hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শাশ্বত জীবন ব্যবস্থা (হক দীন)

লেখকঃ আশ-শাইখ আবদুর রহমান ইবন হাম্মাদ আ-লে উমার

২০
ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হজ্জ
ইসলামের স্তম্ভের পঞ্চম স্তম্ভ হচ্ছে, জীবনে একবার বাইতিল্লাহহিল হারামে (আল্লাহর পবিত্র ঘরের) হজ্জ আদায় করা। একাধিকবার হজ্জ আদায় নফল বলে গণ্য। হজ্জের অসংখ্যা উপকারিতা রয়েছে।

প্রথমত: এটি হচ্ছে একযোগে আত্মা শরীর ও মালের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদাত।

দ্বিতীয়ত: প্রত্যেক দেশ ও স্থান থেকে মুসলিমগণ এক স্থানে সমবেত হয়ে থাকেন, তারা এক স্থানে একত্রিত হন, একই ধরনের বস্ত্র পরিধান করেন, একই রবের ইবাদাত করার সুযোগ লাভ করেন। শাসক ও শাসিত, ধনী ও গরীব, সাদা ও কালো একই আল্লাহর সৃষ্টি ও বান্দা হওয়ার কারণে এক হয়ে হজ্জ পালনের মাধমে পারস্পরিক জানা ও সহযোগিতার পথ প্রসারিত হয়। এর মাধ্যমে তাদের সকলকে আল্লাহ পুনরুত্থান করবেন, তারা তা স্মরণ করেন এবং আল্লাহর আনুগত্যের মাধ্যমে মৃত্যুর পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।

কা‘বা (মুসলিমদের কিবলা) যেখানেই থাকুক না কেন যার দিকে ফিরে আল্লাহ প্রতিটি ছালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন, সেই কা’বার চতুর্পার্শ্ব প্রদক্ষিণ এবং মক্কার অন্যান্য জায়গায় যেমন আরাফাত ও মুযদালিফায় এবং মিনায় নির্ধারিত সময়ে অবস্থানের উদ্দেশ্য হচ্ছে, এ সমস্ত পবিত্র স্থানে আল্লাহর ইবাদাত করা, যে অবস্থা ও ধরনের নির্দেশ তিনি দিয়েছেন সে অবস্থায় তা আদায় করা।

স্বয়ং ক্বা‘বা, ঐ সমস্ত জায়গা এবং অন্য কোনো সৃষ্টকে কখনো ইবাদাত করা যায় না, এরা কারো কোনো ভাল মন্দ করতে পারে না, বরং ইবাদাত কেবল আল্লাহরই অধিকার। ভালো-মন্দ করার এখতিয়ার আল্লাহরই হাতে। যদি আল্লাহ তার ঘরের হজ্জ করার নির্দেশ না দিতেন, তাহলে সেখানে মুসলিমের হজ্জ করা ঠিক হত না। কেননা, ইবাদত কারো মতামত ও ইচ্ছার ভিত্তিতে হয় না, বরং এটি আল্লাহর কিতাবে তাঁর নির্দেশ অথবা তার রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সুন্নতের মাধ্যমেই নির্ধারিত হয়। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ وَلِلَّهِ عَلَى ٱلنَّاسِ حِجُّ ٱلۡبَيۡتِ مَنِ ٱسۡتَطَاعَ إِلَيۡهِ سَبِيلٗاۚ وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَنِيٌّ عَنِ ٱلۡعَٰلَمِينَ ﴾ [ ال عمران : ٩٧ ]

“আর আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ ঘরের হজ্জ করা সেই সমস্ত লোকদের উপর (ফরয) যারা সে পর্যন্ত যাওয়ার সামর্থ রাখে। আর যে কুফরী করে, নিশ্চয় আল্লাহ বিশ্ব জগতের মুখাপেক্ষী নন।” [অপরদিকে ওলীদের কবর ও অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থানে মুর্খদের হজ্জ পালন গুমরাহী, যা আল্লাহর নির্দেশ ও তার রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নির্দেশের পরিপন্থি। ‘‘রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন- ‘‘(ছাওয়াবের নিয়তে) তিন মসজিদের উদ্দেশ্যে ব্যতীত অন্য কোথায় ভ্রমনের বাহন সাজাবে না; মসজিদুল হারাম, আমার এ মসজিদ ও মসজিদুল আকছা।’’] (আলে ইমরান: ৯৭)

হজ্জের সময় হোক বা অন্য সময় হোক উমরাহ, প্রতি মুসলিমের উপর জীবনে একবার ওয়াজিব। মদীনায় অবস্থিত মসজিদের নববীর যিয়ারত করা মুস্তাহাব। যে করবে তাকে ছাওয়াব দেওয়া হবে, আর যে করবে না তাকে সাজা দেওয়া হবে না। তবে জানা দরকার যে, “যে হজ্জ করল অথচ আমার জিয়ারত করল না সে আমাকে দূরে নিক্ষেপ করল” এ হাদীস ছহীহ নয়। এর দ্বারা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর মিথ্যা চাপানো হয়েছে। [..এমনি হাদীস ‘‘ আমার মর্যাদাকে ওয়াসীলা হিসাবে গ্রহণ কর কেননা আমার মর্যাদা আল্লাহর নিকট প্রমস্থ।’’ তেমনি হাদীস ‘‘যে পাথরের উপরে ভাল ধারণা রাখে সে তার উপকারে আসে।’’ এরূপ সকল হাদীসই বানানো হাদীস। যার কোনো সত্যতা নেই। কোনো গ্রহণযোগ্য হাদীস গ্রন্থে এগুলো পাওয়া যায় না। বরং এগুলো ও এর সমমানের হাদীস সমূহ পথভ্রষ্ট এবং কোনো কিছু উপলব্ধি ছাড়াই শিরক ও বিদায়াতের দিকে আহবানকারী আলিমগণের বইসমূহে পাওয়া যায়।]

শরী‘আত যেসব স্থনের উদ্দেশ্যে ভ্রমণকে অনুমোদন করে, তন্মধ্যে একটি হচ্ছে, মসজিদে (নববী)। সুতরাং যখন য়িয়ারতকারী মসজিদে নববীতে পৌঁছে তাহিয়্যাতুল মসজিদের ছালাত আদায় করবে; তখন তার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর যিয়ারত করা শরীয়ত অনুমোদন করেছে। সুতরাং তিনি যিয়ারতের সময় বলবেন-

‘আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ’ (হে আল্লাহর রাসূল, আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হোক) এটি অত্যন্ত আদবের সাথে স্বর নিচু করে বলতে হবে। তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিকট কিছু চাওয়া যাবে না। বরং সালাম দিবেন এবং ফেরত চলে যাবেন। তিনি উম্মতকে তেমনটি করতেই শিখিয়েছেন। আর এটাই ছিল ছাহাবীগণের কাজ।

পক্ষান্তরে যারা ছালাতে দাঁড়ানোর মত বিনয় অবনত চিত্তে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কবরের সামনে দাঁড়ায়, তার নিকটে প্রয়োজন মিটানোর প্রার্থনা করে, তার কাছে বিপদ মুক্তি চায়, আল্লাহর কাছে তাঁকে মাধ্যম বানায়; তারা আল্লাহর সাথে শির্ককারী। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের থেকে সম্পর্কমুক্ত। সুতরাং প্রতিটি মুসলিমের উচিত নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা অন্য কারো সাথে এরূপ কিছু করা থেকে সাবধান থাকা।

অতঃপর দুই সাহাবী আবু বকর ও ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার কবর যিয়ারত শরী‘আতসম্মত নিয়ম অনুযায়ী সম্পন্ন করবেন। আর তা হচ্ছে, যিয়ারতকারী মৃতের উপরে সালাম পাঠ করবেন এবং তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দো‘আ করবেন। মৃত্যুকে স্মরণ করবেন এবং এরপর প্রস্থান করবেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন