hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

প্রাথমিক তাওহীদ শিক্ষা

লেখকঃ ডঃ আব্দুল আযীয বিন মুহাম্মাদ

৪৫
খ- ক্বুরআনে এ রুকনের গুরুত্ব ও হিক্‌মত:
ক্বুরআনুল কারীমের বিভিন্ন স্থানে ক্বিয়ামত দিবসের উল্লেখ রয়েছে। প্রতিটি স্থানে ক্বুরআন এর প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে, উপযুক্ত স্থানে এর প্রতি সতর্ক করেছে।

আরবী ভাষার ব্যাকরণিক বিভিন্ন পদ্ধতিতে ক্বিয়ামত সংঘটিত হওয়ার তাগিদ করা হয়েছে। ক্বুরআনে এ দিবসের প্রতি গুরুত্বের নমুনা হলো, অনেক স্থানেই এ দিবসের প্রতি ঈমানকে আল্লাহর প্রতি ঈমানের সাথে সংশ্লিষ্ট করেছে। যেমন আল্লাহ্‌ (আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম) বলেন:

﴿ذَلِكَ يُوعَظُ بِهِ مَنْ كَانَ مِنْكُمْ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ﴾ [ البقرة : ২৩২[

অর্থ: (আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দিয়ে দাও এবং তারপর তারাও নির্ধারিত ইদ্দত পূর্ণ করতে থাকে, তখন তাদেরকে পূর্ব স্বামীদের সাথে পারসপরিক সমমতির ভিত্তিতে নিয়মানুযায়ী বিয়ে করতে বাধা প্রদান করো না)।

এ উপদেশ তাকেই দেয়া হচ্ছে, যে আল্লাহ্‌ ও ক্বিয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে। সূরাহ্‌ আল বাক্বারাহ্‌ আয়াত ২৩২।

- ক্বুরআনুল কারীমে ক্বিয়ামতের অনেক উদ্ধৃতি এসেছে। এমনকি ক্বুরআনের প্রায় প্রতিটি পাতায় আপনি ক্বিয়ামত দিবস এবং তার বিভিন্ন অবস্থার আলোচনা পাবেন।

- ক্বিয়ামত দিবসের গুরুত্বের মধ্যে রয়েছে আল্লাহ্‌ এ দিবসকে বিভিন্ন নামে নামকরণ করেছেন। যা এ দিবস সংঘটিত হওয়ার উপর দৃঢ় প্রমাণ বহন করে। যেমন, আল্‌ হাক্বক্বাহ্‌, আল্‌ ওয়াক্বিয়াহ্‌ এবং ক্বিয়ামাহ ইত্যাদী।

- ক্বিয়ামতের কিছু নাম এমন রয়েছে যা তাতে সংঘটিত বিভীষিকার উপর প্রমাণ বহন করে। যেমন, আল্‌ গাশিয়াহ্‌, আত্বম্মাহ্‌, আস্‌সক্ষাহ্‌ এবং আল্‌ ক্বারিয়াহ্‌।

ক্বুরআনে বর্ণিত ক্বিয়ামত দিবসের আরো কিছু নাম: ইয়াওমুদ্দীন, ইয়াওমুল হিসাব, ইয়াওমুল জাম্‌, ইয়াওমুল খুলূদ, ইয়াওমুল খুরূজ, ইয়াওমুল হাসরাহ্‌ এবং ইয়াওমুত্তানাদ।

- ক্বিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান আনার অধিক গুরুত্ব দেওয়ার হিকমত হল: মানুষের দিকনির্দেশনা, সৎ কর্মে তাদের ধারাবাহিকতা এবং তাক্বওয়ার (আল্লাহর ভয়) ক্ষেত্রে এ দিবসের প্রতি ঈমানের বড় প্রভাব রয়েছে।

- ক্বিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান ও সৎ আমলকে এক সাথে উল্লেখ করার ক্বুরআনিক নীতি এ হিক্‌মতের প্রতি ইঙ্গিত দেয়। আল্লাহ্‌ তা'য়ালা বলেন:

﴿إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلَّا اللَّهَ فَعَسَى أُولَئِكَ أَنْ يَكُونُوا مِنَ الْمُهْتَدِينَ﴾ [ التوبة : ১৮[

অর্থ: নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি এবং কায়েম করেছে সালাত ও আদায় করে যাকাত; আল্লাহ্‌ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করে না। অতএব, আশা করা যায়, তারা হিদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে। সূরাহ্‌ আত্‌ তাওবাহ্‌ আয়াত ১৮। আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেন:

﴿وَهَذَا كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ مُبَارَكٌ مُصَدِّقُ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَلِتُنْذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَهُمْ عَلَى صَلَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ﴾ [ الأنعام : ৯২[

অর্থ: এ কোরআন এমন গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ন করেছি; বরকতময়, পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী এবং যাতে আপনি মক্কাবাসী ও পাশ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন।

যারা পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তারা স্বীয় সালাত সংরক্ষণ করে। সূরাহ্‌ আল্‌ আন্‌আম আয়াত ৯২।

সম্ভবত ক্বিয়ামত দিবসকে বেশী উল্লেখের কারণ হলো, দুনিয়ার টান ও তার সম্পদের মোহে মানুষ এ দিবসকে বেশী ভুলে এ সম্পর্কে অসতর্ক থাকে। তাই এ দিবস ও তাতে উল্লেখিত শাস্তি-নিয়ামতের প্রতি ঈমান দুনিয়ার প্রতি অতিরঞ্জিত ভালবাসা কমিয়ে ভাল কাজে প্রতিযোগীতার আগ্রহ যোগাবে। আল্লাহ্‌ (আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম) বলেন:

﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمُ انْفِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ اثَّاقَلْتُمْ إِلَى الْأَرْضِ أَرَضِيتُمْ بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الْآخِرَةِ فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الْآخِرَةِ إِلَّا قَلِيلٌ﴾ [ التوبة : ৩৮[

অর্থ: হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প। সূরাহ্‌ আত্‌ তাওবাহ্‌ আয়াত ৩৮।

আল্লাহর উপর ঈমানের পর শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস ব্যতীত কোন জিনিষ মানুষকে দুনিয়ার মোহ্‌ বা ভালবাসা থেকে ফিরাতে পারে না। যখন কেউ বিশ্বাস করবে সকল সম্পদ ধ্বংসশীল তখন আল্লাহর আনুগত্য ও হুকুম পালনে আগ্রহী হবে। দুনিয়া থেকে বিমুখ হয়ে বিশ্বাস করবে যে দুনিয়ার সম্পদের পরিবর্তে তাকে পরকালে উচ্চ ও স্থায়ী নিয়ামত দেওয়া হবে।

সাথে এ বিশ্বাসও রাখবে যে, দুনিয়ার জীবনে পার্থিব সম্পদের মোহে আল্লাহর সীমা অতিক্রম করলে পরকালে তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করতে হবে।

মানুষ যখন শেষ দিবস বা পরকালে বিশ্বাস করবে তখন সে নিশ্চিত হবে যে দুনিয়ার কোন নিয়ামতই পরকালের নিয়ামতের সাথে তুলনা করা যায় না। অপর দিকে ক্বিয়ামতের প্রতি বিশ্বাস না রাখা এবং আল্লাহর রাস্তায় দুনিয়ায় পাওয়া শাস্তির সাথে পরকালের শাস্তির কোন তুলনা হয় না। আবার পরকালে বিশ্বাস এবং দুনিয়াতে আল্লাহর পথে কষ্টের জন্য পরকালে যে নিয়ামত দেওয়া হবে তার সাথে দুনিয়ার কোন নিয়ামতের তুলনা হয় না

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন