hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

প্রাথমিক তাওহীদ শিক্ষা

লেখকঃ ডঃ আব্দুল আযীয বিন মুহাম্মাদ

৫৪
গ-আল্লাহর আদেশকৃত কাজ ত্যাগে ভাগ্যের দোহায় দেওয়া:
আমরা তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের যে গুণাবলী বর্ণনা করেছি তা বান্দার ইচ্ছা ও সামর্থ্যের আওতাধীন কাজে তার চাহিদার পরিপন্থি নয়। কেননা, শরীয়ত ও বাস্তবতায় তা প্রমাণিত বিষয়। শরীয়তের দলীল, আল্লাহ্‌ (আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম) ইচ্ছার ব্যাপারে বলেন:

﴿ذَلِكَ الْيَوْمُ الْحَقُّ فَمَنْ شَاءَ اتَّخَذَ إِلَى رَبِّهِ مَآبًا﴾ [ النبأ : ৩৯[

অর্থ: এই দিবস সত্য। অতঃপর যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার কাছে ঠিকানা তৈরী করুক। সূরাহ্‌ আন-নাবা আয়াত ৩৯। শক্তি বা সামর্থ্যের ব্যাপারে আল্লাহ্‌ (আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম) বলেন:

﴿لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ﴾ [ البقرة : ২৮৬[

অর্থ: আল্লাহ্‌ কোন ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত কিছু আরোপ করেন না। সে ভাল যা করেছে সে তার সওয়াব পাবে এবং স্বীয় মন্দ কৃতকর্মের জন্য নিজেই নিগ্রহ ভোগ করবে। সূরাহ্‌ আল-বাক্বারাহ্‌ আয়াত ২৮৬।

বাস্তবতার দলীল হল: প্রত্যেক ব্যক্তিই জানে যে তার নিজস্ব একটা ইচ্ছা ও শক্তি আছে যার মাধ্যমে সে কোন কাজ করে বা ছেড়ে দেয়। স্বেচ্ছায় (যেমন হাঁটা বা চলা-ফেরা করা) এবং অনিচ্ছায় যা হয় (যেমন, কাঁপা বা শিহরিত হয়ে উঠা) সে তার মাঝে পার্থ্যক্য করতে পারে। তবে বান্দার ইচ্ছা ও শক্তি আল্লাহর ইচ্ছা ও শক্তির আওতাধীন। আল্লাহ্‌ (আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম) বলেন:

﴿وَمَا تَشَاؤُونَ إِلَّا أَن يَشَاءَ اللَّهُ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيماً حَكِيماً﴾ ] الإنسان -৩০[

অর্থ: আল্লাহর অভিপ্রায় ব্যতিরেকে তোমরা অন্য কোন অভিপ্রায় পোষণ করবে না। আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। সূরাহ্‌ আল-ইনসান (দাহ্‌র) আয়াত ৩০।

তাছাড়া সারা বিশ্বের মালিকানা আল্লাহর হাতে সেহেতু তাঁর রাজত্বে তাঁর ইচ্ছা ও জ্ঞান ব্যতীত কোন কিছুই হয় না।

আল্লাহর আদিষ্ট কাজ পরিত্যাগ বা নিষেধকৃত কাজ করার ক্ষেত্রে তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাস দিয়ে বান্দার দলীল পেশের কোন সুযোগ নাই। অতএব, যে ব্যক্তি খারাপ কাজ করে ভাগ্যের দোহায় দেয় তার এ দলীল কয়েকভাবে বাতিল বলে গন্য: প্রথমত: রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:

﴿مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا وَقَدْ كُتِبَ مَقْعَدُهُ مِنْ النَّارِ وَمَقْعَدُهُ مِنْ الْجَنَّةِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلَا نَتَّكِلُ عَلَى كِتَابِنَا وَنَدَعُ الْعَمَلَ قَالَ اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ﴾ ( صحيح البخاري - (১৫ / ৩০৩(

অর্থ: জান্নাত ও জাহান্নামে তোমাদের সকলের স্থান লিখা আছে। সাহাবাগণ  বললেন: হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমরা কি আমাদের ঐ লিখার উপর ভরসা করে আমল করা ছেড়ে দিব না? তিনি বললেন: তোমরা আমল কর, কেননা প্রত্যেক ব্যw³র জন্য সে কাজই সহজ করে দেওয়া হবে যে জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। বুখারী ও মুসলিম।

দ্বিতীয়ত: আল্লাহ্‌ বান্দাকে আদেশ ও নিষেধ করেছেন, আর সে যা পালন করতে সক্ষম তারই তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ্‌ (আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম) বলেন:

﴿فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ﴾ [ التغابن : ১৬[

অর্থ: তোমাদের সাধ্যানুযায়ী তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। সূরাহ্‌ আত্‌-তাগাবুন আয়াত ১৬।

যদি বান্দাকে কোন কাজ করতে বাধ্য করা হতো তবে তার সাধ্যের বাইরে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হতো যা করা ছাড়া তার কোন উপায় থাকতো না।

অথচ এমনটি সম্পূর্ণ বাতিল। এ জন্যই জ্ঞানের স্বল্পতা, ভুল বা জোর পূর্বক বান্দার মাধ্যমে কোন অপরাধ হলে তার কোন গুণাহ্‌ হবে না। কেননা তার ওজর (অজুহাত) রয়েছে।

তৃতীয়ত: আল্লাহর লিখিত তাক্বদীর বা ভাগ্য গোপনীয় বিষয় বাস্তবায়ীত না হওয়া পর্যন্ত তা জানা যায় না। বান্দা কোন কাজ করার পূর্বেই ইচ্ছা করে থাকে অতএব, বান্দা কর্তৃক কোন কাজের ইচ্ছা করা আল্লাহর লিখিত ভাগ্য লিপির উপর ভিত্তি করে নয়।

এমতাবস্থায় তাক্বদীরের মাধ্যমে বান্দার দলীল পেশ করা বাতিল বলে গন্য। কেননা কোন ব্যক্তি যা জানে না তা ঐ ব্যক্তির জন্য দলীল হতে পারে না।

অবাধ্য ব্যক্তি প্রতিবাদ করে যদি বলে, এ পাপ আমার ভাগ্যে লিখা ছিল। তাকে বলা হবে: তুমি পাপ করার পূর্বে আল্লাহর ইল্‌ম সম্পর্কে কে তোমাকে অবহিত করল? যেহেতু তুমি (আল্লাহর ইলম) জানো না এবং তোমাকে ইচ্ছা ও শক্তি দেওয়া হয়েছে, তোমার সামনে ভাল-মন্দ উভয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে, এমতাবস্থায় তুমিই পাপের পছন্দকারী বা ইচ্ছাকারী। তুমি পাপকে সওয়াবের কাজের উপর প্রাধান্য দিয়েছো, অতএব, তোমাকেই তোমার পাপের শাস্তি ভোগ করতে হবে।

চতুর্থত: ওয়াজিব কাজ পরিত্যাগ করে বা পাপ কাজে লিপ্ত হয়ে তাক্বদীরের অজুহাত দানকারী ব্যক্তির উপর কেউ আক্রমন করে তার সম্পদ হরণ করে, অথবা তার ইজ্জত হানী করে তাক্বদীরের দোহায় দিয়ে যদি বলে আমাকে দোষারোপ করিওনা।

কেননা তোমার উপর আমার আক্রমন তাক্বদীরের অন্তর্ভূক্ত তবে ঐ ব্যক্তি তা গ্রহণ করবে না। আশ্চর্যের ব্যাপার কিভাবে অন্য কেউ তার উপর আক্রমন করলে তাক্বদীরের দলীল সে গ্রহণ করছে না, অথচ আল্লাহর অবাধ্যতা ও তাঁর (আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম) উপর বাড়াবাড়ির ব্যাপারে নিজের ক্ষেত্রে সেই তাক্বদীরেরই দলীল দিচ্ছে?!

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন