hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে মানবাধিকার

লেখকঃ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

২৯
কতিপয় স্বাধীনতা ও পর্যালোচনা: ১) অর্থনৈতিক স্বাধীনতা:
ইসলামী শরীয়ত সমগ্র মানব জাতির জন্য যে সকল স্বাধীনতার বিষয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে সেগুলোর মধ্যে একটি হল, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। তবে শর্ত দিয়েছে যে, এই সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে তা এমন কাজে ব্যবহার করবে যাতে তার নিজের উপকার হয়। আর এমন কাজে সে সম্পদ ব্যায় করতে পারবে না যে কারণে সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

কেউ যদি তার সম্পদ নষ্ট করে তবে ইসলাম তার জন্য সম্পদ ব্যায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। ইসলামী ফিকহ শাস্ত্রে بَابُ الْحَجرِ বা "সম্পদ ব্যয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ”" প্রসঙ্গে প্রসিদ্ধ একটি অধ্যায় রয়েছে। কোন মানুষ যদি নিজস্ব প্রয়োজনে বা তার সন্তান-সন্তুতির প্রয়োজনে অর্থ-সম্পদ ব্যায় না করে বরং খেয়াল-খুশি অনুযায়ী সম্পদ খরচ করে অথচ তার পরিবার অর্থাভাবে দিনাতিপাত করে-এ পরিস্থিতিতে তার সন্তান-সন্তুতি ও আত্মীয়-স্বজনগণ ইসলামী সরকারের নিকট অভিযোগ দায়ের করলে সরকার সে ব্যক্তির সম্পদ ব্যয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে।

অনুরূপভাবে, কোন এতিম শিশু যদি উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদের মালিক হয় তাহলে এ কথা বলা যাবে না যে, সে যেহেতু অনেক সম্পদের মালিক সুতরাং এই আট/দশ বছরের শিশু তার ইচ্ছামত গাড়ি কিনবে, যেখানে খুশি ঘুরে বেড়াবে আর মন মত অর্থ ব্যায় করবে!! না, তা হবে না। বরং কথা হল, ইসলামী শরীয়ত এই এতিম শিশুর জন্য অভিভাবক নির্ধারণ করেছে। অভিভাবক শিশুর প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পদ খরচ করবে।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

فَإِنْ آنَسْتُم مِّنْهُمْ رُشْدًا فَادْفَعُوا إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ

“যদি তাদের (এতিম শিশু) মধ্যে বিচার-বুদ্ধি আঁচ করতে পার, তবে তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার।” [সূরা নিসা/৬]

ইসলাম মানুষকে অর্থনৈতিক ভাবে অনেক স্বাধীনতা দিয়েছে। সে বৈধভাবে যে কোন অর্থ-সম্পদের মালিক হতে পারে। সে বৈধভাবে তার সম্পদ যেভাবে খুশি সেভাবে ব্যবহার করতে পারে। ঋণ দিবে, ঋণ নিবে, উপার্জন করবে, সম্পদ নিয়ে যেখানে খুশি সেখানে যাবে যদি তা শরীয়তের সীমারেখার মধ্যে হয় বা যদি সেটা তার নিজস্ব প্রয়োজন বা তার পরিবার পরিজনের দরকারে খরচ করে। কিন্তু যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তবে তার সে অধিকার খর্ব করা হবে।

সম্পদ তার মালিকানায় থাকার পরও কেন ব্যায়ের ক্ষেত্রে তার পূর্ণ স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়া হল? উত্তর হল, যদি তাকে যেভাবে খুশি সেভাবে সম্পদ ব্যবহারের অধিকার দেয়া হয় তবে সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। মানুষ যখন নিজের ক্ষতি করতে চাইবে তখন অন্যান্য সকল মুসলিমের উপর আবশ্য হবে তার কল্যাণের দিকে লক্ষ্য রাখা। কেননা, ইসলামী শরীয়তে মুসলিমগণ একে অপরের ভাই। একে অপরের কল্যাণ কামনা করবে এবং একে অপরকে সাহায্য করবে। [যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, আমর ইবনে শুয়াইব রা. হতে বর্ণিত। তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তার পিতা তার দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মুসলিমদের সকলের রক্ত (কিসাস বা রক্তপণ ইত্যাদিতে) সমান। আর মুসলিমদের একজন সর্বনিম্ন শ্রেণীর (দাস)ও যদি কোন কাফিরকে নিরাপত্তা দেয় তবে অন্য সকল মুসলিমগণ তা পালন করবে। দূরের কোন মুসলিম যদি কোন কাফিরকে আশ্রয় দেয় তবে (সেই কাফিরের বাড়ির পাশের ব্যক্তিও) তা পালন করবেন। মুসলিমগণ (সহযোগিতার ক্ষেত্রে) পরষ্পরের জন্য হবে তাদের (শত্রুদের বিরুদ্ধে) একটি হাতের মত।” (সুনান আবু দাউদ/২৭৫১)]

সুতরাং কোন মানুষের জন্য দুনিয়া কিংবা আখিরাতে ক্ষতি সাধন করবে এমন কোন ক্ষেত্রে সম্পদ নষ্ট করার কোন সুযোগ নেই।

তাহলে দেখা যাচ্ছে, ইসলামে সম্পদ খরচের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা না থাকার দিকটি খুব কম বরং স্বাধীনতার দিকটিই বেশী। মানুষ যেভাবে খুশি সম্পদ খরচ করতে পারে যদি তা শরীয়ত অনুমদিত ক্ষেত্রে হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন