hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতন অতীত বর্তমান (সালাহউদ্দীন আইউবীর আবির্ভাব পূর্ব ইসলামি বিশ্ব ও বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা)

লেখকঃ মুহাম্মদ আল আবদাহ

৩২
পরিশিষ্ট
মূল বইয়ের সাথে অতিরিক্ত সংযোজন

[খ্রিস্টান জগতের আতঙ্ক ইসলামি ইতিহাসের অগ্নি পুরুষ ও বিশ্ব জগতের কিংবদন্তি সালাহউদ্দীন আইয়ুবীর জীবনী লেখার ইচ্ছা এখানে না থাকলেও বইটি ঠিক প্রেসে যাওয়ার পূর্ব ক্ষণে প্রখ্যাত সাহিত্যিক হাসান শরীফের নামের ‘গাজি সালাহউদ্দীন আইয়ুবী’ লেখাটি আমার নজরে আসে। একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাটি শামিল করতে পেরে আমি খুব প্রীত। এ বীর যোদ্ধার জীবনী আমাদের যুব সমাজকে ও সর্বস্তরের মানুষগুলোকে আলোড়িত করবে এটাই আমার বিশ্বাস। নিম্নে লেখাটি হুবহু প্রকাশিত হলো।]

ইসলামের ইতিহাসে অসংখ্য সমর নায়কের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। দিকে দিকে তৌহিদের ঝান্ডা উড়িয়ে তারা অমর হয়ে আছেন। তবে সেরাদের মধ্যে যারা শ্রেষ্ঠত্বের আসন অলংকৃত করে আছেন, তাদের অন্যতম হলেন গাজি সালাহউদ্দীন । শুধু ইসলামের ইতিহাসে নয়, বিশ্ব ইতিহাসে তার নামটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করছে।

অথচ সালাহউদ্দীন চেয়েছিলেন একজন ধর্মতত্ত্ববিদ হতে। অবশ্য, আল্লাহ কাকে কোন দায়িত্বের জন্য মনোনীত করেন, তা বোঝা মুশকিল। যে যুবকটি একজন বড় আলেম হতে চেয়েছিলেন, পারিপার্শ্বিকতায় এবং যুগের প্রয়োজনে তিনি হলেন, বিশ্বের অন্যতম সেরা যোদ্ধা এবং গাজি। ইসলামের প্রধান তিনটি মসজিদের অন্যতম বায়তুল মুকাদ্দাস এবং তিনটি প্রধান শহরের অন্যতম জেরুজালেম খ্রিস্টান জবর দখলকারীদের নিকট থেকে উদ্ধারকারী। অবশ্য ধর্মতত্ত্ব নিয়েই তিনি সাধনা করে গেছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অধ্যয়ন করে গেছেন।

মুসলিম বিশ্বে সালাহউদ্দীন নামে পরিচিত হলেও পশ্চিমারা তাকে সালাদিন হিসাবেই জানে। তার পুরো নাম আল মারিকুন নাসির আবুল মুজাফ্ফর ইউসুফ ইবনে আইয়ুব। ১১৩৮ খৃষ্টাব্দে (হিজরী ৫৩২ সালে) ইরাকের তিকরিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আইয়ুব ও চাচা শিরকুহ সেলজুক সুলতানদের অধীনে চাকরি করতেন। তাদের আদি বাসস্থান ছিল আর্মেনিয়ার দিন অঞ্চলে। জাতিগত ভাবে তারা ছিলেন কুর্দী বংশোদদ্ভুবত। তবে পিতার চাকরির সুবাদে তাকে বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়েছে। বাল্যকালে তিনি ধর্মতত্ত্ব নিয়েই পড়াশোনা করেছিলেন।

এক যুগ সন্ধিক্ষণে জন্মে ছিলেন সালাহউদ্দীন। মুসলিম বিশ্ব এতো টালমাটাল অবস্থায় এর আগে কখনো পড়েনি। মুসলিম বিশ্বের সামনে তিনবার মহা দুর্যোগ কাল এসেছিল। প্রথমবার ক্রুসেডের সময়। দ্বিতীয়বার মঙ্গোলীয় (তাতার) বাহিনীর আক্রমণের সময়। এবং তৃতীয়টি বর্তমানে চলছে পশ্চিমাদের আগ্রাসনের মাধ্যমে। সালাহউদ্দীন ক্রুসেডারদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন মুসলিম বিশ্বকে। ত্রয়োদশ শতকে মঙ্গল অভিযান রুখে দিয়েছিলেন। মামলুক সুলতান কুতুজ এবং মহান সিপাহসালার বেবারস। এবারের তৃতীয় দফা থেকে মুসলিম বিশ্বকে রক্ষা করেন, তাই দেখার বিষয়।

জেরুজালেম উদ্ধার করার নামে ইউরোপিয়ান শক্তি বর্গ ক্রুসেড শুরুর ঘোষণা দিলেও অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন, ইউরোপে তখনকার মারাত্মক দুর্ভিক্ষ এবং অপ-শাসন জনিত কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রবল ক্ষোভের যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়ার জন্য রাজন্য বর্গ প্রাদ্রীদের প্ররোচনায় ক্রুসেডের ডাক দিয়েছিল। ১০৯৯ সালে প্রথমে ক্রুসেডেই খ্রিস্টান শক্তি জেরুজালেম দখল করে নেয়। ক্রুসেডারদের পরবর্তী লক্ষ্য ছিল ক্রমান্বয়ে পুরো মুসলিম বিশ্ব দখল করার। তখনকার মুসলিম বিশ্ব ছিল নানা ভাগে বিভক্ত। বাগদাদে খলিফা সিংহাসনে আসীন থাকলেও তিনি ছিলেন নামমাত্র। জেরুজালেমসহ আশপাশের মুসলিম এলাকাগুলো ছিল নানা ভাগে বিভক্ত। বর্তমানের মতো জাতীয়তাবাদী চেতনা না থাকলেও মুসলিম শাসকরা নানা ফেরকায় বিভক্ত ছিল। মিশরের ফাতেমীরা তো আববাসীয়দের খলিফা হিসেবেই স্বীকার করতো না। জেরুজালেম মুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা সবাই স্বীকার করতো। কিন্তু সবাইকে একত্রিত করা এবং একটি সম্মিলিত ফ্রন্টের নেতৃত্ব দেয়ার মতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনি এক প্রেক্ষাপটে সালাহউদ্দীনের অভ্যুত্থান ঘটেছিল।

মিশর আক্রমণকারী ক্রুসেডারদের প্রতিহত করার জন্য ১১৬৪ সালে চাচা শেরকোহর ডাকে সাড়া দিয়ে সালাহউদ্দীন জিহাদে জড়িয়ে পড়েন। তখনই নতুন এক সালাহউদ্দীন আত্মপ্রকাশ ঘটে যায়। বাকি জীবনে তিনি ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন। শেরকোহর অক্লান্ত পরিশ্রমে মিশর ক্রুসেডারদের হাত থেকে রেহাই পায়। শেরকোহ মিসরে ফাতেমীদের প্রধান উজিরের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ১১৬৯ খৃষ্টাব্দে তার ইন্তেকালের পর সালাহউদ্দীন উক্ত পদে তার স্থলাভিষিক্ত হন। এবার তিনি জেরুজালেম মুক্ত করার বাস্তব ভিত্তিক কর্মসূচী বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হতে লাগলেন। এ কাজে তিনি কম বাধার সম্মুখীন হননি। ক্রুসেডাররা তো বাধা হিসেবেই ছিল। কিন্তু স্ব-ধর্মের স্বার্থান্বেষী লোকের সংখ্যাও কম ছিল না। জেরুজালেম মুক্ত করতে গিয়ে তিনি যতগুলো যুদ্ধ করেছিলেন, তার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ছিল মুসলিম শাসকদের বিরুদ্ধে। একটি ঐক্যবদ্ধ মুসলিম বাহিনী গঠনের কাজটি ছিল অত্যন্ত কঠিন।

১১৭১ সালে ফাতেমীয় সুলতান আল আদিদের ইন্তেকালের পর তিনি মিশরের ক্ষমতা লাভ করেন। ১১৭৪ সালে সুলতান নূরউদ্দীন জঙ্গি ইন্তেকাল করলে তিনি সিরিয়াকেও নিজের সালতানাতের আওতায় নিয়ে আসেন। তিনি আববাসীয় খলিফার স্বীকৃতিও লাভ করেন। তিনি মিসরে দীর্ঘদিন পর আবার সুন্নীণ মাজহাব পুনরায় সর-কারী-ভাবে চালু করেন। ফলশ্রুতিতে মোটামুটিভাবে একটি সম্মিলিত মুসলিম ফ্রন্ট তৈরি করতে সক্ষম হন। তিনি নিজের পরিচয় দিতেন, ‘মুহয়ী দাওলাত আমীরুল মুমেনীন’ বা মুমিনদের নেতার সাম্রাজ্যের পুনঃ প্রতিষ্ঠা হিসেবে।

এবার তিনি বায়তুল মুকাদ্দাস জেরুজালেম মুক্ত করার দিকে অগ্রসর হন। চূড়ান্ত জিহাদে নামার আগে ক্রুসেডারদের শক্তিমত্তা যেমন বিশ্লেষণ করেছিলেন, তেমনি দুর্বলতার দিকেও নজর রেখেছেন। সম্ভাব্য সব পরিস্থিতিই তিনি বিশ্লেষণ করেছেন। অবশেষে ১১৮৭ সালে তিনি তার চূড়ান্ত লক্ষের দিকে ধাবিত হন। তিনি তার নিজের পছন্দের পানিশূন্য ও বন্ধুর জায়গায় যুদ্ধ করার জন্য জেরুজালেমের রাজা গাইকে প্রলোভিত করেন। সেই ফাঁদে ধরা দেন তিনি। একই সালে ৪ঠা জুলাই হিত্তীনে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে লড়াই এ নামেন। ক্রুসেডারের সংখ্যা ছিল প্রায় ২০ হাজার। এদের মধ্যে দু’হাজার নাইট আর বাকীরা পদাতিক। অন্যদিকে সালাহউদ্দীনের ছিল প্রায় ১৮ হাজার সৈন্য। সালাহউদ্দীন পরিকল্পিত ব্যবস্থার কারণে মূল যুদ্ধ শুরুর আগেই ক্ষুধা, পিপাসায় কাতর হয়ে ক্রুসেডারদের যুদ্ধ করার শক্তি মারাত্মকভাবে কমে যায়। ৪ঠা জুলাই মুসলমানরা যখন তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তখন তাদেরকে আর যোদ্ধা বলে মনে হয়নি। তারা নির্জীব জড়োখন্ডে পরিণত হয়েছিল। যুদ্ধে রাজা গাই বন্দী হন। খ্রিস্টানরা তাদের জোশ বাড়ানোর জন্য যুদ্ধের ময়দানে মূল ক্রুশটিও নিয়ে এসেছিল। সেটিও মুসলমানদের হাতে এসে পড়ে। এ যুদ্ধই ছিল জেরুজালেমে খ্রিস্ট শক্তির পরিসমাপ্তি। এরপর জেরুজালেম মুসলমানদের হাতে যাওয়াটা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এরপর গাজি হিসেবে সালাহউদ্দীন ১১৮৭ সালের ২রা অক্টোবর (৫৮৩ হিজরীর ২৭শে রজব) জেরুজালেমে প্রবেশ করেন। বায়তুল আকসাসহ জেরুজালেম আবার মুসলমানদের হাতে আসে।

তবে জেরুজালেম উদ্ধারের চেয়ে তার রক্ষাতেও সালাহউদ্দীন কৃতিত্ব কম ছিল না। মুসলমানদের হাতে জেরুজালেমের কর্তৃত্ব ফিরে যাওয়ার সংবাদে ইউরোপে আবার মাতম শুরু হয়। পুরো ইউরোপ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তৃতীয় ক্রুসেডের নামে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদ্যোগ নেয়। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানীসহ প্রায় সব ইউরোপিয়ান শক্তি এই আগ্রাসনে শরিক হয়। এতে ইংল্যান্ডের রাজা রিচার্ড ফ্রান্সের ফিলিপ পারস্পরিক সব বৈরিতা ভুলে ক্রুসেডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১১৮৯ সালে তাঁরা এই ক্রুসেড শুরু করেন। খ্রিস্ট শক্তি এতো বিশাল বাহিনী নিয়ে আর কখনো ক্রুসেডে আসেনি। কিন্তু তারা অবিরাম সংগ্রাম করেও আর জেরুজালেম দখল করতে পারেনি। শেষে তারা মুখ রক্ষামূলক একটি চুক্তিতে আসে। ১১৯২ খৃষ্টাব্দের সেপ্টেম্বরে তিনি ক্রুসেডারদের সাথে একটি সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এতে ৩ বছর ৮ মাসের জন্য একটি যুদ্ধ বিরতি ঘোষিত হয়। তিনি যদি সে সময় অন্যান্য স্থান থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য পেতেন, তবে খ্রিস্ট শক্তিকে আরো শোচনীয়ভাবে পরাজিত করতে পারতেন। এই চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক মাস পরই তিনি ইন্তিকাল করেন মাত্র ৫৫ বছর বয়সে।

জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় তিনি জিহাদে নিয়োজিত থাকলেও ছোট বেলার পাঠাভ্যাস কখনো ভোলেননি। সারা জীবনই তিনি প্রচুর পড়াশোনা করেছেন। তিনি ছিলেন গভীর ধর্মজ্ঞান সম্পন্ন। হাদিস শাস্ত্রে তিনি ছিলেন বিশেষজ্ঞ। বুদ্ধিবৃত্তি আলোচনায় তিনি তৃপ্তি পেতেন। সমসাময়িকদের শ্রেষ্ঠ বীর হওয়া সত্ত্বেও তার মধ্যে কোন অহংকার ছিল না। সহকর্মীদের উদ্দীপ্ত করতে পারতেন তিনি সহজেই। তিনি ছিলেন মার্জিত, সংস্কৃতিবান ও ভদ্রজনোচিত ব্যক্তি। কোন ধরনের রূঢ়তা বা জাঁকজমক পছন্দ করতেন না। সব সময়ে জ্ঞানী ব্যক্তিদের দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকতেন। তবে প্রয়োজনে তিনি কঠোর হতে পারতেন। তার বদান্যতা, বিশ্বস্ততায় শত্রুরাও ছিল প্রশংসায় পঞ্চমুখ। চরম শত্রু রাজা রিচার্ডও একাধিকবার সালাহউদ্দীনের দরদি হৃদয়ের পরিচয় পেয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন। সমকালীন প্রেক্ষাপটে তিনি বহু বিরল জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। কায়রো এবং জেরুজালেম পুনঃগঠনে তিনি অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। বিশেষ করে মসজিদুল আকসাকে ক্রুসেডারদের হাত থেকে মুক্ত করার পর তিনি মসজিদ হিসেবে প্রস্ত্তত করেন। দূর- দূরান্ত থেকে তিনি মূল্যবান সামগ্রী সংগ্রহ করে সুন্দরভাবে মসজিদটিকে সাজিয়ে ছিলেন।

তিনি কখনো নিজের ক্ষমতার উপর অতিরিক্ত ভরসা করতেন না। শত্রু পক্ষের প্রকৃত শক্তি এবং দুর্বলতা তিনি চুল চেরা বিশ্লেষণ করতেন। নিজের অবস্থানও তার কাছে ছিল পরিষ্কার। মুসলিম বাহিনীকে তিনি ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস নিয়েছিলেন। প্রথম দিকে তিনি সফলও হয়েছিলেন। তবে তৃতীয় ক্রুসেডের সময় অনেক স্থান থেকেই কাঙ্ক্ষিত সাহায্য পাননি। প্রথম দিকে তিনি সফল হয়েছিলেন। তার শক্তি বৃদ্ধিতে বাগদাদের খলিফাসহ অনেকেই ছিলেন ঈর্ষান্বিত। তবে তাদের অন্যায় আচরণ সত্ত্বেও হতোদ্যম হননি তিনি। নিজের যতটুকু সামর্থ্য ছিল, তাই নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। সফলও হয়েছিলেন তিনি।

যুদ্ধ জয়ের পরও তিনি ছিলেন শান্ত এবং সংযত। প্রতিশোধ নয়, ন্যায় প্রতিষ্ঠাই ছিল তার লক্ষ্য। মহৎ প্রাণ এই সুলতান বন্দী রাজা গাইকেও মুক্তি দিয়েছিলেন। এমনকি যুদ্ধবন্দি নাইটদেরও মুক্তিপণের মাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছেন। নাইট পরিবারগুলোকে অবাধে জেরুজালেমে ভ্রমণের সুযোগ দিয়েছিলেন কাউকেই অন্যায়ভাবে দন্ডিত করেননি। অথচ মাত্র ৯০ বছর আগে জেরুজালেম দখল করার পর খ্রিস্টানরা যে পাশবিক আচরণ করেছিল, তার দাগ তখনও ছিল। তারা তখন জেরুজালেমের সকল মুসলমানকে হত্যা করেছিল। মসজিদ, মাদ্রাসাগুলোকে ধ্বংস করেছিল। পাঠাগারগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সালাহউদ্দীন এবার তার কোন প্রতিশোধ নেননি। এমনকি খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থানগুলো প্রাদ্রীদের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলেন। অবশ্য বায়তুল মোকাদ্দাস, ডোম অব রকসহ ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করেন। তার ২৫ বছরের শাসনামল এক অনন্য সাধারণ ইতিহাস। এক ক্রান্তি লগ্নে তিনি মুসলমানদের নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। বিশ্বের সকল স্থানের মুসলমানদের জন্য তিনি এক শ্বা শত আদর্শ হিসেবে অমর হয়ে আছেন।

সিরিয়া ছিল গাজি সালাহউদ্দীনের প্রিয় জায়গা। আর দামেস্ক শহরকেও তিনি ভালোবাসতেন। ১১৯৩ সালের ৪ঠা মার্চ (৫৮৯ হিজরীতে) ইন্তিকালের পর তাকে প্রথমে দামেস্কে দুর্গের অভ্যন্তরে দাফন করা হয়। ১১৯৫ সালে উমা-ইয়া মসজিদের উত্তরে তাকে স্থায়ী কবরে দাফন করা হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন