hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে মানবাধিকার

লেখকঃ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

৩৮
মোটকথা
আমরা বলব, ইসলামী শরীয়তের আবির্ভাব ঘটেছে সকল শ্রেণীর মানুষের অধিকার রক্ষার উদ্দেশ্যে। পিতা, পুত্র, স্বামী, স্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রধান, সাধারণ জনগণ, বিচারক, বিচার প্রার্থী, আমীর-ফকির, স্বাধীন, দাস, পুরুষ বা নারী সবার জন্য।

ইসলাম সকল শ্রেণীর মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছে। পিতা-মাতার অধিকার, সন্তানদের অধিকার, স্বামীর অধিকার, স্ত্রীর অধিকার, এক মুসলিমের কাছে অন্য মুসলিমের অধিকার, অমুসলিমের অধিকার। কোন কাফের যদি তোমার প্রতিবেশী হয় তাহলে তোমার উপর তার কিছু অধিকার রয়েছে। মুসলিম সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধভাবে বসবাসকারী অমুসলিমের অধিকার রয়েছে, ইসলামী সরকারের নিকট নিরাপত্তা লাভকারী অমুসলিমের অধিকার রয়েছে...।

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. হতে বর্ণিত, তিনি একটি ছাগল জবাই করলেন। (তারপর তার পরিবারের লোকদেরকে) জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি আমার ইহুদী প্রতিবেশীর নিকট গোস্ত উপহার পাঠিয়েছো? আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন:

مَا زَالَ جِبْرِيلُ يُوصِينِي بِالْجَارِ حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ سَيُوَرِّثُهُ

“জিবরাঈল আমাকে প্রতিবেশীর ব্যাপারে এত বেশী উপদেশ দিতেন যে, মনে হল তিনি হয়ত শেষ পর্যন্ত প্রতিবেশীকে সম্পদের উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিবেন।” [বুখারী, হা/৬০১৪, ৬০১৫ ও মুসলিম, হা/২৬২৫, আবু দাউদ হা/৫১৫২, তিরমিযী, হা/১৯৪৩, আহমদ ১১/৩৮,]

তাহলে প্রমাণিত হল যে, ইসলামী শরীয়ত অর্থনৈতিক অধিকার, প্রতিবেশীর অধিকার, অমুসলিমের অধিকার ইত্যাদি সামগ্রিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। তবে এই শর্তে যে সেটা ইসলামী শরীয়ত যে কল্যাণ বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে আগমন করেছে তার স্বপক্ষে হতে হবে। ইসলামী শরীয়ত কেবল পার্থিব কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য আগমন করে নি বরং আগমন করেছে ইহ ও পরলৌকিক উভয় জগতের কল্যাণ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে। এতে মানুষের জীবন-মরণ, দুনিয়া-আখিরাত উভয় দিকেই কল্যাণ রয়েছে।

মানবাধিকার বিষয়ে এই হল মৌলিক কিছু কথা। যদিও এতটুকু আলোচনা এ বিষয়ের জন্য সার্বিক দিক থেকে যথেষ্ট নয়। তবুও এই বহুল আলোচিত বিষয়টি বুঝার ক্ষেত্রে আমার এ কথাগুলো সহায়ক হবে বলে আশা করি।

এটা নিশ্চিত যে, যে দেশে ইসলামী শরীয়তকে সম্মান করা হয় বা ইসলামী শরীয়তকে ঊর্ধ্বে রাখা হয় বা যে দেশে ইসলামী শরীয়ত কায়েম রয়েছে সে দেশে মানবাধিকার সবচেয়ে বেশী সুরক্ষিত হয়। পক্ষান্তরে যে দেশ ইসলামী শরীয়ত বাস্তবায়নে দূর্বল সে দেশ মানবাধিকার বাস্তবায়নেও দূর্বল। কারণ, শরীয়ত সম্মত মানবাধিকার বাস্তবায়নের বিষয়টি মানুষের বাস্তব জীবনে শরীয়ত বাস্তবায়নের সাথে সম্পৃক্ত। যখন জুডিশিয়াল রাইটস, ফিনান্সিয়াল রাইটস, সমাজে ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠা, জুলুম-অত্যাচারের সঠিক বিচার এবং ইসলাম অনুমদিত স্বাধীনতা দেয়া হবে তখন তার অর্থ দাঁড়াবে মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার অর্জন করলো, অর্জন করল তাদের যথার্থ পাওনা।

সর্বজন বিদিত কথা হল, পরিপূর্ণভাবে মানবাধিকার বাস্তবায়নের যুগ হল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগ এবং খোলাফায়ে রাশেদীন এর যুগ। তার পরে উমাইয়া-আব্বাসিয় থেকে শুরু করে বর্তমান যুগ পর্যন্ত যে দেশে যত বেশী ইসলামী শরীয়ত বাস্তবায়িত হয়েছে সে দেশে তত বেশী মানবাধিকার সংরক্ষিত হয়েছে।

মানবাধিকার বিষয়ে বিশাল সমূদ্রের মাঝে এই হল সামান্য ছিটেফোঁটা। আল্লাহর নিকট দুয়া করি, আল্লাহ যেন আমাদেরকে তাঁর দ্বীনের প্রচারক বানিয়ে দেন। আমরা যেন এ পথে অবিচল থাকতে পারি ও ধৈর্য ধারণ করতে পরি। আরও দুয়া করি, তিনি আমাদেরকে দ্বীনের সেবক, সাহায্যা কারী, ইলমে দ্বীনের ধারক-বাহক, মহান আল্লাহর শরীয়ত এবং নবীর সুন্নতের রক্ষায় অগ্রগামী ভূমিকা পালনকারী বানিয়ে দিন। আমীন।

সমাপ্ত

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন