hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যেসব কারণে ঈমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৩
১. আল্লাহর প্রতি ঈমান
আল্লাহ রাববুল আলামীন নিজেকে যেভাবে মানবজাতির কাছে উপস্থাপন করেছেন ঠিক সেভাবে তাঁকে বিশ্বাস করা। এ বিশ্বাস পোষণ করা যে, এ বিশ্বজগতের রব একমাত্র আল্লাহ। তিনি স্বীয় সৃষ্টি, রাজত্ব, পরিচালনা ও কর্মব্যবস্থাপনায় এক ও একক। তিনি রিযিকদাতা, জীবনদাতা, মৃত্যুদাতা, ক্ষমতাবান এবং কল্যাণ ও অকল্যাণ সাধনকারী। তিনি একাই যা ইচ্ছা তাই করেন এবং যা চান তার হুকুম করেন। তাঁরই হাতে আসমান ও জমিনের রাজত্ব। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তাঁর কর্মসমূহে কোন শরীক নেই। তিনিই সকল ক্ষমতার উৎস। আল্লাহই একমাত্র সত্যিকার ইলাহ বা মাবুদ এবং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য যাবতীয় ইবাদাত পাওয়ার অধিকার তিনিই রাখেন।

আল্লাহ আরশে আযীমে অবস্থান করেন :

আল্লাহ তা‘আলা আসমানের উপর আরশে সমাসীন। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে :

﴿اَلرَّحْمٰنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوٰى﴾

দয়াময় (আল্লাহ) আরশের উপর সমাসীন। (সূরা ত্বা-হা- ৫)

হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক দাসিকে জিজ্ঞেস করলেন, اَيْنَ اللهُ তথা আল্লাহ কোথায়? সে উত্তর দিল, فِى السَّمَاءِ আকাশে। রাসূলুল্লাহ ﷺ দাসিটিকে আবার জিজ্ঞেস করলেন, مَنْ أَنَا তথা আমি কে? সে উত্তর দিল, أَنْتَ رَسُوْلُ اللهِ আপনি আল্লাহর রাসূল। এসব কথা শুনে রাসূলুল্লাহ ﷺ দাসির মালিককে বললেন, তাকে মুক্ত করে দাও; নিশ্চয় সে একজন ঈমানদার। [সহীহ মুসলিম, হা/১২২৭; আবু দাউদ, হা/৯৩১; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৭৬৫।]

আল্লাহ স্বীয় আরশের উপর বিরাজমান রয়েছেন, যেভাবে তাঁর মহত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের সাথে শোভা পায় সেভাবে। এ প্রসঙ্গে ইমাম মালেক (রহ.) বলেন,

اِسْتِوَائُه مَعْلُوْمٌ وَكَيْفِيَّتُه مَجْهُوْلٌ وَالْاِيْمَانُ بِه وَاجِبٌ وَالسُّوَالُ عَنْهُ بِدْعَةٌ

অর্থাৎ আল্লাহর সমাসীন হওয়াটা জানা যায়, কিন্তু তার সমাসীন হওয়ার পদ্ধতি অজানা। আর এ বিষয়ের উপর ঈমান আনা ওয়াজিব এবং এর প্রকৃতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা বিদআত। [ওসিয়্যাতু আবী উসমান লিস সাবূনী; আদ দুরারুস সানিয়্যাহ ১/১৪২।]

আল্লাহ মানুষের সাথে থাকার মর্মার্থ :

কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তা‘আলা বান্দার সাথে রয়েছেন। যেমন-

﴿وَهُوَ مَعَكُمْ اَيْنَ مَا كُنْتُمْؕ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ﴾

তোমরা যেখানেই থাক না কেন তিনি (জানার দিক দিয়ে) তোমাদের সঙ্গে আছেন, তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ তা দেখেন। (সূরা হাদীদ- ৪)

﴿اِذْ هُمَا فِى الْغَارِ اِذْ يَقُوْلُ لِصَاحِبِه لَا تَحْزَنْ اِنَّ اللهَ مَعَنَا﴾

যখন তারা উভয়ে (একটি) গুহার মধ্যে অবস্থান করছিল তখন তিনি তার সঙ্গীকে বলেছিলেন, চিন্তিত হয়ো না; নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। (সূরা তাওবা- ৪০)

আললাহ তা‘আলা বান্দার সাথে থাকার দুটি দিক রয়েছে। তা হলো :

১. اَلْمَعِيَّةُ الْعَامَّةُ বা সাধারণ সাথিত্ব। এটি সকল সৃষ্টিকেই শামিল করে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা তাঁর জ্ঞান, শক্তি ও বেষ্টনির ক্ষেত্রে সকল কিছুর সাথেই রয়েছেন। অর্থাৎ কোন কিছুই তাঁর জ্ঞান, শক্তি ও বেষ্টনির বাইরে নেই। কোন কিছুই তাঁর থেকে অদৃশ্য হতে পারে না।

২. اَلْمَعِيَّةُ الْخَاصَّةُ বা বিশেষ সাথিত্ব, যা তাঁর রাসূল ও সৎকর্মশীলগণের জন্য নির্দিষ্ট রয়েছে। এ সাথিত্বের অর্থ হলো, তিনি তাদেরকে সাহায্য করেন ও ভালোবাসেন। তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ হিজরতের সময় সাওর গুহায় আশ্রয় নেয়ার পর গুহামুখে কাফিরদের আগমনে আবু বকর (রাঃ) কে বিচলিত দেখে বলেছিলেন, لَا تَحْزَنْ اِنَّ اللهَ مَعَنَا অর্থাৎ তুমি চিন্তিত হয়ো না, নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের সাথেই আছেন। [সূরা তাওবা- ৪০।] এ সাথিত্ব এ প্রকার সাথিত্বকে বুঝিয়ে থাকে। এ জাতীয় বাক্যগুলো সাহায্য-সহানুভূতি করার ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আল্লাহ নিরাকার নন :

কুরআন এবং হাদীসে আল্লাহর চেহারা, হাত, পা, চোখ ইত্যাদির কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এ অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর আকৃতি কিরূপ তা বলা হয়নি। সুতরাং আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে যে, আল্লাহ তা‘আলার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তাঁর মর্যাদার সাথে যেভাবে মানানসই সেভাবেই আছে। আল্লাহর এসব গুণের কোন সাদৃশ্য বর্ণনা করা যাবে না এবং কোন উপমাও দেয়া যাবে না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿لَيْسَ كَمِثْلِهٖ شَيْءٌۚ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْبَصِيْرُ﴾

কোনকিছুই তাঁর সাদৃশ্য নয়, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরা শূরা- ১১)

﴿فَلَا تَضْرِبُوا لِلّٰهِ الْاَمْثَالَ اِنَّ اللهَ يَعْلَمُ وَاَنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ﴾

তোমরা আল্লাহর জন্য বিভিন্ন রকম উপমা পেশ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ জানেন; তোমরা জান না। (সূরা নাহল- ৭৪)

আল্লাহর চেহারা আছে এর দলিল : আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ وَيَبْقٰى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ﴾

ভূপৃষ্টে যা কিছু আছে সবই ধ্বংসশীল। আর অবশিষ্ট থাকবে শুধু তোমার মহিমাময় ও মহানুভব প্রতিপালকের চেহারা। (সূরা আর রহমান- ২৬, ২৭)

আল্লাহর চোখ আছে এর দলিল : আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ فَاِنَّكَ بِاَعْيُنِنَا﴾

তুমি তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষায় ধৈর্যধারণ করো; কেননা তুমি আমার চোখের সামনেই রয়েছ। (সূরা তূর- ৪৮)

আল্লাহর হাত আছে এর দলিল : আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قَالَ يَاۤ اِبْلِيْسُ مَا مَنَعَكَ اَنْ تَسْجُدَ لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَيَّؕ اَسْتَكْبَرْتَ اَمْ كُنْتَ مِنَ الْعَالِيْنَ﴾

আল্লাহ বললেন, হে ইবলিস! আমি যাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি, তাকে সিজদা করতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? তুমি অহংকার করলে, নাকি তুমি শ্রেষ্ঠ মর্যাদাশীলদের একজন? (সূরা সোয়াদু ৭৫)

আল্লাহর পা আছে এর দলিল : হাদীসে ইরশাদ হয়েছে,

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ النَّبِيُّ لَا تَزَالُ جَهَنَّمُ ﴿ تَقُوْلُ هَلْ مِنْ مَّزِيْدٍ ﴾ حَتّٰى يَضَعَ رَبُّ الْعِزَّةِ فِيْهَا قَدَمَه فَتَقُوْلُ قَطْ قَطْ وَعِزَّتِكَ وَيُزْوٰى بَعْضُهَا اِلٰى بَعْضٍ

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, জাহান্নাম বলতে থাকবে ‘আরো কিছু আছে কি?’ শেষপর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামে তাঁর পা রাখবেন। অতঃপর জাহান্নাম বলবে, যথেষ্ট! যথেষ্ট। তখন তার এক অংশ অপর অংশের সাথে লেগে যেতে থাকবে। [সহীহ বুখারী, হা/৬৬৬১; সহীহ মুসলিম, হা/৭৩৫৬; তিরমিযী, হা/৩০৭২।]

দুনিয়াতে কেউ আল্লাহকে দেখতে পারে না :

দুনিয়াতে আল্লাহকে দেখা সম্ভব নয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলা হচ্ছেন, অসীম। আর মাখলুক সসীম। মানুষের দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি সবকিছুই সীমিত। সীমিত দৃষ্টিশক্তি দিয়ে অসীম আল্লাহকে আয়ত্ব করা সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে :

﴿لَا تُدْرِكُهُ الْاَ بْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الْاَ بْصَارَ ۚ وَهُوَ اللَّطِيْفُ الْخَبِيْرُ﴾

কোন চোখই তাঁকে আয়ত্ত করতে পারে না, কিন্তু তিনি সকল দৃষ্টিকে আয়ত্ত করেন। আর তিনিই সূক্ষ্মদর্শী এবং সব খবর রাখেন। (সূরা আন‘আম- ১০৩)

মূসা (আঃ) আল্লাহকে দেখার জন্য আবেদন করেছিলেন কিন্তু পারেননি। কুরআনে এসেছে,

﴿وَلَمَّا جَآءَ مُوْسٰى لِمِيْقَاتِنَا وَكَلَّمَهٗ رَبُّهٗ قَالَ رَبِّ اَرِنِۤيْ اَنْظُرْ اِلَيْكَؕ قَالَ لَنْ تَرَانِيْ وَلٰكِنِ انْظُرْ اِلَى الْجَبَلِ فَاِنِ اسْتَقَرَّ مَكَانَهٗ فَسَوْفَ تَرَانِيْۚ - فَلَمَّا تَجَلّٰى رَبُّهٗ لِلْجَبَلِ جَعَلَهٗ دَكًّا وَّخَرَّ مُوْسٰى صَعِقًاۚ فَلَمَّاۤ اَفَاقَ قَالَ سُبْحَانَكَ تُبْتُ اِلَيْكَ وَاَنَا اَوَّلُ الْمُؤْمِنِيْنَ﴾

মূসা বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখা দাও, আমি তোমাকে দেখতে চাই। তিনি বললেন, তুমি আমাকে কখনই দেখতে পারবে না। বরং তুমি পাহাড়ের প্রতি লক্ষ্য করো, সেটা যদি স্বস্থানে স্থির থাকে তবে তুমি আমাকে দেখতে পারবে। যখন তাঁর প্রতিপালক পাহাড়ের উপর জ্যোতি প্রকাশ করলেন তখন তা পাহাড়কে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিল এবং মূসা অজ্ঞান হয়ে পড়ল। তারপর যখন সে জ্ঞান ফিরে পেল তখন বলল, আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, আমি অনুতপ্ত হয়ে তোমার কাছেই প্রত্যাবর্তন করলাম এবং মুমিনদের মধ্যে আমিই প্রথম। (সূরা আ‘রাফ- ১৪৩)

এ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, এ পৃথিবীতে মানুষের চর্ম চক্ষু দিয়ে আল্লাহকে দেখা সম্ভব নয়। তবে আখিরাতে আল্লাহকে দেখা যাবে বলে কুরআন ও হাদীসে বর্ণনা রয়েছে। তখন আল্লাহ বান্দাকে দেখার শক্তি দান করবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لِلَّذِيْنَ اَحْسَنُوا الْحُسْنٰى وَزِيَادَةٌ﴾

যারা মঙ্গলময় কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে মঙ্গল এবং আরো অধিক (মঙ্গল)। (সূরা ইউনুস- ২৬)

এ আয়াতে ‘আরো বেশি’ বলতে আল্লাহর সাক্ষাতকেই বুঝানো হয়েছে।

عَنْ صُهَيْبٍ عَنِ النَّبِىِّ - - قَالَ : إِذَا دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ - قَالَ - يَقُوْلُ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى تُرِيْدُوْنَ شَيْئًا أَزِيْدُكُمْ فَيَقُوْلُوْنَ أَلَمْ تُبَيِّضْ وُجُوْهَنَا أَ لَمْ تُدْخِلْنَا الْجَنَّةَ وَتُنَجِّنَا مِنَ النَّارِ - قَالَ - فَيَكْشِفُ الْحِجَابَ فَمَا أُعْطُوْا شَيْئًا أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنَ النَّظَرِ إِلٰى رَبِّهِمْ عَزَّ وَجَلَّ » ثُمَّ تَلَا هٰذِهِ الْاٰيَةَ ﴿لِلَّذِيْنَ اَحْسَنُوا الْحُسْنٰى وَزِيَادَةٌ﴾

সুহাইব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যখন জান্নাতীগণ জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তোমরা কি আরো কিছু চাও? তাহলে আমি তোমাদেরকে তা দিতে পারি। তখন জান্নাতীগণ বলবে, আপনি কি আমাদের চেহারাগুলো আলোকিত করেননি? আপনি কি আমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাননি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেননি? (সুতরাং আমরা আর কী চাইব?) তখন আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় চেহারা থেকে পর্দা সরিয়ে ফেলবেন। জান্নাতের যতসব নিয়ামত তার মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় নিয়ামত হবে আল্লাহর দর্শন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ উপরোক্ত আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন। যার অর্থ হলো- যারা ভালো কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে শুভ পরিণাম (জান্নাত) এবং আরো বেশি। [সহীহ মুসলিম, হা/৪৬৭।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন