hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শাশ্বত জীবন ব্যবস্থা (হক দীন)

লেখকঃ আশ-শাইখ আবদুর রহমান ইবন হাম্মাদ আ-লে উমার

১৯
ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ ছিয়াম
ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ হচ্ছে, রমযান মাসের ছিয়াম পালন করা। রমযান মাস হিজরী সনের মাসসমূহের নবম মাস।

রমযান মাসের ছিয়াম পালনের করণীয় হচ্ছে-

মুসলিম সুবহে সাদিক হওয়ার পূর্বেই ছিয়াম পালনের নিয়ত করবেন, অতঃপর পানাহার ও সহবাস (যৌন মিলন) থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বিরত থাকবেন, এরপর ইফতার করবেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও তাঁর ইবাদতের উদ্দেশ্যে গোটা রমযান মাসের দিনগুলোতে এইরূপ করতে থাকবেন।

ছিয়াম অগণিত উপকারিতা রয়েছে। তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে,

১. এটি আল্লাহর ইবাদত ও তাঁর নির্দেশ পালন। বান্দাহ তার যৌন ইচ্ছা ও পানাহার আল্লাহর উদ্দেশ্যে পরিত্যাগ করে। এটি হচ্ছে, আল্লাহর তাক্ওয়া অর্জনের বড় কারণসমূহের মধ্যে অন্যতম।

২. অপরদিকে রোযার স্বাস্থ্যগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উপকারিতাও রয়েছে অনেক, যা ঈমান ও আকীদাহ বিশ্বাস সহকারে ছিয়াম পালনকারীরাই উপলব্ধি করেন। আল্লাহ বলেন,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ ١٨٣ ﴾ [ البقرة : ١٨٣ ]

“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর তোমাদের পূর্ববর্তীদের মতই ছিয়াম ফরয করা হয়েছে, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।” (সূরা বাকারাহ: ১৮৩)

অবশেষে আল্লাহ বলেন,

﴿ شَهۡرُ رَمَضَانَ ٱلَّذِيٓ أُنزِلَ فِيهِ ٱلۡقُرۡءَانُ هُدٗى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَٰتٖ مِّنَ ٱلۡهُدَىٰ وَٱلۡفُرۡقَانِۚ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهۡرَ فَلۡيَصُمۡهُۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٖ فَعِدَّةٞ مِّنۡ أَيَّامٍ أُخَرَۗ يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلۡيُسۡرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلۡعُسۡرَ وَلِتُكۡمِلُواْ ٱلۡعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَىٰكُمۡ وَلَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ ١٨٥ ﴾ [ البقرة : ١٨٥ ]

“এটা ঐ রমযানের মাস যার মধ্যে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, যা মানব জাতির জন্য হিদায়াত বা প্রকাশ্য সঠিক রাস্তা। হক ও বাতিলের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্যকারী। অতঃপর যে এ মাস পাবে সে যেন ছিয়াম পালন করে। কিন্তু যে রোগগ্রস্ত অথবা সফর অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনগুলিতে এটি পূর্ণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, কঠিন করতে চান না, যাতে তোমরা এর দিনগুলো পূর্ণ কর এবং তোমাদেরকে হিদায়াত দানের জন্য আল্লাহর মহিমা বর্ণনা কর। সম্ভবত তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবে।” (সূরা বাকারা ১৮৩-১৮৫)

ছিয়ামের যে সমস্ত হুকুম আহকাম আল্লাহ কুরআনে ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হাদীছে বর্ণনা করেছেন, তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে:

১. রোগী ও মুসাফির যে কয়দিন ছিয়াম পালন করেন নি রমযানের পরে ঐ কয়দিন ছিয়াম আদায় করবেন।

২. তেমনি হায়েযগ্রস্তা ও নিফাসগ্রস্তাগণও। এদের জন্য ছিয়াম রাখা ঠিক নয়। যে কয়দিন তারা ছিয়াম ভেঙ্গেছে পরে সেই কয়দিন ছিয়াম রেখে নিবেন।

৩. ঠিক তেমনি যদি গর্ভবর্তী ও দুগ্ধবতী মা তাদের জীবন ও তাদের বাচ্চার জীবন-নাশের আশংকা করে, তাহলে ছিয়াম কাদ্বা (কাযা) করবেন।

৪. রোযাদার ভুল করে খেলে ও পান করলে পরে স্মরণ হবে তাঁর ছিয়াম শুদ্ধ হবে। কেননা, ভুল ভ্রান্তি ও জোর-জবরদস্তির কারণে কিছু করলে উম্মতে মুহাম্মাদী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর জন্য আল্লাহ মাফ করেছেন। তবে তার মুখের মধ্যে যা রয়েছে তা বের করে ফেলা ওয়াজিব।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন