মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিজের ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ও ইসলামের স্তম্ভসমূহের উপরে ঈমান আনার পাশাপাশি তার ফিরিশতা [ফিরিশতা: ঐ সমস্ত আত্মা [ও দেহ], যাদেরকে আল্লাহ তা’আলা [সৃষ্ট] নূর হতে সৃষ্টি করেছেন। তারা অসংখ্য। আল্লাহ ব্যতীত তাদের কেউ গণনা করতে পারে না। তাদের কেউ কেউ আসমানে অবস্থান করছেন, কেউ কেউ আদম সন্তানদের তত্ত্বাবধান করছেন।] ও তাঁর রাসূলগণের উপরে অবতীর্ণ কিতাবসমূহের [অর্থাৎ আল্লাহ তাঁর রাসূলগণের উপরে যে সমস্ত কিতাব অবতীর্ণ করেছেন তা সত্য। তন্মধ্যে শুধু কুরআন ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই। অপরদিকে ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের হাতে যা বিদ্যমান তা তাদেরই রচিত; কারণ তা মতভেদপূর্ণ এবং সেখানে তাদের উক্তি ‘‘ইলাহ তিনজন’’ ‘‘ঈসা আল্লাহর পুত্র’’। কেননা নিশ্চয় ইলাহ এক, তিনি হলেন আল্লাহ এবং ঈসা নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। যেমন কুরআনে এসেছে। সেখানে আল্লাহর এ বাণী উল্লেখ হয়েছে যে, কুরআন সকল কিছুকেই রহিত করেছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা ওমর (রা) এর হাতে তাওরাতের একটি পৃষ্ঠা দেখে রাগান্বিত হন এবং বলেন, হে খাত্তাব পুত্র, তুমি কি সন্দেহে রয়েছ? আল্লাহর শপথ যদি আমার ভাই মুসা জীবিত থাকতেন, তাহলে তিনি আমার আনুগত্য করা ছাড়া অন্য কিছু করার চেষ্টা করতেন না। তখন ওমর পৃষ্ঠাটি ছুঁড়ে ফেললেন ও বললেন, ‘‘হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।’’] উপর ঈমান আনা ফরয করেছেন, যে কিতাবসমূহের শেষ কিতাব ছিল কুরআন, যা দিয়ে আল্লাহ অন্যান্য সব কিছুকে রহিত করেছেন, যাকে অন্যান্য কিতাবের শুদ্ধাশুদ্ধি নিরূপনের মানদণ্ড নির্ধারণ করেছেন। আরও ফরয করেছেন আল্লাহর রাসূলগণের প্রথম থেকে নিয়ে শেষ রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পর্যন্ত সকলের প্রতি ঈমান আনা। কেননা তাদের রিসালাত হচ্ছে এক। তাদের দ্বীন হচ্ছে এক, আর তা হচ্ছে ইসলাম। তাদের প্রেরণকারীও এক। তিনি হচ্ছেন বিশ্বজগতের রব্ব। সুতরাং মুসলিমের ঈমান আনা উচিত যে, কুরআনে আল্লাহ যে সমস্ত রাসূলদের উল্লেখ করেছেন, তাঁরা পূর্ববর্তী উম্মতের কাছে আল্লাহর পাঠানো রাসূল ছিলেন। আরো ঈমান আনতে হবে যে, নিশ্চয় মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর শেষ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং তাকে বিশ্বের সমগ্র মানুষের নিকট পাঠানো হয়েছে। তাঁকে পাঠানোর পরে সকল মানুষই এমনকি ইয়াহূদী, খৃষ্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীগণও তাঁর উম্মত। কেননা মাটির উপরে সকল মানুষই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উম্মত এবং তার অনুসরণ তাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয়।
যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুরসণ করে না এবং ইসলামে প্রবেশ করে না তাদের সাথে মূসা (আ) ও ঈসা (আ) ও অন্যান্য রাসূলগণের কোনো সম্পর্ক নেই। কেননা মুসলিম মাত্রই সকল রাসূলের উপর ঈমান আনে, তাদের অনুসরণ-অনুকরণ করে। তাই যে কেউ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর ঈমান আনবে না, তাঁকে অনুসরণ করবে না, দ্বীন ইসলামে প্রবেশ করবে না, সে সকল রাসূলকে অস্বীকার করল, তাঁদের প্রতি মিথ্যা আরোপ করলো, যদিও সে তাদের কোনো একজনের উপর ঈমান আনার দাবীদার হয়ে থাকে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে এ সম্পর্কে আল্লাহর কালাম থেকে প্রমাণাদি পেশ করা হয়েছে।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর হাদীসে বলেন-
«والذي نفسي بيده لا يسمع بي أحد من هذه الأمة يهودي أو نصراني ثم يموت ولم يؤمن بالذي أُرسلت به إلا كان من أصحاب النار»
“যার হাতে আমার আত্মা তাঁর শপথ, এ উম্মতের মধ্যে ইয়াহূদী হোক বা খৃষ্টান হোক যে আমার সম্পর্কে শুনল অতঃপর আমি যা নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছি তার ঊপরে ঈমান আনল না, সে জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে গণ্য হবে।” (সহীহ মুসলিম)
অনুরূপভাবে আরও ঈমান আনা ওয়াজিব হচ্ছে, মৃত্যুর পরে পুনরুত্থান, হিসাব কিতাব, প্রতিফল প্রাপ্তি, জান্নাত ও জাহান্নামের উপর। তদ্রূপ আরও ওয়াজিব হচ্ছে তাকদীরের উপর ঈমান আনয়ন করা।
আর তাকদীরের প্রতি ঈমান আনার অর্থ হচ্ছে, মুসলিম এ আকীদা বিশ্বাস পোষণ করবেন যে, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা সকল কিছু জানেন। তিনি বান্দার কর্ম সম্পর্কে আসমান জমিন সৃষ্টির পূর্বেই জানেন। এ জানা জিনিসকে তিনি তার নিকট লাওহে মাহফুজে লিখে রেখেছেন। মুসলিম এটিও জানবেন যে, আল্লাহ যা চান তাই হয়। যা চান না, তা হয় না। আর এটাও বিশ্বাস করা যে, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদেরকে তাঁরই আনুগত্য করার জন্য সৃষ্টি করেছেন, আর আনুগত্য কি তাদেরকে তাও বর্ণনা করেছেন। আনুগত্য করতে নির্দেশ দিয়েছেন ও গুনাহের কাজ করতে নিষেধ করেছেন এবং গুনাহের কাজ কি তাও বর্ণনা করেছেন। তিনি তাদেরকে এ সামর্থ্য ও ইচ্ছা শক্তি দান করেছেন যে, তারা আল্লাহর নির্দেশিত কাজ করে সাওয়াবের অধিকারী হতে পারে। অনুরূপভাবে আল্লাহর নিষেধকৃত কাজকে আঞ্জাম দিয়ে শাস্তির অধিকারীও হতে পারে।
তবে বান্দাদের এ ইচ্ছাশক্তি আল্লাহর ইচ্ছাশক্তিরই আওতাধীন। অপরদিকে যে সমস্ত কাজ করতে আল্লাহ বান্দাহদেরকে ইচ্ছাশক্তি ও ইখতিয়ার দেন নি, তার পরে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের থেকে এ কাজ হয়ে থাকে যেমন ভুল করে কিছু করা, কোনো কিছু করতে ভুলে যাওয়া, কোনো কিছু করতে বাধ্য করা, যেমন দারিদ্রতা, রোগ বালামুছিবত প্রভৃতি সম্পর্কে আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করবেন না এবং সাজাও দিবেন না, বরং বালা-মুছিবত দারিদ্রতা ও রোগে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত তাকদীরের উপর খুশী থেকে ধৈর্য ধারণ করলে, বড় পুরস্কার দান করবেন। এ পর্যন্ত যা বর্ণিত হল এর প্রতিটির উপর ঈমান আনা মুসলিমের উপর ওয়াজিব।
আর মুসলিমদের মধ্যে আল্লাহর উপর সবচেয়ে বড় ঈমানদার, তাঁর সবচেয়ে নৈকট্যপ্রাপ্ত লোক ও জান্নাতে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী হচ্ছে আল্লাহর মুহসিন বান্দাগণ। যারা যারা এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করেন, তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করেন, তার ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত থাকেন, যেন তারা তাঁকে দেখছেন। আর তারা প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে তাঁর নাফরমানী করেন না। তারা এ বিশ্বাস পোষণ করেন যে, যেখানেই তারা থাকুন না কেন তিনি তাদেরকে দেখেন। তাদের কাজ, কথা ও নিয়ত থেকে কিছুই তার কাছে অপ্রকাশ্য থাকে না। তাই তারা তাঁর নির্দেশের আনুগত্য করেন, তাঁর নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডকে পরিত্যাগ করেন। যখন তাদের কেউ আল্লাহর নির্দেশের বিরোধিতা করে পাপে লিপ্ত হয়, তা থেকে আল্লাহর কাছে তাড়াতাড়ি সত্য সঠিক তওবাহ করেন এবং কৃত গোনাহের কারণে লজ্জিত হন। আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফ চান ও ঐ কাজ পুনরাবৃত্তি করেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-
“যারা তাকওয়া অর্জন করেছে ও সৎকর্মশীল, (মুহসিন) আল্লাহ তাদের সাথে আছেন।” (জ্ঞানে এবং সাহায্য-সহযোগিতায়) (সূরা নাহল-১২৮)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/58/23
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।