hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে মানবাধিকার

লেখকঃ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

৩২
তথাকথিত রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং বাস্তবতা:
প্রথম কথা হল, এই তথাকথিত রাজনৈতিক স্বাধীনতা, সংসদ এবং তাদের বেঁধে দেয়া সিস্টেম অনুযায়ী নির্বাচন..এ সব তারা নিজেরাই সর্বত্র বাস্তবায়ন করে না।

দ্বিতীয়ত কথা হল, এর মাধ্যমে কেবল জনগণকে খুশি করা ছাড়া দেশের কোন কল্যাণ হয় না।

তবে এর মাধ্যমে কার্যত লাভবান হয়, ক্ষমতার মসনদে আরোহী এবং তার সাথে সম্পৃক্ত কতিপয় ব্যক্তিবর্গ। অথচ এরা দেশের সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি নয়। কিন্তু সাধারণ জনগণ যেভাবে চেয়েছে সেভাবেই হয়েছে!!

পশ্চত্যের পরিভাষা অনুযায়ী রাজনৈতিক স্বাধীনতার সাথে আরেকটি বিষয় সম্পৃক্ত। তা হল, দেশের যে কোন শ্রেণীর মানুষ দল গঠন করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারে। আর দলের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা দেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করবে। এই কারণে, প্রাচ্য ও পশ্চাত্যের দেশগুলোতে সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী ও বিপরীত মূখী বহু দল-উপদল রয়েছে। যেমন, ডেমক্রাটিক পার্টি, রিপাবলিকান পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, লেবার পার্টি ইত্যাদি।

নির্বাচনে সব দল প্রতিদন্দ্বিতা করে। তারপর কোন এক দল বিজয়ী হলে তারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গী, রাজনৈতিক আদর্শ, বিচার ও আইনগত মতাদর্শ ইত্যাদি দেশে বাস্তবায়ন করে। তাই দেখা যায়, যখন একদল অন্য দলের উপর বিজয়ী হয় তখন দেশের সর্ব সাধারণ সেই দলের সব দৃষ্টিভঙ্গী ও দেশ পরিচালনার নীতির উপর সন্তুষ্ট থাকে না। যারা সে দলের সাথে সম্পৃক্ত কেবল তারাই খুশি থাকে আর অন্যরা চায় এই দল যেন, পরবর্তীতে আর ক্ষমতায় না আসে। বরং তারা শাসক দলের বিভিন্ন কার্যক্রম ও দৃষ্টিভঙ্গীর সমালোচনা ও বদনাম করতে থাকে।

পশ্চাত্যের বেঁধে দেয়া নিয়ম অনুযায়ী যদি দেশে ‘রাজনৈতিক স্বাধীনতা’ প্রতিষ্ঠিত হয় তবে এতে দেশে রাজনৈতিক প্রতিদন্দ্বিতা সৃষ্টি হয় যা দেশকে এক ও অভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গীর দিকে নিয়ে যায় না। রাষ্ট্রের কার্যক্রম সর্ব শ্রেণীর মানুষকে সন্তুষ্ট করতে পারে না। বরং দেখা যায়, রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের নামে একদল ক্ষমতায় যাওয়ার পরও তা গ্রহণযোগ্যতা পায় না।

আপনাদের সামনে এর সুষ্পষ্ট উদাহরণ রয়েছে। যেমন, আলজেরিয়া এবং তুরস্কের কতিপয় ইসলামী দল গণভোটে বিজয়ী হলেও রাষ্ট্র তা মেনে নেয় নি। কারণ ক্ষমতাসীনরা হল, সামরিক পন্থী। তারা গণতন্ত্র চায়, মানবাধিকার চায় কিন্তু ইসলামপন্থীরা বিজয়ী হলে তখন তাদের নিকট তারা আর গ্রহণযোগ্যতা পায় না।

এই জন্যই বলি, হিউম্যান রাইটস, জাতিসংঘ এমন কি পশ্চাত্যের দেশগুলোও তাদের ঘোষণা অনুযায়ী মানবাধিকার বাস্তবায়ন করে নি। বরং অনেক মৌলিক বিষয়গুলো থেকেও তারা সরে এসেছে যেগুলোর ব্যাপারে তারা আগে হাঁক-ডাক করত। কথিত ‘রাজনৈতিক স্বাধীনতা’র ক্ষেত্রে পশ্চাত্যের দেশগুলো, জাতিসংঘ, কাফের এবং মুনাফিক গোষ্ঠি যে পরিমাণ ‘মানবাধিকার’ লঙ্ঘণ করেছে আলোচনা করতে গেলে তার ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে!

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন