hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

প্রাথমিক তাওহীদ শিক্ষা

লেখকঃ ডঃ আব্দুল আযীয বিন মুহাম্মাদ

৪৬
গ- কবরের পরীক্ষা:
আমরা মৃত্যুকে সত্য বলে বিশ্বাস করি। মহান আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿قُلْ يَتَوَفَّاكُمْ مَلَكُ الْمَوْتِ الَّذِي وُكِّلَ بِكُمْ ثُمَّ إِلَى رَبِّكُمْ تُرْجَعُونَ﴾ [ السجدة : ১১[

অর্থ: বলুন: তোমাদের প্রাণ হরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করবে। অতঃপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। সূরাহ্‌ আস্‌ সাজ্‌দাহ্‌ আয়াত ১১।

এটা প্রমাণিত বিষয় যা কারো অজানা নয়, এতে কোন সন্দেহ ও সংশয় নেই। আমরা বিশ্বাস করি যারাই মৃত্যু বরণ করে বা তাকে হত্যা করা হয় অথবা যে কোন কারণে তার মৃত্যু হোক না কেন তা তার নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়ে যাওয়ার কারনেই। মানুষের নির্দিষ্ট সময় হতে কোন কিছু কম করা হয় না। আল্লাহ্‌ (আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম) বলেন:

﴿وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ فَإِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ﴾ [ الأعراف : ৩৪[

অর্থ: প্রত্যেক সমপ্রদায়ের একটি মেয়াদ রয়েছে। যখন তাদের মেয়াদ এসে যাবে, তখন তারা না এক মুহুর্ত পিছে যেতে পারবে, আর না এগিয়ে আসতে পারবে। সূরাহ্‌ আল্‌ আ'রাফ আয়াত ৩৪।

আমরা ক্ববরের ফিৎনা বা পরীক্ষায় বিশ্বাস করি: তা হলো দাফনের পরে মৃত ব্যক্তিকে তার রব (পালনকর্তা), দ্বীন (ধর্ম) এবং নবী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা।

ঈমানদারদেরকে আল্লাহ্‌ তায়ালা প্রতিতি কথার উপর দৃঢ় রাখবেন ফলে মু'মিন ব্যক্তি বলবেন: আমার রব্ব আল্লাহ্‌ (আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম), আমার ধর্ম ইসলাম এবং আমার নবী হলেন মুহাম্মাদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।

আর অত্যাচারীদেরকে আল্লাহ্‌ পথ ভ্রষ্ট করবেন, ফলে কাফের ব্যক্তি বলবে: হায়!হায়! আমি কিছু জানি না।

মুনাফিক্ব বা সন্দিহান ব্যক্তি বলবে: আমি জানি না, মানুষদেরকে কিছু বলতে শুনেছিলাম আমি তাই বলেছিলাম।

আমরা ক্ববরের আযাব ও নিয়ামতে (শান্তিতে) বিশ্বাস করি, ক্ববরের আযাব হবে অত্যাচারী কাফের ও মুনাফেক্বদের। আল্লাহ্‌ (আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম) বলেন:

﴿وَلَوْ تَرَى إِذِ الظَّالِمُونَ فِي غَمَرَاتِ الْمَوْتِ وَالْمَلَائِكَةُ بَاسِطُو أَيْدِيهِمْ أَخْرِجُوا أَنْفُسَكُمُ الْيَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُونِ بِمَا كُنْتُمْ تَقُولُونَ عَلَى اللَّهِ غَيْرَ الْحَقِّ وَكُنْتُمْ عَنْ آيَاتِهِ تَسْتَكْبِرُونَ﴾ [ الأنعام : ৯৩[

অর্থ: যদি আপনি দেখেন যখন জালেমরা মৃত্যু যন্ত্রণায় থাকে এবং ফেরেশতারা স্বীয় হস্ত প্রসারিত করে বলে, বের কর স্বীয় আত্মা! অদ্য তোমাদেরকে অবমাননাকর শাস্তি প্রদান করা হবে। কারণ, তোমরা আল্লাহর উপর অসত্য বলতে এবং তাঁর আয়াতসমূহ থেকে অহংকার করতে। সূরাহ্‌ আল্‌ আন্‌আম আয়াত ৯৩। আল্লাহ্‌ তায়ালা ফেরআউনের পরিবার সম্পর্কে বলেন:

﴿النَّارُ يُعْرَضُونَ عَلَيْهَا غُدُوًّا وَعَشِيًّا وَيَوْمَ تَقُومُ السَّاعَةُ أَدْخِلُوا آلَ فِرْعَوْنَ أَشَدَّ الْعَذَابِ﴾ [ غافر : ৪৬[

অর্থ: সকালে ও সন্ধ্যায় তাদেরকে আগুনের সামনে পেশ করা হয় এবং যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন আদেশ করা হবে, ফেরাউন গোত্রকে কঠিনতর আযাবে দাখিল কর। সূরাহ্‌ আল-মু'মিন - ৪৬। যাইদ বিন সাবিত  রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন, তিনি (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:

﴿ِإنَّ هَذِهِ الْأُمَّةَ تُبْتَلَى فِي قُبُورِهَا فَلَوْلَا أَنْ لَا تَدَافَنُوا لَدَعَوْتُ اللَّهَ أَنْ يُسْمِعَكُمْ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ الَّذِي أَسْمَعُ مِنْهُ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَقَالَ تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ النَّارِ قَالُوا نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ النَّارِ فَقَالَ تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ قَالُوا نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْر﴾ ) صحيح مسلم - ১৪/ ২৮(

অর্থ: এই উম্মত ক্ববরে পরীক্ষিত হবে, যদি তোমরা দাফন করা ছেড়ে না দিতে তবে আমি ক্ববরের আযাবের যে শব্দ শুনতে পায় তোমাদেরকেও তা শোনার জন্য আল্লাহর নিকটে অবশ্যই দুয়া' করতাম।

এরপর তিনি আমাদের মুখোমুখি হয়ে বললেন: তোমরা জাহান্নামের শাস্তি হতে আল্লাহর নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা কর, তাঁরা বললেন: আমরা আল্লাহর নিকটে জাহান্নামের শাস্তি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। এরপর বললেন: তোমরা ক্ববরের শাস্তি হতে আল্লাহর নিকটে প্রার্থনা কর, তাঁরা বললেন: আমরা আল্লাহর নিকটে ক্ববরের আযাব হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। সহীহ্‌ মুসলিম ১৪/২৮।

অপর দিকে ক্ববরের নিয়ামত (শান্তি) সত্যবাদী মু'মিনদের জন্য, মহান আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلَائِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِي كُنْتُمْ تُوعَدُونَ﴾ [ فصلت : ৩০ [

অর্থ: নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ্‌, অতঃপর তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে, তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না এবং তোমাদের প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ শোন। সূরাহ্‌ হামীম আস্‌ সাজ্‌দাহ্‌ আয়াত ৩০। অন্যত্রে মহান রব্বুল আলামীন বলেন:

﴿فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ (৮৩) وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ تَنْظُرُونَ (৮৪) وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لَا تُبْصِرُونَ (৮৫) فَلَوْلَا إِنْ كُنْتُمْ غَيْرَ مَدِينِينَ (৮৬) تَرْجِعُونَهَا إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ (৮৭) فَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنَ الْمُقَرَّبِينَ (৮৮) فَرَوْحٌ وَرَيْحَانٌ وَجَنَّتُ نَعِيمٍ﴾ [ الواقعة : ৮৩ ৮৯[

অর্থ: অতঃপর যখন কারও প্রাণ কন্ঠাগত হয়। এবং তোমরা তাকিয়ে থাক, তখন আমি তোমাদের অপেক্ষা তার অধিক নিকটে থাকি; কিন্তু তোমরা দেখ না। যদি তোমাদের হিসাব-কিতাব না হওয়াই ঠিক হয়, তবে তোমরা এই আত্মাকে ফিরাও না কেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?

যদি সে নৈকট্যশীলদের একজন হয়; তবে তার জন্যে আছে সুখ, উত্তম রিযিক এবং নিয়ামতে ভরা উদ্যান। সূরাহ্‌ আল্‌ ওয়াক্বিয়াহ্‌ আয়াত ৮৩-৮৯।

বারা বিন আযিব  হতে বর্ণিত রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই মু'মিনের ব্যাপারে বলেছেন যে দুই ফেরেশ্‌তার প্রশ্নের উত্তর দেয়:

﴿فَيُنَادِي مُنَادٍ فِي السَّمَاءِ أَنْ صَدَقَ عَبْدِي فَأَفْرِشُوهُ مِنْ الْجَنَّةِ وَأَلْبِسُوهُ مِنْ الْجَنَّةِ وَافْتَحُوا لَهُ بَابًا إِلَى الْجَنَّةِ قَالَ فَيَأْتِيهِ مِنْ رَوْحِهَا وَطِيبِهَا وَيُفْسَحُ لَهُ فِي قَبْرِهِ مَدَّ بَصَرِهِ﴾ ( مسند أحمد - ৩৭/ ৪৯০(

অর্থ: (যখন মু'মিন ব্যক্তি ফেরেশ্‌তার প্রশ্নের উত্তর দিবে) তখন আসমানে একজন আহ্বানকারী জোর আওয়াজে বলবে: আমার বান্দা সত্য বলেছে, তার জন্য জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জান্নাতের পোশাক পরিয়ে দাও এবং তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দাও।

রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:ফলে তার নিকটে জান্নাতের রহমত (আরাম আয়েশ), সুগন্ধি আসতে থাকবে এবং দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত তার ক্ববর প্রশস্ত করা হবে। মুসনাদে আহমাদ ৩৭/৪৯০, সুনানে আবূ দাউদ।

ক্ববরের আযাব এবং দুই ফেরেশ্‌তার প্রশ্নোত্তর সাব্যস্তে মুতাওয়াতির সূত্রে রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনেক হাদীস পাওয়া যায়। যে ব্যক্তি আযাবের যোগ্য সে কবরে শাস্তি ভোগ করবে আর যে নিয়ামতের যোগ্য সে কবরে শান্তিলাভ করবে। অতএব, তা সাব্যস্তের আক্বীদাহ্‌ পোষণ এবং তার প্রতি ঈমান আনা ওয়াজিব। ক্ববরের শাস্তি-শান্তির ধরনের ব্যাপারে আমাদের কথা বলার অধিকার নেই।

এ ব্যাপারে কথা বলা মানুষের জ্ঞানের বাইরে। কেননা, এ বিষয়ে তার সাথে কোন অঙ্গিকার করা হয়নি এবং এটা দুনিয়ার কোন বিষয় না। ক্ববরের অবস্থা গায়েবী (অদৃশ্য) বিষয় যা অনুভূতি দিয়ে অনুমান করা সম্ভব নয়।

যদি তা অনুভূতি দিয়ে জানা যেত তবে গায়েবের (অদৃশ্যের) প্রতি বিশ্বাসের কোন লাভ বা তাৎপর্য থাকতো না। মানুষকে ইবাদাতের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তার হিক্‌মত শেষ হয়ে যেত। মানুষেরা ক্ববরের শাস্তি অনুভব করতে পারলে দাফন করা বন্ধ করে দিত। যেমন রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:

﴿فَلَوْلَا أَنْ لَا تَدَافَنُوا لَدَعَوْتُ اللَّهَ أَنْ يُسْمِعَكُمْ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ الَّذِي أَسْمَعُ مِنْهُ﴾

অর্থ: যদি তোমরা দাফন করা বন্ধ না করে দিতে তবে আমি ক্ববরের যে আযাব শুনতে পায় তা তোমাদেরকে শুনানোর জন্য আল্লাহর নিকটে অবশ্যই দুয়া করতাম। সহীহ্‌ মুসলিম। আর যেহেতু এই হিকমত পশু-পাখির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় তাই তারা ক্ববরের আযাব শুনতে ও অনুভব করতে পারে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন