hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শাশ্বত জীবন ব্যবস্থা (হক দীন)

লেখকঃ আশ-শাইখ আবদুর রহমান ইবন হাম্মাদ আ-লে উমার

২২
ইহরামের জন্য করণীয়
ইহরামের পূর্বে পরিষ্কার হওয়া পবিত্র, হওয়া ও সুগন্ধি ব্যবহার করা মুস্তাহাব। অতঃপর মীকাতে গিয়ে ইহরামের কাপড় পরিধান করবেন। বিমানের যাত্রী নিজের দেশ হতেই প্রস্তুতি নিয়ে আসবেন। অতঃপর যখন মীকাতের নিকটবর্তী হবেন তখন নিয়ত বেঁধে নিবেন ও তালবীয়াহ পাঠ করবেন। পুরুষের ইহরামের কাপড় হচ্ছে সেলাইবিহীন একটি চাদর ও একটি লুংগি। শরীর এ দু’টি দিয়ে ঢাকবেন তবে নিজের মাথা ঢাকবেন না। অপরদিকে মহিলাগণের ইহরামের জন্য নির্ধারিত কোনো পোষাক নেই। তবে তাদের জন্য সদাসর্বদা প্রশস্ত কাপড় যা দ্বারা আবৃত হওয়ার পর কেউ দেখলেও ফিতনামুক্ত থাকে; তা পরিধান ওয়াজিব। ইহরামের সময় তাদের চেহারা ও দুহাতের উপরে সেলাইকৃত কিছু যেমন সেলাই করা মুখের পর্দা ও হাত মোজা পরিধান বৈধ নয়। অবশ্য যখন তারা কোনো পুরুষদেরকে দেখবেন তারা মাথার উপরে রাখা উড়না দিয়ে উম্মাহাতুল মুমেনীন ও রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মহিলা ছাহাবীদের মত সমগ্র মুখমণ্ডল আবৃত করবেন।

অতঃপর যখন হাজ্জী সাহেব ইহরাম বাঁধবেন, মনে মনে ওমরার নিয়ত করবেন। এরপর এ বলে তালবীয়াহ পাঠ করবেন যে, ‘আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা উমরাতান’ “হে আল্লাহ ওমরা অবস্থায় আমি আপনার সকাশে উপস্থিত।” আর এ উমরা দ্বারা তামাত্তু হজ্বের কর্মকাণ্ডে উপনীত হবে। বস্তুত এ তামাত্তুই উত্তম প্রকার হজ্জ। কেননা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার ছাহাবীদের (রা) এরূপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তাদের বাধ্য করেছিলেন। এমনকি যারা তাঁর এও নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে পিছপা হচ্ছিলেন, তাদের প্রতি তিনি রাগাম্বিত হয়েছিলেন। তবে যাদের সাথে হাদির পশু থাকবে তারা ক্বিরান অবস্থায় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মত ইহরাম না খুলে অপেক্ষা করবেন। ক্বিরানকারী (ওমরা ও হজ্জ এক ইহরামে পালনকারী) তাকে বলা হয়, যিনি তাঁর তালবীয়াতে বলবেন- “আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা উমরাতান ওয়াহাজ্জান”। (হে আল্লাহ আপনার কাছে উমরা ও হজ্জ অবস্থায় উপস্থিত হয়েছি।) কুরবানীর দিন কুরবানীর পশু জবেহ করা ব্যতীত তিনি তার ইহরাম পরিত্যাগ করবেন না। আর মুফরিদ হজ্জকারী হিসেবে তিনিই বিবেচিত হবেন যিনি ইহরামের নিয়ত বাঁধার সময় শুধু হজ্জের নিয়ত করবেন এবং বলবেন, ‘আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা হাজ্জান’ (হে আল্লাহ, আমি হজ্জে উপনীত হয়ে আপনার দরবারে হাজীর)।

মুহরিমের উপর যা যা হারাম:

মুহরিম তথা ইহরাম বাঁধার পর যে সব বস্তু হারাম হয়ে যায়, তা হচ্ছে:

১. সহবাস ও তার আনুষঙ্গিক বিষয়াদি যেমন চুমু, যৌন উত্তেজনা সহকারে স্পর্শ, যৌন কথাবার্তা, বিয়ের প্রস্তাব দান, বিয়ে পড়ানো। ইহরামকারী নিজের বিয়ে করতে পারবেন না, অন্যকে বিয়ে করাতেও পারবে না।

২. চুল মুণ্ডন করা বা তা থেকে কিছু অংশ কাটা।

৩. নখ কাটা।

৪. মাথায় লেগে থাকা এমন কিছু দিয়ে মাথা ঢাকা। তবে ছাতা, তাঁবু ও গাড়ি দ্বারা ছায়া লাভ নিষিদ্ধ নয়।

৫. সুগন্ধি মাখা ও সুগন্ধের ঘ্রাণ নেওয়া।

৬.স্থলজ প্রাণী শিকার করা। সুতরাং তিনি নিজে শিকার করবেন না, কাউকে শিকার দেখিয়েও দিবেন না।

৭.পুরুষেরা সেলাইকৃত পোষাক এবং মহিলারা মুখে ও দুহাতে সেলাইকৃত কিছু পরিধান করবেন না। পুরুষেরা স্যান্ডেল পরবেন। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে মোজা পরতে পারেন।

অতঃপর যখন ইহরামকারী কা‘বাতে পৌঁছাবেন তখন ‘হাজরে আসওয়াদ’ থেকে শুরু করে তাওয়াফে কুদুমের সাত চক্রের মাধ্যমে তা প্রদক্ষিণ করবেন। এটা হচ্ছে তার উমরার তাওয়াফ। তাওয়াফের জন্য কোনো দো‘আ নির্দিষ্ট নেই। আল্লাহর যিকির করবেন এবং যা আপনার জন্য সহজ হয়, সেই দো‘আ করবেন। [তবে দুই রুকনের মাঝখানে হাদীছে যা বর্ণিত হয়েছে তাই বলবেন। তা হচ্ছে, ﴿رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ حَسَنَةٗ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ٢٠١ ﴾ [ البقرة : ٢٠١ ] ‘‘হে আমাদের রব! দুনিয়ায় আমাদের মঙ্গল ও আখিরাতে আমাদের মঙ্গল দান করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচান।’’ [সূরা আল-বাকারাহ: ২০১]] অতঃপর সম্ভব হলে মাকামে ইব্রাহীমের পিছনে অন্যথায় হারামের যে কোনো জায়গায় দুই রাক‘আত তাওয়াফের ছালাত আদায় করবেন। এরপর সা‘ঈর জায়গার দিকে যাবেন এবং ছাফা থেকে (সা‘ঈ) শুরু করবেন।

সাফার উপরে উঠবেন, কেবলামুখী হবেন। তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলবেন, তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) পড়বেন, দো‘আ করবেন। অতঃপর মারওয়ার দিকে সা‘ঈ করবেন। এরপর মারওয়াতে আরোহন করবেন। কিবলামুখী হবেন। তাকবীর বলবেন। আল্লাহর যিকির করবেন। দো‘আ করবেন। এরপর সাফার দিকে প্রত্যাবর্তন করবেন। এভাবে যাওয়াকে একবার এবং আসাকে আর একবার ধরে সাতবার সা‘ঈ পূর্ণ করবেন। পরে মাথার চুল ছোট করবেন। মহিলারা চুলের পার্শ্ব হতে এক আঙ্গুলের মাথা পরিমাণ ছোট করবেন। এর মধ্যে দিয়ে তামাত্তু হাজী সাহেবের ওমরাহ সম্পন্ন হল ও ইহরাম থেকে হালাল হয়ে গেলেন। ইহরামের কারণে তার উপরে যা হারাম ছিল, তা হালাল হয়ে গেল। যদি মহিলা ইহরাম বাঁধার পূর্বে বা পরে হায়েযগ্রস্তা হন বা বাচ্চা প্রসব করেন তাহলে তিনি ক্বারীন হাজী বলে গণ্য হবেন এবং অন্যান্য হাজীদের মত ইহরাম বাঁধার পরে ওমরাহ ও হজ্জের তালবীয়াহ পড়বেন। কেননা হায়েয ও নিফাস ইহরাম বাঁধা বা মাশায়েরে (মিনা, আরাফাহতে) অবস্থানকে নিষিদ্ধ করে না। শুধুমাত্র তাওয়াফ করা হতে নিষিদ্ধ করে। সুতরাং তিনি তাওয়াফ ব্যতীত সমগ্র হাজীগণ যা করেন তাই করবেন এবং তাওয়াফ করার জন্য তিনি পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। যদি মানুষদের হজ্জের ইহরাম বাঁধা ও মিনার দিকে বের হয়ে যাওয়ার পূর্বে তিনি পবিত্রতা অর্জন করেন, তাহলে গোসল করবেন। তাওয়াফ করবেন, সা‘ঈ করবেন, চুল ছোট করবেন এবং ওমরার ইহরাম হতে হালাল হবেন। পরে অষ্টম তারিখে যখন মানুষেরা হজ্জের ইহরাম বাঁধেন তিনিও তাদের সাথে হজ্জের ইহরাম বাঁধবেন। যদি তার পবিত্রতা অর্জনের পূর্বেই মানুষেরা হজ্জের ইহরাম বাঁধেন তাহলে তিনি ক্বারিন হাজী হিসাবে তাদের সাথে ইহরাম অবস্থায় তালবিয়াহ পড়বেন এবং অন্যান্যদের মত মিনাতে যাওয়া, আরাফাতে ও মুযদালিফাতে অবস্থান, পাথর নিক্ষেপ (রমী করা), হাদি যবাই করা, ঈদের দিনে চুল ছোট করা সব কিছুই করবেন। অতঃপর যখন তিনি পবিত্র হবেন, গোসল করবেন, হজ্জের তাওয়াফ ও সা‘ঈ করবেন। এ তাওয়াফ ও সা‘ঈই তার ওমরাহ ও হজ্জের জন্য যথেষ্ট হবে। যেমনটি হয়েছিল উম্মুল মুমিনীন আয়িশা (রা) এর জন্য। নবী (আ) তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, যখন সে মানুষদের সাথে তাওয়াফে ইফাদ্বাহ করেছে, তখন পবিত্রতা অর্জনের পরে তার তাওয়াফ ও সা‘ঈ হজ্জ ও ওমরাহর জন্য যথেষ্ট। কেননা কিরান হাজ্জীর জন্য শুধুমাত্র এক তাওয়াফ ও এক সা‘ঈ করতে হয়, যেমনি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অনুমোদন দিয়েছেন। অন্য হাদীসে বর্ণিত তাঁর কাজ ও কথা এ কথারই সমর্থন দেয়। তিনি বলেন, “কিয়ামত পর্যন্ত হজ্জের মধ্যে ওমরাহ প্রবেশ করেছে।” আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।

অতঃপর যখন জুলহাজ্জ মাসের অষ্টম তারিখ আসবে, হাজ্জী সাহেবান তাদের মক্কায় অবস্থানের স্থান হতে হতে মীকাতে যেভাবে ইহরাম বেঁধেছিলেন সেভাবে ইহরাম বাঁধবেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অর্জন করবেন, এরপর ইহরামের কাপড় পরবেন এবং হাজ্জী পুরুষ হউক বা মহিলা; হজ্জের নিয়ত করবেন এবং এ বলে তালবীয়াহ পড়তে থাকবেন, “আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা হাজ্জান” (হে আল্লাহ, আমি হজ্জের অবস্থায় আপনার সামনে উপস্থিত।) এরপর কুরবানীর দিন মুযদালিফা থেকে মিনায় ফিরে ‘আকাবাতে পাথর নিক্ষেপের পরে পুরুষরা মাথা ও মহিলাদের চুল না ছাটা পর্যন্ত পূর্বে বর্ণিত ইহরামের অবস্থায় অবৈধ সকল কিছু থেকে বিরত থাকতে হবে।

যখন হাজ্জী সাহেব অষ্টম তারিখে ইহরাম বাঁধবেন, তখন সকল হাজ্জী সাহেবদের সাথে মিনায় যাবেন। সেখানে রাত্রি যাপন করবেন এবং প্রতি ওয়াক্তের ছালাত নির্দিষ্ট সময়ে একত্রিত না করে কছরের সাথে আদায় করবেন। অতঃপর আরাফার দিন সূর্য উঠলে হাজ্জীদের সাথে নামিরাহ এর উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। অতঃপর সেখানে ইমামের সাথে অথবা যেখানে তিনি আছেন সেখানে জমাতের সাথে যোহর ও আছরের ছালাত একত্রে কসর করে আদায় করবেন। অতঃপর সূর্য ঢলে যাওয়ার পরে আরাফার দিকে রওয়ানা দিবেন। তবে যদি কেউ মিনা থেকে সরাসরি আরাফার মাঠের দিকে রওয়ানা দিয়ে আরাফার মাঠেই অবস্থান করেন সেটাও জায়েয হবে। আর আরাফার সমস্ত জায়াগায়ই অবস্থানের স্থান।

আরাফাতে হাজ্জীগণ বেশি বেশি আল্লাহর যিকর দো‘আ ও গোনাহ ক্ষমা চাইতে থাকবেন। এ সময় কিবলাহমুখী হবেন, পাহাড়মুখী নয়। কেননা পাহাড় আরাফাতের অংশ ব্যতীত কিছু নয়। ইবাদতের উদ্দেশ্যে সেখানে আরোহণও ঠিক নয়। এর পাথর স্পর্শ করা (বরকতের জন্য) জায়েয নয়। কেননা এটি হারাম ও বিদ‘আত।

সূর্যাস্ত না হওয়া পর্যন্ত হাজী সাহেবগণ মুদালিফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন না। তারপর যখন সূর্য ডুবে যাবে তখন তারা মুযদালিফার দিকে রওয়ানা করবেন। যখন সেখানে পৌঁছে যাবেন তখন মাগরিব ও ‘ইশার ছালাত একত্রে পড়বেন। ‘ইশাকে কছর করবেন। সেখানে রাত্র অতিবাহিত করবেন। যখন প্রভাত হবে ফজরের ছালাত আদায় করবেন। আল্লাহর যিকর করবেন, অতঃপর মিনার দিকে সূর্য উদয়ের পূর্বে রওয়ানা দিবেন, যখন মিনাতে পৌঁছবেন, সূর্য উদয়ের পরে জামরাতুল ‘আকাবাতে বুটের আকারের চেয়ে ছোটও নয় বড়ও নয়, এমনি সাতটি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সেখানে স্যান্ডেল নিক্ষেপ জায়েয নয়। কেননা এ রকম খেলা করতে শয়তান উদ্বুদ্ধ করে। শয়তানের অপমান তো তখনই হবে যখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নির্দেশনা ও তারা রাস্তা অনুসরণ এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যা নিষেধ করেছেন তা বর্জন করা হবে। (জুতা নিক্ষেপের মাধ্যমে নয়)

অতঃপর পুরুষ চুল মুণ্ডন করবেন এবং মহিলারা চুল ছোট করবেন। পুরুষরা যদি চুল ছাটেন, তবে তাও জায়েয হবে, কিন্তু চুল মুণ্ডন করা তিনগুণ উত্তম। অতঃপর নিজস্ব কাপড় পরিধান করবেন এবং এ সময় তার জন্য ইহরামের কারণে যা যা হারাম ছিল শুধুমাত্র স্ত্রী সহবাস ব্যতীত সবই হালাল হয়ে গেল। অতঃপর মক্কায় গিয়ে হজ্জের তাওয়াফ ও সা‘ঈ সম্পন্ন করবেন। এর মাধ্যমে সকল কিছু এমন কি স্ত্রী পর্যন্ত তার জন্য হালাল হয়ে গেল। অতঃপর তিনি মিনাতে প্রত্যাবর্তন করবেন। ঈদের দিন ও পরের দুইদিনের রাতসহ সেখানে বাধ্যতামূলকভাবে রাত যাপন করবেন। একাদশ ও দ্বাদশ দিনে তিনটি জামরাতে সূর্য ঢলে যাওয়ার পরে পাথর নিক্ষেপ করবেন। ছোট জামরাহ, যেটি মিনার সাথেই অবস্থিত, সেখান থেকে পাথর নিক্ষেপ শুরু করবেন। তারপর মধ্যমাটি তারপর বড়টিতে পাথর নিক্ষেপ করবেন। প্রত্যেকটিতে সাতটি করে পাথর নিক্ষেপ করতে হবে। প্রতিটি পাথর নিক্ষেপের সময় তাকবীর বলবেন। নিক্ষেপের পাথরসমূহ মিনায় অবস্থানের জায়গা হতে সংগ্রহ করবেন। যদি কেউ মিনায় জায়গা না পান তবে তাঁবু যেখানে তাকে রেখেছে সেখানে তিনি অবস্থান করবেন।

অতঃপর যদি কেউ দ্বাদশ দিনে পাথর নিক্ষেপ করে পরে মিনা পরিত্যাগ করতে চান; করতে পারেন। যদি ত্রয়োদশ দিন পর্যন্ত কেউ অপেক্ষা করেন তাহলে তা উত্তম। এদিনেও সূর্য ঢলে যাওয়ার পরেই পাথর নিক্ষেপ করতে হবে। যদি তিনি সফরের ইচ্ছা করেন, কা‘বায় তাওয়াফে ওদা‘ বা বিদায়ী তাওয়াফ করবেন। এর পরেই তাড়াতাড়ি সফর করবেন। হায়েয ও নিফাসগ্রস্তা মহিলা যদি হজ্জের তাওয়াফ ও সা‘ঈ করে থাকেন তাহলে তার জন্য তাওয়াফে ওদা‘ না করলেও চলবে।

যদি হাজ্জী সাহেব তার কুরবানীর পশু একাদশ কিংবা দ্বাদশ কিংবা ত্রয়োদশ দিন পর্যন্ত যবেহ করতে অপেক্ষা করেন, তবে তা জায়িয হব। যদি কেউ হজ্জের তাওয়াফ ও সা‘ঈ করতে সর্বশেষ মিনা ছেড়ে আসা পর্যন্তও দেরী করেন, তবে তাও তার জন্য বৈধ হবে। অবশ্য যা পূর্বে বর্ণিত হয়েছে, সেটাই উত্তম। আল্লাহ সবচেয়ে বেশি জানেন। আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর হে আল্লাহ, দুরূদ ও সালাম বর্ষণ করুন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন