hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শাশ্বত জীবন ব্যবস্থা (হক দীন)

লেখকঃ আশ-শাইখ আবদুর রহমান ইবন হাম্মাদ আ-লে উমার

২৬
পঞ্চম অধ্যায়: কতিপয় ভ্রান্তির নিরসন ১. ইসলামের নিন্দুকরা :
সবচেয়ে বেশি যারা ইসলামের প্রতি দোষারোপ করে থাকে তারা দু ধরনের মানুষ:

প্রথম শ্রেণি : এমন কিছু মানুষ যারা নিজেদেরকে ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত বলে দাবী করে থাকে। তারা দাবী করে যে তারা মুসলিম। তবে কথা ও কাজে ইসলামের বিরোধিতা করে। তারা এমন কাজ আঞ্জাম দেয়, ইসলামের সাথে যার কোনো সম্পর্ক নেই। তারা ইসলামের মুখপাত্র নয় এবং তাদের কাজকে ইসলামের কাজ বলা সঠিক নয়। এ শ্রেণির লোকরা হচ্ছে,

(ক) আকীদাহ বিশ্বাস হতে বিভ্রান্ত ব্যক্তিরা। যেমন যারা কবরের পার্শ্বে তাওয়াফ করে। কবরবাষীর কাছে প্রয়োজন মিটানোর প্রার্থনা করে। কবরবাসী থেকে ভালমন্দ সংঘটিত হওয়া বিশ্বাস করে, ইত্যাদি।

(খ) চরিত্র ও ধর্মের দিক থেকে অধঃপতিত ব্যক্তিরা। তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরদ্ব পরিত্যাগ করে থাকে। যিনা, মদ্যপান প্রভৃতি নিষিদ্ধ কাজে নিমগ্ন হয়। আল্লাহর শত্রুদেরকে ভালবাসে। তাদের অনুকরণ করে।

(গ) এমন কিছু লোকও রয়েছে যারা ইসলামের নিন্দা করে অথচ তারা মুসলিম; তবে আল্লাহর উপর তাদের ঈমান দুর্বল। তাদের বাস্তব জীবনে ইসলামী শিক্ষার বাস্তবায়নও অসম্পূর্ণ। তারা কতিপয় ওয়াজিব পালনের ক্ষেত্রে অবহেলা করে তবে তারা তা পরিপূর্ণভাবে পরিত্যাগ করে না। তারা কতিপয় হারাম কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় তবে তা বড় শির্ক অথবা বিভিন্ন প্রকার কুফরীর স্তরে পৌঁছায় না। তারা নিকৃষ্ট হারাম অভ্যাস লালন করে, যার সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক তো নেই-ই বরং সেগুলোকে ইসলাম বড় গোনাহ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। যেমন-মিথ্যা, ধোঁকা দেওয়া, প্রতিশ্রুতি ভংগ, হিংসা প্রভৃতি। এরা সকলেই ইসলামের অমংগল সাধন করে। কেননা অমুসলিম যারা ইসলাম সম্পর্কে মূর্খ তারা ধারণা করে, ইসলাম তাদেরকে এগুলোর অনুমতি দিয়েছে।

দ্বিতীয় শ্রণি: ইসলামের শত্রুদের মধ্যে ইসলামের উপরে যারা আক্রমানাত্মক তারাও ইসলামকে নিন্দা করে। তন্মধ্যে রয়েছে প্রাচ্যবিদ, ইয়াহূদী ও খৃষ্টান ধর্ম প্রচারক এবং অনুরূপ লোকেরা, তারা ইসলামের শত্রু। ইসলাম পরিপূর্ণ ও ক্ষমাসুন্দর জীবন ব্যবস্থা হওয়ার কারণে দ্রুত প্রসারিত হওয়া তাদের মধ্যে গাত্রদাহ ছড়িয়ে দিয়েছে। কেননা ইসলাম স্বভাবগত দীন [শেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- ‘‘প্রতিটি নবজাতকই প্রকৃতি (ইসলাম) এর উপরে জন্ম নেয়। তাদের পিতামাতা তাদেরকে ইয়াহূদী অথবা খৃষ্টান অথবা অগ্নিপূজক বানায়।’’ এ বিশুদ্ধ হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, নিশ্চয় প্রতিটি মানুষ ইসলামী প্রকৃতির উপরেই জন্ম নেয় এবং প্রকৃতিগত দিক থেকে এর পরেই সে বিশ্বাস স্থাপন করে। যদি তাকে বেছে নেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হয় তাহলে সে পিছপা না হয়ে ইসলামকে গ্রহণ করবে। অপরদিকে ইয়াহূদী, খৃষ্টান ও অগ্নি উপাসনা প্রভৃতি ধর্ম ও বাতিল মতাদর্শকে যারা গ্রহণ করেছে, বস্তুত এটা প্রশিক্ষণ পাওয়ার কারণেই হয়েছে।] হওয়ায় শুধুমাত্র সামনে উপস্থাপনের সাথে সাথেই স্বভাবগত হওয়ার কারণে মানুষ তা গ্রহণ করে নেয়। প্রতিটি অমুসলিমই অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে এবং যে দ্বীন বা মতবাদকে সে গ্রহণ করে আছে তার উপরে অসন্তুষ্ট হয়েই দিন কাটাচ্ছে। কেননা আল্লাহ যে প্রাকৃতিক স্বভাব দিয়ে তাকে সৃষ্টি করেছেন এটি তার পরিপন্থী। তবে সত্যিকারের মুসলিম এত্থেকে ভিন্ন। কেননা তিনিই একমাত্র তার দ্বীনকে সন্তুষ্ট চিত্তে গ্রহণ করতে পেরেছেন। এর কারণ হচ্ছে ইসলাম সত্য ধর্ম, যা আল্লাহই প্রণয়ন-প্রবর্তন করেছেন। আর আল্লাহ প্রণীত বিধানই মানুষকে আল্লাহ যে স্বভাবের উপরে সৃষ্টি করেছেন তার সংগে সংগতিপূর্ণ।

এজন্য আমরা প্রতিটি খৃষ্টান, প্রতিটি ইয়াহূদী এবং অন্যান্য যারাই ইসলামের বাইরে রয়েছে তাদেরকে বলব, তোমার সন্তান-সন্ততি ইসলামের স্বভাবজাত দীনের উপরই জন্মগ্রহণ করেছে, কিন্তু তুমি এবং তাদের মা তাদেরকে খারাপ লালন-পালনের মাধ্যমে ইসলাম থেকে বের করে দিয়েছ, তাদেরকে কুফরির দিকে নিয়ে গেছ, সে কুফরি হচ্ছে ইসলাম ব্যতীত অন্য যত মত ও পথ।

প্রাচ্যবিদ ইয়াহূদী ও খৃষ্টান ধর্ম প্রচারকদের মধ্যে হিংসুকরা ইচ্ছা করেই ইসলাম ও সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর জঘন্য মিথ্যাচার করে থাকে।

কখনো তারা তাঁর রিসালাতকে মিথ্যা বলে

আবার কখনো তাঁর প্রতি দোষত্রুটি ও অপবাদ দিয়ে অহেতুক অভিযোগ নিয়ে এসেছে। অথচ তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্বাচিত একজন পরিপূর্ণ মানুষ, সকল দোষ ও অপূর্ণতা মুক্ত।

এছাড়াও সবজান্তা ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ কর্তৃক প্রণীত হওয়ার পরেও ইসলামের ইসাফপূর্ণ কিছু আহকামকে তারা বিকৃত করেছে, যাতে এত্থেকে লোক ঘৃণাভরে মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু আল্লাহ তাদের ষড়যন্ত্রকে বাতিল করেছেন। কেননা তারা সত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, আর সত্য সর্বোচ্চ, কোনো কিছুই তাত্থেকে উঁচু হতে পারে না।

আল্লাহ বলেন-

﴿ يُرِيدُونَ لِيُطۡفِ‍ُٔواْ نُورَ ٱللَّهِ بِأَفۡوَٰهِهِمۡ وَٱللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِۦ وَلَوۡ كَرِهَ ٱلۡكَٰفِرُونَ ٨ هُوَ ٱلَّذِيٓ أَرۡسَلَ رَسُولَهُۥ بِٱلۡهُدَىٰ وَدِينِ ٱلۡحَقِّ لِيُظۡهِرَهُۥ عَلَى ٱلدِّينِ كُلِّهِۦ وَلَوۡ كَرِهَ ٱلۡمُشۡرِكُونَ ٩ ﴾ [ الصف : ٨، ٩ ]

“তারা চায় নিজেদের মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর নূর নিভিয়ে ফেলতে। আর আল্লাহ তাঁর নূরকে পরিপূর্ণ করবেনই; কাফিররা যতই অপছন্দ করুক না কেন। তিনি তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীন সহকারে পাঠিয়েছেন যেন তিনি সকল দ্বীনের উপরে তাঁর দ্বীনকে বিজয়ী করেন। মুশরিকগণ (এটাকে) যতই অপছন্দ করুক না কেন।” (ছফ: ৮-৯)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন