hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতন অতীত বর্তমান (সালাহউদ্দীন আইউবীর আবির্ভাব পূর্ব ইসলামি বিশ্ব ও বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা)

লেখকঃ মুহাম্মদ আল আবদাহ

২৩
৩. জ্ঞান চর্চার গুরুত্ব
রাফেযী আর বাতেনী ধর্মমতের পতনের ফলে আহলে সুন্নাহর কাছে সংস্কারমূলক জ্ঞান চর্চার গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। প্রকাশ পায় জ্ঞান- চর্চার দু’টি স্রোতধারা। জ্ঞান- চর্চার ভাবধারা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে যার রয়েছে বিরাট প্রভাব আর ভূমিকা।

ইমাম মাওয়ার্দী শাফেয়ি (হিঃ ৩৬৪-৪৫০) ছিলেন সেসব আলেমদের অন্যতম; সেলজুক শাসকদের সংস্কারমূলক কর্মকান্ড প্রকাশ পাওয়ার পূর্বেই যেসব আলেম মুসলমানদের সংকট আর সমস্যা সম্পর্কে আঁচ করতে পেরেছিলেন। তার প্রণীত গ্রন্থ ‘আদাবুদ্দুনিয়া ওয়াদ-দীন’ গ্রন্থ মুসলমানদের জীবনের জটিল এবং সূক্ষ্ম বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর সে জটিল বিষয়টা হচ্ছে, ভারসাম্য রক্ষা করে আমরা কীভাবে দীন এবং দুনিয়ার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করতে পারি? ফলে দুনিয়া দ্বীনের উপর জেঁকে বসবে না, আবার দুনিয়াকে সম্পূর্ণরূপে বর্জনও করা হবে না। আর সুফীরা এ ধারণাটা মুসলমানদের উপর মিশ্রিত করে ফেলেছেন। আল- মাওয়ার্দী বলেন . দুনিয়ার বিকৃতি কোন ক্ষতি করতে পারবে না, পারবে না তাকে কলঙ্কিত করতে। পক্ষান্তরে দুনিয়ার কল্যাণের সঙ্গে যার অবস্থার বিপর্যয় ঘটেছে আর দুনিয়ার কাজ কারবার ঠিকমতো চলেছে, সে দুনিয়ার কাজ ঠিক করার জন্য কোন স্বাদ আস্বাদন করবে না। আর ভালোভাবে দুনিয়ার কাজ সমাধা করার জন্য সে পাবে না কোন প্রভাব।1 আল-মাওয়ার্দী ‘আল-আহকামুস সুলতানিয়া’ গ্রন্থে শাসন কার্যে সমস্যাবলি সমাধান বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

এরপর শাফেয়ি এবং হাম্বলী দু’টি মাদ্রাসা প্রকাশ পায়। সুলতান ইমাদুদ্দীন জঙ্গি যে জিহাদ আর ইসলামি সংস্কার কাজের সূচনা করেন, এ মাদ্রাসা দ্বয় তার ক্ষেত্র প্রস্ত্ততে এবং তার জন্য পরিবেশ গড়ে তোলার কাজে সহায়তা করেছে।

শাফেয়ী চিন্তাধারা

বাগাদাদের নিযামিয়া মাদ্রাসা থেকে এ মাদ্রাসার স্রোতধারা সৃষ্টি হয়, যে মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন আবু ইসহাক সিরাজী এবং আবু আব্দুল্লাহ তাবারীর মতো বিশিষ্ট আলেম । কালের সেরা আলেম, যারা যুগের বাস্তবতা অনুধাবন করতেন এবং যুগের সমস্যা সম্পর্কে গুরুত্বারোপ করতেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে মশহুর ছিলেন ইমামুল হারামাইন আবুল মাআলী আল- জুয়াইনী। তাঁর রচিত গ্রন্থ ‘গিয়াসুল উমাম ফী ইলতিয়াসিস যুলাম’ শরিয়তি বিধান সম্পর্কিত রাজনৈতিক গ্রন্থের মধ্যে প্রসিদ্ধ। এ গ্রন্থে মুসলমানদের বাস্তব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এতে কেবল তাত্ত্বিক আর দার্শনিক বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হয়নি। ইমামুল হারামাইন আল-জুয়াইনীর অন্যতম শিষ্য ছিলেন আবু হামেদ আ-গাযালী।2 মুসলমানদের অবস্থা সংশোধনের নিয়তে আল- গাযালী ‘এহইয়াউ উলুমিদ্দীন’ গ্রন্থ রচনা করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, গ্রন্থটি জাল আর দুর্বল হাদীসে ভরা। এছাড়াও তাতে রয়েছে সুফীদের অযৌক্তিক কল্প কাহিনি আর দার্শনিকদের ভ্রান্ত উক্তি। এরপরও তাঁর গ্রন্থে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সংস্কারের দৃষ্টিভঙ্গি স্থান লাভ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে, ক্রুসেড যুদ্ধ আর ক্রুসেডারদের সিরিয়া অধিকারের আলোচনা করলেও কোন গ্রন্থেই তিনি জিহাদের উল্লেখ করেননি। তাঁর পক্ষ থেকে অভিযোগের জবাবে বলা হয় যে, ক্রুসেডের বিপদ সম্পর্কে তিনি অবহিত ছিলেন। তবে তিনি মনোনিবেশ করেছিলেন আত্মার সংশোধনের প্রতি। তাঁর যুগে যা কিছু ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এ জবাব যথেষ্ট নয়। তবে সুফিরা সাধারণত: জিহাদ কেন্দ্রিক নন।

তবে মানবারা সম্পর্কে ইমাম গাযালীর আলোচনা চমৎকার। মুসলমানদের অন্তরে সেসব আলোচনার বিরাট প্রভাবও রয়েছে। তিনি আলেম সমাজের অবস্থার সমালোচনা করেন। কারণ তিনি মনে করতেন যে, আলেম সমাজ সংশোধন হলে শাসক শ্রেণি সংশোধন হয়। আর শাসকবর্গ সংশোধন হলে প্রজা বর্গও সংশোধন হয়। এ সম্পর্কে তিনি বলেন . তবে বর্তমান লোভ- লালসা আলেম সমাজের টুঁটি চেপে ধরেছে, যার ফলে তারা নীরব। আর তাঁরা কথা বললেও তাঁদের কথা আর অবস্থার মধ্যে কোন মিল থাকে না। ফলে তাঁরা সফল হন না। জ্ঞানের হক আদায় করে তারা সত্য বললে অবশ্যই সফল হতেন। ফলে শাসকবর্গের বিকৃতির কারণে শাসক শ্রেণির বিকৃতি ঘটে। দুনিয়ার ভালোবাসা যার উপর জেঁকে বসে, হীন-নীচ লোকদের সমালোচনা করার ক্ষমতা তার থাকে না। তবে এমন লোক কেমন করে শাসকবর্গ আর বড় লোকদের সমালোচনা করবে?3 তিনি আলেমদের সমালোচনা করে বলেন, যুগের প্রয়োজনের সঙ্গে যোগ নেই, এমন সব সমস্যার আলোচনায় তারা কীভাবে জড়াতে পারেন? তিনি বলেন . সাহাবায়ে কেরাম রা. কেবল নূতন নূতন ঘটনা আর সমস্যা সম্পর্কেই পরামর্শ করতেন। আমরা দেখি না যে, বিতর্ককারী কেবল সে সব সমস্যাকেই বাছাই করে নেন, যা খুবই জটিল; বরং তারা এমন দাবি করতেন, যা শোনা হতো। ফলে তাতে বিতর্কের সুযোগ থাকতো, অবস্থা যাই হোক না কেন।4 তর্ক বিতর্ক ভালোবাসার কারণে তারা ফিকাহ অধ্যয়ন করতেন এবং অন্যান্য জ্ঞান অধ্যয়ন করতেন না, অথচ ইসলামি সমাজের প্রয়োজন ছিল সেসব জ্ঞান অধ্যয়নের। বিচক্ষণ ব্যক্তি জানেন যে, তার অর্থাৎ বিদ্যার্থীর উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে ফরজে কিফায়ার ক্ষেত্রে হক আদায় করা, তবে অবশ্যই তার উপর ফরজে আইনকে অগ্রগণ্য করতেন। বরং অনেক ফরজে কিফায়াকে তার উপর অগ্রগণ্য করতেন। এমন অনেক শহর আছে, যেখানে মিসরী অর্থাৎ অমুসলিম ছাড়া কোন চিকিৎসক নেই। আর ফিকহী বিধানের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা জায়েজ নয়। এ ছাড়া আমরা এমন লোক দেখি না, যিনি ফতোয়া এবং তার বাস্তব জবাব নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এর কি কোন কারণ রয়েছে? তবে চিকিৎসা শাস্ত্র এমন বিষয় নয়, যেখান পর্যন্ত সহজে পৌঁছা যায়। এজন্য সময় ব্যয় করতে হয়........... এতিমের অর্থ সম্পদ বিচারের এমনকি সমসাময়িক লোকজনের উপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে হবে।5

কোন কোন সামাজিক ব্যাধির উপশম প্রসঙ্গে তিনি ‘‘ধন সঞ্চয় ধনীদের মনস্তত্ত্ব’’- এ কথার উল্লেখ করে বলেন . কিছু লোক এমন আছেন, যারা মসজিদ, মাদ্রাসা, সরাইখানা এবং পুল নির্মাণ করতে আগ্রহী। এরা এসব নির্মাণ কার্যে নিজেদের নাম খোদাই করে। এসব লোকেরা দু’ভাবে প্রতারিত হয়। এক . সুদ-ঘুস আর জুলুম এবং পরস্ব অপহরণ দ্বারা এরা এসব নির্মাণ করে। দুই . তারা কোন কোন সময় বৈধ পথে সম্পদ উপার্জন করে ঠিকই, কিন্তু মসজিদ নির্মাণের প্রতি মনোনিবেশ করায় লোক দেখানোর ব্যাধি এবং প্রশংসা লাভের আকাঙ্ক্ষা তাদেরকে পেয়ে বসেছে। এমন কিছু লোকও আছে যারা হজে অর্থ ব্যয় করতে উৎসাহী। অথচ তাদেরই প্রতিবেশীরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে। আরেক শ্রেণির লোক আছে, যারা সম্পদের ভান্ডার নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। যাদেরকে কৃপণ বলা চলে। এরা শারীরিক ইবাদাতে ব্যতিব্যস্ত, যাতে কিছুই ব্যয় করতে হয় না। যেমন সারা দিন রোজা রাখা আর সারা রাত নামাজ পড়া।6

আসলে গাযযালী এখানে তাঁর সমাজ দর্শনে নীতি আদর্শ গ্রহণ করেছেন তাঁর শিক্ষক আবুল মাআলী আল- জুয়াইনীর চিন্তাধারা থেকে। শরিয়তি রাজনীতি সম্পর্কে তিনি অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় ইসলামি রাষ্ট্রের ভূমিকা বিবৃত করেছেন। আলেম সমাজ এবং শাসন কর্তৃপক্ষের ভূমিকা সম্পর্কেও তিনি আলোচনা করেছেন। উম্মার সংস্কার- সংশোধন, সুবিচার এবং অর্থনীতি বিষয়ে তিনি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেন এবং তাঁর রচিত গ্রন্থ ‘গিয়াসুল উমাম ফী ইলতিয়াসিস যুলাম’-এ তিনি সবিস্তারে আলোচনা করেন। এতে তিনি আলেম সমাজের ভূমিকা স্পষ্ট করে ব্যক্ত করে বলেন যে, মূলত . তাঁরাই হচ্ছে অনুসরণীয়। সেলজুকী7 উজির নিযামুল মুলুককে সম্বোধন করে তিনি বলেন . মহান মজলিসের নিকট আমি যা উপস্থাপন করতে চাই, তা হচ্ছে এই যে, সকল কাজে আলেম সমাজের কাছে প্রত্যাবর্তন করা কর্তব্য। কারণ, তাঁরাই হচ্ছেন বিধানের নেতা এবং ইসলামের অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। তাঁরাই হচ্ছেন নবীর ওয়ারিস এবং উম্মার নেতা। মূলত . তাঁরাই নির্দেশ দানের উপযুক্ত ব্যক্তি। দায়িত্বশীল মহল (নেতা-কর্তা ব্যক্তি) তাদের নীতি- আদর্শ মেনে চলতে বাধ্য।8

তিনি গুরুত্বারোপ করে বলেন যে, শাসনকর্তা যদি ইজতিহাদ করার মতো মর্যাদায় উপনীত না হন তবে তাঁকে আলেম সমাজের অনুসরণ করতে হবে আর সুলতান তথা শাসনকর্তা হচ্ছে তাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি। তিনি হচ্ছে তাদের শক্তির মূল। আলেমের সঙ্গে শাসন, যেমন নবীর জমানায় রাজত্ব।9 যদি এমন সময় আসে, যেখানে কোন উপযুক্ত ইমাম বা সুলতান পাওয়া যায় না, তখন ব্যাপারটা আলেম দের নিকট ন্যস্ত হবে। জনগণের শ্রেণির যতই বিভিন্নতা থাকুক না কেন, তাদের কর্তব্য হবে আলেমদের নিকট প্রত্যাবর্তন করা।10

শাফেয়ি মাদ্রাসা আল- জুয়াইনী, আল-মাওয়ার্দী এবং আবু ইসহাক সিরাজীর মতো বড় বড় আলেম সৃষ্টি করে। এরপরও যে মাদ্রাসার আলেমদের মধ্য থেকে এমন সব বিরাট ব্যক্তিত্বের আগমন ঘটে, নূরুদ্দীন আর সালাহউদ্দীনের শাসনামলে যারা রাজনীতিতে বিরাট ভূমিকা পালন করেন। এদের মধ্যে কাজি শহরজূরীর নাম উল্লেখযোগ্য, যিনি বাগদাদের নিযামিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষা লাভ করেন।11 আরো যাদের নাম উল্লেখযোগ্য, তাদের মধ্যে ইবনু আবু আসরুন এবং ফকীহ আমির ঈসা আল- হাকারীও রয়েছেন। যথাস্থানে এদের সম্পর্কে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।

সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবী যেসব বড় বড় আলেমের নিকট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন, তাদের মধ্যে মোহাদ্দেস আবু তাহের সালাফী এবং আহমদ ইবন মুহাম্মদ আল-ইসফাহানীর নাম উল্লেখযোগ্য। মুহাদ্দিস আবু তাহের সালাফী বাগদাদ আগমন করে কায়া আল-হারাসীকে নিয়ে ফিকহের আলোচনায় প্রবৃত্ত হন।12 অনুরূপভাবে স্পেনের আলেম আবু বকর তারতুশী বাগদাদ আগমন করে আবু বকর শাশীর নিকট ফিকাহের জ্ঞান অর্জন করেন। তরতুশী ছিলেন আলেম, ইমাম এবং দরবেশ। আলেকজান্দ্রিয়ায় তিনি ইন্তিকাল করেন।13

হাম্বলী চিন্তাধারা

সালাফে সালেহীনের আক্বীদা আঁকড়ে ধরার ক্ষেত্রে হাম্বলীদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। পূর্ববর্তী আলেমদের নিকট থেকে তারা এ আক্বীদার শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। এ আক্বীদা রক্ষা করতে গিয়ে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল নির্যাতনের শিকার হন। হিজরী চতুর্থ শতাব্দীর আলোচনা প্রসঙ্গে ভালো কাজের নির্দেশ আর মন্দ কাজে বারণ বিষয়ে তাদের ভূমিকা আলোচনা হয়েছে। বাগদাদে ছিল তাদের অনেকগুলো মাদ্রাসা। এসব মাদ্রাসায় অনেক আলেম আর ওয়ায়েজ মুরুববীর ভূমিকা পালন করেন। যেমন শায়খ আবুল ওয়াফা ইবনে আকীল14 ইমাম, হাফেজ ও ওয়ায়েজ শায়খ আবুল ফারজ ইবনুল জাওযী। দ্বীনের দিকে মানুষের প্রত্যাবর্তনে তাঁদের বিরাট প্রভাব ছিল। আবু সাঈদ আল- মাখরামী আল-হাম্বলীর মাদ্রাসাও ছিল প্রসিদ্ধ। আব্দুল কাদের জীলানী এই মাদ্রাসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।15 জ্ঞান অম্বেষকদের জন্য এই মাদ্রাসা আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়। হাম্বলী ফিকাহ শিক্ষা করা আর এই মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য শাম দেশের বড় বড় আলেমগন বাগদাদে আগমন করেন। হাফেজ আব্দুল গণী আল-মাকদেসীর জীবনী সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি এবং মুওয়াফফাক ৫৬০ হিজরীতে বাগদাদ আগমন করলে শায়খ আব্দুল কাদের তাদেরকে নিজের কাছে অবস্থান করান, তাদেরকে সম্মান করেন এবং তাদের কথা শ্রবণ করেন। তাঁরা উভয়ে শায়খ ইবনুল জাওযীর নিকট জ্ঞান সাধনায় প্রবৃত্ত হন।16 এসব শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন আবু ওমর এবং তদীয় ভ্রাতা এবং তাদের মামাতো ভাই আব্দুল গনি এবং শায়খ ইমাদুদ্দীন। সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবী ফিরিঙ্গি দেশে যেসব মুজাহিদ বাহিনী প্রেরণ করতেন, এসব আলেম তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতেন না। বায়তুল মুকাদ্দাস অধিকার কালেও এসব আলেমগন সুলতান সালাহউদ্দীনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।17

সালাহউদ্দীন আইয়ুবীর জীবদ্দশায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের মধ্যে ছিলেন ওয়ায়েয আলী ইবনে ইবরাহিম ইবনে নাজা। ইনি ছিলেন দামেশক এর অধিবাসী এবং হাম্বলী মাজহাবের অনুসারী। বাগদাদে আগমন করে তিনি ফিকাহ এবং হাদীসে র জ্ঞান অর্জন করেন। অতঃপর স্বদেশ ভূমি দামেশকে ফিরে যান। সালাহউদ্দীন আইয়ুবীর নিকট তাঁর বিরাট স্থান ছিল। মিসরে ওবায়দীদের ষড়যন্ত্র ফাঁস করার ক্ষেত্রে তিনি সালাহউদ্দীন আইয়ুবীকে সহায়তা করেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন