hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শাশ্বত জীবন ব্যবস্থা (হক দীন)

লেখকঃ আশ-শাইখ আবদুর রহমান ইবন হাম্মাদ আ-লে উমার

২৯
৪. ইসলাম বহির্ভূত দলসমূহ:
ইসলামী বিশ্বে ইসলাম বহির্ভূত অনেক দলই পাওয়া যায়, যারা ইসলামের দিকে সন্বন্ধিত। যারা তাদের নিজেদেরকে মুসলিম বলে দাবী করে, তবে তারা সত্যিকারের মুসলিম নয়। কেননা তাদের আকীদাহ বিশ্বাসের রয়েছে আল্লাহর সাথে কুফরি, তার নিদর্শনাবলী ও তার একত্ববাদ অস্বীকার করা। এ সমস্ত দলের মধ্যে একদল হচ্ছে,

‘বাতিনীয়াহ’ সম্প্রদায়; তাদের মত, সবকিছু ও সর্বস্থানে আল্লাহর অনুপ্রবেশ ঘটা, তারা পুনর্জন্মবাদে বিশ্বাসী, তারা বিশ্বাস করে থাকে যে দ্বীনের প্রতিটি মূল বচন অর্থাৎ “আয়াত ও হাদীসের” অপ্রকাশ্য একটি অর্থ রয়েছে যা প্রকাশ্য যে অর্থ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন ও যার উপরে মুসলমানদের ঐক্য (ইজমা) সংগঠিত হয়েছে তাত্থেকে ভিন্ন। তারা তাদের ইচ্ছেমত এ সমস্ত অপ্রকাশ্য অর্থ তৈরী করেছে। [এ বাতিনীয়াহ সম্প্রদায়ের অনেক উপাধি রয়েছে, তারাও অনেক দলে বিভক্ত। ভারত, সিরিয়া, ইরান, ইরাক ও অন্যান্য দেশে তারা ছড়িয়ে রয়েছে। তাদের সংখ্যা সম্পর্কে পূর্ববর্তী উলামাদের মধ্যে অনেকেই বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে শাহরাস্তানী তার বই ‘‘আল-মিলাল ওয়ান নিহাল’’ এ যা লিখেছেন তা উল্লেখযোগ্য। যেমন- শেষ যুগীয় উলামাদের কেউ কেউ তাদের মধ্যে নতুন দলকেও উল্লেখ করেছেন। যেমন-কাদিয়ানীয়াহ, বাহায়ীয়াহ। তাদের মধ্যে হতে মুহাম্মাদ সায়ীদ কিলানী ‘‘যাইলুল মিলাল ওয়ান নিহাল’’ মদীনা মুনাওয়ারাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাইখ আব্দুল কাদির, শাইবাতুল হামদ ‘‘কিতাব আল-আদইয়ান ওয়াল ফিরাক অল মাযাহির আর মু‘আছিরাহ’’ গ্রন্থে ঐ সমস্ত সম্প্রদায় সম্পর্কে লিখেছেন।]

এ ‘বাতিনীয়াহ’ সম্প্রদায়ের জন্মের উৎস হচ্ছে, ইয়াহূদী, অগ্নি উপাসক, আল্লাহদ্রোহী দার্শনিকগণ যখন পারস্য দেশে ইসলামের প্রসারে ভীত হয়ে পড়ল, তখন তারা একত্রিত হয়ে এমন একটি মতাদর্শ আবিষ্কার করার জন্য পারস্পরিক পরামর্শ করল; যার উদ্দেশ্য হচ্ছে; মুসলিমদের বিচ্ছিন্ন করা এবং মহাগ্রন্থ কুরআনের অর্থ সম্পর্কে চিন্তায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। যাতে মুসলিমগণ বিভিন্ন দলে পৃথক হয়। এজন্য তারা এ বিধ্বংসী মতাদর্শের উদ্ভাবন করে এবং এর দিকে অন্যদেরকে আহ্বান জানায়। তারা নিজেদেরকে আ’লি বাইত তথা নবী-পরিবারের দিকে (অসত্যভাবে) সম্পর্কযুক্ত করে, যাতে করে সাধারণ জনগণকে ভালভাবে ধোঁকায় ফেলতে পারে; এভাবে তারা অনেক মূর্খ মানুষদেরকে শিকার করেছে ও তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে ছেড়েছে।

ঐ সকল সস্প্রদায়ের মধ্যে ‘কাদিয়ানীয়াহ’ অন্যতম। গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর নাম অনুযায়ী এরা প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। সে নবী হওয়ার দাবী করে। ভারতে ও তার আশেপাশে নিম্ন শ্রেণীর লোকদেরকে তার প্রতি ঈমান আনার আহ্বান জানায়। ইংরেজগণ ভারতে তাদের উপনিবেশ শাসনের সময় এ গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী ও তার অনুসারীদেরকে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে। তাকে ও তার অনুসারীদেরকে প্রচুর সুযোগ দিত, যাতে করে অনেক মূর্খরাও তার অনুসারী হয়। কাদিয়ানীরা ইসলামকে মুখে প্রকাশ করলেও আসলে তারা ইসলামকে ধ্বংস করা, অন্যদেরকেও এর গণ্ডি হতে যথাসম্ভব বের করে নিতে চেষ্টা করে। প্রসিদ্ধি লাভ করেছে যে, সে তাসদীকে বারাহীনে আহমদীয়াহ নামক যে বই লিখেছে সেখানে সে নবুওয়তের দাবী করেছে, ইসলামের মূল-বচন (নুছুছ)সমূহ তথা কুরআন ও সুন্নাহর শব্দকে রদবদল করেছে। তার বিকৃতির কিছু নমূনা যেমন, তার দাবী, ইসলামে জিহাদকে রহিত করা হয়েছে। প্রত্যেক মুসলিমের উপরে ওয়াজিব তারা যেন ইংরেজের সাথে সন্ধি স্থাপন করে। ঐ সময় সে অন্য একটি বইও লেখে, যার নাম “তিরিয়াকুল কুলূব”। এ মিথ্যুক বহু লোককে পথভ্রষ্ট করে ১৯০৮ সালে মারা যায়। তার এ দাওয়াত ও এ পথভ্রষ্ট সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব একজন পথভ্রষ্ট লোক ‘আল হাকীম নুরুদ্দীন’ এর কাছে ছেড়ে যায়।

ইসলাম বহির্ভূত এমনি বাতিয়ানীয়াহ সম্প্রদায়ের অন্যতম সম্প্রদায় হচ্ছে, বাহায়ীয়াহ সম্প্রদায়। আলী মুহাম্মাদ নামে এক ব্যক্তি ১৯শ খৃষ্টাব্দের প্রথম দিকে ইরানে এটাকে প্রতিষ্ঠা করে। কারো কারো মতে, তার নাম হচ্ছে মুহাম্মাদ আলী সিরাজী। সে ছিল শিয়াদের ‘ইছনা আশারীয়াহ’ (বারো ইমামী) সম্প্রদায়ের (বর্তমান ক্ষমতাসীন ইরান সরকারের দলের) লোক। এর পরে সে উক্ত সম্প্রদায় থেকে আলাদা হয়ে প্রসিদ্ধ বাহায়ীয়াহ মতাদর্শ আবিষ্কার করে এবং নিজেকে প্রতীক্ষিত মাহদী বলে প্রথমে ও পরে তার মধ্য আল্লাহ অবতীর্ণ হয়েছেন বলে দাবী করে, এভাবে সে মানুষের ইলাহ হয়ে বসে। (বস্তুত কাফির ও আল্লাহদ্রোহীগণ আল্লাহ সম্পর্কে যা বলে তিনি তাত্থেকে বহু ঊর্ধ্বে।) সে পুনরুত্থান, হিসাব-কিতাব, জান্নাত, জাহান্নামকে অস্বীকার করে। সে কাফির ব্রাহ্মণ ও বৌদ্ধদের পথে চলতে থাকে। সে ইয়াহূদী, খৃষ্টান ও মুসলিমদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলে তাদেরকে এক করে ফেলে। সে শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নবুওয়াতকে ও ইসলামের বহু হুকুম আহকামকে অস্বীকার করে। তার ধ্বংসের পরে তার মন্ত্রী যে, ‘বাহা’ নামে খ্যাত হয়, সে তার দাওয়াতের প্রচার-প্রসার ঘটায় এবং তার অনুসারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে। তার দিকেই সম্বন্ধ করে এ সম্প্রদায়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাহায়ীয়াহ’।

মুসলিম হওয়ার দাবী করা, ছালাত আদায় করা, ছিয়াম পালন করা, হজ্জ করা সত্ত্বেও শিয়াদের বিরাট অংশ ইসলাম বহির্ভূত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তারা দাবী করে যে, জিব্রাইল আলাইহিস সালাম আল্লাহর রিসালাতকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রদান করে খিয়ানত করেছেন, বাস্তবে এটা আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর নিকটেই পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আলীকেই আল্লাহ বলে থাকে। তারা আলী ও তার সন্তান-সন্ততি, নাতি-পুতি, তার স্ত্রী ফাতেমা ও ফাতেমার মা খাদীজা রাদিয়াল্লাহু আনহার সম্মানে প্রচণ্ড রকমের বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘন করে থাকে। বরং তারা এদেরকেও আল্লাহর সাথে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে, তারা এদেরকে আহ্বান করে, তাদের কাছে দো‘আ করে। আরও বিশ্বাস করে থাকে যে এরা নিরপরাধ, তাদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে রাসূল আলাইহিমুস সালামগণের মর্যাদার চেয়েও অনেক বড় (নাউযুবিল্লাহ)।

তারা বলে, মুসলিমদের হাতে বর্তমানে অবস্থিত কুরআনে অনেক সংযোজন ও বিয়োজন হয়েছে এবং তারা নিজেদের জন্য বিশেষ কুরআন তৈরী করে নিয়েছে। তাতে নিজের পক্ষ হতে আয়াত ও সূরা সন্নিবেশ করেছে। তারা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পরে সবচেয়ে উত্তম মুসলিম আবু বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু, উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে গালি দেয়। তাছাড়া উম্মুল মো'মেনীন আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকেও গালি দেয়। আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ও তার সন্তান-সন্ততিদের কাছে সুসময় ও দুঃসময় উদ্ধার কামনা করে প্রার্থনা জানায়। আল্লাহ ছাড়া তাদের কাছেও দো‘আ করে। অথচ আহলি বাইতের দল তথা আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ও তার সন্তান সন্ততি তাদের সাথে সম্পর্কহীন। কেননা শিয়ারা তাদেরকে আল্লাহর সাথে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে। আল্লাহর উপরে মিথ্যা চাপিয়েছে। তাঁর বাণী রদবদল করেছে। তার যা বলে, তা থেকে আল্লাহ অনেক ঊর্ধ্বে।

এ সম্প্রদায়গুলো, যাদের বর্ণনা আমরা করেছি, এরা ইসলামের দাবীদার অথচ ইসলাম ধ্বংসকারী কাফির সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং প্রতিটি জায়গার হে জ্ঞানী, হে মুসলিম, আপনার সাবধান হওয়া উচিৎ এ মর্মে যে, ইসলাম শুধু দাবী করলেই হয় না। বরং কুরআন ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত হাদীসমূহকে জানা ও সে অনুযায়ী আমলকে ইসলাম বলে। অতঃপর মহাগ্রন্থ কুরআন ও ও রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর হাদীস নিয়ে গবেষণা করুন; হিদায়াত, নূর ও সোজা রাস্তা পাবেন, যা আপনাকে সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর নিকটে নিয়ামতের জান্নাতে নিয়ে সৌভাগ্য লাভের পথে পৌঁছে দিবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন