সে কারাগারেই কাটাবে।8

তাদের মন্ত্রী- উজির

ওবায়দীদের মন্ত্রী ছিল ইহুদি- খ্রিস্টান, অনুরূপ বুয়াইহীদের উজির ছিল খ্রিস্টান। আসদুদ্দৌলার শাসনামলে (ফান্না খসরু ইবনুল হাসান ইবনে বুয়াইহ) তার উজির ছিল নসর ইবনে হারুন। আযদুদ্দৌলা তাকে গির্জা নির্মাণের নির্দেশ দেয় এবং গরিব খ্রিস্টানদের জন্য সে সম্পদ উজাড় করে দেয়।9

বুয়াইহী আর কারামেতাদের সম্পর্ক

যারা বিচ্ছিন্ন আর বিক্ষিপ্তভাবে ইতিহাস অধ্যয়ন করে, তারা হয়তো না জানতে পারে যে, বাতেনী আন্দোলন এবং শিয়া রাষ্ট্রের সঙ্গে এসব আন্দোলনের কি সম্পর্ক রয়েছে। সেসব আন্দোলন সম্পর্কে তারা সতর্ক এবং সচেতনও হবে না। তারা এ কথাও মনে করতে পারে যে, প্রতিটি রাষ্ট্রই স্বয়ং সম্পূর্ণ; অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। অনুরূপভাবে বর্তমান কালের অমনোযোগিরাও মনে করতে পারে। বাতেনী আর রাফেযী সম্প্রদায়ের মধ্যে যে সম্পর্ক আছে, তারা তা দেখতে পায় না। আর কোন সম্পর্ক থেকে থাকলেও তাদের মতে তা সাময়িক রাজনৈতিক কারণে থাকবে। এসব অমনোযোগী ব্যক্তিরা আরো বলে যে, যে সব শিয়া ছাত্র ইউরোপে পড়ালেখা করে, তারা তাদের দেশের শিয়াদের মতো নয়। কিন্তু যে ব্যক্তি ইতিহাস অধ্যয়ন করে এবং বর্তমান অধ্যয়ন করে উভয়ের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করবে, সে হয়তো উভয়ের মধ্যে ভূমিকার ক্ষেত্রে কোন উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখতে পাবে না।

হিজরী ৩৬০ সনের ঘটনাবলী সম্পর্কে জানা যায় যে, এ বৎসরের জিলকদ মাসে কারামেতারা দামেশকে চড়াও হয়ে জা’ফর ইবনে ফালেহকে হত্যা করে, যিনি ছিলেন দামেশকে অস্থায়ী খলিফা। তখন কারামেতাদের নেতা ছিল হোসাইন ইবনে আহমদ ইবনে বাহরাম। আর বাগদাদ থেকে মুইজ্জুদ্দৌলা অস্ত্রশস্ত্র এবং প্রচুর সৈন্য- সামন্ত দিয়ে তাকে মদদ জোগায়।10

হিজরী ৩৭৪ সালের ঘটনাবলীতে দেখা যায়, শরফুদ্দৌলা বুয়াইহী কারামেতাদের নিকট একজন দূত প্রেরণ করে। দূত ফিরে এসে বলে . কারামেতারা বাদশাহ সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞাসা করে। আমি তাদেরকে জানাই যে তার চরিত্র ভালো। 11

বুয়াইহী শাসক আবু কীজার ফাতেমী প্রচারকদের অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তিত্ব মুয়াইয়্যেদ এর নিকট ৪৩৮ হিজরীতে তার ইসমাঈলী আহবানে প্রভাবিত হয়ে লিখে . যে মহান ব্যক্তিত্ব (মিসরে ওবায়দী শাসক অ- মুস্তানসির) সম্পর্কে আমি যা অবগত হতে পেরেছি এবং আমাদের আক্বীদা বিশ্বাসের স্বচ্ছতা সম্পর্কে আমি যতদূর তাকে অবহিত করেছি, তা তোমার ধারণা করা উচিত। তাদেরকে তোমার জানানো উচিত যে, এসব তুর্কমান (সেলজুকীরা) যারা খোরা-সান এবং রায় অঞ্চলের কর্মকান্ড সম্পর্কে দায়িত্বশীল, তাদের পদচারণা কেবল তাদের অধিকৃত নগরী (সিরিয়া এবং মিশর) এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের দৃষ্টিতে আমাদের বিজয়ী সৈন্যদের দৃঢ়তাও প্রতিভাত করে তুলতে হবে। তাদের প্রাচীন নিদর্শন ধরে রাখার ব্যাপারে আমরা অনেক অর্থ ব্যয় করেছি।12

আর এ বুয়াইহী শাসক মিসরে ওবায়দী শাসকদের সচ্চরিত্রের সাক্ষ্য দাবি করছে এবং তখন তাদেরকে এ ধারণা দিচ্ছে যে, সে-ই হচ্ছে তাদের পক্ষে প্রতিরোধকারী সুন্নীণ তুর্কমান সেলজুকী হামলার মুখে।

ইসলামি রাষ্ট্রের সীমান্ত রক্ষায় তাদের ভূমিকা

রোমের হামলা রোধের নিমিত্তে জাযীরার অধিবাসীরা রাজধানী বাগদাদের নিকট ফরিয়াদ জানায়। আর বাগদাদ এ আহবানে সাড়াও দেয়। তারা জিহাদের জন্য প্রস্ত্ততি গ্রহণ করে। মুইজ্জুদ্দৌলার পুত্র বখতিয়ারকে খলিফার নিকট প্রেরণ করে জিহাদের জন্য। লোক তৈয়ারের উদ্দেশ্যে ঘরের আসবাবপত্র পর্যন্ত বিক্রয় করতে উদ্যত হয়। কিন্তু বখতিয়ার সেসব অর্থ তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যয় করে। আর জিহাদের প্রসঙ্গ সিকায় উঠে। এমনিভাবে প্রকাশ পায় যে, বখতিয়ার ছিল একজন প্রবঞ্চক। জিহাদের প্রস্ত্ততির জন্য অর্থ সঞ্চয়ে সে সত্যপরায়ণ ছিল না।

বুয়াইহী ও সামরিক সামন্তবাদ

সামরিক নেতা আর সাধারণ সৈন্যদেরকে ভূমি দান করা বুয়াইহীদের এমনি এক অভিনব কর্ম, যা ইতিপূর্বে আর কেউ করেনি। আর এ ভূমি দান করা হতো তাদের জন্য নগদ বেতন ভাতা ব্যয় করার পরিবর্তে। এসব ভূমি সরকারের খাস জমি ছিল না। কোন পতিত ভূমিও ছিল না, যা আবাদ করার জন্য দেওয়া হতো; বরং তা ছিল এমন ভূমি, যা কৃষকদের নিকট থেকে জোর জবরদস্তি করে কেড়ে নেয়া হতো। আর সৈন্যদের সেসব ভূমি পছন্দ না হলে বা তাদের আকাংখা অনুযায়ী ফসল না ফললে তারা সেগুলো বাদ দিয়ে অন্য ভূমি দখল করতো। এর ফলে চাষাবাদের ধারা ধ্বংস প্রাপ্ত হয় এবং রাষ্ট্রের শস্য ভান্ডার শূন্য হয়ে পড়ে। আর সৈন্যদের ভাতা সমস্যারও কোন সমাধান হয় না। ডা: আব্দুল আযীয দাওরী বলেন . আমার মতে বুয়াইহীরাই সর্ব প্রথম সামরিক জায়গিরদারি ব্যবস্থা প্রবর্তন করে। আমার মনে হয় তারা বিজিত দেশের ভূমিকে মুজাহিদদের জন্য গনিমত জ্ঞান করার দর্শন থেকে এ ধারণা গ্রহণ করে, কিন্তু ভূমি সম্পর্কে ইসলামের নীতি তারা বিস্মৃত হয় এবং তা অকেজো করে রাখে।13 যেমন বিচার ব্যবস্থায় জামানতের অভিনব প্রথা তাদের শাসনামলে চালু হয়। হিজরী ৩৫০ সালে মুইজ্জুদ্দৌলা আব্দুল্লাহ ইবনে হাসান ইবনে আবুশ শাওয়ারেবকে বার্ষিক ২ লক্ষ দিরহাম পরিশোধের শর্তে বাগদাদের কাজি নিযুক্ত করার নির্দেশ জারি করেন।14

মূল্যায়ন

এভাবে পাঠক দেখতে পাবেন যে, সে রাষ্ট্রটি বোঝার উপর বড় বোঝায় পরিণত হয়েছিল। ইসলামি সংস্কৃতির কোন নূতন পথ উন্মোচন করতে পারেনি। অবশ্য তাদের উজির ছাহেব ইবনে আববাদ এর বদান্যতা-দানশীলতা আর সাহিত্যের জন্য তার উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি, ইরাকের কোন কোন প্রকল্পের জন্য আযদুদ্দৌলার আয়োজন, তাঁর আল-আযদী হাসপাতাল স্থাপন, ইসলামি সমাজের কোমর ভেঙে দেয়া, চুক্তি আর অর্থনৈতিক দিক থেকে ইসলামি সমাজ ধ্বংস করা ইত্যাকার কর্মকান্ডের সামনে সেসব তুচ্ছ ও মূল্যহীন। বুয়াইহী রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতাকে জ্ঞান- গরিমা আর ধৈর্য ও সহনশীলতার গুণে বিভূষিত করা- তা সাধারণ পরিণতিতে কোন পরিবর্তন সাধন করতে পারে না। আর সাধারণ ফলাফল হচ্ছে এই যে, তাদের কল্যাণের চেয়ে অ-কল্যাণই বেশি। হাফেজ শামসুদ্দীন আয-যাহাবী বলেন . বনু বুয়াইহ এবং বনু ওবায়দদের মতো রাফেযীদের শাসনামলে ইসলামের নীতিমালা ধ্বংস হয়েছে। তারা জিহাদ বর্জন করেছে এবং রোমের খ্রিস্টানরা বিস্তার লাভ করেছে এবং তারা মাদায়েন অধিকার করেছে।15

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন