hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

প্রাথমিক তাওহীদ শিক্ষা

লেখকঃ ডঃ আব্দুল আযীয বিন মুহাম্মাদ

৫৫
ঘ- তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাসের প্রভাব:
আক্বীদাহ্‌ বা বিশ্বাস হওয়া সত্বেও তাক্বদীরের প্রতি ঈমান আনা ওয়াজিব। ইহা ঈমানের অন্যতম রুকন তথা স্তম্ভ, যে ব্যক্তি তা অস্বীকার করবে সে কাফের বলে গণ্য হবে। মানুষের জীবনে তাক্বদীরের প্রতি ঈমান আনার বেশ কিছু প্রভাব রয়েছে।

নিচে কিছু প্রভাব উল্লেখ করা হল:

তাক্বদীর অন্যতম মূখ্য কারণ যা ব্যক্তিকে দুনিয়াবী জীবনে পূর্ণোদ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টিজনক কাজ করার প্রতি আহ্বান করে। তাক্বদীরের প্রতি ঈমান মুহমিনের কাজ করা ও বড় কর্মসমূহে বিশ্বাস ও দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যাওয়ার পথে শক্তিশালী উৎসাহদানকারী বিষয়। মু'মিনদেরকে আল্লাহর উপর ভরসা করার সাথে সাথে উপকরণ গ্রহণের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আর তারা এবিশ্বাসেরও আদিষ্ট হয়েছেন যে আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত উপকরণ বা মাধ্যম কোন ফল দিতে পারে না। কেননা, আল্লাহই উপকরণ ও ফলা-ফল সৃষ্টি করেছেন। রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:

﴿الْمُؤْمِنُ الْقَوِيُّ خَيْرٌ وَأَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنْ الْمُؤْمِنِ الضَّعِيفِ وَفِي كُلٍّ خَيْرٌ احْرِصْ عَلَى مَا يَنْفَعُكَ وَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ وَلَا تَعْجَزْ وَإِنْ أَصَابَكَ شَيْءٌ فَلَا تَقُلْ لَوْ أَنِّي فَعَلْتُ كَانَ كَذَا وَكَذَا وَلَكِنْ قُلْ قَدَرُ اللَّهِ وَمَا شَاءَ فَعَلَ فَإِنَّ لَوْ تَفْتَحُ عَمَلَ الشَّيْطَانِ﴾ ( صحيح مسلم - (১৩/১৪২(

অর্থ: শক্তিশালী মুহমিন আল্লাহর নিকটে দূর্বল মুহমিন থেকে ভাল এবং প্রিয়, প্রত্যেকের মাঝেই কল্যাণ রয়েছে, তোমার উপকারী বিষয়ে আগ্রহ পোষণ কর।

আল্লাহর নিকটে সাহায্য প্রার্থনা কর, কখনো দূর্বল হবে না বা নিজেকে দূর্বল মনে করবে না। তোমার কোন কিছু হলে (যেমন বিপদ বা উদ্দিষ্ট বস্তু না পাওয়া) এ কথা বলিওনা যে আমি যদি এমন করতাম তবে এমন হতো। তবে বলো আল্লাহ্‌ ইহাই নির্ধারণ করেছিলেন এবং তিনি যা চেয়েছেন তাই করেছেন, কেননা লাও বা যদি শব্দটি শয়তানের কর্ম খুলে দেয়। সহীহ্‌ মুসলিম ১৩/১৪২।

জিহাদের মাধ্যমে মুসলিমগণ যখন কোন স্থানের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন করতে চেয়েছেন, তখন তারা জিহাদের সকল উপকরণ অবলম্বন করেছেন, অতঃপর আল্লাহর উপর ভরসা করেছেন। তারা এমনটি বলেননি যে আল্লাহ্‌ তায়ালা মুহমিনদের বিজয় এবং কাফিরদের পরাজয় লিখে রেখেছেন। তাই আমাদের প্রস্তুতি, জিহাদ, ধৈর্য্য এবং যুদ্ধের ময়দানে যাবার প্রয়োজন নেই (এমন কথা তারা বলেননি)।

বরং এসব কিছুই তারা করেছেন ফলে আল্লাহ্‌ তাদেরকে সহযোগীতা করতঃ বিজয়ী করেছেন এবং তাদের মাধ্যমে ইসলামকে মর্যাদা দিয়েছেন।

২- তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাসের মাধ্যমে মানুষ তার নিজের ক্বদর বা মর্যাদার পরিধি জানতে পারবে। ফলে সে কখনো অহংকার, অহমিকা ও ঔদ্ধত্য প্রকাশ করবে না। কেননা সে তার ভাগ্য ও ভবিষ্যতে কি হবে তা জানতে অপারগ। সুতরাং মানুষ তার অপারগতা এবং আল্লাহর নিকটে সার্বক্ষণিক স্বীয় প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করাই আবশ্যক।

মানুষ যখন কল্যাণে থাকে তখন অহঙ্কার ও দাম্ভিকতা করে ঐ কল্যাণ নিয়ে ধোকায় থাকে। যখন তার অকল্যাণ হয় তখন সে অস্থির ও চিন্তিত হয়ে উঠে।

তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাসই ভাল অবস্থায় মানুষকে অহঙ্কার, দাম্ভিকতা এবং খারাপ অবস্থায় চিন্তা থেকে মুক্ত রাখতে পারে। তখন সে বিশ্বাস করে যা সংঘটিত হয়েছে তা ভাগ্যের লিখনের কারণেই হয়েছে, যা আল্লাহ্‌ (আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম) ঐ কর্ম সম্পাদন হওয়ার পূর্বেই জানেন। পূর্ববর্তী কোন এক মনিষী বলেন:

﴿من لم يؤمن بالقدر لم يتهن بعيشه﴾

অর্থ: যে ব্যক্তি তাক্বদীরে বিশ্বাস করে না সে তার জীবন নিয়ে শান্তি পায় না।

৩- তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাস সমাজে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা যা মুহমিনদের মাঝে হিংসা বিদ্বেষের সৃষ্টি করে তা নির্মূল করে, যেমন: হিংসা বিদ্বেষের মতো নোংরা অভ্যাস। আল্লাহ্‌ কাউকে যে নিয়ামত দিয়েছেন মুহমিন সে ব্যাপারে মানুষের প্রতি বিদ্বেষ রাখেনা। কেননা, আল্লাহই তাদেরকে রিযিক্ব দিয়েছেন এবং ঐ সকল নিয়ামত তাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন। সে জানে যখন সে অন্যের হিংসা করবে তখন সে তাক্বদীরের উপরই আপত্তি ও প্রতিবাদ করল।

৪- তাক্বদীরে বিশ্বাস কঠিনতার মুক্বাবিলায় অন্তরে সাহস যোগায়, অঙ্গিকারকে শক্তিশালী করে।

ফলে মুহমিন জিহাদের ময়দানে দৃঢ় থাকে এবং মৃত্যুকে ভয় করে না, কেননা, সে দৃঢ় বিশ্বাস করে মানুষের মৃত্যুর সময় নির্ধারিত যা সামান্য আগে পরে হয় না।

যখন মু'মিনদের অন্তরে এ বিশ্বাস গেঁথেগিয়েছিল তখন তারা জিহাদে ও তা চালিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল। তাই শত্রুর শক্তি ও সংখ্যা যাই হোকনা কেন মুজাহিদগণ জিহাদের ময়দানে দৃঢ়তা ও স্থায়িত্বের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেগেছেন। কেননা, তারা নিশ্চিত বিশ্বাস করতেন যে মানুষের ভাগ্যে যা লিখা আছে তাই ঘটবে।

৫- তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাস মুহমিনের অন্তরে ঈমানের বিভিন্ন বাস্তবতার চারা রোপন করে। তাই সে সব সময় আল্লাহর নিকটে সাহায্য প্রার্থনা, তাঁর উপর ভরসা এবং তাওয়াক্কুল করে। সাথে সাথে এজন্য উপকরণ অবলম্বন করে। মুহমিন সব সময় আল্লাহর নিকটে ঈমানের উপর অটল থাকার জন্য সহযোগীতা চাই, সে নিজেও দানশীল হয় এবং অন্য মানুষকে দান-দয়া করতে ভালবাসে।

তাই তো দেখা যায় সে অন্যের প্রতি সদয় হয়ে তাদের প্রতি কল্যাণের হাত বাড়িয়ে দেয়।

৬- তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাসের প্রভাব হলো আল্লাহর পথে আহ্বানকারী নির্দিধায় দাওয়াতী কাজ চালিয়ে যায়। অত্যাচারী ও কাফিরদেরকে প্রকাশ্যে দাওয়াত দেয়, আল্লাহর পথে কাজ করতে কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করে না।

৭- মানুষের সামনে ঈমানের বাস্তবতা ও চাহিদা তুলে ধরেন। তেমনি তিনি মানুষের সামনে কুফরি ও নিফাক্বী বা কপটতার আসলরুপ বর্ণনা করতঃ তা থেকে মানুষদেরকে সতর্ক করেন। বাতিল ও তার নকল বা মিথ্যার দিক উম্মোচন করেন। অত্যাচারীদের সামনে সত্য কথা (ইসলামের দাওয়াত) বলেন। কারণ, মুহমিন এসকল কিছু করেন দৃঢ় ঈমান, আল্লাহর উপর আস্থা ও ভরসা রেখে, এ পথে যে কষ্ট হবে তাতে তিনি ধৈর্য্য ধারণ করেন।

কারণ তিনি দৃঢ় বিশ্বাসী যে মৃত্যু ও রিযিক্ব একমাত্র আল্লাহর হাতে। বান্দার শক্তি ও সহযোগী যতই বেশী হোক না কেন তারা ঐ সবের সামান্য কিছুর মালিকানা রাখেনা।

আল্লাহ্‌ তাআ'লা আমাদের নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তাঁর পরিবার এবং সকল সাথীদের উপর সলাত ও সালাম বর্ষণ করুন। আমীন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন