hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শাশ্বত জীবন ব্যবস্থা (হক দীন)

লেখকঃ আশ-শাইখ আবদুর রহমান ইবন হাম্মাদ আ-লে উমার

১৭
দ্বিতীয়ত: ছালাতের পদ্ধতি
১. ফজরের সালাত:

ফজরের নামায দুই রাক‘আত। পুরুষ অথবা মহিলা মুসলিম কিবলামুখী হবেন। কিবলাহ হচ্ছে মক্কার মসজিদে হারামে অবস্থিত কা‘বা। মনে মনে এ নিয়ত করবেন যে, ফজরের ছালাত আদায় করছি। নিয়ত মুখে উচ্চারণ করবেন না। অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ (আল্লাহ সর্ব শ্রেষ্ঠ) বলে তাকবীর বলবেন। অতঃপর উদ্বোধনী দো‘আ পাঠ করবেন। এর মধ্যে অন্যতম দো‘আ হচ্ছে-

" سبحانك اللهم وبحمدك، وتبارك اسمك، وتعالى جدك، ولا إله غيرك

“আপনি পবিত্র। হে আল্লাহ, আপনার প্রশংসা দ্বারা, (শুরু করছি) আপনার বরকত, আপনার মর্যাদা সর্বোচ্চ, আপনি ব্যতীত সত্যিকারের কোনো উপাস্য নেই।”

তারপর “আউযুবিল্লাহ মিনাশ শাইতানির রাজীম” (আপনার কাছে আমি বিতাড়িত শয়তান হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি) বলবে। অতঃপর ফাতিহাতুল কুরআন (সূরা ফাতিহা) পড়বেন, সেটি হচ্ছে-

﴿ ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٢ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ٣ مَٰلِكِ يَوۡمِ ٱلدِّينِ ٤ إِيَّاكَ نَعۡبُدُ وَإِيَّاكَ نَسۡتَعِينُ ٥ ٱهۡدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلۡمُسۡتَقِيمَ ٦ صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ ٧ ﴾ [ الفاتحة : ٢، ٧ ]

“বিশ্ব জগতের রব্ব আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা। যিনি পরম দাতা ও পরম দয়ালু। বিচার দিনের বাদশাহ, আমরা একমাত্র আপনারই ইবাদত করি এবং একমাত্র আপনার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি। আপনি আমাদেরকে সোজা পথ দেখান। তাদের পথ যাদের উপরে আপনি নিয়ামত দান করেছেন। যাদের প্রতি আপনি রাগাম্বিত নন। যারা পথভ্রষ্টও নয়।”

আর অবশ্যই কুরআন সাধ্যানুযায়ী আরবী ভাষায় পড়বেন। [কেননা, যদি কুরআন আরবী ব্যতীত অন্য ভাষায় পড়া হয় তাহলে তা কুরআন হয় না। কারণ, কুরআনের শব্দাবলীর অনুবাদ হয় না। শব্দাবলীর অর্থের অনুবাদ হয়। কারণ, এর অক্ষর ও শব্দসমূহকে অনুবাদ করা হলে তার অলংকার ও তার চ্যালেঞ্জ অবশিষ্ট থাকে না। এমনকি, এর ফলে অক্ষরও বাদ পড়ে যায় এবং একে আরবী ভাষায় কুরআন বলা যায় না।] অতঃপর বলবেন ‘আল্লাহু আকবার’ (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) এবং মাথাও পিঠ নিচু অবস্থায় সমন্তরাল করে দু’হাত দ্বারা দুহাঁটুকে আঁকড়ে ধরে রুকু করবেন তখন বলবেন- ‘সুবহা-না রাব্বিয়াল আযীম’ (আমার মহান রব অতি পবিত্র) অতঃপর ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ (যিনি আল্লাহর প্রশংসা করেছেন তিনি তা শুনেছেন) বলে উঠবেন। সোজা হয়ে দাঁড়াবেন এবং বলবেন- ‘রাব্বানা লাকাল হামদ’ (হে আমাদের রব, আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা) এরপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলবেন এবং পায়ের আংগুলের কিনারা, দুহাঁটু, দুহাত, চেহারা ও নাক মাটিতে লাগিয়ে সিজদাহ করবেন। অতঃপর সিজদায় গিয়ে বলবেন ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আ‘লা’ (আমার সর্বোচ্চ রব অতি পবিত্র) এরপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে বসবেন এবং বসার সময় ‘রাব্বিগফির লী’ (হে আমার রব আমাকে ক্ষমা করুন) বলবেন। অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলবেন এবং দ্বিতীয়বার মাটির উপরে সিজদাহ করবেন এবং বলবেন ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আ‘লা’ (আমার সর্বোচ্চ রব অতি পবিত্র)। এরপর ‘আল্লাহু আকবর’ বলে সোজা হয়ে দাঁড়াবেন। অতঃপর পুনঃরায় প্রথম রাক‘আতের মত সূরা ফাতিহা অর্থাৎ ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন’ সূরাটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন। অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলবেন। রুকু করবেন; রুকু থেকে উঠবেন। সিজদাহ করবেন, এরপর বসবেন, অতঃপর দ্বিতীয় সিজদাহ করবেন এবং এর প্রতিটি জায়গায় প্রথম বার যা পড়েছিলেন তাই পড়বেন। অতঃপর বসা অবস্থায় পড়বেন,

" التحيات لله، والصلوات والطيبات، السلام عليك أيها النبي ورحمة الله وبركاته، السلام علينا وعلى عباد اله الصالحين، أشهد أن لا إله إلا الله، وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله، اللهم صلى الله عليه وسلم على محمد، وعلى آل محمد، كما صليت على إبراهيم، وعلى آل إبراهيم إنك حميد مجيد ".

“মৌলিক, শারীরিক ও আর্থিক সকল ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য। হে নবী, আপনার উপর শান্তি আল্লাহর রহমত ও তাঁর বরকত বর্ষিত হোক। শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের উপর ও আল্লাহর সৎ বান্দাদের উপর। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয় আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকারের কোনো ইলাহ নেই এবং সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয় মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।

হে আল্লাহ আপনি আপনি দরুদ পেশ করুন মুহাম্মাদের উপর, তাঁর পরিবার পরিজনের উপর, যেমন বর্ষণ করেছেন ইব্রাহীম ও তাঁর পরিবার পরিজনের উপরে। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত ও মর্যাদার অধিকারী।” অতঃপর ডান দিকে ফিরাবেন এ বলে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ, (আপনাদের উপরে শান্তি ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক) অতঃপর বাম দিকে ফিরবেন ও বলবেন- ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি।’ (আপনাদের উপর শান্তি ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক)। এর মাধ্যমে ফজরের ছালাত পরিপূর্ণ হল।

২. অপরদিকে জোহর, আছর ও শেষ সালাত ঈশার সালাত:

এ সালাতগুলোর প্রত্যেকটিই চার রাক‘আত। প্রথম দু রাক‘আত পড়বেন ফজরের দুই রাক‘আতের মত। অতঃপর দ্বিতীয় রাক‘আতের পরে যখন তাশাহহুদের জন্য বসবেন, তখন ফজরের সালাতের সালামের পূর্বে বসে যা পড়তেন তা পড়ার পর সালাম ফিরাবেন না, বরং প্রথম দু’ রাক‘আতের মত আরও দু’ রাক‘আত পড়বেন। তারপর দ্বিতীয়বার তাশাহ্হুদের জন্য বসবেন ও যা প্রথম বৈঠকে পড়েছিলেন তা পড়বেন এবং নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপরে দরূদ পড়বেন। এরপর ডান দিকে ও বাম দিকে ফজরের ছালাতের মত সালাম ফিরাবেন।

৩. অপরদিকে মাগরিবের ছালাত, তা তো তিন রাক‘আত:

যেমন পূর্বে বর্ণিত হয়েছে তেমনিভাবে দুই রাক‘আত আদায় করবেন। অতঃপর বসবেন ও পূর্ব বর্ণিত ছালাতসমূহে যা পড়েছেন তা পড়বেন। তবে সালাম ফিরাবেন না বরং উঠে দাঁড়াবেন। অতঃপর তৃতীয় রাক‘আতে অন্যান্য ছালাতে যা পড়েছেন তাই পড়বেন। অতঃপর ডানে বামে সালাম ফিরাবেন। আর সালাত আদায়কারীর জন্য উত্তম হচ্ছে রুকু ও সেজদার দো‘আ কয়েকবার পড়া।

পুরুষদের জন্য এ পাঁচ ফরয ছালাত মসজিদে আদায় করা ওয়াজিব। যার কুরআন পাঠ উত্তম, ছালাত সম্পর্কে বেশি জানেন এবং দ্বীন সম্পর্কে যোগ্য, সেই তাদের মধ্যে ইমাম হবেন। ইমাম রুকুর পূর্বে দাঁড়ানো অবস্থায় ফজরের দুই রাক‘আত, মাগরিব ও ইশার প্রথম দুই রাক‘আতে কুরআন উচ্চস্বরে পড়বেন এবং তা পিছনের মুসল্লী শুনবেন।

মহিলাগণ ঘরে পর্দা ও হিফাজত সহকারে ছালাত আদায় করবেন। নিজের সমস্ত শরীর এমনকি দুই হাত দুই পাও ঢেকে নিবেন, কেননা শুধুমাত্র তার চেহারা ব্যতীত সবই সতর (যা আবৃত করা অত্যাবশ্যক) তাদেরকে পুরুষের থেকে চেহারা ঢাকার নির্দেশ দিতে হবে। কেননা চেহারা দেখানোর মাধ্যমে ফিতনা ছড়ায়, এর মাধ্যমে তাকে চেনা যাবে এবং কষ্ট দেওয়া হবে। আর যদি মুসলিম নারী মসজিদে ছালাত আদায় করতে চান, তবে তাতে কোনো বাধা নেই; কিন্তু এ শর্তে যে, পর্দা সহকারে বের হবেন ও সুগন্ধি ব্যবহার করবেন না, পুরুষের পিছনে ছালাত আদায় করবেন। যাতে তারা পুরুষদের আর পুরুষরা তাদেরকে ফিতনায় ফেলতে না পারেন।

মুসলিমদের উচিৎ আল্লাহর উদ্দেশ্যে অতীব বিনয় অবনতচিত্তে ভীত সন্ত্রস্ত ও অন্তরের গভীর মনোযোগের সাথে ছালাত আদায় করা, দাঁড়ানো, রুকু করা ও সিজদাহ অত্যন্ত ধীর গতিতে সম্পন্ন করা। তাড়াতড়ি করবে না। অহেতুক কিছু করবে না। আসমানের দিকে তাকাবে না। কুরআন পাঠ ব্যতীত কথা বলবে না। [তবে যদি কেউ কাউকে সাবধান করতে চান বা ভুল সংশোধন করতে চান তখন ‘‘সুবহানাল্লাহ’’ বলবেন। এটা শুধুমাত্র মুক্তাদী ইমামকে কিছু ভুল করলে, কম করলে সাবধানতার জন্য এবং মুসল্লী উদাহরণস্বরূপ কাউকে ডাকার জন্য বলতে পারেন। আর মহিলারা সাবধান করার জন্য তালি দিবেন, কথা বলবেন না। কেননা, তাদের স্বরে ফিতনার ভয় থাকে।] ছালাতের যিকর যথার্থ জায়গায় পড়বেন। কেননা আল্লাহ তাঁর যিকির প্রতষ্ঠার জন্যই ছালাতের নির্দেশ দিয়েছেন।

জুম’আর দিন মুসলিমরা দুই রাকাত ছালাত আদায় করবেন। ফজরের নামাযের মত ইমাম সাহেব এ উভয় রাক‘আতেই কুরআন উচ্চস্বরে পড়বেন। ছালাতের পূর্বে দুটি খুৎবা (বক্তৃতা) দিবেন। এর মধ্যে মুসলিমদেরকে তাদের করণীয় স্মরণ করিয়ে দিবেন। তাদেরকে দ্বীনের বিষয়াদি শিক্ষা দিবেন। পুরুষদের জন্য ইমামের সাথে উপস্থিত হওয়া ওয়াজিব। জুম’আর দিনে এটিই হচ্ছে জোহরের ছালাত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন