hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতন অতীত বর্তমান (সালাহউদ্দীন আইউবীর আবির্ভাব পূর্ব ইসলামি বিশ্ব ও বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা)

লেখকঃ মুহাম্মদ আল আবদাহ

১৮
৬. ইয়ামানে সুলাইহী সম্প্রদায় (৪২৯-৪৯২ হিজরী)
কায়রোয় ওবায়দীদের প্রতি আহবানকারী একটা রাষ্ট্র ইয়ামানে পাওয়া যাওয়া কোন বিস্ময়ের ব্যাপার নয়। শিয়া মতাবলম্বী প্রচারক যিনি ওবায়দীদের জন্য রাজত্বের ভিত্তি স্থাপন করেন, তিনি ছিলেন ইয়ামানের একজন প্রচারক। সেখান থেকে তিনি হেজায গমন করেন। হেজায থেকে গমন করেন উত্তর আফ্রিকায়। তিনি স্থান থেকে স্থানান্তরে গমন করলেও প্রচার কার্য অব্যাহত ছিল। সে সব স্থানে এমন লোক ছিল, যারা তাদের পরিচিত ধারায় সন্দেহ সংশয়ে পতিত লোকজনকে আহবান জানাতো।

তাদের আহবানে প্রভাবিত হয় আলী ইবনে মুহাম্মদ সুলাইহী। আসলে তিনি ছিলেন সুন্নীণ পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতা ছিলেন ইয়ামানের অন্যতম কাজি বা বিচারক। যে ব্যক্তি তাকে বিভ্রান্ত ও আগ্রহী করে তোলে, সে হচ্ছে আমের ইবনে আব্দুল্লাহ যাওয়াহী। তার মধ্যে শরাফতের কিছু লক্ষণ পাওয়া যায়। তাই ওছিয়ত করেন যে, তারপরে সুলাইহী হবে তাঁর খলিফা। যাওয়াহীর ধারণা সত্য প্রমাণিত হয়। হিজরী ৪২৯ সালে সুলাইহী তদীয় সঙ্গীদের সঙ্গে মিসার পর্বতের শীর্ষ দেশে একটা বৈঠকে মিলিত হন এবং সেখানে একটা দুর্গ নির্মাণ করেন। এসব বন্ধুরাই তাকে বিভ্রান্ত ও বিপথগামী করেছিল।

অতঃপর স্থানটি একটা মিলন কেন্দ্র এমনকি নগরে পরিণত হতে থাকে এবং মিসরে মুস্তানাসিরের পক্ষে আহবান জানানো শুরু হয়। ৪৪৫ হিজরীতে তিনি গোটা ইয়ামানের অধিপতি হন। তিহামার শাসনকর্তাকে হত্যা করার পর তিনি সানা তে স্থায়ী আসন গেড়ে বসেন। তাঁর রাজত্বে স্ত্রী আসমা বিনতে শিহাবের বিরাট মর্যাদার আসন ছিল।

হিজরী ৪৫৯ সালে সুলাইহী হেজাযকে ওবায়দীয়া রাষ্ট্রের অনুগত করার জন্য বহির্গত হন। তার প্রতীক্ষায় ছিলেন সাঈদ ইবনে নাজাহ, যিনি ছিলেন তিহামার নিহত শাসকের পুত্র। কোন কোন গোত্র তাকে সহায়তা করে। ফলে তারা সুলাইহীকে হত্যা করতে সক্ষম হয়।

আলী ইবনে মুহাম্মদ সুলাইহীর হত্যার পর তাদের রাষ্ট্র দুর্বল হয়ে পড়ে। যদিও তাদীয় পুত্র আহমদের সহায়তায় কিছু কাল সে রাষ্ট্র টিকে ছিল। কার্যত: এসময় নির্দেশ চলতো তার স্ত্রী আরওয়ার। হিজরী ৪৭১ সালে সে পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। তখন সে হোররা বা স্বাধীনা উপাধি ধারণ করে। ওবায়দী শাসক মুস্তানসির তাকে ‘হোররা সাহীদা’ বা ন্যায়পরায়ণা স্বাধীন রমণী বলে সম্বোধন করতেন। ৫২৫ হিজরীর পর যুবায়দা এবং ছা’দ স্বাধীন হয়। ধীরে ধীরে তাদের রাষ্ট্র পতনের দিকে এগিয়ে যায় এবং আল্লাহ তাদের থেকে মুসলমানদের রক্ষা করেন।1

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন