hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতন অতীত বর্তমান (সালাহউদ্দীন আইউবীর আবির্ভাব পূর্ব ইসলামি বিশ্ব ও বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা)

লেখকঃ মুহাম্মদ আল আবদাহ

২৪
৪. অভ্যন্তরীণ হুমকি সম্পর্কে সচেতনা অভ্যন্তরীণ হুমকির ও তাদের পতনের সূচনা
বাতেনী সম্প্রদায়ের বিপদ সম্পর্কে লোকেরা বুঝতে পারে, অনুরূপ ভাবে বুঝতে পারেন শাসক শ্রেণিও। ফলে একের পর এক হামলা শুরু হয়, তাদের বীজ শিকড় থেকে উপড়ে ফেলার জন্য। কারণ, তদানীন্তন কালে মুসলিম বিশ্বের জন্য তারা ছিল একটা আপদ। এবং গৃহের অভ্যন্তর থেকে তারা সন্ত্রাসীর ভূমিকা পালন করছিল। শাসক শ্রেণি যেসব ঘটনার মাধ্যমে তাদের বিপদ সম্পর্কে বুঝতে পারে এবং তাদের বীজ উপড়ে ফেলা বা তাদের সহায়তা থেকে বিরত রাখার জন্য নব পর্যায়ে যেসব অভিযান পরিচালনা করে, এখানে তার কিছু বিবরণ দেয়া হচ্ছে .

হিজরী ৪৩৬ সনে মা-ওয়ারাউন নহর এর শাসনকর্তা (বগরাখান) ইসমাঈলীদের একটা দলের উপর আক্রমণ চালান। মিসরে ওবায়দী শাসক দলের পক্ষে প্রচারণার জন্য এসব ইসমাঈলীরা মা-ওয়ারাউন নহর শহরে প্রবেশ করে। এই হামলায় ইসমাঈলী সম্প্রদায়ের সকলকে হত্যা করা হয়। সমস্ত শহরে পত্র লিখে ইসমাঈলী সম্প্রদায়ের লোকজনকে হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়। ফলে গোটা দেশ তাদের থেকে মুক্ত হয়।1

হিজরী ৪৬৩ সনে হালব বা আলেপ্পোর আমির মাহমুদ ইবনে ছালেহ ইবনে মিরদাস আমীরুল মু’মিনীন কায়েম বি-আমরিল্লাহ এবং সুলতান আলপ আরসালানের পক্ষে খুতবা দান করেন। সুলতানের রাজত্বের শ্রীবৃদ্ধি- উন্নতি- অগ্রগতি দর্শন করে তিনি আলপ আরসালান আল কায়েম বি-আমরিল্লাহকে সমর্থন করে খুতবা দেন।

হিজরী ৪৯৪ সনে সেলজুক শাসনকর্তা সুলতান বরকিয়ারক বাতেনীদের হত্যার নির্দেশ দেন। ফলে ইসফাহানের লোকেরা তাদের মধ্যকার বাতেনীদের হত্যার জন্য উদ্যত হয়। এ কাজে নেতৃত্ব দেন শাফেয়ি মাজহাবের ফকীহ মাসউদ ইবনে মুহাম্মদ আল- খাজান্দী। বিপুল জনতা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপস্থিত হয়। সুলতান গর্ত খনন করে তাতে অগ্নি প্রজ্বলিত করার নির্দেশ দেন। সাধারণ মানুষ বাতেনী সম্প্রদায়ের লোকজনকে দলে দলে ধরে এনে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করে।2 অনেককে ধরে আনে একক ভাবে। খুজিস্তান আর ফারেস অঞ্চলের অনেক দুর্গ বাতেনীদের দখলে ছিল। তাদের অনিষ্ট সীমা ছাড়িয়ে যায়। তারা ডাকাতি-রাহাজানি শুরু করে। সেলজুকী নেতা (জাওলী) অতর্কিতে তাঁদের উপর হামলা চালাবার সংকল্প করেন। সেলজুক নেতা প্রকাশ করলেন যে, তিনি তাদেরকে ছেড়ে চলে যেতে চান। ওরা সকলে তার সঙ্গে বের হয় তার অস্ত্রশস্ত্র লাভ করার আশায়। পথিমধ্যে তিনি একটা ফাঁদ পেতে রাখেন। সেখানে পৌঁছোলে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। ফলে তাদের মধ্যে একজনও রক্ষা পায়নি।3

হিজরী ৫০০ সনে সুলতান মুহাম্মদ ইবনে মালেক শাহ সেলজুকী তাদের বিরুদ্ধে এক প্রচন্ড যুদ্ধ পরিচালনা করেন। তারা প্রতারণা আর বিশ্বাস ঘাতকতার আশ্রয় গ্রহণ করলে তিনি তাদেরকে ইসফাহান দুর্গ থেকে নির্বাসিত করেন। তিনি বাতেনী সম্প্রদায়ের নেতা ইবনে গাতাশকে হত্যা করেন।4 তাদের নেতা বাহরাম এর আগমনে শাম দেশে বাতেনী সম্প্রদায়ের কার্যক্রম বিস্তার লাভ করে হিজরী পঞ্চম শতাব্দীর শুরু থেকেই। বাহরামের আহবানে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ এবং অজ্ঞ- মূর্খের দল সাড়া দেয়। আলেম সম্প্রদায় আর শরিয়তের ধারক- বাহকরা ইসমাইলিদের হাতে পাকড়াও হওয়ার ভয়ে চুপ থাকে।5 হিজরী ৫২৩ সনে ইসমাইলিরা ক্রুসেডারদের হাতে দামেশক অর্পণ করার চেষ্টা চায়। বিনিময়ে ক্রুসেডাররা সূর শহর তাদের হাতে অর্পণ করে। দামেশক শহরে শাসনকর্তা বূরী ইবনে তাগতিগীন এই ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দেন। ফলে ইসমাঈলী সম্প্রদায়ের নেতা মযদুকানীকে হত্যা করা হয় এবং শহরে বাতেনী সম্প্রদায়ের হত্যার আহবান জানানো হলে তাদের ৬ হাজার লোককে হত্যা করা হয়। রমজান মাসে এ ঘটনা ঘটে।6

হিজরী ৫১১ সনের ঘটনাবলী প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক ইবনুল আসীর বলেন . সুলতান মুহাম্মদ (সেলজুকী) জানতে পারেন যে, বাতেনী ইসমাঈলীদের চিহ্ন মুছে ফেলা, তাদের বাড়ি ঘরের বিনাস সাধন করা এবং তাদের দুর্গ আর প্রাচীর অধিকার করে নেয়ার সাথে দেশ ও জনগণের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। সেকালে হাসান ইবনে ছাববাহ এর জোর ছিল। হাসান ইবনে ছাববাহ রাজি ছিলেন (আল-মওত) দুর্গের অধিপতি। তার সময় ছিল বেশ দীর্ঘ। প্রায় ২৬ বৎসর তিনি এই দুর্গের অধিপতি ছিলেন। যুদ্ধ-বিগ্রহ আর নরহত্যার কারণে আশপাশের জনগণের অবস্থা ছিল শোচনীয়। ফলে সুলতান অনুশতগীন এর নেতৃত্বে তার বিরুদ্ধে সৈন্য পরিচালনা করেন। আশপাশের কয়েকটি দুর্গ অধিকার করে সৈন্যরা আল-মওত দুর্গ অভিমুখে রওয়ানা হয়। কয়েক মাস দুর্গটি অবরোধ করে রাখা হয়। তারা দুর্গ ত্যাগ করে নিরাপত্তা লাভের জন্য ভনিতা আর প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে। কিন্তু নেতা নাছোড় বান্দা; তিনি কিছুতেই অবরোধ প্রত্যাহার করতে রাজি নন। অতঃপর সুলতানের মৃত্যুর খবরে সৈন্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, কিন্তু দুর্গ জয় করা সম্ভব হয়নি।7 সুলতান সাঞ্জার এর শাসনামলে (হিজরী ৫২১ সনে) আল-মওত দুর্গে বাতেনী সম্প্রদায়ের লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে তাদের অনেককে হত্যা করা হয়।

নিঃসন্দেহে এসব অপরাধীদের চিহ্ন মুছে ফেলা ছিল প্রত্যাবর্তনের সুসংবাদ। তাদের উৎপাত থেকে মুসলমানরা, বরং গোটা দুনিয়া শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করে। তাদের টিকে থাকাকে মুসলমানদের গলার কাঁটা বলে বিবেচনা করা হতো। আর ভেতর থেকে তারা ছিল শান্তি আর নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। জনগণ ছিল তাদের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত। মুসলমানদের ঐক্যের জন্য তারা ছিল মুনাফিকদের চেয়েও বিপজ্জনক। সেলজুক শাসকরা ভালো কাজ করেছেন। তারা এদেরকে দমন করে রাখে এবং তাদের জন্য ওঁৎ পেতে থাকে। আল্লাহ তাদেরকে নেক কাজের প্রতিদান দিন।8

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন