hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতন অতীত বর্তমান (সালাহউদ্দীন আইউবীর আবির্ভাব পূর্ব ইসলামি বিশ্ব ও বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা)

লেখকঃ মুহাম্মদ আল আবদাহ

প্রথম অধ্যায়: ক্রুসেড যুদ্ধের পূর্বে মুসলমানদের সাধারণ অবস্থা
ক্রুসেড যুদ্ধের পূর্বে মুসলমানদের সাধারণ অবস্থা

হিজরী চতুর্থ শতাব্দীর শুরু থেকে হিজরী ৫ম শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত মুসলমানদের রাজনৈতিক অবস্থার১ চিত্র অঙ্কন করতে গেলে আমরা দেখতে পাই দুর্বলতা আর দলাদলি, যা ছিল সে সময়ে মুসলিম জাহানের সাধারণ চিত্র। তৎকালে মুসলিম জাহান পরস্পর সংঘাত মুখর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে পরিণত হয়। তখন ব্যক্তি স্বার্থ বিশেষ প্রাধান্য পায়। ক্ষমতার ভাষায় তারা কথা বলতো। ক্ষমতার মসনদ দখল করাই ছিল তাদের চরম লক্ষ্য। এজন্য কাফেরদের নিকট থেকে সাহায্য প্রার্থনা করতে হলেও তারা কুণ্ঠিত হতো না। অথবা কোন শহর দুশমনের হাতে চলে গেলেও সেজন্য কোন চিন্তা কর তো না, নিজেদের সাধারণ স্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে আসার সাহস কেউ দেখায়নি, পুনরায় ঐক্যের আন্দোলন শুরু করাতো দূরের কথা।

এ সময় মুসলমানরা বাতেনী আন্দোলন দ্বারা পরীক্ষায় নিপতিত হয়। এসব বাতেনী আন্দোলন শিয়া মতবাদকে আড়াল হিসাবে গ্রহণ করে। এ দ্বারা সাধারণ মানুষ এবং নীচ শ্রেণির লোকদেরকে প্রতারিত করে এবং এ সুযোগে মূল ইসলামের নিন্দাবাদ প্রচার করে। যেসব ঐতিহাসিক এবং জ্ঞানী- গুণী ব্যক্তি নানা দল- উপদল সৃষ্টি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, তাদের অনেকেই বলেছেন যে, এসব বাতেনী আন্দোলন আরবদের ইসলামি বিজয়ের বিরুদ্ধে পারসিক প্রতিক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। মুসলিম বিজেতাদের সামরিক বিজয় দৃঢ় ও প্রতিষ্ঠিত হতে দেখে তারা বুঝতে পারে যে, ইসলামের বিজয় রোধ করা যাবে না, তখন এরা ভেতর থেকে ক্ষতি সাধনের চেষ্টায় প্রবৃত্ত হয়। তারা জানতো যে, আহলে বাইত (নবীর বংশধর) এর প্রতি আহবান আর তাদের প্রতি ভক্তি- শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার প্রকাশ অনেক কর্ণকেই আকৃষ্ট করবে এবং মুসলমানদের দুর্বল অনুভূতি২ তাদের দিকে টানতে সক্ষম হবে। আর সাধারণ মানুষ বেখবর। এ সুযোগে আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে তাদেরকে ধোঁকা দেয়া যাবে।

বাতেনী আন্দোলনগুলো এহেন দুরবস্থাকে মূলধন হিসাবে গ্রহণ করে এ থেকে ফায়দা হাসিল করে। শিয়া মতবাদকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে তারা গোপনে এবং প্রকাশ্যে নিজেদের আন্দোলনের মৌল বিষয় প্রচার করার সুযোগ পায়। অতঃপর তাদের অনুসারীরা তলে তলে বেরিয়ে গিয়ে এবং বাইরে থেকে মুসলমানদের সহায়তা করে যে পরীক্ষায় পতিত হয়, অন্য কোন যুগে মুসলমানরা এমন পরীক্ষায় পতিত হয়নি। ধীরে ধীরে খেলাফতকে দুর্বল করে ফেলে। এভাবেই তারা তাতারি আর ক্রুসেডারদের সহায়তা করে। ব্যক্তি বিশেষকে গোপনে হত্যা করার পন্থা অবলম্বন করে তারা অনেক মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করতে সক্ষম হয়। আর এ ক্ষেত্রে তারা সাময়িকভাবে সফলও হয়েছে। এরা হচ্ছে ইহুদিদের মতো, তারা যখনই পৃথিবীতে গোলযোগ আর বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে, তখন আল্লাহ এমন লোক তৈয়ার করেন, যারা তাদেরকে কঠোর শাস্তি দিতে পারে। কিন্তু এরপরও তারা ফিরে আসে না এবং শিক্ষা গ্রহণ করে না।

كُلَّمَا أَوْقَدُوا نَارًا لِلْحَرْبِ أَطْفَأَهَا اللَّهُ ( سورة ألمائدة : ৬৪)

‘‘যখনই তারা যুদ্ধের অগ্নি প্রজ্বলিত করে, আল্লাহ তা নির্বাপিত করেন।’’ (সূরা মায়েদা: ৬৪)।

নিঃসন্দেহে সুন্নাহর অনুসারীরা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল আর এটাই তাদেরকে শক্তি জোগায়। তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে শরিয়তসম্মত কর্মসূচী অবলম্বন করে, তখন আল্লাহর হুকুমে তারাই বিজয়ী হয়। কেউ কেউ এমন মতও সমর্থন করে, যাতে বলা হয়েছে : সেকালে রাষ্ট্রের সংখ্যা বৃদ্ধির মধ্যে অনেক দুর্বলতা নিহিত ছিল। কারণ, সেগুলো নতুন রাষ্ট্র। আর সত্য কথা এই যে, তাদের আক্বীদা- বিশ্বাসের কথা বাদ দিলেও রাজনৈতিক আর সাময়িক ক্ষেত্রে তারা নূতন কল্যাণকর কিছুই করতে পারেনি। রোমকদের প্রতিরোধে এবং তাদের সঙ্গে যুদ্ধে হামদানিরা যা কিছু করতে পেরেছিল, কেবল তাই ছিল তাদের সম্বল। আর তা ছিল একটা সীমিত সময়ের জন্য। রোমকদের পতনের পর তাদের পূর্বতন অবস্থা ফিরে আসে। শুরু হয় খুন- খারাবি। অবশ্য বনূ-বুয়াইহ এবং বনূ ওবায়দরা মুসলমানদের কর্তৃত্ব স্থাপনে তাদের নূতন শক্তি কাজে লাগায়। ইসলামি রাষ্ট্রের সীমায় নূতন রাষ্ট্র যোগ করাতো দূরের কথা, তারা এদের প্রতিরোধেও সে শক্তি ব্যবহার করেনি। জ্ঞানের প্রতি তাদের ভালোবাসা, আলেম- ওলামাদের প্রতি তাদেরকে উদ্বুদ্ধ- অনুপ্রাণিত করা, সাহিত্যিকদের প্রতি অনুপ্রাণিত করা ইত্যাদি সম্পর্কে যা কিছু বলা হয় এবং তাদের গ্রন্থ রাজির সমাহার ঘটানো সম্পর্কে যা কিছু প্রচার করা হয় তাদের জুলুম- নির্যাতন আর সুন্নাহর অনুসারী আলেমদেরকে হত্যা করা এবং নিজেদের ধর্মমতের প্রতি তাদের পক্ষপাতিত্বের সামনে তা তুচ্ছ ও মূল্যহীন৩। আর কারামেতা সম্প্রদায়ের আল্লাহর সৃষ্টিকুলের মধ্যে সর্ব নিকৃষ্ট।

মুসলিম জাহানের অবস্থা বর্ণনা প্রসঙ্গে অতীতের সঙ্গে বর্তমানের যোগসূত্রের জন্য যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু পরিমাণ ইতিহাসও উপস্থাপন কর বোনা, ভবিষ্যতে মর্যাদা লাভের জন্য প্রয়োজনীয় ইতিহাসেরও উল্লেখ কর বোনা। অন্য কিছুও উল্লেখ করবোনা। যে যুগটা প্রসঙ্গে আমরা যখন আলোচনা করব, তখন আমরা সে যুগের সর্বাত্মক অবস্থাই বুঝাবো। অন্যথায় এমন উজির- মন্ত্রীরও অস্তিত্ব ছিল, যাদের মধ্যে শক্তি আর কল্যাণ ছিল, যেমন উজির অ ইবনে ঈসা ইবনে দাউদ ইবনুল জারাহ। তিনি ছিলেন একাধারে ইমাম এবং মুহাদ্দিস। আববাসীয় খলিফা মুকতাদির বিল্লাহ এবং কাহির বিল্লাহর শাসনামলে তিনি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। অনেক আলেমের কথা তিনি শ্রবণ করেন। সত্য- সঠিক দীনে তিনি ছিলেন অটল- অবিচল এবং জ্ঞানে- গুণে তিনি ছিলেন শীর্ষস্থানীয়। তাঁর মজলিস আলেমদের দ্বারা পরিপূর্ণ থাকতো। ঐতিহাসিক শূলী বলেন, ‘পবিত্রতা- পরিচ্ছন্নতা, দুনিয়া ত্যাগ এবং কুরআন মজীদ হিফযের ক্ষেত্রে বনু আববাসের মন্ত্রীদের মধ্যে তাঁর মতো কেউ ছিল না। তিনি জুলুম অত্যাচারের বিচার- মীমাংসা করতে বসতেন এবং সত্যিকার ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতেন। হিজরী ৩৩৪ সালে মক্কায় তিনি ইন্তেকাল করেন৪। তাদের মধ্যে রয়েছেন ‘ইফছাহ’ গ্রন্থের প্রণেতা উজির ইবনে হুতায়রা ইয়াহইয়া ইবনে মুহাম্মদ। তিনি কুরআন মজীদ পাঠ করতেন এবং হাদিস শরীফ অধ্যয়ন করতেন। আরবি ব্যাকরণ বিষয়ে তাঁর গভীর জ্ঞান ছিল। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের মাজহাবের তিনি ছিলেন একজন বড় ফকীহ। তিনি ছিলেন আববাসী খলীফ মুত্তাযীর উজির। হিজরী ৫৬০ সালে তিনি ইন্তিকাল করেন৫।

এ যুগের বিপুল সংখ্যক আলেম মুসলমানদেরকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে। যদিও তাদের নিকট আরো বড় কিছুর প্রত্যাশা ছিল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন